Signs of low AC gas at home: আচ্ছা, আপনার এসি কি ঠিকঠাক ঠান্ডা করছে না? গরমকালে এসি খারাপ লাগলে মেজাজটাই বিগড়ে যায়, তাই না? কিন্তু চিন্তা নেই! অনেক সময় এসির গ্যাস কমে গেলে এমনটা হয়। আর এই গ্যাস কমে যাওয়ার সমস্যা কিন্তু আপনি নিজেই অনেকটা বুঝতে পারবেন। তাই মেকানিক ডাকার আগে, নিজেই কিছু জিনিস দেখে নিন। এতে মেকানিকরাও আপনাকে সহজে বোকা বানাতে পারবে না। চলুন, জেনে নেই এসির গ্যাস কমে গেলে কী কী করতে পারেন।
১. এসির গ্যাস কমে গেলে কী হয়, কেন হয়? (AC-র গ্যাস কমার পিছনের কারণ)
এসির গ্যাস কমে গেলে আপনার এসি ঠান্ডা হওয়া বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই না, এর কারণে আপনার এসির অনেক যন্ত্রাংশ খারাপও হয়ে যেতে পারে। তাই আগে জানতে হবে গ্যাস কেন কমে যায়, আর কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবেন গ্যাস কমে গেছে।
১.১ এসির গ্যাস কমে যাওয়ার লক্ষণগুলো কী কী?
এসি-র গ্যাস কমে গেলে কিছু লক্ষণ দেখা যায়, যেগুলো দেখে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার এসিতে গ্যাস ভরার সময় হয়েছে। নিচে কয়েকটি লক্ষণ আলোচনা করা হলো:
- ঠান্ডা হাওয়ার অভাব: আপনি এসি চালাচ্ছেন কিন্তু ঘর ঠান্ডা হচ্ছে না। শুধু গরম বাতাস বের হচ্ছে? তাহলে বুঝবেন আপনার এসিতে গ্যাসের সমস্যা আছে। এটা গ্যাস কমে যাওয়ার একটা বড় লক্ষণ। অনেক সময় মনে হয় যেন শুধু ফ্যান চলছে, কিন্তু ঠান্ডা হাওয়া নেই।
- কম্প্রেসারের আওয়াজ: আপনার এসির কম্প্রেসার (compressor) যদি আগেকার চেয়ে বেশি শব্দ করে, তাহলে বুঝবেন যে গ্যাস কমে যাওয়ার কারণে কম্প্রেসারের ওপর বেশি চাপ পড়ছে। এই অবস্থায় এসি চালালে কম্প্রেসার খারাপও হয়ে যেতে পারে।
- আউটলেট পাইপে বরফ: এসির বাইরের দিকে যে পাইপ থাকে, সেখানে বরফ জমতে দেখা গেলে বুঝবেন গ্যাসের চাপ কমে গেছে। এটা সাধারণত গ্যাসের অভাবে হয়ে থাকে।
- আউটডোর ইউনিটে তেল: এসির বাইরের ইউনিটে যদি তেলের দাগ দেখেন, তাহলে বুঝবেন গ্যাস লিকেজ হচ্ছে। গ্যাসের পাইপে ছিদ্র থাকলে এমনটা হতে পারে।এসির বিল দেখে চক্ষু চড়ক গাছ! এই ১০টি ট্রিক জানলে বিদ্যুৎ বিল হবে অর্ধেক
১.২ গ্যাস কমে যাওয়ার কারণগুলো কী?
এসির গ্যাস কমার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
- লিকেজ: গ্যাস লাইনে ছোট ছিদ্র (leakage) থাকলে ধীরে ধীরে গ্যাস লিক হতে থাকে। এই ছিদ্রগুলো সাধারণত চোখে দেখা যায় না, তবে নিয়মিত সার্ভিসিং না করালে এগুলো বড় হয়ে গ্যাস বের করে দেয়।
- পুরোনো এসি: পুরনো এসির গ্যাস সিল দুর্বল হয়ে গেলে গ্যাস লিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুরনো এসির যন্ত্রাংশগুলো ক্ষয় হতে শুরু করে, যার কারণে গ্যাস লিক হতে পারে।
- ভুল ভাল্ব: এসির ভাল্বে সমস্যা থাকলে গ্যাস লিক হতে পারে। ভাল্ব যদি ঠিকভাবে বন্ধ না হয়, তাহলে গ্যাস ধীরে ধীরে বের হয়ে যায়।
- ইনস্টলেশন এর সমস্যা: ভুলভাবে এসি লাগালে গ্যাস লিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসির পাইপগুলো ঠিকভাবে সংযোগ না দিলে বা কোনো ত্রুটি থাকলে গ্যাস লিক হতে পারে।
১.৩ গ্যাস কম থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
এসিতে গ্যাস কম থাকলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে কিছু প্রধান সমস্যা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- এসি ঠান্ডা করবে না, ফলে ইলেক্ট্রিসিটি বিল বাড়বে। কারণ গ্যাস কম থাকলে এসি বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, কিন্তু ঘর ঠান্ডা হয় না। এতে বিদ্যুতের খরচ অনেক বেড়ে যায়।
- কম্প্রেসারের ওপর বেশি চাপ পড়বে এবং সেটি খারাপ হয়ে যেতে পারে। গ্যাস কম থাকলে কম্প্রেসারকে বেশি কাজ করতে হয়, যার ফলে এটি দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে পারে।
- ঘরের ভেতরের বাতাসের মান খারাপ হতে পারে। গ্যাস কম থাকলে এসির ফিল্টার ঠিকভাবে কাজ করে না, ফলে ঘরের বাতাস দূষিত হতে পারে।
২. নিজেই পরীক্ষা করুন, মেকানিকের সাহায্য ছাড়াই (নিজেই AC গ্যাস পরীক্ষা করার উপায়)
মেকানিক ডাকার আগে আপনি নিজেই কিছু পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে আসলেই আপনার এসিতে গ্যাসের সমস্যা আছে কিনা। এতে আপনি বুঝতে পারবেন মেকানিক আপনাকে ঠকাচ্ছে কিনা।
২.১ সাধারণ কিছু পরীক্ষা
কিছু সাধারণ পরীক্ষা আছে যা আপনি সহজেই করতে পারেন:
- থার্মোমিটার টেস্ট: এসির সামনে একটা থার্মোমিটার ধরুন। যদি দেখেন তাপমাত্রা খুব একটা কমছে না, তাহলে বুঝবেন গ্যাস কম আছে। সাধারণ অবস্থায় এসির বাতাস অনেক ঠান্ডা হওয়ার কথা।
- হাওয়ার ফ্লো: এসির ভেতরের ফ্যানের স্পীড বাড়িয়ে দেখুন। যদি বাতাসের ফ্লো কম থাকে, তাহলে গ্যাস কম থাকতে পারে। ফ্যানের স্পীড বাড়ানোর পরেও যদি ঠান্ডা বাতাস না বের হয়, তাহলে গ্যাসের সমস্যা আছে।
- বরফ জমা পরীক্ষা: এসির কপার পাইপে বরফ জমছে কিনা দেখুন। যদি বরফ জমে থাকে, তাহলে বুঝবেন গ্যাস কম আছে। তবে অনেক সময় অন্য কারণেও বরফ জমতে পারে, তাই ভালোভাবে দেখে নিশ্চিত হন।
২.২ প্রেশার গেজ (Pressure Gauge) দিয়ে পরীক্ষা (যদি থাকে)
যদি আপনার কাছে প্রেশার গেজ থাকে, তাহলে আপনি নিজেই গ্যাসের প্রেশার মাপতে পারবেন।
- প্রেশার গেজ ব্যবহার করার নিয়ম: প্রেশার গেজ এসির সার্ভিস পোর্টে লাগিয়ে গ্যাসের চাপ মাপতে হয়। এটা একটু জটিল, তাই ব্যবহারের আগে ভালো করে জেনে নিন।
- কীভাবে সঠিক প্রেশার মাপতে হয়: সঠিক প্রেশার মাপার জন্য এসির মডেল এবং গ্যাসের টাইপ জানতে হবে। এরপর সেই অনুযায়ী প্রেশার গেজের রিডিং দেখতে হবে।
- বিভিন্ন এসির জন্য প্রেশারের চার্ট (টেবিল আকারে দেওয়া যেতে পারে):
বিভিন্ন এসির জন্য আদর্শ গ্যাস প্রেশার (R22, R32, R410A)
গ্যাসের প্রকার |
আদর্শ প্রেশার (PSI) |
R22 |
60-70 |
R32 |
110-120 |
R410A |
120-130 |
২.৩ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্য (যদি থাকে)
বর্তমানে কিছু স্মার্ট এসি চেকিং অ্যাপ পাওয়া যায়, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি এসির অবস্থা জানতে পারবেন।
- স্মার্ট এসি চেকিং app কিভাবে ব্যবহার করতে হয়: এই অ্যাপগুলো সাধারণত এসির সেন্সর থেকে ডেটা নিয়ে আপনাকে তথ্য দেয়। অ্যাপ ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে এর নিয়ম জেনে নিন।
- অ্যাপ দিয়ে গ্যাস লিকেজ বা গ্যাস এর প্রেশার মাপা যায় কিনা: কিছু অ্যাপ গ্যাস লিকেজ বা গ্যাসের প্রেশার মাপতে সাহায্য করতে পারে, তবে এগুলোর নির্ভুলতা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে। তাই শুধুমাত্র অ্যাপের ওপর নির্ভর না করে অন্য পরীক্ষাও করুন।
৩. গ্যাস কমে গেলে কী করবেন? (AC-র গ্যাস কমে গেলে করনীয়)
যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার এসিতে গ্যাস কম আছে, তাহলে কিছু জিনিস মনে রাখতে হবে। নিজে গ্যাস রিফিল করা উচিত কিনা, ভালো মেকানিক কিভাবে খুঁজে বের করবেন, এবং গ্যাস রিফিল করার খরচ কেমন হতে পারে – এই বিষয়গুলো জানা জরুরি।
৩.১ নিজে গ্যাস রিফিল করা কি উচিত?
- গ্যাস রিফিল করার ঝুঁকির দিকগুলো: নিজে গ্যাস রিফিল করতে গেলে অনেক ঝুঁকি থাকে। ভুল গ্যাস ব্যবহার করলে বা বেশি গ্যাস ভরে ফেললে এসির ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও, গ্যাস রিফিল করার সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে।
- বিশেষজ্ঞের পরামর্শ কেন জরুরি: গ্যাস রিফিল করার আগে একজন অভিজ্ঞ মেকানিকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা আপনার এসির মডেল অনুযায়ী সঠিক গ্যাস এবং পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারবে।
- গ্যাস রিফিল করার সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত: যদি আপনি নিজে গ্যাস রিফিল করতে চান, তাহলে অবশ্যই সুরক্ষা সরঞ্জাম (যেমন গ্লাভস, মাস্ক) ব্যবহার করুন এবং গ্যাসের সিলিন্ডার সাবধানে ধরুন।
৩.২ ভালো মেকানিক খুঁজবেন কিভাবে?
ভালো মেকানিক খুঁজে বের করাটা খুব জরুরি, কারণ ভুল মেকানিকের হাতে এসি দিলে আপনার আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে।
- অভিজ্ঞতা এবং লাইসেন্স আছে কিনা দেখে নিন: মেকানিকের কাজের অভিজ্ঞতা এবং লাইসেন্স আছে কিনা তা অবশ্যই যাচাই করুন। অভিজ্ঞ মেকানিকরা সাধারণত ভালো কাজ করে।
- রিভিউ এবং রেটিং চেক করুন: অনলাইনে মেকানিকদের রিভিউ এবং রেটিং দেখে নিন। ভালো রিভিউ থাকলে সেই মেকানিকের ওপর ভরসা করা যেতে পারে।
- ওয়ারেন্টি দেয় কিনা জেনে নিন: মেকানিক যদি কাজের ওপর ওয়ারেন্টি দেয়, তাহলে বুঝবেন তারা তাদের কাজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। ওয়ারেন্টি থাকলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে আপনি তাদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।
৩.৩ গ্যাস রিফিল করার খরচ কেমন হতে পারে?
গ্যাস রিফিল করার খরচ কয়েকটি জিনিসের ওপর নির্ভর করে, যেমন গ্যাসের দাম এবং মেকানিকের চার্জ।
- গ্যাসের দাম এবং মেকানিকের চার্জ সম্পর্কে ধারণা: গ্যাসের দাম সাধারণত গ্যাসের প্রকারের ওপর নির্ভর করে। R22, R32, এবং R410A – এই গ্যাসগুলোর দাম ভিন্ন হতে পারে। মেকানিকের চার্জ তাদের কাজের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে।
- খরচ কমানোর টিপস: আপনি যদি খরচ কমাতে চান, তাহলে একাধিক মেকানিকের কাছ থেকে কোটেশন নিতে পারেন এবং তাদের মধ্যে তুলনা করে সবচেয়ে ভালো অফারটি বেছে নিতে পারেন।
- বিভিন্ন গ্যাসের দামের তুলনা (টেবিল আকারে দেওয়া যেতে পারে):
বিভিন্ন গ্যাসের রিফিলিং খরচ
গ্যাসের প্রকার |
আনুমানিক খরচ (টাকা) |
R22 |
2500 – 3500 |
R32 |
3000 – 4000 |
R410A |
3500 – 4500 |
৪. এসি ভালো রাখার উপায় (AC ভালো রাখার টিপস)
এসি ভালো রাখতে নিয়মিত কিছু জিনিস খেয়াল রাখা দরকার। এতে আপনার এসি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে এবং কম খরচ হবে।
৪.১ নিয়মিত সার্ভিসিং কেন জরুরি?
- বছরে কতবার সার্ভিসিং করানো উচিত: বছরে অন্তত দুইবার এসির সার্ভিসিং করানো উচিত। গরমের আগে এবং পরে সার্ভিসিং করালে এসি ভালো থাকে।
- সার্ভিসিং-এর সময় কী কী করা হয়: সার্ভিসিং-এর সময় এসির ফিল্টার পরিষ্কার করা হয়, গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করা হয়, এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশগুলো ভালোভাবে দেখা হয়।
- নিয়মিত সার্ভিসিং করালে কী কী লাভ: নিয়মিত সার্ভিসিং করালে এসির কর্মক্ষমতা বাড়ে, বিদ্যুতের বিল কম আসে, এবং এসির আয়ু বাড়ে।
৪.২ ফিল্টার পরিষ্কার রাখার নিয়ম
- কতদিন পর পর ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত: এসির ফিল্টার প্রতি দুই সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করা উচিত।
- ফিল্টার পরিষ্কার করার সহজ উপায়: ফিল্টার খুলে প্রথমে ধুলো ঝেড়ে নিন, তারপর হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে ধুয়ে নিন। ভালোভাবে শুকিয়ে আবার লাগিয়ে দিন।
- নোংরা ফিল্টার ব্যবহারের কুফল: নোংরা ফিল্টার ব্যবহার করলে এসির বাতাস দূষিত হয়, ঠান্ডা কম হয়, এবং বিদ্যুতের খরচ বাড়ে।
৪.৩ এসির সঠিক ব্যবহার
- সঠিক টেম্পারেচার সেটিংস: এসির তাপমাত্রা ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা ভালো। এতে ঘর ঠান্ডা থাকে এবং বিদ্যুতের খরচও কম হয়।
- ঘর ভালোভাবে বন্ধ রাখা: এসি চালানোর সময় ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন, যাতে ঠান্ডা বাতাস বাইরে যেতে না পারে।
- অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল: একটানা অনেকক্ষণ এসি চালালে এসির ওপর চাপ পড়ে এবং এটি খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে এসি বন্ধ করে বিশ্রাম দিন।শীত শেষে বাড়ির AC রিপেয়ারিং? মাথায় রাখুন এই ৫ বিষয়
এসির গ্যাস কমে গেলে কী করতে হবে, তা নিয়ে এতক্ষণ অনেক কথা হলো। চলুন, শেষ করার আগে একবার முக்கியமான বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেই:
- এসি ঠান্ডা না হলে, কম্প্রেসার বেশি শব্দ করলে, বা পাইপে বরফ জমলে বুঝবেন গ্যাস কম আছে।
- মেকানিক ডাকার আগে নিজে কিছু পরীক্ষা করে দেখুন।
- গ্যাস রিফিল করার আগে অভিজ্ঞ মেকানিকের পরামর্শ নিন।
- নিয়মিত এসির সার্ভিসিং করান এবং ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন।
নিয়মিত চেকআপের গুরুত্ব অনেক। আপনার সামান্য সচেতনতাই আপনার এসিকে দীর্ঘদিন ভালো রাখতে পারে। আর মেকানিকদের থেকে একটু সতর্ক থাকুন, যাতে তারা আপনাকে বোকা বানাতে না পারে।এখনই আপনার এসির গ্যাস পরীক্ষা করুন এবং আজই সার্ভিসিং করিয়ে নিন! আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন অথবা আমাদের Facebook পেজে মেসেজ করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।