মে ২০২৫ এর প্রথম সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘটে যাওয়া সামরিক সংঘর্ষ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় লিখেছে। ৬ মে রাতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ অভিযান পর্যন্ত, এই ৫০ ঘণ্টা জুড়ে চলা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের ঘটনাগুলি দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। একদিকে ভারতের সন্ত্রাসবাদী কেন্দ্রগুলিকে টার্গেট করা, অন্যদিকে পাকিস্তানের সামরিক লক্ষ্যবস্তু নিশানা করা – এই ৫০ ঘণ্টায় ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করব।
অপারেশন সিঁদুর: ভারতের সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান
পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ জন ভারতীয় এবং ১ জন নেপালি নাগরিকের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৬-৭ মে ২০২৫ রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সুনির্দিষ্ট আক্রমণ চালায়। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) অবস্থিত নয়টি সন্ত্রাসবাদী কেন্দ্র।
অপারেশন সিঁদুরের প্রধান লক্ষ্যবস্তুসমূহ:
- বাহাওয়ালপুরের মারকাজ সুবহান আল্লাহ – জইশ-ই-মোহাম্মদের (JeM) সদর দফতর
- মুরিদকের মারকাজ তাইবা – লস্কর-ই-তৈয়বার (LeT) প্রধান ঘাঁটি
- মুজাফফরাবাদ, কোটলি, সিয়ালকোট, বারনালা ও তেহরা কালানে হিজবুল মুজাহিদিন (HM) সংক্রান্ত স্থান
সরকারি সূত্র অনুসারে, ভারতীয় বাহিনী দুই-মুখী আক্রমণ চালিয়েছিল। ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) এয়ার-টু-সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যখন একই সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী সারফেস-টু-সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এই সুনির্দিষ্ট আক্রমণের ফলে প্রায় ৮০ জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরের মূল বৈশিষ্ট্য:
- ভারতের পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ সীমান্ত অতিক্রম করে সামরিক অভিযান
- ২০১৬ সার্জিকাল স্ট্রাইক এবং ২০১৯ বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের তুলনায় বেশি ব্যাপক
- নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার গভীরে সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো লক্ষ্য করা
- সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর ত্রি-পক্ষীয় কৌশল ব্যবহার
- লুটারিং মুনিশান ও সুনির্দিষ্ট-গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ
“ভারত দুটি গুরুত্বপূর্ণ সীমারেখা অতিক্রম করেছে – একাধিক স্থানে আঘাত করা এবং পাকিস্তানের হৃদয়ে আঘাত করা। এটি ২০১৯ এর অনেক বেশি,” নিরাপত্তা বিশ্লেষক আদিল মির বলেছেন।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া: অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস
অপারেশন সিঁদুরের প্রতিক্রিয়ায়, পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই আক্রমণকে “যুদ্ধের স্পষ্ট কাজ” হিসাবে অভিহিত করেন এবং “তার পছন্দের সময় ও স্থানে” প্রতিক্রিয়া দেওয়ার হুমকি দেন। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ৮ মে রাতে ভারতের বিরুদ্ধে ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ অভিযান চালায়।
পাকিস্তানের আক্রমণের মূল বৈশিষ্ট্য:
- ৮ মে রাত ৮:০০ থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত প্রায় ২১০ মিনিট ধরে আক্রমণ চালানো হয়
- জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাট জুড়ে ২৪টি শহরে প্রায় ৫০০টি ছোট ড্রোন পাঠানো হয়
- আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর লেহ থেকে সার ক্রিক পর্যন্ত ৩৬টি স্থানে প্রায় ৩০০-৪০০টি ড্রোন দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা
- প্রাথমিক বিশ্লেষণ অনুসারে, পাকিস্তান তুরস্কে তৈরি “আসিসগার্ড সোঙ্গার” ড্রোন ব্যবহার করেছিল
- ভারতীয় বাথিন্দা সামরিক স্টেশন, জম্মু ও পাঠানকোটসহ বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করা হয়
- নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সুন্দর, উরি, পুঞ্চ, মেনধার, রাজৌরি, আখনুর ও উধমপুরে ভারী ক্যালিবারের কামান এবং সশস্ত্র ড্রোন দিয়েও গোলাবর্ষণ করা হয়
এই আক্রমণের পিছনে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা এবং বেসামরিক জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো। পাকিস্তানের হামলায় জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন সেক্টরে ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক, যার মধ্যে ৩ জন মহিলা এবং ৫ জন শিশু নিহত হয়।
ভারতের পাল্টা পদক্ষেপ: দ্রুত ও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার পর, ভারত দ্রুত পাল্টা আক্রমণের পদক্ষেপ নেয়। সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে ভারত পাকিস্তানের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং লাহোর, ইসলামাবাদ ও করাচি লক্ষ্য করেছে।
ভারতের পাল্টা আক্রমণের প্রধান দিকগুলি:
- পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফ্ট (AWACS) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ভিতরে ধ্বংস করা হয়
- তিনটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান নামিয়ে আনা হয় – একটি রাজস্থানের জৈসালমেরের লাথি পোখরানের কাছে
- পাকিস্তানের চারটি বায়ু প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে সশস্ত্র ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়, যার মধ্যে একটি ড্রোন একটি বায়ু প্রতিরক্ষা রাডার ধ্বংস করতে সক্ষম হয়
- ক্রমাগত বিমান হুমকি থেকে রক্ষা পেতে, ভারত তার সম্পূর্ণ অ্যান্টি-ড্রোন ও নিম্ন-উচ্চতার বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে
ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনী বিভিন্ন অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করে সফলভাবে পাকিস্তানের ড্রোন স্ট্রাইক প্রতিহত করে। এর মধ্যে ছিল L70, ZU-23, Schilka এবং Akash। জম্মুতে S-400 বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নামিয়ে আনে।
দুই অভিযানের তুলনা: সিঁদুর বনাম বুনিয়ান উন মারসুস
অপারেশন সিঁদুর:
- সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য: সন্ত্রাসবাদী ক্যাম্পগুলিকেই শুধুমাত্র টার্গেট করা হয়
- কৌশল: সুনির্দিষ্ট ও নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ
- ফলাফল: নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয় এবং প্রায় ৮০ জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়
- আন্তর্জাতিক সমর্থন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও রাশিয়ার খোলা সমর্থন পায়, চীনের প্রতিক্রিয়াকে নিরপেক্ষ বলে বর্ণনা করা হয়, উপসাগরীয় দেশগুলি ভারতের সাথে সারিবদ্ধ হয়
- পরিণাম: পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়, শুধুমাত্র তুরস্ক খোলাখুলি ইসলামাবাদকে সমর্থন করে
অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস:
- লক্ষ্য: ভারতীয় সামরিক স্থাপনাসহ বেসামরিক এলাকা
- কৌশল: ব্যাপক ড্রোন স্ওয়ার্ম (৩০০-৫০০) এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ফলাফল: ভারতীয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সমস্ত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নামিয়ে আনে, অর্থাৎ সামরিক লক্ষ্যবস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি
- আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: ব্যাপক নিন্দা
- পরিণাম: পাকিস্তানের বায়ু প্রতিরক্ষা রাডার, AWACS এবং যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়
পরবর্তী পদক্ষেপ ও দুই দেশের অবস্থান
ভারতের অবস্থান:
ভারত স্পষ্ট করেছে যে সে সংঘর্ষ বাড়াতে চায় না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বলেছেন, পাকিস্তান যদি প্রতিশোধ নেয় তবে ভারত শক্তিশালীভাবে জবাব দিতে প্রস্তুত আছে। কর্নেল সোফিয়া কুরেশী জোর দিয়ে বলেন যে ভারতের পদক্ষেপ ছিল অ-বিবর্ধনকারী, বিশেষ করে পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে লক্ষ্য করা এড়িয়ে চলা হয়েছিল। তিনি স্পষ্ট করেন যে ভারতীয় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ভবিষ্যতে কোনো আক্রমণ হলে সমানুপাতিক জবাব দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের অবস্থান:
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের আক্রমণকে “যুদ্ধের স্পষ্ট কাজ” হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বেসামরিক হতাহতের দাবি করেছেন। পাকিস্তান দাবি করেছে যে ভারত আগে বিস্তৃত বেসামরিক এলাকায় আক্রমণ করেছে, যদিও ভারত এই দাবিকে খারিজ করেছে, বলেছে যে তারা শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী ক্যাম্পগুলিকে লক্ষ্য করেছে।
৫০ ঘণ্টায় ঘটিত ঘটনাক্রমের সময়রেখা
৬ মে, ২০২৫
- পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ লঞ্চ করে
৭ মে, ২০২৫
- ভারত অফিসিয়ালভাবে অপারেশন সিঁদুরের বিষয়ে নিশ্চিত করে
- পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এটিকে “যুদ্ধের স্পষ্ট কাজ” হিসেবে অভিহিত করেন
- পাকিস্তান প্রতিশোধের হুমকি দেয়
৮ মে, ২০২৫
- রাত ৮:০০ – ১১:৩০: পাকিস্তান ভারতের বিভিন্ন শহরে একযোগে ড্রোন আক্রমণ চালায়
- ভারতীয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে পাকিস্তানের ড্রোন স্ট্রাইক প্রতিহত করে
- নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান ভারী ক্যালিবারের অস্ত্র দিয়ে গোলাবর্ষণ করে
- ভারত পাকিস্তানের চারটি বায়ু প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে সশস্ত্র ড্রোন নিক্ষেপ করে
৯ মে, ২০২৫
- ভারত সরকার প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের আক্রমণের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে
- ভারত জানায় যে পাকিস্তান সম্ভবত তুরস্কে তৈরি “আসিসগার্ড সোঙ্গার” ড্রোন ব্যবহার করেছিল
সামরিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রভাব
এই ঘটনা পরম্পরা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। ভারতের সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবাদকে “নিপীড়ন সহ্য করা” থেকে “প্রতিরোধমূলক আঘাত” এ পরিবর্তন করে দিয়েছে। এটি ভারতের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, যেখানে এখন সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য সরাসরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানের দ্বৈত খেলা – একদিকে নিজেকে সন্ত্রাসবাদের শিকার হিসাবে উপস্থাপন করা, অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা – এই ঘটনায় আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ভারতের অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানের ভূমিতে থাকা সন্ত্রাসবাদী কেন্দ্রগুলির অস্তিত্বের প্রমাণ উন্মোচন করেছে।
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার হেমন্ত মহাজন অভিযানটির প্রশংসা করে বলেন: “একটি বিশ্বমানের সুনির্দিষ্ট আঘাত। আমরা তাদের আঘাত করলাম যখন তারা সবচেয়ে কম আশা করেছিল – এবং শক্তভাবে আঘাত করলাম।”
অপারেশন সিঁদুর এবং অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুসের মধ্যে ৫০ ঘণ্টার সংঘর্ষ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় লিখেছে। এটি দেখিয়েছে যে ভারত সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, যখন পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া – যেখানে ভারত কূটনৈতিক সমর্থন পেয়েছে এবং পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে – দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করে।
ভবিষ্যতে, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের এই নতুন পর্যায় সম্ভবত আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। ভারত এখন সীমান্তের অপর পারে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে নিশ্চিহ্ন করতে আরও আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে পারে, যেখানে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। এই ঘটনা পরম্পরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এবং অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে উৎসাহিত করতে পারে।