অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দলের পারফরম্যান্স আশানুরূপ হয়নি। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে এই পতন অনিবার্য ছিল। তবে আমরা আশাবাদী যে নতুন কোচ মানোলো মার্কেজের নেতৃত্বে দল আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ঘটবে।”ভারতীয় দলের নতুন কোচ মানোলো মার্কেজ বলেছেন, “র্যাঙ্কিংয়ে এই পতন নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। কিন্তু আমরা এখন শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের লক্ষ্য হল ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করা। সেই লক্ষ্যে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।”বর্তমানে এশিয়ান ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ে ভারত ২২তম স্থানে রয়েছে। লেবানন, প্যালেস্টাইন, ভিয়েতনামের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর পিছনে রয়েছে ভারত। এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ভারতকে এই দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে হবে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের সর্বোচ্চ অবস্থান ছিল ৯৪তম, যা অর্জন করেছিল ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই সময় আইএম বিজয়ন, জো পল আঞ্চেরি, ব্রুনো কৌতিনহোর মতো তারকারা ভারতীয় দলে ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ভারত ৯৭তম স্থানে উঠে আসে। কিন্তু তারপর থেকে ধীরে ধীরে র্যাঙ্কিংয়ে পতন ঘটতে থাকে।ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। তাঁদের মতে, গ্রাসরুট লেভেল থেকে শুরু করে জাতীয় দল পর্যন্ত সব স্তরে উন্নয়ন প্রয়োজন। এছাড়া ভারতীয় খেলোয়াড়দের বিদেশে খেলার সুযোগ বাড়ানো দরকার।
প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া বলেছেন, “আমাদের খেলোয়াড়দের মানসিকতা বদলাতে হবে। তাঁদের আরও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারি।”ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। তারপর যথাক্রমে ফ্রান্স, স্পেন, ইংল্যান্ড ও ব্রাজিল। এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছে জাপান (২০তম)। তারপর রয়েছে ইরান (২১তম) ও দক্ষিণ কোরিয়া (২৮তম)।ভারতীয় দলের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হল ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করা। এর জন্য আগামী বছর মার্চ মাস থেকে শুরু হবে কোয়ালিফায়িং ম্যাচ।
সেই লক্ষ্যে ভারতীয় দল এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে।কোচ মানোলো মার্কেজ বলেছেন, “আমাদের সামনে এখন ৬-৭টি ম্যাচ রয়েছে এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের আগে। এই ম্যাচগুলোতে ভালো করতে পারলে ডিসেম্বরের ড্রয়ে আমরা ভালো সিডিং পেতে পারি।”ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতীয় দলের উন্নতির জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। তাঁদের মতে, গ্রাসরুট লেভেল থেকে শুরু করে জাতীয় দল পর্যন্ত সব স্তরে উন্নয়ন প্রয়োজন। এছাড়া ভারতীয় খেলোয়াড়দের বিদেশে খেলার সুযোগ বাড়ানো দরকার।
IND vs SL Asia Cup 2024 Final: প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতল শ্রীলঙ্কা
ভারতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী বলেছেন, “আমাদের খেলোয়াড়দের মানসিকতা বদলাতে হবে। তাঁদের আরও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারি।”ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের এই পতন নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। কিন্তু এটাও সত্যি যে ভারতীয় ফুটবল ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) প্রবর্তনের পর দেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। নতুন প্রতিভাও উঠে আসছে। তাই আশা করা যায়, আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবল আবার উন্নতি করবে এবং ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও ভারতের অবস্থান উন্নত হবে।