গর্ভাবস্থায় হাঁসের টেরিন খাওয়া কি নিরাপদ? ঝুঁকি এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

Is Eating Duck Terrine Safe During Pregnancy: গর্ভাবস্থা প্রত্যেক নারীর জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল পর্যায়। এই সময়ে হবু মায়ের খাদ্যাভ্যাসের ওপর তাঁর নিজের এবং অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য অনেকাংশে…

Debolina Roy

 

Is Eating Duck Terrine Safe During Pregnancy: গর্ভাবস্থা প্রত্যেক নারীর জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল পর্যায়। এই সময়ে হবু মায়ের খাদ্যাভ্যাসের ওপর তাঁর নিজের এবং অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই কী খাওয়া উচিত এবং কী এড়িয়ে চলা উচিত, তা নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। বিশেষ করে হাঁসের টেরিনের (Duck Terrine) মতো মুখরোচক কিন্তু জটিল খাবার নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির মতে গর্ভাবস্থায় হাঁসের টেরিন বা যেকোনো ধরনের প্যাটে (Pâté) খাওয়া এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এর প্রধান কারণ হলো লিস্টেরিয়া (Listeria) এবং টক্সোপ্লাজমা (Toxoplasma) নামক মারাত্মক জীবাণুর সংক্রমণের ঝুঁকি এবং যকৃৎ (Liver) থেকে তৈরি টেরিনে অতিরিক্ত ভিটামিন এ-এর উপস্থিতি, যা গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

হাঁসের টেরিন আসলে কী এবং কেন এটি ঝুঁকিপূর্ণ?

হাঁসের টেরিন হলো এক ধরনের ফরাসি খাবার, যা মূলত হাঁসের মাংস, চর্বি এবং প্রায়শই হাঁসের যকৃৎ (Liver) দিয়ে তৈরি একটি মাংসের মিশ্রণ। এই মিশ্রণটিকে একটি সিরামিকের পাত্রে (যাকে টেরিন বলা হয়) রেখে ধীরে ধীরে বেক করা হয় এবং সাধারণত ঠান্ডা পরিবেশন করা হয়। এটি প্যাটের একটি ভিন্ন রূপ। যদিও এটি একটি সুস্বাদু খাবার, তবে এর প্রস্তুতি এবং পরিবেশন পদ্ধতির কারণে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কয়েকটি গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হয়।

ঝুঁকি-১: লিস্টেরিওসিস (Listeriosis)

লিস্টেরিওসিস হলো লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনস (Listeria monocytogenes) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি গুরুতর সংক্রমণ। এই ব্যাকটেরিয়াটি মাটি, জল এবং কিছু পশুর মধ্যে পাওয়া যায়। রেফ্রিজারেটরে রাখা এবং রান্না না করা বা আংশিকভাবে রান্না করা খাবার, যেমন – ডেলি মিট, সফট চিজ এবং প্যাটে বা টেরিনের মাধ্যমে এটি সহজেই ছড়াতে পারে।

গর্ভবতী মহিলারা কেন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ?

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা দুর্বল থাকে, যার ফলে লিস্টেরিয়ার মতো জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১০ গুণ বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, লিস্টেরিওসিস গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি মারাত্মক ঝুঁকি, কারণ এটি  (placenta) অতিক্রম করে গর্ভস্থ শিশুকে সংক্রমিত করতে পারে।

লিস্টেরিওসিসের পরিণতি কী হতে পারে?

গর্ভবতী মা হয়তো শুধুমাত্র ফ্লু-এর মতো হালকা উপসর্গ (যেমন জ্বর, পেশিতে ব্যথা, ক্লান্তি) অনুভব করতে পারেন, কিন্তু গর্ভস্থ শিশুর জন্য এর পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। এর ফলে:

  • গর্ভপাত (Miscarriage)
  • মৃত সন্তান প্রসব (Stillbirth)
  • অকাল প্রসব (Premature birth)
  • নবজাতকের মধ্যে সেপসিস (Sepsis) বা মেনিনজাইটিস (Meningitis)-এর মতো প্রাণঘাতী সংক্রমণ।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) তাদের ওয়েবসাইটে স্পষ্টভাবে গর্ভবতী মহিলাদের সব ধরনের প্যাটে, এমনকি সবজি দিয়ে তৈরি প্যাটেও লিস্টেরিয়ার ঝুঁকির কারণে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়।

ঝুঁকি-২: টক্সোপ্লাজমোসিস (Toxoplasmosis)

টক্সোপ্লাজমোসিস টক্সোপ্লাজমা গন্ডি (Toxoplasma gondii) নামক একটি পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রমণ। এটি সাধারণত অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। হাঁস যেহেতু বাইরে চরে বেড়ায়, তাই তাদের মাংসে এই পরজীবী থাকার আশঙ্কা থাকে। টেরিন যেহেতু অনেক সময় কম তাপমাত্রায় রান্না করা হয় বা ঠান্ডা পরিবেশন করা হয়, তাই এই পরজীবী সক্রিয় থেকে যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় টক্সোপ্লাজমোসিসের প্রভাব

মায়ের শরীরে এর লক্ষণ খুবই সামান্য হতে পারে, কিন্তু যদি গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে এই সংক্রমণ হয়, তবে তা গর্ভস্থ শিশুর জন্য গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) অনুযায়ী, জন্মগত টক্সোপ্লাজমোসিসের কারণে শিশুর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:

  • দৃষ্টিশক্তি হারানো বা অন্ধত্ব।
  • মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং মানসিক প্রতিবন্ধকতা।
  • শ্রবণশক্তি হ্রাস।

ঝুঁকি-৩: ভিটামিন এ-এর আধিক্য (Vitamin A Toxicity)

অনেক সময় হাঁসের টেরিন তৈরিতে হাঁসের যকৃৎ বা লিভার ব্যবহার করা হয়। যকৃৎ হলো ভিটামিন এ-এর রেটিনল (Retinol) ফর্মের একটি অত্যন্ত ঘনীভূত উৎস। যদিও গর্ভাবস্থায় ভিটামিন এ শিশুর বিকাশের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে রেটিনল গ্রহণ করলে তা শিশুর জন্য বিষাক্ত হতে পারে, যা “হাইপারভিটামিনোসিস এ” (Hypervitaminosis A) নামে পরিচিত।

অতিরিক্ত ভিটামিন এ কেন ক্ষতিকর?

গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে (First Trimester) অতিরিক্ত রেটিনল গ্রহণ করলে গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস (ACOG) গর্ভবতী মহিলাদের যকৃৎ এবং যকৃৎ থেকে তৈরি পণ্য, যেমন প্যাটে বা টেরিন, সীমিত পরিমাণে খাওয়ার বা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়। অতিরিক্ত ভিটামিন এ-এর কারণে শিশুর মুখ, হৃৎপিণ্ড, এবং স্নায়ুতন্ত্রের গঠনে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা: একটি বিশদ নির্দেশিকা

শুধুমাত্র হাঁসের টেরিন নয়, গর্ভাবস্থায় আরও অনেক খাবার নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আপনার এবং আপনার শিশুর সুরক্ষার জন্য একটি সাধারণ খাদ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা নিচে টেবিলে তুলে ধরা হলো।

খাদ্যের বিভাগ যা এড়িয়ে চলতে হবে কেন এড়িয়ে চলতে হবে (প্রধান ঝুঁকি) নিরাপদ বিকল্প
মাংস ও পোল্ট্রি কাঁচা বা আধাসিদ্ধ মাংস, ডেলি মিট, সব ধরনের প্যাটে ও টেরিন, প্রক্রিয়াজাত মাংস (সালামি, পেপারনি)। লিস্টেরিয়া, টক্সোপ্লাজমোসিস, সালমোনেলা। সম্পূর্ণ রান্না করা মাংস যা ভেতর পর্যন্ত গরম হয়েছে (অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ১৬৫°F বা ৭৫°C)।
মাছ ও সামুদ্রিক খাবার উচ্চ পারদযুক্ত মাছ (যেমন – হাঙ্গর, সোর্ডফিশ, কিং ম্যাকেরেল), কাঁচা বা আধাসিদ্ধ মাছ (সুশি, সাশিমি)। পারদের বিষাক্ততা, লিস্টেরিয়া, পরজীবী। কম পারদযুক্ত এবং ভালোভাবে রান্না করা মাছ (যেমন – স্যামন, চিংড়ি, কড)। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য এটি উপকারী।
ডিম কাঁচা বা নরম সেদ্ধ ডিম, এবং কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি খাবার (যেমন – ঘরে তৈরি মেয়োনিজ, মুজ)। সালমোনেলা। সম্পূর্ণ সেদ্ধ বা ভাজা ডিম, যেখানে কুসুম এবং সাদা অংশ উভয়ই শক্ত হয়েছে।
দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য পাস্তুরিত নয় এমন দুধ, সফট চিজ (যেমন – ফেটা, ব্লু চিজ, ব্রি)। লিস্টেরিয়া, ই. কোলাই। পাস্তুরিত দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, হার্ড চিজ (যেমন – চেডার, সুইস), কটেজ চিজ, ক্রিম চিজ।
ফল ও সবজি না ধোয়া ফল ও সবজি, কাঁচা বা আল্প অঙ্কুরিত বীজ (যেমন – মুগ, আলফালফা)। টক্সোপ্লাজমোসিস (মাটির কণা থেকে), ই. কোলাই। পরিষ্কার জলে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া ফল ও সবজি। রান্না করা অঙ্কুরিত বীজ।
ক্যাফেইন অতিরিক্ত কফি, চা, কোলা, এবং এনার্জি ড্রিংকস। গর্ভপাত বা কম ওজনের শিশু জন্মের ঝুঁকি বৃদ্ধি। দিনে ২০০ মিলিগ্রামের কম ক্যাফেইন গ্রহণ করা। সাধারণত এক কাপ কফিতে এর চেয়ে কম থাকে। (তথ্যসূত্র: ACOG)

যদি ভুল করে টেরিন খেয়ে ফেলেন, তাহলে কী করবেন?

যদি আপনি না জেনে অল্প পরিমাণে হাঁসের টেরিন খেয়ে ফেলেন, তবে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। একবারে অল্প পরিমাণে খাওয়ার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। তবে, আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:

  1. উপসর্গের দিকে নজর রাখুন: আগামী কয়েক সপ্তাহ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা বা পেট খারাপের মতো কোনো লক্ষণ দেখা যায় কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  2. ডাক্তারের সাথে কথা বলুন: আপনার উদ্বেগ সম্পর্কে আপনার ডাক্তার বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে জানান। তিনি আপনাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন এবং প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষার সুপারিশ করতে পারেন।
  3. ভবিষ্যতে সতর্ক থাকুন: এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে ঝুঁকিপূর্ণ খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন।

বিশেষজ্ঞদের মতামত ও আন্তর্জাতিক সুপারিশ

বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি গর্ভাবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রায় একই ধরনের পরামর্শ দেয়।

  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO): তাদের “Five Keys to Safer Food” প্রচারের মাধ্যমে খাবার ভালোভাবে রান্না করা, কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং নিরাপদ উৎস থেকে খাবার কেনার ওপর জোর দেয়।
  • ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA), USA: গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে ডেলি মিট এবং প্যাটের মতো খাবারগুলিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
  • ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI): ভারতেও খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য খাবার ভালোভাবে রান্না করে খাওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

এই সমস্ত সুপারিশের মূল কথা হলো, যে খাবারগুলির নিরাপত্তা নিয়ে সামান্যতম সন্দেহ আছে, সেগুলি গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

সবকিছু বিবেচনা করে, এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে গর্ভাবস্থায় হাঁসের টেরিন খাওয়া একটি অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি। লিস্টেরিওসিস, টক্সোপ্লাজমোসিস এবং অতিরিক্ত ভিটামিন এ-এর সম্ভাব্য বিপদগুলি আপনার এবং আপনার অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে। গর্ভাবস্থা একটি বিশেষ সময়, যখন সাময়িকভাবে কিছু পছন্দের খাবার ত্যাগ করা আপনার সন্তানের একটি সুস্থ ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে।

বাজারে এবং বাড়িতে তৈরি করার মতো অনেক সুস্বাদু এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ বিকল্প রয়েছে যা আপনি এই সময়ে উপভোগ করতে পারেন। সবসময় আপনার ডাক্তার বা একজন রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ানের সাথে আপনার খাদ্যতালিকা নিয়ে আলোচনা করুন, কারণ তারাই আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সবচেয়ে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনার একটু সতর্কতা আপনার সন্তানের জন্য একটি সুস্থ জীবনের সূচনা করতে পারে।

About Author
Debolina Roy

দেবলীনা রায় একজন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক, যিনি স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে পাঠকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত। ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করা দেবলীনা তার লেখায় চিকিৎসা বিষয়ক জটিল তথ্যগুলি সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেন, যা সাধারণ পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য এবং উপকারী। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে তার গভীর জ্ঞান এবং প্রাঞ্জল লেখনী পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেবলীনা রায়ের লক্ষ্য হল সঠিক ও তথ্যনির্ভর স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করা এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।