INDIA kamikaze drone news: ভারত তার ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে একটি অত্যাধুনিক স্বদেশী প্রযুক্তির কামিকাজে ড্রোন উন্মোচন করেছে। ন্যাশনাল এরোস্পেস ল্যাবরেটরিজ (এনএএল) এই ড্রোনগুলি তৈরি করেছে, যা দেশীয় ইঞ্জিন দ্বারা চালিত এবং ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে।এই কামিকাজে ড্রোনগুলি হল আত্মঘাতী বিমান, যা লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি ঘুরে বেড়ায় এবং নির্দেশ পেলে তাতে আঘাত হানে। এগুলি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী এই ধরনের ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার পদাতিক ও সাঁজোয়া যানবাহন লক্ষ্য করেছে।
ভারতের নতুন বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সমর-২ এর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরে
ভারতের নতুন বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সমর-২ এর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরে
ভারতীয় কামিকাজে ড্রোনের বৈশিষ্ট্য:
• দৈর্ঘ্য: ২.৮ মিটার
• উইংস্প্যান: ৩.৫ মিটার
• ওজন: ১২০ কেজি
• বিস্ফোরক ধারণ ক্ষমতা: ২৫ কেজি
• পাল্লা: ১০০০ কিলোমিটার
• সর্বোচ্চ গতি: ১৮০ কিমি/ঘণ্টা
• এনডিউরেন্স: ৯ ঘণ্টা
• উইংস্প্যান: ৩.৫ মিটার
• ওজন: ১২০ কেজি
• বিস্ফোরক ধারণ ক্ষমতা: ২৫ কেজি
• পাল্লা: ১০০০ কিলোমিটার
• সর্বোচ্চ গতি: ১৮০ কিমি/ঘণ্টা
• এনডিউরেন্স: ৯ ঘণ্টা
এনএএল-এর পরিচালক ড. অভয় পাশিলকর বলেছেন, “ভারত এই সম্পূর্ণ স্বদেশী কামিকাজে ড্রোন তৈরি করছে, এগুলি ২১ শতকের যুদ্ধক্ষেত্রে গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে”। এই ড্রোনগুলি ৩০ অশ্বশক্তির ওয়াঙ্কেল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, যা এনএএল-এর নিজস্ব ডিজাইন ও উৎপাদন। এগুলি জিপিএস-বঞ্চিত পরিস্থিতিতেও কাজ করতে পারে এবং নেভিগেশন ও টার্গেট অনুসন্ধানের জন্য ভারতীয় নাভিক সিস্টেম ব্যবহার করে।
কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এই প্রকল্পের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সিএসআইআর-এনএএল নোডাল ল্যাবরেটরি হিসেবে কাজ করছে এবং দেশের প্রধান প্রকৌশল গবেষণাগারগুলি এতে অংশগ্রহণ করছে।কামিকাজে মিশনের ধারণাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে উদ্ভূত হয়েছিল, যখন জাপানি পাইলটরা তাদের যুদ্ধবিমান নিয়ে মিত্রশক্তির জাহাজ ও বিমানের উপর আত্মঘাতী আক্রমণ চালাত।
আধুনিক কামিকাজে ড্রোনগুলি কিন্তু মানবহীন এবং দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত। এই ড্রোনগুলি ঝাঁকে ঝাঁকে পাঠানো যায়, যা শত্রুর রাডার ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অভিভূত করে ফেলতে পারে। এগুলি নির্দিষ্ট এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরে বেড়াতে পারে এবং লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত হলে মানব নিয়ন্ত্রক অনুমোদনের পর আত্মঘাতী মিশনে পাঠাতে পারে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক একটি স্টার্টআপ দ্বারা নির্মিত ‘হোভারবি’ নামের ছোট কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে। তবে এনএএল-এর নতুন ড্রোনগুলির তুলনায় এর বিস্ফোরক বহন ক্ষমতা কম।
এই নতুন স্বদেশী কামিকাজে ড্রোন ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এগুলি আধুনিক যুদ্ধপদ্ধতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে কাজ করবে।ভারতের এই উদ্যোগ দেশের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আত্মনির্ভরতার প্রতিফলন। এটি প্রমাণ করে যে ভারত এখন জটিল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি স্বদেশীয়ভাবে উৎপাদন করতে সক্ষম। এর ফলে ভারত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।তবে এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার নৈতিক প্রশ্নও তুলে ধরে। স্বয়ংক্রিয় হানাদার অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক রয়েছে।
ABHED: ভারতীয় সৈন্যদের জন্য DRDO ও IIT-Delhi’র অভিনব লাইটওয়েট বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট
ABHED: ভারতীয় সৈন্যদের জন্য DRDO ও IIT-Delhi’র অভিনব লাইটওয়েট বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট
ভারতকে এই প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।সামগ্রিকভাবে, এই কামিকাজে ড্রোন ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এটি দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এর ব্যবহার ও প্রভাব নিয়ে সতর্কতার সাথে নজর রাখতে হবে।