How to stay positive during negative talk: পরনিন্দা বা gossip মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু এটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৭০% দৈনন্দিন কথোপকথন অন্যদের সম্পর্কে আলোচনা নিয়ে হয়। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব এড়িয়ে কীভাবে মন ভালো রাখা যায় তা জানা জরুরি।
পরনিন্দার কারণে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন – অবসাদ, উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসের অভাব ইত্যাদি। এছাড়া শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই পরনিন্দা এড়িয়ে চলা উচিত।পরনিন্দা থেকে দূরে থাকার জন্য নিজেকে সচেতন করতে হবে। অন্যের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলার প্রবণতা কমাতে হবে। পরিবর্তে ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। নিজের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে।পরনিন্দা শুনলে তা অন্যদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বরং সেই ব্যক্তির ভালো দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা যেতে পারে। এতে করে নেতিবাচক আলোচনা থেমে যাবে।নিজের সম্পর্কে কেউ খারাপ কিছু বললে তা উপেক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে।
ইন্টারনেট বন্ধে বিক্ষোভ দমন নয়, বরং অর্থনীতি ও মানবাধিকার ক্ষতিগ্রস্ত।
মনে রাখতে হবে যে তাদের মন্তব্য আপনাকে প্রভাবিত করতে পারে না। আপনি নিজের সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন।পরনিন্দাকারীদের সঙ্গে কম সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। পরিবর্তে ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। এতে আপনার মানসিকতাও ইতিবাচক হবে।নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন। নিজের সামর্থ্য ও গুণাবলীর কথা মনে রাখুন। এতে করে অন্যের নেতিবাচক মন্তব্য আপনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না।মেডিটেশন বা ধ্যানের অভ্যাস করুন। এতে মন শান্ত থাকে এবং নেতিবাচক চিন্তা দূর হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলেও মানসিক চাপ কমে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় কাটানো এড়িয়ে চলুন। কারণ এখানে অনেক সময় নেতিবাচক মন্তব্য ও আলোচনা দেখা যায়। এর পরিবর্তে বই পড়া বা অন্য কোনো শখের কাজে সময় দিন।
কর্মক্ষেত্রে পরনিন্দা এড়াতে সহকর্মীদের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখুন। অফিসের গসিপে যুক্ত না হওয়ার চেষ্টা করুন। নিজের কাজে মনোযোগী থাকুন।পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখুন। তাদের সঙ্গে সময় কাটান, আলোচনা করুন। এতে মানসিক চাপ কমবে এবং ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে।নিজের ভুল স্বীকার করতে শিখুন। কারও সম্পর্কে ভুল ধারণা হলে তা সংশোধন করুন। ক্ষমা চাইতে দ্বিধা করবেন না। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে।অন্যের সাফল্যে খুশি হওয়ার চেষ্টা করুন। ঈর্ষা বা হিংসা পরিহার করুন। মনে রাখবেন, প্রত্যেকের জীবনে উত্থান-পতন আসে। তাই অন্যের সাফল্যকে উদযাপন করুন।নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্নের দিকে মনোনিবেশ করুন। অন্যের জীবন নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের উন্নতির দিকে নজর দিন। এতে করে আপনি এগিয়ে যাবেন।
কৃতজ্ঞতার অনুশীলন করুন। প্রতিদিন জীবনের ছোটখাটো জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠবে।নিয়মিত জার্নাল লেখার অভ্যাস করুন। এতে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবেন। মনের চাপ কমবে এবং নিজেকে ভালোভাবে চিনতে পারবেন।সেবামূলক কাজে অংশ নিন। অন্যের উপকার করলে নিজেও ভালো অনুভব করবেন। এতে করে নেতিবাচক চিন্তা দূর হবে।নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। নতুন দক্ষতা অর্জন করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ফলে অন্যের মন্তব্য আপনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না।সুস্থ জীবনযাপনের চেষ্টা করুন। ভালো খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুমান। শারীরিক সুস্থতা মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এসির ঠান্ডায় লুকিয়ে আছে মৃত্যুর ছোঁয়া! জানুন কীভাবে বাঁচবেন
কাউকে বিচার করার আগে নিজেকে তার জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া যায়। ফলে নেতিবাচক মনোভাব কমে যায়।নিজের সীমাবদ্ধতা মেনে নিন। কেউ নিখুঁত নয়। তাই নিজের ত্রুটি-বিচ্যুতি মেনে নিয়ে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করুন। এতে করে অন্যের প্রতি বিচার কমবে।
পরিশেষে বলা যায়, পরনিন্দা একটি নেতিবাচক অভ্যাস যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে সচেতনতা ও ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে এটি এড়িয়ে চলা সম্ভব। নিজের মনোভাব পরিবর্তন করে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে পারলে জীবন আরও সুন্দর ও আনন্দময় হয়ে উঠবে। তাই আজ থেকেই পরনিন্দা পরিহার করে নিজের ও অন্যের মঙ্গল কামনা করুন।