ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় নির্মিত চেনাব রেল সেতু শুধু বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলওয়ে ব্রিজ হিসেবেই নয়, বরং একটি প্রকৌশল বিস্ময় হিসেবেও পরিচিত হয়ে উঠেছে। এই অসাধারণ নির্মাণকাজ শুধু ভারতের পরিবহন ব্যবস্থাকেই নয়, সমগ্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিকেও বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বহন করছে।চেনাব রেল সেতু প্রকল্পটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের এক অনন্য উদাহরণ। এই সেতুর মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকা ভারতের বাকি অংশের সাথে রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে, যা এই অঞ্চলের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
চেনাব রেল সেতুর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
এই বিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনেক প্রকৌশল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে:
চেনাব রেল সেতু শুধু একটি পরিবহন সংযোগই নয়, এটি সমগ্র অঞ্চলের জন্য একটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের বাহক:
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
প্রকল্পের নাম | চেনাব রেল সেতু |
অবস্থান | রিয়াসি জেলা, জম্মু ও কাশ্মীর, ভারত |
উচ্চতা | ৩৫৯ মিটার (১,১৭৮ ফুট) |
দৈর্ঘ্য | ১,৩১৫ মিটার (৪,৩১৪ ফুট) |
প্রধান স্প্যান | ৪৬৭ মিটার |
নির্মাণ শুরু | ২০০৩ |
সম্পন্ন | ২০২২ |
প্রকল্প ব্যয় | ১৪.৮৬ বিলিয়ন রুপি |
ডেক প্রস্থ | ১৪ মিটার |
প্রত্যাশিত জীবনকাল | ১২০ বছর |
চেনাব রেল সেতু উদ্বোধনের পর, ভারতীয় রেলওয়ে এই অঞ্চলে আরও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে:
চেনাব রেল সেতু শুধু একটি প্রকৌশল সাফল্যই নয়, এটি ভারতের অগ্রগতি ও উন্নয়নের একটি প্রতীক। এই সেতু জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের বাকি অংশের সাথে শুধু ভৌগোলিকভাবেই নয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবেও সংযুক্ত করবে। যখন ২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রথম রেলগাড়ি এই সেতু অতিক্রম করবে, তখন তা শুধু একটি যাত্রা নয়, বরং ভারতের প্রগতি ও সংহতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। চেনাব রেল সেতু প্রমাণ করে যে কঠিন প্রাকৃতিক বাধা ও প্রকৌশল চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মানুষের দৃঢ় সংকল্প ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অসাধ্য সাধন করতে পারে।
মন্তব্য করুন