Two periods in one month: আচ্ছা, ধরুন তো, ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে দেখলেন, এই মাসে অলরেডি একবার পিরিয়ড হয়ে গেছে, আর মাস শেষ হওয়ার আগেই আবার! একটু খটকা লাগলো, তাই না? ভাবছেন, “এ কী হল! এক মাসে দুইবার পিরিয়ড? এটা কি স্বাভাবিক?”
আজ আমরা এই নিয়েই কথা বলবো। পিরিয়ড নিয়ে অনেক প্রশ্ন, অনেক দ্বিধা আমাদের মনে। সব প্রশ্নের উত্তর তো আর সহজে মেলে না, তাই না? কিন্তু চিন্তা নেই, আজ আমরা চেষ্টা করব এই ব্যাপারে সবকিছু বুঝিয়ে বলতে, যাতে আপনার মনে আর কোনো ধোঁয়াশা না থাকে।
সাধারণভাবে, এক মাসে দুইবার পিরিয়ড হওয়াটা স্বাভাবিক নয়। তবে, এর পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে। এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় “পলিমেনোরিয়া” বলা হয়। পলিমেনোরিয়া হলে মাসিক চক্রের স্বাভাবিক সময় কমে যায়, যার ফলে মাসে দুইবার পিরিয়ড হতে দেখা যায়। তাহলে চলুন, দেখা যাক এর পেছনের কারণগুলো কী কী হতে পারে।
আসলে, আমাদের শরীরটা একটা জটিল সিস্টেম। এখানে অনেক কিছুই ঘটে, যার কারণে পিরিয়ড irregular হতে পারে। কয়েকটি প্রধান কারণ আলোচনা করা হলো:
আমাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরন নামের দুটো হরমোন আছে, যারা পিরিয়ড regular রাখতে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কারণে এই হরমোনগুলোর balance-এ গণ্ডগোল হলে পিরিয়ড irregular হয়ে যেতে পারে।
বিশ্বাস করুন বা না করুন, মানসিক চাপ আপনার পিরিয়ড সাইকেলে প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত stress নিলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয়, যা পিরিয়ড irregular করে দেয়।
সাধারণত, মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য ২৮ দিন। তবে, এটা ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হলেই স্বাভাবিক ধরা হয়। কারো cycle যদি ২১ দিনের কম হয়, তাহলে তার মাসে দুইবার পিরিয়ড হতে পারে।
কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, যেগুলোর কারণেও পিরিয়ড irregular হতে পারে।
ওজন খুব বেশি কমে গেলে বা বেড়ে গেলে পিরিয়ডে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন হরমোনের balance-এ প্রভাব ফেলে।
যদি আপনার নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত:
যদি এক মাসে দুইবার পিরিয়ড হয়, তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রথমে কারণগুলো জানার চেষ্টা করুন। কিছু সাধারণ জিনিস মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এনে আপনি আপনার হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারেন।
খাবার আমাদের শরীরের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে। তাই সঠিক খাবার খাওয়াটা খুব জরুরি।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো খুব জরুরি। इससे রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।
মনে রাখবেন, আপনার শরীর আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তাই এর যত্ন নেওয়া আপনার দায়িত্ব।
এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা আপনাদের মনে প্রায়ই আসে।
নিয়মিত পিরিয়ড না হলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে, একেবারে অসম্ভব নয়। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে fertility treatment করাতে পারেন।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না। হরমোনের ওষুধ শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ালে ওজন বাড়তে পারে। তবে, এর জন্য শুধু পিরিয়ড irregular হওয়া দায়ী নয়।
কিছু ঘরোয়া উপায় আছে, যা পিরিয়ড regular করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন আদা, দারুচিনি, হলুদ ইত্যাদি। তবে, এগুলো ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
এক মাসে দুইবার পিরিয়ড হওয়াটা স্বাভাবিক না হলেও, এর অনেক কারণ থাকতে পারে। তাই ভয় না পেয়ে কারণগুলো জানার চেষ্টা করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।যদি আপনার এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে। আর হ্যাঁ, এই তথ্যগুলো আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। হয়তো তাদেরও কাজে লাগতে পারে।
মন্তব্য করুন