গওয়ালিয়রের নতুন মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারত ৭ উইকেটে জয়লাভ করেছে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয়। জবাবে ভারত মাত্র ১১.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।
ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ ধসে পড়ে। ১০ ওভারে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের ৩৫ রানের ইনিংসের সৌজন্যে দলের স্কোর ১২৭-তে পৌঁছায়। ভারতের বোলিংয়ে মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও আর্শদীপ সিং ৩টি করে উইকেট নেন। অভিষেকে পেসার মায়াঙ্ক যাদব ১টি উইকেট তুলে নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনাররা দ্রুত রান তোলেন। সঞ্জু স্যামসন ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। হার্দিক পান্ডিয়া ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অভিষেকে নীতিশ রেড্ডি ১৪ রান করেন।
দ্রাবিড়ের বিদায়ে কাঁপল ভারত, গম্ভীরের আগমনে নতুন যুগের সূচনা!
এই জয়ের মাধ্যমে ভারত ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল। পরের ম্যাচটি ৯ অক্টোবর কানপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
ম্যাচের পর ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, “আমরা খুবই ভালো শুরু করেছি। বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। ফিল্ডিংও ছিল চমৎকার। ব্যাটসম্যানরাও দায়িত্ব নিয়েছে।”
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তো স্বীকার করেন যে তাদের ব্যাটিং ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ভালো স্কোর করতে পারিনি। ১৬০-১৭০ রান করলে ম্যাচটা প্রতিযোগিতামূলক হতো।”
এই ম্যাচে ভারতীয় দলে কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছেন। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির অবসরের পর ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দলে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
ম্যাচের আগে পিচ রিপোর্টে জানানো হয়েছিল যে উইকেটটি ব্যাটিং অনুকূল হবে। ৬৪ ও ৬৫ মিটার স্কোয়ার বাউন্ডারি এবং ৭৪ মিটার স্ট্রেইট বাউন্ডারি নিয়ে মাঠটি রান তোলার জন্য উপযুক্ত ছিল।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এর আগে ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে। তার মধ্যে ১২টিতে ভারত জয়ী হয়েছে, মাত্র ১টিতে বাংলাদেশ।
এই সিরিজের আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারত ২-০ তে জয়ী হয়েছিল। প্রথম টেস্টে ভারত ২৮০ রানে জয়ী হয়। সেই ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিন সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি ৬টি উইকেটও নেন।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর দুই দলের মধ্যে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও হবে। সামগ্রিকভাবে এই সফরে বাংলাদেশ ভারতে ২টি টেস্ট, ৩টি টি-টোয়েন্টি ও ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) জুন মাসে এই সফরের সূচি ঘোষণা করেছিল। প্রথমে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ধর্মশালায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা গওয়ালিয়রে স্থানান্তর করা হয়।
এই সিরিজে ভারতীয় দলে কয়েকজন নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে। পেসার মায়াঙ্ক যাদব ও অলরাউন্ডার নীতিশ রেড্ডি অভিষেক করেছেন[6]। তিন বছর পর দলে ফিরেছেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।
বাংলাদেশের দলেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। নাজমুল হোসেন শান্তো নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা দলে নেই।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা তাদের হারের প্রধান কারণ। অধিনায়ক শান্তো ২৭ রান করেছেন। কিন্তু অন্য কোনো ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৫ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার হন।
অন্যদিকে ভারতীয় বোলাররা দারুণ বোলিং করেছেন। বরুণ চক্রবর্তী ও আর্শদীপ সিং ৩টি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন। হার্দিক পান্ডিয়া ও ওয়াশিংটন সুন্দরও ১টি করে উইকেট নেন।
ব্যাটিংয়ে ভারতীয় ওপেনাররা দ্রুত শুরু করেন। সঞ্জু স্যামসন ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। হার্দিক পান্ডিয়া ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
ICC T20 World Cup Final: ১৭ বছরের খরা কাটিয়ে দুই রাজাই ছাড়লেন রাজত্ব
এই জয়ের মাধ্যমে ভারত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখল। ১৩টি ম্যাচের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হওয়া ভারতের জন্য একটি বিরাট কৃতিত্ব।
পরের দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় তা দেখার বিষয়। তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ আরও ভালো প্রদর্শন করতে হবে। অন্যদিকে ভারত চাইবে এই ধারা বজায় রেখে সিরিজ জিততে।
সামগ্রিকভাবে এই সফর দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই ম্যাচগুলো খেলা হচ্ছে। তাই দুই দলই নতুন খেলোয়াড়দের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
ভারতের জন্য এটি হোম সিজনের শুরু। এরপর আরও কয়েকটি সিরিজ খেলবে তারা। তাই এই জয় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্য এটি একটি কঠিন সফর। ভারতের মাটিতে জয়ী হওয়া তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
পরের ম্যাচগুলোতে আরও রোমাঞ্চকর ক্রিকেট দেখার আশা করছেন ক্রিকেট ভক্তরা। দুই দলই নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলবে বলে আশা করা যায়।