microRNA Nobel Prize significance biology: ২০২৪ সালের চিকিৎসাবিজ্ঞান বা শরীরতত্ত্ব বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যাম্ব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন। তাঁরা মাইক্রোRNA আবিষ্কার এবং জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা নিয়ে গবেষণার জন্য এই সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেছেন।
কিন্তু ২০০০ সালে রুভকুন আবিষ্কার করেন যে এই প্রক্রিয়া প্রায় সব প্রাণীর মধ্যেই বিদ্যমান। এই গবেষণা আণবিক জীববিজ্ঞানে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসে, যার মানব স্বাস্থ্য ও রোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
৫০ বছরের রহস্য উন্মোচন: নতুন রক্তের গ্রুপ ‘MAL’ আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা!
১. মাইক্রোRNA সাধারণত ২২টি নিউক্লিওটাইড দ্বারা গঠিত।
২. এর বেস সিকোয়েন্স লক্ষ্য mRNA-এর একটি অংশের সাথে পূরক হয়।
৩. মাইক্রোRNA লক্ষ্য mRNA-এর সাথে বাঁধা পড়লে, সেই mRNA হয় ধ্বংস হয়ে যায় অথবা প্রোটিন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়ে।
৪. এভাবে মাইক্রোRNA নির্দিষ্ট প্রোটিনের উৎপাদন বন্ধ করতে পারে।
২০০০ সাল থেকে গবেষকরা হাজার হাজার নতুন মাইক্রোRNA আবিষ্কার করেছেন। এগুলি মানব জিনোমের প্রায় ৬০% জিনের নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। মাইক্রোRNA প্রাণীর বিকাশ, কোষের বিভেদীকরণ, কোষ বিভাজন, কোষের মৃত্যু এবং বিভিন্ন রোগ, বিশেষ করে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১. ২০১৩ সালে প্রথম মানব মাইক্রোRNA (miRNA-34a) নিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়।
২. বর্তমানে হেপাটাইটিস সি, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার এবং হৃদরোগের চিকিৎসায় মাইক্রোRNA নিয়ে গবেষণা চলছে।
৩. যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮১টি ক্লিনিকাল ট্রায়াল নিবন্ধিত হয়েছে, যার মধ্যে ২১৫টি সম্পন্ন হয়েছে।
৪. তবে নিরাপত্তার কারণে ২০টি ট্রায়াল বন্ধ করা হয়েছে।
১. এটি জিন নিয়ন্ত্রণের একটি সম্পূর্ণ নতুন নীতি প্রকাশ করেছে।
২. বহুকোষী জীবের জন্য এটি অপরিহার্য।
৩. মানব জিনোম ১০০০ এরও বেশি মাইক্রোRNA-এর জন্য কোড বহন করে।
৪. এটি জীবের বিকাশ ও কার্যকলাপের জন্য মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
১. ১৯৯৩: অ্যাম্ব্রোস ও রুভকুন স্বতন্ত্রভাবে C. elegans কৃমিতে মাইক্রোRNA আবিষ্কার করেন।
২. ২০০০: রুভকুন প্রায় সব প্রাণীতে এই প্রক্রিয়া বিদ্যমান আছে তা প্রমাণ করেন।
৩. ২০১৩: প্রথম মানব মাইক্রোRNA নিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়।
৪. ২০২৪: অ্যাম্ব্রোস ও রুভকুন নোবেল পুরস্কার লাভ করেন
১. ১৯৬৫: mRNA আবিষ্কার
২. ১৯৮৯: RNA-এর এনজাইম হিসেবে ভূমিকা
৩. ২০০৬: RNA ইন্টারফেরেন্স
৪. ২০২৩: mRNA ভ্যাকসিন
৫. ২০২৪: মাইক্রোRNA
এই ক্রমাগত পুরস্কার প্রমাণ করে যে বিজ্ঞানীরা ক্রমশ উপলব্ধি করছেন যে RNA, DNA-এর চেয়েও কোষের সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখার কেন্দ্রে রয়েছে।
নোবেল পুরস্কার ২০২৪: মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কারকদের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল, অ
১. নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবনের সম্ভাবনা রয়েছে।
২. ক্যান্সার, হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে।
৩. জিন থেরাপি ও ব্যক্তিগত চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৪. কৃষি ও পরিবেশ বিজ্ঞানে নতুন প্রযুক্তির সূচনা করতে পারে।
মাইক্রোRNA আবিষ্কার জীববিজ্ঞানে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এটি শুধু জিন নিয়ন্ত্রণের নতুন নীতি প্রকাশ করেনি, বরং RNA-এর গুরুত্বকেও তুলে ধরেছে। এই আবিষ্কার চিকিৎসাবিজ্ঞান, কৃষি ও পরিবেশ বিজ্ঞানে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। অ্যাম্ব্রোস ও রুভকুনের এই গবেষণা প্রমাণ করে যে মৌলিক বিজ্ঞান গবেষণায় বিনিয়োগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে তা মানব কল্যাণে অবদান রাখতে পারে।