মেকআপ শুধু সৌন্দর্য বাড়ানোর মাধ্যম নয়, এটি আত্মবিশ্বাস তৈরির একটি শক্তিশালী উপায়। বিশ্বব্যাপী বিউটি ইন্ডাস্ট্রি ২০২৫ সালে প্রায় ৬৭৭ বিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিণত হয়েছে এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল এই বাজারের ৩৯.৫% শেয়ার দখল করে আছে। মেকআপ করার ৩:১:১ নিয়ম হলো ব্রঞ্জার, ব্লাশ এবং হাইলাইটার প্রয়োগের একটি পেশাদার টেকনিক যা আপনার মুখে প্রাকৃতিক গ্লো এবং ডাইমেনশন তৈরি করে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে মেকআপ অতিরিক্ত মনে হবে না এবং ত্বক দেখাবে তরতাজা ও জীবন্ত।
৩:১:১ মেকআপ নিয়ম কী?
৩:১:১ মেকআপ নিয়ম মূলত তিনটি প্রধান ফেস প্রোডাক্টের সঠিক অনুপাত এবং প্রয়োগ পদ্ধতি নির্দেশ করে। এই নিয়মে তিনটি অংশ রয়েছে:
-
৩ (ব্রঞ্জার): মুখের বৃহত্তর অংশে ব্রঞ্জার প্রয়োগ করা হয় উষ্ণতা এবং গভীরতা আনতে
-
১ (ব্লাশ): গালের নির্দিষ্ট জায়গায় পরিমিত পরিমাণে ব্লাশ দেওয়া হয়
-
১ (হাইলাইটার): মুখের উঁচু অংশে হাইলাইটার প্রয়োগ করা হয় আলোর প্রতিফলন তৈরিতে
এই তিনটি প্রোডাক্ট একসাথে ব্যবহার করলে মুখে স্বাভাবিক স্কাল্পটিং হয় এবং ফিল্টার ছাড়াই ফটোজেনিক লুক পাওয়া যায়। প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্টরা এই টেকনিক ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদের মুখে ডাইমেনশন এবং লিফটেড ইফেক্ট তৈরি করেন।
মেকআপ শুরু করার আগে যা জানা জরুরি
ত্বকের ধরন বুঝুন
মেকআপ শুরু করার আগে নিজের ত্বকের ধরন জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৈলাক্ত ত্বকে ম্যাট প্রোডাক্ট ভালো কাজ করে, যেখানে শুষ্ক ত্বকে ক্রিম বা লিকুইড ফর্মুলা বেশি উপযোগী। মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রে টি-জোনে ম্যাট এবং অন্যান্য অংশে হাইড্রেটিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যায়।
GI Revive Powder: পেটের সমস্যার সমাধানে যে সাপ্লিমেন্ট বদলে দিচ্ছে লাখো মানুষের জীবন!
স্কিন আন্ডারটোন নির্ধারণ
সঠিক মেকআপ শেড বাছাই করতে আপনার স্কিন আন্ডারটোন জানা দরকার। আন্ডারটোন তিন প্রকার:
| আন্ডারটোন | বৈশিষ্ট্য | উপযুক্ত শেড |
|---|---|---|
| ওয়ার্ম | হলুদ বা পিচ আভা | গোল্ডেন, পিচ, কোরাল |
| কুল | গোলাপি বা নীলাভ আভা | পিংক, বেরি, মউভ |
| নিউট্রাল | উভয় আভার মিশ্রণ | বেশিরভাগ শেড মানানসই |
হাতের কবজির শিরা দেখে আন্ডারটোন বুঝতে পারেন। সবুজাভ শিরা মানে ওয়ার্ম, নীলাভ মানে কুল এবং মিশ্র রঙ মানে নিউট্রাল আন্ডারটোন।
ধাপে ধাপে মেকআপ করার সঠিক ক্রম
মেকআপের সঠিক ক্রম অনুসরণ করলে প্রতিটি প্রোডাক্ট তার সর্বোচ্চ কার্যকারিতা দেখাতে পারে। L’Oréal Paris-এর বিউটি এক্সপার্টদের মতে, বেস মেকআপ প্রথমে, তারপর ফেস মেকআপ, এরপর আই মেকআপ এবং সবশেষে লিপ মেকআপ করা উচিত। নিচে সম্পূর্ণ ক্রম দেওয়া হলো:
প্রথম ধাপ: ত্বক প্রস্তুতি
মেকআপের আগে ত্বক পরিষ্কার এবং প্রস্তুত করা অপরিহার্য। CTM (Cleansing, Toning, Moisturizing) রুটিন অনুসরণ করুন। প্রথমে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন, তারপর টোনার দিয়ে পোরস টাইট করুন এবং শেষে ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ত্বক হাইড্রেট করুন।
গরমকালে মেকআপের আগে বরফ ঘষে নিলে বা ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিলে ঘাম কম হয় এবং ত্বকের ছিদ্র সংকুচিত হয়ে মেকআপ বেশিক্ষণ টিকে থাকে।
দ্বিতীয় ধাপ: প্রাইমার প্রয়োগ
প্রাইমার হলো মেকআপের ভিত্তি। এটি ত্বকের ছোট রেখা এবং পোরস পূরণ করে মসৃণ ক্যানভাস তৈরি করে। টি-জোন, ঠোঁটের কোণ এবং বড় পোরস আছে এমন জায়গায় প্রাইমার প্রয়োগ করুন। প্রাইমার ত্বকে মিশে যাওয়ার জন্য এক মিনিট অপেক্ষা করুন।
তৃতীয় ধাপ: ফাউন্ডেশন
ফাউন্ডেশন পুরো মেকআপের সমতল ক্যানভাস তৈরি করে। সঠিক শেড বাছাই করতে জোলাইনে টেস্ট করুন। যে শেড ত্বকে মিশে অদৃশ্য হয়ে যায়, সেটাই আপনার পারফেক্ট ম্যাচ। বিউটি ব্লেন্ডার বা ফাউন্ডেশন ব্রাশ দিয়ে সমানভাবে ব্লেন্ড করুন।
চতুর্থ ধাপ: কনসিলার
ফাউন্ডেশনের পর কনসিলার দিয়ে ডার্ক সার্কেল, দাগ এবং অসমতা ঢেকে দিন। ত্বকের রঙের চেয়ে ১-২ শেড হালকা কনসিলার চোখের নিচে ব্যবহার করলে ব্রাইটেনিং ইফেক্ট পাওয়া যায়।
পঞ্চম ধাপ: সেটিং পাউডার
মেকআপ ক্রিজ হওয়া এবং তৈলাক্ত দেখানো রোধ করতে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ব্যবহার করুন। টি-জোনে (কপাল, নাক, চিবুক) হালকা করে পাউডার ডাস্ট করুন।
৩:১:১ নিয়মে ব্রঞ্জার, ব্লাশ ও হাইলাইটার প্রয়োগ
এই তিনটি প্রোডাক্ট মুখে স্কাল্পটিং এবং গ্লো তৈরি করে। সঠিক প্লেসমেন্ট এবং পরিমাণ জানা থাকলে মেকআপ ওভারডোন মনে হয় না।
ব্রঞ্জার প্রয়োগের কৌশল
ব্রঞ্জার মুখে উষ্ণতা এবং গভীরতা যোগ করে। প্রাকৃতিকভাবে রোদে যেখানে ট্যান হয়, সেখানে ব্রঞ্জার প্রয়োগ করুন:
-
গালের হাড়ের নিচে কানের দিক থেকে শুরু করে
-
কপালের হেয়ারলাইন বরাবর
-
নাকের ব্রিজ বরাবর হালকা করে
-
চোয়ালের রেখা বরাবর
ব্রঞ্জার প্রয়োগের সময় “3” আকৃতিতে ব্লেন্ড করুন – কপাল থেকে শুরু করে গালের হাড় হয়ে চোয়াল পর্যন্ত। এতে মুখে প্রাকৃতিক কন্টুর তৈরি হয়।
ব্লাশ প্রয়োগের সঠিক পদ্ধতি
ব্লাশ মুখে প্রাকৃতিক ফ্লাশ এবং জীবন্ত ভাব আনে। সঠিক প্লেসমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
-
হেসে গালের অ্যাপেল খুঁজে বের করুন
-
সেখান থেকে হেয়ারলাইনের দিকে হালকা করে ব্লেন্ড করুন
-
নাকের কাছাকাছি প্রয়োগ করবেন না
-
সার্কুলার মোশনে ব্লেন্ড করুন
ব্লাশ ব্রঞ্জারের ঠিক উপরে বসবে এবং দুটোর মধ্যে সফট ট্রানজিশন থাকবে। প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট Nina Ubhi-এর মতে, ব্লাশ প্লেসমেন্ট সঠিক হলে মুখে তরুণ এবং লিফটেড ইফেক্ট তৈরি হয়।
হাইলাইটার প্রয়োগ
হাইলাইটার মুখের উঁচু অংশে আলো প্রতিফলিত করে গ্লোয়িং ইফেক্ট তৈরি করে। প্রয়োগের জায়গা:
-
গালের হাড়ের সর্বোচ্চ বিন্দু
-
নাকের ব্রিজ
-
কপালের মাঝখানে
-
কিউপিডস বো (ঠোঁটের উপরের খাঁজ)
-
চিবুকের মাঝখানে
-
ভ্রু-র হাড়ের নিচে
হাইলাইটার কম ব্যবহার করাই ভালো। অল্প পরিমাণে প্রয়োগ করে দেখুন, প্রয়োজনে বাড়ান।
৩:১:১ নিয়মের প্রোডাক্ট অনুপাত টেবিল
| প্রোডাক্ট | অনুপাত | প্রয়োগ ক্ষেত্র | ব্রাশের ধরন |
|---|---|---|---|
| ব্রঞ্জার | ৩ অংশ | গালের হাড়, কপাল, চোয়াল | বড় ফ্লাফি ব্রাশ |
| ব্লাশ | ১ অংশ | গালের অ্যাপেল | মাঝারি ডোম ব্রাশ |
| হাইলাইটার | ১ অংশ | গালের উঁচু অংশ, নাক | ফ্যান ব্রাশ বা ছোট টেপার্ড ব্রাশ |
আই মেকআপের সঠিক ধাপ
চোখের মেকআপ পুরো লুককে সম্পূর্ণ করে। সঠিক ক্রম অনুসরণ করলে আই মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আইব্রো শেপিং
প্রথমে আইব্রো পেনসিল বা পাউডার দিয়ে ভ্রু ফিল করুন। ভ্রু মুখের ফ্রেম তৈরি করে, তাই সঠিক শেপ গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট স্ট্রোকে ভ্রুর ফাঁকা জায়গা পূরণ করুন।
আইশ্যাডো প্রয়োগ
আইশ্যাডো প্রয়োগের জন্য তিনটি শেড ব্যবহার করুন:
-
বেস শেড: পুরো পাতায় হালকা নিউট্রাল রঙ
-
ট্রানজিশন শেড: ক্রিজে মাঝারি গাঢ়ত্বের রঙ
-
ডার্ক শেড: বাইরের কোণে গাঢ় রঙ
আইলাইনার ও মাসকারা
আইলাইনার চোখের আকৃতি নির্ধারণ করে। পেনসিল, জেল বা লিকুইড – যেকোনো ফর্মুলা ব্যবহার করতে পারেন। মাসকারা সবশেষে প্রয়োগ করুন। প্রথমে আইল্যাশ কার্লার দিয়ে পাপড়ি কার্ল করে নিলে মাসকারার ইফেক্ট বেশি দেখায়।
লিপ মেকআপ
ঠোঁটের মেকআপ পুরো লুক সম্পূর্ণ করে। দীর্ঘস্থায়ী লিপ মেকআপের জন্য:
-
প্রথমে লিপ বাম দিয়ে ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করুন
-
লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁটের আউটলাইন আঁকুন
-
লিপস্টিক প্রয়োগ করুন
-
টিস্যু দিয়ে ব্লট করে আবার একবার লিপস্টিক দিন
ম্যাট লিপস্টিক বেশিক্ষণ থাকে। তবে শুষ্ক ঠোঁটে ম্যাট ফিনিশ এড়িয়ে ক্রিমি বা সাটিন ফিনিশ বেছে নিন।
মেকআপ সেট করার উপায়
মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে সেটিং স্প্রে বা সেটিং পাউডার ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। সেটিং স্প্রে মুখ থেকে ১০-১২ ইঞ্চি দূরে রেখে “X” প্যাটার্নে স্প্রে করুন। এতে মেকআপ পুরো দিন ফ্রেশ থাকে এবং ঘামে নষ্ট হয় না।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ম্যাটিফাইং সেটিং স্প্রে এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং সেটিং স্প্রে বেছে নিন।
মুখের আকৃতি অনুযায়ী মেকআপ টিপস
প্রতিটি মুখের আকৃতি আলাদা এবং সঠিক প্লেসমেন্ট মুখের সেরা ফিচার হাইলাইট করতে সাহায্য করে।
| মুখের আকৃতি | ব্রঞ্জার প্লেসমেন্ট | ব্লাশ প্লেসমেন্ট | হাইলাইটার প্লেসমেন্ট |
|---|---|---|---|
| ওভাল | স্ট্যান্ডার্ড “3” শেপ | গালের অ্যাপেল | স্ট্যান্ডার্ড |
| গোল | টেম্পল ও চোয়ালে বেশি | উপরের দিকে | কম ব্যবহার |
| বর্গাকার | চোয়ালের কোণে | উপরে ও কেন্দ্রে | নাক ও কপালে |
| হার্ট | কপাল ও চিবুকে | নাক থেকে দূরে | চিবুকে এড়িয়ে চলুন |
| লম্বাটে | কপাল ও চিবুকে | পাশে টানুন | সীমিত ব্যবহার |
ক্রিম vs পাউডার প্রোডাক্ট: কোনটি বেছে নেবেন?
প্রোডাক্ট ফর্মুলা নির্বাচন ত্বকের ধরন এবং কাঙ্ক্ষিত ফিনিশের উপর নির্ভর করে।
ক্রিম প্রোডাক্টের সুবিধা
-
শুষ্ক ত্বকে ভালো কাজ করে
-
প্রাকৃতিক, ডিউই ফিনিশ দেয়
-
ত্বকে সহজে মিশে যায়
-
কম প্রোডাক্টে বেশি কভারেজ
পাউডার প্রোডাক্টের সুবিধা
-
তৈলাক্ত ত্বকে উপযোগী
-
দীর্ঘস্থায়ী
-
ব্লেন্ড করা সহজ
-
বিল্ড করা যায়
Colorescience-এর বিউটি এক্সপার্টদের মতে, পাউডার ব্রঞ্জার ব্যবহার করলে পাউডার ব্লাশ ও হাইলাইটার ব্যবহার করা উচিত। একইভাবে ক্রিম প্রোডাক্ট একসাথে ভালো ব্লেন্ড হয়।
বাজেটে মেকআপ করার উপায়
মানসম্পন্ন মেকআপের জন্য বিশাল বাজেট জরুরি নয়। বাংলাদেশের কসমেটিক্স মার্কেট ২০২৫ সালে ১.৩৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং সাশ্রয়ী মূল্যের অনেক ভালো প্রোডাক্ট বাজারে রয়েছে।
বাজেট ফ্রেন্ডলি ব্র্যান্ড
-
Maybelline Fit Me সিরিজ
-
Lakme 9 to 5 রেঞ্জ
-
Swiss Beauty
-
Faces Canada
-
Blue Heaven
মাল্টি-ইউজ প্রোডাক্ট বেছে নিলে খরচ কমে। যেমন, লিপ অ্যান্ড চিক টিন্ট একই প্রোডাক্ট ঠোঁট এবং গালে ব্যবহার করা যায়।
Shopify Dropshipping Winning Products: ৭ দিনে লক্ষাধিক টাকা আয়, ড্রপশিপিংয়ের গোপন ফর্মুলা ফাঁস!
সাধারণ মেকআপ ভুল এড়ানোর উপায়
অনেকেই মেকআপ করতে গিয়ে কিছু সাধারণ ভুল করেন যা পুরো লুক নষ্ট করে দেয়।
যে ভুলগুলো এড়িয়ে চলবেন
-
ভুল শেড নির্বাচন: ফাউন্ডেশন সবসময় ন্যাচারাল লাইটে টেস্ট করুন
-
অতিরিক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার: কম দিয়ে শুরু করে প্রয়োজনে বাড়ান
-
ব্লেন্ডিং না করা: প্রতিটি প্রোডাক্ট ভালো করে ব্লেন্ড করুন
-
ঘাড়ে মেকআপ না মেশানো: মুখ ও ঘাড়ের সংযোগস্থল ব্লেন্ড করুন
-
স্কিনকেয়ার এড়িয়ে যাওয়া: মেকআপের আগে স্কিনকেয়ার অপরিহার্য
২০২৫ সালের মেকআপ ট্রেন্ড
বিউটি ইন্ডাস্ট্রি প্রতি বছর ৭.৭% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নতুন ট্রেন্ড আসছে। Hindustan Times-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালে স্কিনকেয়ার ও মেকআপের মধ্যে সীমারেখা আরও ঝাপসা হচ্ছে।
চলমান ট্রেন্ড
-
সেরাম ব্লাশ: স্কিনকেয়ার উপাদান সমৃদ্ধ মেকআপ
-
গ্লাস স্কিন: অতি উজ্জ্বল, স্বচ্ছ ত্বক
-
নো-মেকআপ মেকআপ: প্রাকৃতিক, মিনিমাল লুক
-
ক্রিম প্রোডাক্ট: পাউডারের চেয়ে ক্রিম বেশি জনপ্রিয়
-
মাল্টি-ইউজ প্রোডাক্ট: একটি প্রোডাক্ট বহু কাজে
মেকআপ করার ৩:১:১ নিয়ম একটি সহজ কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি যা প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্টরা বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করে আসছেন। এই নিয়ম অনুসরণ করলে ব্রঞ্জার, ব্লাশ এবং হাইলাইটার একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে এবং মুখে স্বাভাবিক ডাইমেনশন তৈরি করে। সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন, উপযুক্ত প্লেসমেন্ট এবং যথাযথ ব্লেন্ডিং – এই তিনটি বিষয় মাথায় রাখলে যেকোনো মেকআপ লুক সফল হয়। মনে রাখবেন, মেকআপ হলো আপনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলার মাধ্যম, ঢেকে রাখার নয়। তাই প্র্যাক্টিস করুন, নিজের স্টাইল খুঁজে বের করুন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেকে উপস্থাপন করুন।











