ISRO Moon and Mars missions: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) ২০২৫ সালে একগুচ্ছ উচ্চাভিলাষী মহাকাশ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে, যা দেশকে বিশ্ব মহাকাশ মানচিত্রে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে। চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্যের পর ভারত এখন গগনযান, শুক্রযান, মঙ্গলযান-২ সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিশন হাতে নিয়েছে। এসব মিশন শুধু ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রগতিই নয়, বরং বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ২০২৫ সালে ISRO কমপক্ষে ৩০০টি অরবিটাল লঞ্চ পরিচালনার লক্ষ্য নিয়েছে, যা বিশ্বে মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে।
গগনযান: ভারতের মানবযুক্ত মহাকাশ অভিযান
গগনযান হচ্ছে ভারতের সর্বাধিক উচ্চাভিলাষী প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি, যা দেশকে মহাকাশে মানব পাঠানোর ক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করবে। ২০২৫ সালের মধ্যভাগে গগনযান-২ মিশন উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারিত রয়েছে। এই মিশনের অধীনে তিনজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে নিম্ন পৃথিবী কক্ষপথে (Low Earth Orbit) ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পাঠানো হবে এবং তিন দিন পর তাদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে।
AI থেকে ভীনগ্রহী: ২০২৪ সালে বিজ্ঞানের জগতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি
গগনযান মিশনের বিস্তারিত পরিকল্পনা:
- ভারত সরকার সম্প্রতি এই প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়েছে, যার মধ্যে এখন ৮টি মিশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে – ২টি মানবযুক্ত এবং ৬টি মানবহীন
- মিশনের জন্য মোট ২০,১৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে
- মানবযুক্ত মিশনের আগে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রথমে “ব্যোমমিত্র” নামক একটি মহিলা হিউম্যানয়েড রোবট পাঠাবে
- এই প্রকল্প সফল হলে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পর মহাকাশে মানব পাঠানোর ক্ষমতাসম্পন্ন চতুর্থ দেশে পরিণত হবে
গগনযান মিশন শুধু ভারতের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রদর্শন করবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদী ভারতীয় মহাকাশ অন্বেষণ কর্মসূচির ভিত্তি স্থাপন করবে। এর মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে যা শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্ব বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে উপকৃত করবে।
শুক্রযান-১: শুক্র গ্রহে ভারতের প্রথম অভিযান
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ২০২৫ সালে শুক্র গ্রহে প্রথম অভিযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। “শুক্রযান-১” নামে পরিচিত এই মিশন শুক্র গ্রহের কক্ষপথে একটি ২৫০০ কেজি ওজনের মহাকাশযান পাঠাবে, যা সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রহের পৃষ্ঠতল এবং এর সালফিউরিক অ্যাসিড মেঘের নিচে কী লুকিয়ে আছে তা অধ্যয়ন করবে।
শুক্রযান-১ মিশনের উদ্দেশ্য:
- শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠতল ও বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করা: ঘন বায়ুমণ্ডলের কারণে শুক্রের পৃষ্ঠতল দেখা যায় না, শুক্রযান-১ এই স্তর ভেদ করে নীচের রহস্য উন্মোচন করবে
- ভূতাত্ত্বিক গঠন বিশ্লেষণ করা: শুক্রের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস বোঝার জন্য এর পৃষ্ঠতলের গঠন অধ্যয়ন করা
- সৌর বিকিরণ এবং পৃষ্ঠতলের কণার মধ্যে সম্পর্ক পরীক্ষা করা: এই অধ্যয়ন গ্রহের বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবে
শুক্রযান-১ মিশনটি GSLV Mk II রকেট দ্বারা পরিচালিত হবে এবং এতে উচ্চ-রেজোলিউশন সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার ও গ্রাউন্ড-পেনিট্রেটিং রাডার সহ বৈজ্ঞানিক পেলোড থাকবে3। “পৃথিবীর যমজ” হিসেবে পরিচিত শুক্র গ্রহের বিস্তৃত অধ্যয়নের মাধ্যমে এই মিশন গ্রহের বিবর্তন সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করবে।
মঙ্গলযান-২: লাল গ্রহে ভারতের নতুন অভিযান
ভারত সরকার সম্প্রতি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার মঙ্গল ল্যান্ডার মিশন (মঙ্গলযান-২) অনুমোদন করেছে, যা ২০১৪ সালের সফল মঙ্গলযান-১ মিশনের পর ভারতের পরবর্তী বড় পদক্ষেপ হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ২২ মার্চ, ২০২৫ তারিখে এই অনুমোদন ঘোষণা করেছে, যা মহাকাশ কমিশনের ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে প্রকল্প সমর্থনের পরে আসে।
মঙ্গলযান-২ মিশনের বিশেষত্ব:
- ইন-সিটু এক্সপ্লোরেশন: একটি ল্যান্ডার এবং রোভার মঙ্গল গ্রহের মাটি বিশ্লেষণ, ভূতত্ত্ব অধ্যয়ন এবং জলবায়ু পরীক্ষা করবে
- চারটি মূল পেলোড:
- Mars Orbit Dust Experiment (MODEX): মঙ্গলে উচ্চ উচ্চতায় ধূলিকণার উৎপত্তি, প্রাচুর্য, বিতরণ এবং প্রবাহ অধ্যয়ন করবে
- Radio Occultation (RO) Experiment: মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে নিরপেক্ষ এবং ইলেকট্রন ঘনত্ব প্রোফাইল পরিমাপ করবে
- Energetic Ion Spectrometer (EIS): মঙ্গলের পরিবেশে শক্তিশালী কণাগুলি বিশ্লেষণ করবে
- Langmuir Probe & Electric Field Experiment (LPEX): বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র এবং প্লাজমা বৈশিষ্ট্য অনুসন্ধান করবে
ISRO এছাড়াও স্কাই ক্রেন এবং হেলিকপ্টারের মতো উদ্ভাবনী প্রযুক্তির পরিকল্পনা করেছে, যা নাসার কিউরিওসিটি এবং পারসিভারেন্স রোভারের অনুরূপ। সফল হলে, মঙ্গলযান-২ ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণকারী দেশগুলির এলিট গ্রুপে স্থান দেবে।
NVS-02: ভারতের নেভিগেশন সিস্টেম শক্তিশালীকরণ
ISRO ২০২৫ সালের প্রথম দিকে NVS-02 ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে, যা GSLV F15 রকেটের মাধ্যমে পাঠানো হবে। এটি ভারতের NavIC (Navigation with Indian Constellation) সিস্টেমের অংশ হিসেবে দেশীয় অ্যাটমিক ক্লকসহ একটি নেভিগেশন স্যাটেলাইট হবে।
NVS-02 সম্পর্কে প্রধান তথ্য:
- এটি NavIC সিস্টেমের নবম স্যাটেলাইট হবে, যা GPS-এর অনুরূপ
- এটি ISRO-র ১০০তম মিশন হিসেবে চিহ্নিত হবে
- এই স্যাটেলাইট ভারত এবং এর আশপাশের অঞ্চলে সঠিক অবস্থান সেবা প্রদান করবে, যা দেশের নেভিগেশন অবকাঠামো শক্তিশালী করবে
NavIC সিস্টেম ভারতীয় অবস্থান নির্ধারণ ব্যবস্থা যা ভারত এবং এর আশপাশের অঞ্চলে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য নেভিগেশন পরিষেবা প্রদান করতে ডিজাইন করা হয়েছে। NVS-02 এর যোগ দেওয়া এই সিস্টেমে একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি আনবে।
NISAR: NASA-ISRO যৌথ প্রকল্প
NISAR (NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar) হল নাসা এবং ISRO-র মধ্যে একটি যৌথ প্রকল্প, যা ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ GSLV-F16 মিশনের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে9। এই উন্নত পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট কৃষি, জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিরীক্ষণে সাহায্য করবে।
NISAR প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য:
- এটি প্রথম ডুয়াল-ব্যান্ড রাডার ইমেজিং স্যাটেলাইট হবে
- রিমোট সেন্সিংয়ের জন্য ডুয়াল-ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার স্যাটেলাইট
- কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে
NISAR মিশন পৃথিবীর পৃষ্ঠতলে হওয়া পরিবর্তনগুলি মাপবে, যা জমির ব্যবহার, বন সংরক্ষণ, ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এটি ভারত-মার্কিন মহাকাশ সহযোগিতার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
LVM3-M5 মিশন: বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট বিকাশ
মার্চ ২০২৫-এ ISRO LVM3-M5 মিশন পরিচালনা করবে, যা একটি বাণিজ্যিক মিশন হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি চুক্তির অধীনে BlueBird Block-2 স্যাটেলাইট মোতায়েন করবে। এটি ISRO-র বৈশ্বিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ক্রমবর্ধমান ভূমিকা প্রতিফলিত করে।
LVM3-M5 মিশনের গুরুত্ব:
- এটি ISRO-র বাণিজ্যিক ক্ষমতা প্রদর্শন করবে
- বৈশ্বিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বাজারে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী করবে
- আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য মহাকাশে স্যাটেলাইট স্থাপনের ভারতের ক্ষমতা প্রমাণ করবে
এই মিশন ভারতের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক মহাকাশ খাতের প্রমাণ, যেখানে ISRO বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করছে।
SSLV বিস্তার: ছোট স্যাটেলাইটের জন্য কম খরচে উৎক্ষেপণ
ISRO-র Small Satellite Launch Vehicle (SSLV) বিস্তারের অংশ হিসেবে, Parikshit মিশন SSLV S1 ব্যবহার করে সামরিক প্রয়োগের জন্য সেবা দেবে। SSLV ছোট পেলোডের জন্য কম খরচে মহাকাশে প্রবেশের সুযোগ প্রদান করে, যা কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক উভয় চাহিদা পূরণ করে।
SSLV প্রকল্পের সুবিধা:
- ছোট স্যাটেলাইটের জন্য কম খরচে উৎক্ষেপণ
- সামরিক ও বাণিজ্যিক উভয় প্রয়োজনের জন্য উপযোগী
- দ্রুত উৎক্ষেপণ ক্ষমতা
- ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতের মধ্যে সহযোগিতার প্রতীক
SSLV ভারতের মহাকাশ সেক্টরে স্বনির্ভরতার প্রতিনিধিত্ব করে এবং ছোট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে মূল্য-কার্যকারিতা প্রদান করে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মিশন
ISRO-র ২০২৫ সালের পরিকল্পনা GISAT-02 এবং অন্যান্য GSLV মিশনগুলি অন্তর্ভুক্ত করে, যা রিমোট সেন্সিং এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা প্রদর্শন করে। ISRO চেয়ারম্যান S সোমনাথ জানিয়েছেন যে ২০২৫ সাল বিশেষভাবে সক্রিয় বছর হবে, যেখানে চারটি GSLV রকেট, তিনটি PSLV লঞ্চ এবং একটি SSLV লঞ্চের পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২৪ সালে, ISRO-র সাফল্যগুলির মধ্যে রয়েছে আদিত্য L1 সৌর মিশন এবং INSAT-3DS মিশনসহ ১৫টি সফল মিশন। আগামী বছর ISRO আরও অনেক সাফল্য অর্জন করবে এবং মহাকাশ অন্বেষণ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেওয়ার দিকে এগিয়ে যাবে।
গগনযান মিশন ২০২৪: ভারতের মহাকাশ অভিযানের অজানা রহস্য ফাঁস!
২০২৫-এ মহাকাশে ভারতের অগ্রগতির তাৎপর্য
ISRO-র ২০২৫ সালের জন্য পরিকল্পিত মিশনগুলি শুধু বৈজ্ঞানিক অন্বেষণই নয়, বরং কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এই মিশনগুলি ভারতকে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী মহাকাশ শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি:
- মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগুলি ওষুধ, পদার্থবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কারের দিকে নিয়ে যেতে পারে
- উচ্চ-প্রযুক্তি সিস্টেম বিকাশ ভারতের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াবে
বিশ্ব মহাকাশ গবেষণায় ভারতের নেতৃত্ব:
- চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের পরে, গগনযান মিশন মহাকাশে ভারতের শক্তি আরও বাড়াবে
- মানবযুক্ত মহাকাশ অভিযান ভারতকে এলিট মহাকাশ ক্লাবে প্রবেশ করাবে
অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
- মহাকাশ-সংক্রান্ত শিল্প বিকাশ, প্রযুক্তি স্পিন-অফ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গগনযান মিশন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উদ্দীপিত করতে পারে
- বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযান ভারতের মহাকাশ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে
কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নতি:
- এসব মিশন অন্যান্য মহাকাশযান্ত্রিক দেশগুলির সাথে কূটনৈতিক সহযোগিতার জন্য দরজা খুলবে, যৌথ মিশন, জ্ঞান বিনিময় এবং মহাকাশ অন্বেষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে
যুব জনগোষ্ঠীকে অনুপ্রাণিত করা:
- গগনযান প্রকল্পের প্রত্যাশিত মাইলফলকগুলি ছাত্রদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কর্মজীবনের দিকে অনুপ্রাণিত করবে, যা উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করবে, বিশেষ করে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে
২০২৫ সালে ISRO-র মহাকাশ অভিযানগুলি ভারতকে বিশ্বের মহাকাশ মানচিত্রে একটি অগ্রণী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। গগনযান, শুক্রযান-১, মঙ্গলযান-২, NISAR-সহ বিভিন্ন মিশন ভারতের মহাকাশ প্রযুক্তি ও সক্ষমতার প্রদর্শন করবে। এসব অভিযান শুধু ভারতের মহাকাশ প্রোগ্রামকেই শক্তিশালী করবে না, বরং মানবজাতির জ্ঞানের সীমানাকেও প্রসারিত করবে।
ISRO-র ২০২৫ সালের পরিকল্পনা প্রমাণ করে যে ভারত কেবল মহাকাশে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে না, বরং বিশ্ব মহাকাশ অন্বেষণে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃস্থানীয় ভূমিকাও পালন করতে প্রস্তুত। সফল প্রযুক্তি, নতুন মিশন এবং বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের সাথে, ভারত মহাকাশে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে চলেছে, যেখানে আকাশ শুধু সীমাই নয়, বরং এটি শুরুর বিন্দু মাত্র।