How to speed up Android phone: আপনার প্রিয় আন্ড্রয়েড ফোনটি কি আজকাল আগের মতো দ্রুত কাজ করছে না? হতাশ হবেন না, এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই অনুভব করেন। সময়ের সাথে সাথে আমাদের ফোনগুলি ধীরে ধীরে স্লো হয়ে যায়, কিন্তু এর জন্য আপনার নতুন ফোন কেনার প্রয়োজন নেই। আজ আমরা আপনাকে জানাবো ৭টি সহজ উপায় যা অনুসরণ করে আপনি আপনার আন্ড্রয়েড ফোনের পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারেন।
আমাদের ফোনে অনেক সময় এমন অনেক অ্যাপ থাকে যা আমরা কখনোই ব্যবহার করি না। এই অব্যবহৃত অ্যাপগুলি শুধু স্টোরেজ স্পেস দখল করে রাখে না, বরং ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং আপনার ফোনের পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়।
কীভাবে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ অপসারণ করবেন:
Settings > Apps & notifications এ যান
সব অ্যাপের তালিকা দেখুন
যে অ্যাপগুলি আপনি ব্যবহার করেন না সেগুলি নির্বাচন করুন
Uninstall বাটনে ক্লিক করুন
এই প্রক্রিয়াটি আপনার ফোনের স্টোরেজ স্পেস মুক্ত করবে এবং সিস্টেম রিসোর্স বাঁচাবে, যা ফলস্বরূপ ফোনের গতি বাড়াবে।
প্রতিটি অ্যাপ আপনার ফোনে ক্যাশ ডেটা সঞ্চয় করে রাখে যাতে পরবর্তী সময়ে দ্রুত লোড হতে পারে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই ক্যাশ জমে গিয়ে আপনার ফোনকে স্লো করে দিতে পারে।
ক্যাশ পরিষ্কার করার পদ্ধতি:
Settings > Storage > Cached data এ যান
“Clear cached data” অপশনে ট্যাপ করুন
নিশ্চিত করতে OK বাটনে চাপুন
নিয়মিত ক্যাশ পরিষ্কার করলে আপনার ফোন অনেক বেশি স্মুথলি চলবে।
সর্বশেষ Android আপডেট ইনস্টল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আপডেটগুলি শুধু নতুন ফিচার আনে না, বরং পারফরম্যান্স উন্নতি এবং বাগ ফিক্সও করে।
সফটওয়্যার আপডেট করার পদ্ধতি:
Settings > System > System update এ যান
“Check for update” বাটনে ট্যাপ করুন
যদি কোনো আপডেট পাওয়া যায়, তাহলে “Download and Install” করুন
নিয়মিত আপডেট করলে আপনার ফোন সর্বদা সর্বোত্তম পারফরম্যান্স দিতে পারবে।
Android-এর বিভিন্ন অ্যানিমেশন এফেক্ট দেখতে সুন্দর, কিন্তু এগুলি আপনার ফোনের গতি কমাতে পারে। এই এফেক্টগুলি কমিয়ে দিলে আপনার ফোন আরও দ্রুত মনে হবে।
অ্যানিমেশন এফেক্ট কমানোর পদ্ধতি:
প্রথমে Developer Options চালু করুন (Settings > About phone > Build number এ ৭ বার ট্যাপ করুন)
Settings > System > Developer Options এ যান
“Window animation scale”, “Transition animation scale”, এবং “Animator duration scale” খুঁজুন
প্রতিটি সেটিং 0.5x বা off করে দিন
এই পরিবর্তনগুলি আপনার ফোনকে আরও দ্রুত এবং responsive করে তুলবে।
অনেক জনপ্রিয় অ্যাপের লাইট ভার্সন রয়েছে যেগুলি কম রিসোর্স ব্যবহার করে। যেমন Facebook Lite, Messenger Lite, Twitter Lite ইত্যাদি। এই লাইট ভার্সন অ্যাপগুলি আপনার ফোনের কম মেমরি এবং স্টোরেজ ব্যবহার করে, ফলে ফোনের overall পারফরম্যান্স বাড়ে।
লাইট অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা:
কম স্টোরেজ স্পেস দখল করে
দ্রুত লোড হয়
কম ডেটা ব্যবহার করে
পুরানো ফোনেও ভালো কাজ করে
কিছু অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে নিরন্তর ডেটা ব্যবহার করে যা আপনার ফোনের ব্যাটারি এবং পারফরম্যান্স উভয়কেই প্রভাবিত করে।
ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা সীমিত করার পদ্ধতি:
Settings > Network & Internet > Data usage এ যান
“Background data” অপশনটি বন্ধ করুন
প্রয়োজনে নির্দিষ্ট অ্যাপের জন্য এই সেটিং পরিবর্তন করুন
এই পদ্ধতিটি আপনার ফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়াবে এবং overall পারফরম্যান্স উন্নত করবে।
যদি উপরের সব পদ্ধতি ব্যর্থ হয়, তাহলে শেষ উপায় হিসেবে আপনি ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারেন। এটি আপনার ফোনকে নতুনের মতো করে তুলবে, কিন্তু মনে রাখবেন যে এতে আপনার সব ডেটা মুছে যাবে।
ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে:
সব গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ নিয়ে রাখুন
Settings > System > Reset options এ যান
“Erase all data (factory reset)” নির্বাচন করুন
নির্দেশনা অনুসরণ করুন
ফ্যাক্টরি রিসেট করার পর আপনার ফোন অনেক দ্রুত কাজ করবে, যেন এটি নতুন কিনেছেন।
আপনার আন্ড্রয়েড ফোনকে দ্রুত এবং কার্যকর রাখা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। উপরের পদ্ধতিগুলি নিয়মিত অনুসরণ করলে আপনি আপনার ফোনের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স পাবেন। মনে রাখবেন, প্রতিটি ফোন ভিন্ন, তাই সব পদ্ধতি সব ফোনে সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে। আপনার ফোনের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতিগুলি খুঁজে বের করুন এবং নিয়মিত প্রয়োগ করুন। এভাবেই আপনি আপনার প্রিয় আন্ড্রয়েড ডিভাইসটিকে দীর্ঘদিন ধরে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য রাখতে পারবেন।