Khadaan movie first day box office collection: দেব অধিকারী ও জিশু সেনগুপ্ত অভিনীত বাংলা ছবি ‘খাদান’ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। ২০ ডিসেম্বর ২০২৪-এ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এই ছবি দর্শকদের মন কেড়েছে। প্রথম দিনেই প্রায় ১ কোটি টাকার আয় করে ফেলেছে ‘খাদান’, যা বাংলা সিনেমার জন্য একটি বড় সাফল্য।সুজিত ‘রিনো’ দত্ত পরিচালিত এই অ্যাকশন থ্রিলার ছবিটি শ্যাম মাহাতো ও মোহন দাস নামে দুই কয়লা খনি শ্রমিকের বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে তৈরি। দেব ও জিশু সেনগুপ্তের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ছবিটির বাজেট ছিল প্রায় ৬-৭ কোটি টাকা।
বক্স অফিস কালেকশন: প্রথম দিনের হিসাব
‘খাদান’-এর প্রথম দিনের বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে কিছুটা ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে:
- একটি সূত্র অনুযায়ী, প্রথম দিনে ভারতে নিট সংগ্রহ হয়েছে ৬৮ লক্ষ টাকা।
- অন্য একটি সূত্রে বলা হয়েছে, প্রথম দিনে মোট আয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা।
- বিশ্বব্যাপী সংগ্রহ হয়েছে ১ কোটি টাকারও বেশি।
এই পার্থক্য সত্ত্বেও, সকল সূত্রই একমত যে ‘খাদান’ প্রথম দিনে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে।
পুষ্পা ২: বক্স অফিসে ঝড় তুলে প্রথম দিনেই ২৭৯ কোটি টাকা আয়!
‘খাদান’-এর সাফল্যের কারণ
‘খাদান’-এর এই অভূতপূর্ব সাফল্যের পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ:
- সুপারস্টার ক্যাস্ট: দেব অধিকারী ও জিশু সেনগুপ্তের মতো জনপ্রিয় অভিনেতাদের উপস্থিতি।
- আকর্ষণীয় গল্প: কয়লা খনি শ্রমিকদের জীবন নিয়ে তৈরি একটি মানবিক কাহিনী।
- উচ্চমানের প্রযোজনা: ৬-৭ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত হওয়ায় ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ও অ্যাকশন দৃশ্যগুলি আকর্ষণীয় হয়েছে।
- ব্যাপক প্রচার: মুক্তির আগে থেকেই ছবিটির জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছিল।
- ক্রিসমাস সিজন: ছুটির মরসুমে মুক্তি পাওয়ায় দর্শক সংখ্যা বেড়েছে।
তুলনামূলক বিশ্লেষণ
‘খাদান’-এর সাফল্য আরও স্পষ্ট হয় যখন আমরা অন্যান্য বাংলা ছবির সাথে তুলনা করি:
- এটি দেব অধিকারীর ক্যারিয়ারের সেরা ওপেনিং।
- একই দিনে মুক্তি পাওয়া মিঠুন চক্রবর্তীর ‘শন্তান’-কে ছাপিয়ে গেছে ‘খাদান’।
- এমনকি দক্ষিণী ছবি ‘পুষ্পা ২’-কেও টেক্কা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বক্স অফিসে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
‘খাদান’-এর প্রথম দিনের সাফল্য দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন:
- প্রথম সপ্তাহে ছবিটি ৫-৬ কোটি টাকা আয় করতে পারে।
- ক্রিসমাস ও নববর্ষের ছুটিতে আয় আরও বাড়তে পারে।
- যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে ‘খাদান’ বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।
চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা
তবে ‘খাদান’-এর সামনে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে:
- কিছু সমালোচক মনে করছেন, ছবিটির দৈর্ঘ্য (২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট) একটু বেশি।
- সিনেমা হলের সীমিত সংখ্যা আয়কে সীমিত করতে পারে।
- কিছু দর্শক মনে করছেন, গল্পের মধ্যে নতুনত্বের অভাব রয়েছে।
Office Politics Survival Guide: অফিস রাজনীতির শিকার? গোপন কৌশলে সব হবে কুপোকাত
‘খাদান’ যে বাংলা সিনেমা শিল্পের জন্য একটি বড় সাফল্য, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। প্রথম দিনের বক্স অফিস কালেকশন থেকেই তা স্পষ্ট। তবে ছবিটি কতটা দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য পাবে, তা নির্ভর করবে আগামী কয়েকদিনের প্রদর্শনীর উপর। যাই হোক, ‘খাদান’ ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে বাংলা সিনেমার প্রতি দর্শকদের আগ্রহ কমেনি, বরং বাড়ছে। এটি নিঃসন্দেহে বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত।