Tax deductions salaried people overlook: আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় অনেক বেতনভোগী কর্মচারী বিভিন্ন কর ছাড়ের সুযোগ নিতে পারেন না। এর ফলে তাদের অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হয়। নিচে এমন ১১টি কম পরিচিত কর ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা করা হল যা বেতনভোগীরা প্রায়শই মিস করে থাকেন:
১. বই ও সাময়িকীর জন্য ভাতা
বেতনভোগী কর্মচারীরা তাদের পেশাগত উন্নয়নের জন্য বই ও সাময়িকী ক্রয়ের খরচ বাবদ বার্ষিক ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। এই ছাড়টি পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিল সংরক্ষণ করতে হবে।
২. ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ
অনেক কোম্পানি তাদের কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দেয়। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাবদ মাসিক ২০০ টাকা পর্যন্ত কর মুক্ত ভাতা প্রদান করা যায়।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য চমকপ্রদ সুবিধা: জেনে নিন বিস্তারিত!
৩. টেলিফোন বিল
অফিসের কাজে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাসিক ১,০০০ টাকা পর্যন্ত কর মুক্ত ভাতা পাওয়া যায়। তবে এর জন্য যথাযথ বিল জমা দিতে হবে।
৪. উপহার ও বোনাস
নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত উপহার ও বোনাস কর মুক্ত থাকে। বছরে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত উপহার এবং ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস কর মুক্ত বলে বিবেচিত হয়।
৫. চিকিৎসা খরচের প্রতিপূরণ
নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চিকিৎসা খরচের প্রতিপূরণ বাবদ বার্ষিক ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত কর মুক্ত থাকে। এর জন্য যথাযথ বিল সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. শিক্ষা ভাতা
কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষা খরচের জন্য মাসিক ১০০ টাকা হারে প্রতি সন্তানের জন্য (সর্বোচ্চ ২ সন্তান) কর ছাড় পাওয়া যায়।
৭. হোস্টেল ভাতা
কর্মচারীর সন্তানদের হোস্টেল খরচের জন্য মাসিক ৩০০ টাকা হারে প্রতি সন্তানের জন্য (সর্বোচ্চ ২ সন্তান) কর ছাড় পাওয়া যায়।
৮. ব্যাংক জমার সুদ
সঞ্চয়ী হিসাবে প্রাপ্ত সুদের উপর বার্ষিক ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায় (ধারা ৮০টিটিএ)। ৬০ বছরের উর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৫০,০০০ টাকা (ধারা ৮০টিটিবি)।
৯. বাড়ি ভাড়া ভাতা (HRA)
যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তারা বাড়ি ভাড়া ভাতার উপর কর ছাড় পেতে পারেন। এর জন্য ভাড়ার রসিদ জমা দিতে হয়।
১০. ছুটি ভ্রমণ ভাতা (LTA)
প্রতি দুই বছরে একবার ছুটি কাটানোর জন্য ভ্রমণ খরচের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে এর জন্য যথাযথ বিল জমা দিতে হবে।
মিউচুয়াল ফান্ডে বেশি রিটার্ন চাই? জানুন ৭-৫-৩-১ ম্যাজিক ফর্মুলা!
১১. গ্র্যাচুইটি
চাকরি থেকে অবসরের সময় প্রাপ্ত গ্র্যাচুইটির একটি নির্দিষ্ট অংশ কর মুক্ত থাকে। এর পরিমাণ চাকরির মেয়াদ ও বেতনের উপর নির্ভর করে।
উপরোক্ত কর ছাড়গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকলে বেতনভোগী কর্মচারীরা তাদের কর দায় কমাতে পারেন। তবে এসব ছাড় পাওয়ার জন্য যথাযথ নথি সংরক্ষণ করা জরুরি। আয়কর রিটার্ন দাখিলের আগে একজন কর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।এসব কর ছাড়ের সুবিধা নিয়ে বেতনভোগীরা তাদের কর দায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারেন। ফলে তাদের হাতে অতিরিক্ত অর্থ থাকবে যা তারা সঞ্চয় বা বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এসব ছাড় পাওয়ার জন্য সঠিক নথি সংরক্ষণ ও দাখিল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।