স্বপ্নকে বাস্তবে দেখার অভিনব প্রযুক্তি! জাপানি বিজ্ঞানীদের চমকপ্রদ আবিষ্কার

Japanese scientists invention dreams big screen: জাপানের বিজ্ঞানীরা একটি অভূতপূর্ব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন যা মানুষের স্বপ্নকে রেকর্ড করে তা পুনরায় দেখানোর ক্ষমতা রাখে। এই অভিনব যন্ত্রটি মস্তিষ্কের ইমেজিং এবং কৃত্রিম…

Soumya Chatterjee

 

Japanese scientists invention dreams big screen: জাপানের বিজ্ঞানীরা একটি অভূতপূর্ব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন যা মানুষের স্বপ্নকে রেকর্ড করে তা পুনরায় দেখানোর ক্ষমতা রাখে। এই অভিনব যন্ত্রটি মস্তিষ্কের ইমেজিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) অগ্রগতির সুবিধা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে স্বপ্নের রহস্যময় জগতে প্রবেশ করা সম্ভব হবে এবং মানুষের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা বিষয়গুলি জানা যাবে।
কিয়োতোর এটিআর কম্পিউটেশনাল নিউরোসায়েন্স ল্যাবরেটরিজে প্রফেসর ইউকিয়াসু কামিতানির নেতৃত্বে একদল গবেষক এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। তারা ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (fMRI) ব্যবহার করে স্বপ্ন দেখার সময় মস্তিষ্কের বিস্তারিত নিউরাল কার্যকলাপ রেকর্ড করেছেন।গবেষকরা স্বেচ্ছাসেবকদের ঘুমের প্রাথমিক পর্যায়ে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেছেন। যখন তারা রেম (REM) ঘুমে প্রবেশ করেছেন, তখন তাদের জাগিয়ে স্বপ্নের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। মস্তিষ্কের স্ক্যান বিশ্লেষণ করে এবং নির্দিষ্ট মস্তিষ্কের প্যাটার্নের সাথে সম্পর্কিত ছবির একটি ডাটাবেস তৈরি করে, বিজ্ঞানীরা স্বপ্নের বিষয়বস্তু অনুমান করতে ৬০% সঠিকতার হার অর্জন করেছেন। নির্দিষ্ট দৃশ্যমান উপাদানের জন্য এই হার ৭০% এরও বেশি।
মস্তিষ্কের মহাকাব্য: আপনার সন্তানের প্রতিভা বিকাশের ১০টি অমোঘ কৌশল
প্রফেসর কামিতানি বলেছেন, “আমরা ঘুমের সময় মস্তিষ্কের কার্যকলাপ থেকে স্বপ্নের বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি, যা ব্যক্তিদের মৌখিক বিবরণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।” এই প্রযুক্তি মস্তিষ্কের কার্যকলাপের মাধ্যমে স্বপ্নের বিভিন্ন দিক ডিকোড করার জন্য উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা প্রদান করে, যা মানব মস্তিষ্ক, চেতনা এবং মনোবিজ্ঞান ও নিউরোসায়েন্সে স্বপ্নের ভূমিকা সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কগনিটিভ নিউরোসায়েন্টিস্ট ডঃ মার্ক স্টোকস এই গবেষণাকে “স্বপ্ন-পঠন যন্ত্র” এর ধারণার দিকে একটি উত্তেজনাপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই প্রযুক্তি মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়নকে রূপান্তরিত করতে পারে, ব্যক্তিত্বের আরও সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণ এবং মনস্তাত্ত্বিক ব্যাধির নির্ণয়ের অনুমতি দেয়।
এই প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য আমরা আরও গভীরে যেতে পারি। এই স্বপ্ন রেকর্ডিং প্রযুক্তিটি একটি পরিশীলিত ইন্টারফেস ব্যবহার করে যা সরাসরি মানব মস্তিষ্কের সাথে সংযুক্ত হয়। ব্যবহারকারীর মাথায় সুবিধাজনকভাবে রাখা একটি ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (EEG) সেন্সর দিয়ে, যন্ত্রটি REM (র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট) ঘুমের পর্যায়ে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পড়তে এবং ম্যাপ করতে পারে যেখানে বেশিরভাগ স্বপ্ন ঘটে।পঠিত মস্তিষ্কের সংকেতগুলি তারপর পরিশীলিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যালগরিদম দ্বারা ডিকোড করা হয়, যা ঘুমের সময় ব্যবহারকারীর মনে যা আছে তার একটি দৃশ্যমান প্রতিনিধিত্ব তৈরি করে। এই প্রযুক্তি স্বপ্নের অভিজ্ঞতার কাছাকাছি একটি দৃশ্যমান রেকর্ডিং তৈরি করতে 3D ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং AI উপাদানের একটি সংমিশ্রণ ব্যবহার করে।
স্বপ্ন রেকর্ডিং প্রযুক্তির মাধ্যমে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য ফাংশন ব্যবহার করা যেতে পারে:

১. স্বপ্ন থেরাপি:

এই প্রযুক্তিটি মনোবিজ্ঞান এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি স্বপ্ন থেরাপি টুল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। থেরাপিস্টরা ক্লায়েন্টদের স্বপ্ন বিশ্লেষণ করে ভয়, আকাঙ্ক্ষা বা সমস্যাগুলির গভীরতর অন্তর্দৃষ্টি পেতে পারেন যা ক্লায়েন্টরা সম্মুখীন হতে পারেন।

২. বিনোদন শিল্প:

ব্যবহারকারীদের স্বপ্ন দ্বারা অনুপ্রাণিত দৃশ্যমান সামগ্রীর উৎপাদন বিনোদন শিল্পে বিপ্লব আনতে পারে। ব্যক্তিগত স্বপ্নের ভিত্তিতে তৈরি চলচ্চিত্র, ভিডিও গেম বা শিল্পকর্ম আরও ব্যক্তিগত এবং নিমগ্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে।

৩. শিক্ষা এবং গবেষণা:

শিক্ষার ক্ষেত্রে, এটি একটি দুর্দান্ত শেখার সরঞ্জাম হতে পারে। শিক্ষার্থীরা তাদের মস্তিষ্ক দ্বারা উৎপাদিত দৃশ্যমান প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে কঠিন ধারণাগুলি দেখতে এবং বুঝতে পারে। গবেষণার দিক থেকে, এটি মানব মস্তিষ্কের কার্যকারিতার গভীরতর বোঝার জন্য নতুন পথ খুলে দেয়।
অবশ্য, এই মহান উদ্ভাবনের সাথে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ এবং নৈতিক প্রশ্নও এসেছে। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে গোপনীয়তা কীভাবে বজায় রাখা হবে? আমরা কতটা পর্যন্ত স্বপ্ন “সম্পাদনা” বা পরিবর্তন করতে পারব? এই সবই হবে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু যখন এই প্রযুক্তি বিকশিত হবে।স্বপ্ন রেকর্ডার প্রযুক্তি স্বপ্নের জগতের দরজা খুলে দিয়েছে এমনভাবে যা আগে কখনও সম্ভব বলে মনে করা হয়নি।
যদিও এটি এখনও উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে, এর সম্ভাবনা এবং ব্যাপক প্রয়োগ এটিকে প্রযুক্তির জগতে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। জাপান, তার উদ্ভাবনের ঐতিহ্য নিয়ে, আবারও বাস্তব জগত এবং আমাদের কল্পনার জগতের মধ্যে সীমানা ভেঙে ফেলার অগ্রভাগে নিজেকে স্থাপন করছে।এই প্রযুক্তি যে শুধু গবেষণার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, এর ব্যবহারিক প্রয়োগও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারদের জন্য একটি মূল্যবান টুল হিসাবে কাজ করতে পারে। তারা রোগীদের স্বপ্নের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নির্ণয় এবং চিকিৎসা করতে সাহায্য করতে পারেন।

এছাড়াও, এটি পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) এর মতো অবস্থার চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে, যেখানে দুঃস্বপ্ন একটি সাধারণ উপসর্গ।শিল্প এবং সৃজনশীল ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তির ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। চিত্রশিল্পীরা তাদের স্বপ্নের দৃশ্যগুলি সরাসরি ক্যানভাসে স্থানান্তর করতে পারবেন, যা তাদের সৃজনশীলতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাদের কল্পনার জগতকে আরও সঠিকভাবে পর্দায় তুলে ধরতে পারবেন। লেখকরা তাদের স্বপ্নের গল্পগুলি আরও বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করতে পারবেন, যা পাঠকদের জন্য আরও নিমগ্ন পাঠ অভিজ্ঞতা তৈরি করবে।শিক্ষা ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ্নের মাধ্যমে জটিল ধারণাগুলি বুঝতে পারবে, যা শেখার প্রক্রিয়াকে আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করে তুলবে।

Parkinson Disease: মস্তিষ্কের এই ক্ষতি কেন হয়? জানুন চাঞ্চল্যকর তথ্য

উদাহরণস্বরূপ, একজন বিজ্ঞান শিক্ষার্থী পরমাণুর গঠন সম্পর্কে পড়ার পর সেই বিষয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে। তার স্বপ্নের রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে শিক্ষক বুঝতে পারবেন শিক্ষার্থী কোন অংশটি ভালভাবে বুঝতে পেরেছে এবং কোথায় আরও ব্যাখ্যার প্রয়োজন।বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। নিউরোসায়েন্টিস্টরা মানব মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে আরও গভীর অন্তর্দৃষ্টি লাভ করতে পারবেন। তারা স্বপ্নের সময় মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সম্পর্কে নতুন তথ্য আবিষ্কার করতে পারবেন। এছাড়াও, স্বপ্নের বিষয়বস্তু এবং ব্যক্তির জীবনের ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করে মনোবিজ্ঞানীরা মানব মনের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে নতুন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক প্রশ্নও উঠে আসছে।
  • প্রথমত, গোপনীয়তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বপ্ন হল একজন ব্যক্তির সবচেয়ে ব্যক্তিগত এবং অন্তরঙ্গ অভিজ্ঞতা। এই তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে? কে এই তথ্যে প্রবেশাধিকার পাবে? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি।
  • দ্বিতীয়ত, স্বপ্নের বিষয়বস্তু পরিবর্তন বা সম্পাদনা করার সম্ভাবনা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। যদি কেউ তার স্বপ্নের নেতিবাচক দিকগুলি মুছে ফেলতে চায়, তাহলে কী হবে? এটি কি ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে? এই ধরনের হস্তক্ষেপের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কী হতে পারে?
  • তৃতীয়ত, এই প্রযুক্তির অপব্যবহারের সম্ভাবনাও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি অন্য কারও স্বপ্নের তথ্য অনধিকার প্রবেশ করে, তাহলে সেটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের একটি গুরুতর ঘটনা হবে। এছাড়াও, এই তথ্য ব্ল্যাকমেইল বা অন্য কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে।
  • চতুর্থত, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের স্বাভাবিক স্বপ্ন দেখার প্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে কিনা, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। স্বপ্ন দেখা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে স্বাভাবিক স্বপ্ন দেখার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে তা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সমস্ত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, স্বপ্ন রেকর্ডিং প্রযুক্তির সম্ভাবনা অপরিসীম। এটি মানব মনের গভীরে প্রবেশ করার একটি অভূতপূর্ব সুযোগ প্রদান করে। এই প্রযুক্তি আমাদের নিজেদের সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে, আমাদের অবচেতন মনের কার্যকলাপ সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে।বর্তমানে এই প্রযুক্তি এখনও গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ। তবে ভবিষ্যতে এটি সাধারণ মানুষের জন্য উপলব্ধ হতে পারে। আমরা এমন একটি যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যেখানে আমাদের স্বপ্নগুলি শুধুমাত্র আমাদের স্মৃতিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং আমরা সেগুলি রেকর্ড করে রাখতে পারব, পুনরায় দেখতে পারব, এমনকি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারব।
এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি চিকিৎসা, মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা, শিল্প এবং বিনোদন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, চিকিৎসকরা রোগীদের স্বপ্নের বিশ্লেষণ করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা নির্ণয় করতে পারবেন। শিল্পীরা তাদের স্বপ্নের দৃশ্যগুলি সরাসরি ক্যানভাসে স্থানান্তর করতে পারবেন, যা তাদের সৃজনশীলতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কিছু উদ্বেগও রয়েছে। অনেকে মনে করেন যে এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে পারে। কারণ স্বপ্ন হল একজন ব্যক্তির সবচেয়ে ব্যক্তিগত এবং অন্তরঙ্গ অভিজ্ঞতা।
এছাড়াও, এই প্রযুক্তির অপব্যবহারের সম্ভাবনাও রয়েছে। যেমন, কেউ যদি অন্য কারও স্বপ্নের তথ্য অনধিকার প্রবেশ করে, তাহলে সেটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের একটি গুরুতর ঘটনা হবে।সুতরাং, এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কঠোর আইনি কাঠামো প্রয়োজন। এছাড়াও, এর ব্যবহার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন যাতে মানুষ এর সুবিধা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকে।জাপানি বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
এটি আমাদের মানব মন এবং চেতনা সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়াকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যাবে। তবে এর ব্যবহার এবং প্রয়োগ নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এই প্রযুক্তি মানবতার কল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এর অপব্যবহার রোধ করা হচ্ছে।শেষ পর্যন্ত, স্বপ্ন রেকর্ডিং প্রযুক্তি আমাদের নিজেদের সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে। এটি আমাদের অবচেতন মনের কার্যকলাপ সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে, যা আমাদের ব্যক্তিগত বিকাশ এবং আত্ম-উন্নতির জন্য মূল্যবান হতে পারে। 
About Author
Soumya Chatterjee

সৌম্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক এবং প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালিখিতে বিশেষ আগ্রহী। তিনি একজন উদ্যমী লেখক, যিনি প্রযুক্তির জটিল ধারণাগুলোকে সহজভাবে উপস্থাপন করতে দক্ষ। তার লেখার মূল ক্ষেত্রগুলোতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন প্রযুক্তি, গ্যাজেট রিভিউ, সফটওয়্যার গাইড, এবং উদীয়মান টেক প্রবণতা। সৌম্যর প্রাঞ্জল ও তথ্যবহুল লেখনী পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে তার গভীর জ্ঞান এবং অনুসন্ধিৎসু মনোভাব তাকে পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। টেক জগতে চলমান পরিবর্তনগুলির সাথে তাল মিলিয়ে সৌম্য সর্বদা নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ বিষয়বস্তু নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।