India Is Unstoppable PM Modi blog Make In India 10 years: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার তাঁর সরকারের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ব্লগ লিখেছেন। লিঙ্কডইনে প্রকাশিত এই ব্লগে তিনি এই উদ্যোগকে “গর্জনের মতো সাফল্য” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং এর সাফল্যে অবদান রাখা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিটি ব্যক্তি যিনি এই উদ্যোগের সাফল্যে অবদান রেখেছেন তিনি একজন পথপ্রদর্শক, দূরদর্শী এবং উদ্ভাবক। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এই কর্মসূচির সাফল্যকে ত্বরান্বিত করেছে এবং ভারতকে বৈশ্বিক মনোযোগ ও কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, “এটি একটি সমবেত প্রচেষ্টা, যা অবিরাম, যা একটি স্বপ্নকে একটি শক্তিশালী আন্দোলনে রূপান্তরিত করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র প্রভাব দেখায় যে ভারত অপ্রতিরোধ্য।” তিনি উল্লেখ করেছেন যে আজ ভারতের পক্ষে অনেক কিছুই অনুকূল, কারণ এটি গণতন্ত্র, জনসংখ্যাতত্ত্ব এবং চাহিদার একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ। দেশের কাছে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু রয়েছে এবং এটি একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “গতি স্পষ্টতই ভারতের পক্ষে। বৈশ্বিক মহামারীর মতো অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও, ভারত দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধির পথে রয়েছে। আজ, আমাদের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির চালক হিসাবে দেখা হচ্ছে। আমি আমার তরুণ বন্ধুদের আহ্বান জানাই যে তারা যেন এসে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমাদের সাথে যোগ দেয়। আমাদের সকলকে উৎকর্ষের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করা আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত। শূন্য ত্রুটি আমাদের মন্ত্র হওয়া উচিত।”
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগটি ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে চালু করা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করা। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন যে এই উদ্যোগটি দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ এবং বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চালু করা হয়েছিল। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলিকে ভারতে তাদের পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করার মাধ্যমে, সরকার দেশের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে এবং আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে চায়।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অধীনে, সরকার ২৫টি প্রধান খাত চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে অটোমোবাইল, বস্ত্র, ফার্মাসিউটিক্যালস, ইলেকট্রনিক্স, প্রতিরক্ষা উৎপাদন, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং এরোস্পেস। এই খাতগুলিকে কেন্দ্রীয় মনোযোগ ও নীতিগত সমর্থনের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের বৃদ্ধি ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ব্লগে গত এক দশকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অধীনে বিভিন্ন খাতে অর্জিত সাফল্যের উদাহরণ তুলে ধরেছেন:
মোবাইল উৎপাদন: ২০১৪ সালে দেশে মাত্র দুটি মোবাইল উৎপাদন ইউনিট ছিল, যা এখন ২০০ এরও বেশি। মোবাইল রপ্তানি মাত্র ১,৫৫৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১.২ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে – যা ৭৫০০% বৃদ্ধি। বর্তমানে ভারতে ব্যবহৃত ৯৯% মোবাইল ফোন মেড ইন ইন্ডিয়া। ভারত এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল উৎপাদনকারী দেশ।
ইস্পাত শিল্প: দেশ এখন শেষ পর্যায়ের ইস্পাতের নেট রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে, ২০১৪ সাল থেকে উৎপাদন ৫০% এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেমিকন্ডাক্টর: সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন খাতে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয়েছে। পাঁচটি প্লান্ট অনুমোদিত হয়েছে যার সম্মিলিত ক্ষমতা প্রতিদিন ৭ কোটিরও বেশি চিপ উৎপাদন করতে পারবে।
Google Maps-এ আপনার বাড়ির ঠিকানা পরিবর্তন করুন: [সম্পূর্ণ গাইড]
নবায়নযোগ্য শক্তি ও ইলেকট্রিক যানবাহন: ভারত এখন নবায়নযোগ্য শক্তির চতুর্থ বৃহত্তম উৎপাদনকারী, গত এক দশকে ক্ষমতা ৪০০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালে প্রায় অস্তিত্বহীন ইলেকট্রিক যানবাহন শিল্প এখন ৩ বিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা রপ্তানি: প্রতিরক্ষা উৎপাদন রপ্তানি ১,০০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২১,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ভারতীয় নির্মিত পণ্য এখন ৮৫টিরও বেশি দেশে পৌঁছেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি উৎপাদন-সংযুক্ত প্রণোদনা (পিএলআই) প্রকল্পগুলির ভূমিকাও তুলে ধরেছেন, যা গেম-চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে এবং লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। তিনি ব্যবসা করার সহজতা বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রচেষ্টারও উল্লেখ করেছেন।
বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ চালু হওয়ার আগে ২০১৪-১৫ সালে দেশের মোবাইল আমদানি ছিল ৪৮,৬০৯ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে ৭,৬৬৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান ২০০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
দুই যুগের দুই নেতা: ইন্দিরা থেকে মোদী – নির্বাচনী ইতিহাসের অদ্ভুত সাদৃশ্য
তবে, সরকারের নিজস্ব তথ্য দেখায় যে গত এক দশকে মোট জিডিপিতে উৎপাদন খাতের অবদান অপরিবর্তিত রয়েছে। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ সালে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ চালু হওয়ার এক বছর আগে, উৎপাদন খাত ভারতের জিডিপিতে ১৭.৩% অবদান রেখেছিল। পরবর্তী কয়েক বছরে এটি সামান্য বেড়ে ১৮% এর বেশি হয়েছিল এবং মহামারী-পরবর্তী বছর
গুলিতে আবার কমে গিয়েছিল। সর্বশেষ উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন খাতের অবদান ছিল মোট জিডিপির ১৭.৪%।
এই পরিসংখ্যান দেখায় যে যদিও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, তবুও সামগ্রিকভাবে উৎপাদন খাতের অবদান বাড়ানোর লক্ষ্যে এখনও অনেক পথ বাকি। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এর পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যেমন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা, পরিকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ, দক্ষতার ঘাটতি এবং নিয়ন্ত্রক জটিলতা।
তবে, সরকার এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় উৎপাদন নীতি ২০২১ চালু করা হয়েছে, যার লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদন খাতের অবদান জিডিপির ২৫% এ উন্নীত করা। এছাড়াও, সরকার পরিকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের মতো বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ব্লগে উল্লেখ করেছেন যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সাফল্য শুধুমাত্র সংখ্যায় নয়, বরং এটি একটি মানসিকতার পরিবর্তন এনেছে। তিনি লিখেছেন, “এটি কেবল একটি নীতিগত উদ্যোগ নয়, এটি একটি মানসিকতার পরিবর্তন। এটি আমাদের জাতির আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আজ, ভারতীয়রা গর্বের সাথে স্বদেশী পণ্য ব্যবহার করছে এবং বিশ্বকে দেখাচ্ছে যে ভারতীয় পণ্য মানসম্পন্ন এবং আন্তর্জাতিক মানের।”
বিশ্ব ব্যাংকের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ২০২৪ সালে ৬.৩% এবং ২০২৫ সালে ৬.৪% হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রবৃদ্ধির পিছনে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মতো উদ্যোগগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ভারতের সামনে এখনও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষ শ্রমশক্তির অভাব, পরিকাঠামোগত সমস্যা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা। এছাড়াও, কিছু সমালোচক মনে করেন যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ সব খাতে সমানভাবে সফল হয়নি এবং কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ সালের মধ্যে মোট ৪২১টি উৎপাদন প্রকল্প বাতিল হয়েছে, যার মোট মূল্য ২.১২ লক্ষ কোটি টাকা। এর প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে অর্থায়নের সমস্যা, প্রযুক্তিগত সমস্যা এবং বাজারের অনুকূল পরিস্থিতির অভাব।
তবে, এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ ভারতের উৎপাদন খাতে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এটি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ভারতীয় শিল্প পরিসংঘ (সিআইআই) এর সভাপতি আর দিনেশ বলেছেন, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ ভারতের উৎপাদন খাতকে একটি নতুন দিশা দিয়েছে। এটি শুধু বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেনি, বরং দেশীয় কোম্পানিগুলিকেও উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করেছে। আমরা দেখেছি যে এই উদ্যোগের ফলে বিভিন্ন খাতে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল এবং ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে।”
অন্যদিকে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক জয়তী ঘোষ বলেছেন, “‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, কিন্তু এর সাফল্য মূল্যায়ন করতে হলে আমাদের আরও সময় লাগবে। যদিও কিছু খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তবুও সামগ্রিকভাবে উৎপাদন খাতের অবদান জিডিপিতে তেমন বাড়েনি। আমাদের এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, যেমন দক্ষতার ঘাটতি, পরিকাঠামোগত সমস্যা এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা।”
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদি আশাবাদী। তিনি তাঁর ব্লগে লিখেছেন, “আগামী দশকে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। আমরা শুধু পণ্য উৎপাদন করব না, বরং বৈশ্বিক মানের পণ্য উৎপাদন করব। আমরা শুধু বাজারের চাহিদা পূরণ করব না, বরং নতুন বাজার সৃষ্টি করব। আমরা শুধু প্রযুক্তি গ্রহণ করব না, বরং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করব।”
সরকার ইতিমধ্যে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে, যেমন ন্যাশনাল লজিস্টিকস পলিসি, প্রোডাকশন লিংকড ইনসেন্টিভ (পিএলআই) স্কিম, এবং ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন, যা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপসংহারে বলা যায়, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ গত দশ বছরে ভারতের উৎপাদন খাতে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এটি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে, এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা মোকাবেলা করতে হবে। সরকার এবং শিল্প খাতের যৌথ প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ আগামী দিনে আরও সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষায়, “ভারত অপ্রতিরোধ্য” এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ এই অপ্রতিরোধ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।