পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ চায়, সরকারের দয়া নয়: ভবিষ্যৎ কোন পথে?

২০২০ সালের সেই লকডাউনের ছবিগুলো আমাদের স্মৃতিতে এখনও তাজা। শত শত কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে, অভুক্ত অবস্থায়, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাঁরা ভারতের পরিযায়ী শ্রমিক বা…

Chanchal Sen

 

২০২০ সালের সেই লকডাউনের ছবিগুলো আমাদের স্মৃতিতে এখনও তাজা। শত শত কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে, অভুক্ত অবস্থায়, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাঁরা ভারতের পরিযায়ী শ্রমিক বা migrant workers – দেশের অর্থনীতির অদৃশ্য চালিকাশক্তি। কোভিড-১৯ মহামারী তাঁদের দুর্দশা বিশ্বের সামনে তুলে ধরলেও, সমস্যাটি অনেক গভীরে এবং পুরনো। এঁরা কোনো দয়া বা অনুদান চান না; চান কাজের সুযোগ, সামাজিক সুরক্ষা এবং মানবিক মর্যাদা। সাম্প্রতিক তথ্য ও পরিসংখ্যান এটাই প্রমাণ করে যে, এই বিশাল কর্মশক্তিকে শুধুমাত্র ত্রাণ বা দয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে চলবে না, তাঁদের অধিকার এবং অর্থনীতিতে তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি মজবুত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করা অপরিহার্য। ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ই-শ্রম (e-Shram) পোর্টালে প্রায় ২৯ কোটিরও বেশি অসংগঠিত শ্রমিক নথিভুক্ত হয়েছেন, যার একটি বিশাল অংশই পরিযায়ী শ্রমিক। এই বিপুল সংখ্যাই বুঝিয়ে দেয় যে, তাঁদের উপেক্ষা করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

পরিযায়ী শ্রমিকের প্রেক্ষাপট ও পটভূমি

ভারতে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন বা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজের জন্য পাড়ি জমানোর ইতিহাস বহু পুরনো। এর পেছনে মূল কারণগুলো হলো:

  • পুশ ফ্যাক্টর (Push Factors): গ্রামের দিকে কৃষি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কর্মসংস্থানের অভাব, সামাজিক বৈষম্য এবং ঋণের বোঝা অনেককে নিজের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করে।
  • পুল ফ্যাক্টর (Pull Factors): শহরের দিকে উন্নত জীবনযাত্রা, বেশি মজুরি, কলকারখানা এবং নির্মাণ শিল্পে কাজের সুযোগ তাঁদের আকর্ষণ করে।

এই migrant workers-রা মূলত নির্মাণ, কৃষি, পোশাক শিল্প, হোটেল-রেস্তোরাঁ, পরিবহন এবং গৃহকর্মের মতো অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। তাঁরা শহরের পরিকাঠামো তৈরি করেন, কিন্তু নিজেরা থেকে যান পরিকাঠামোর বাইরে – অস্বাস্থ্যকর বস্তিতে, অস্থায়ী শিবিরে, ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা ছাড়া।

বর্তমান পরিস্থিতি এবং সর্বশেষ পরিসংখ্যান

পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের গুরুত্ব এবং তাঁদের দুর্দশা, দুটোই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

  • অর্থনীতিতে অবদান: বিভিন্ন বেসরকারি রিপোর্ট এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের জিডিপি-তে (GDP) পরিযায়ী শ্রমিকদের অবদান প্রায় ১০%। তাঁরা শহর থেকে যে টাকা বা রেমিটেন্স গ্রামে পাঠান, তা গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রাপক দেশ, যার একটি বড় অংশ অভ্যন্তরীণ পরিযায়ীদের পাঠানো অর্থ।
  • অভিবাসনের কেন্দ্র: ভারতে অভিবাসনের একটি নির্দিষ্ট ধারা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কাজের জন্য বাইরে যান। তাঁদের প্রধান গন্তব্যস্থল হলো দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং কর্ণাটকের মতো শিল্পোন্নত রাজ্যগুলো।
  • ই-শ্রম পোর্টালের তথ্য: ভারত সরকারের e-Shram পোর্টাল অসংগঠিত শ্রমিকদের একটি জাতীয় ডেটাবেস তৈরির যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই পোর্টালে নথিভুক্ত শ্রমিকদের মধ্যে একটি বড় অংশ নির্মাণ, কৃষি এবং পোশাক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত, যা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রধান কর্মক্ষেত্র। এই পোর্টালের মাধ্যমে তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
  • চ্যালেঞ্জের পরিসংখ্যান: সত্ত্বা কনসাল্টিং (Sattva Consulting)-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে প্রায় ৬২% শ্রমিকের কোনো আনুষ্ঠানিক কাজের চুক্তি নেই, ৫৩% কোনো সামাজিক সুরক্ষা (যেমন প্রভিডেন্ট ফান্ড বা স্বাস্থ্য বীমা) পান না, এবং ৪৯% সবেতন ছুটির অধিকারী নন। এই পরিসংখ্যান migrant workers-দের কর্মক্ষেত্রের ভয়াবহ অনিশ্চয়তা তুলে ধরে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ

Migrant workers-দের জীবনযাত্রা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।

সামাজিক সুরক্ষা ও পোর্টেবিলিটির গোলকধাঁধা

এঁদের অধিকাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করার ফলে প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, স্বাস্থ্য বীমা (ESI) বা পেনশনের মতো সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। যদিও সরকারের আয়ুষ্মান ভারত বা প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা-র মতো প্রকল্প রয়েছে, কিন্তু সচেতনতার অভাব এবং নথিভুক্তির জটিলতার কারণে অনেকেই এর আওতার বাইরে থেকে যান। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পোর্টেবিলিটি বা সুবিধা স্থানান্তরের অক্ষমতা। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলে রেশন কার্ড, স্বাস্থ্য পরিষেবা বা সন্তানের পড়াশোনার মতো সুবিধাগুলো স্থানান্তর করা কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ (One Nation One Ration Card) প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে, তবে এর বাস্তবায়ন এখনও সর্বত্র মসৃণ নয়।

নারী পরিযায়ী শ্রমিকদের দ্বিগুণ সংগ্রাম

নারী পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা আরও গভীর। তাঁরা একদিকে যেমন কর্মক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্য, শোষণ এবং असुरक्षित পরিবেশের শিকার হন, তেমনই অন্যদিকে তাঁদের উপর পরিবার ও সন্তানের দেখভালের দায়িত্বও থাকে। নির্মাণ ক্ষেত্র বা ইটভাটায় কর্মরত নারীরা প্রায়শই স্বাস্থ্যকর শৌচাগার বা স্যানিটেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়া, কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার ঝুঁকিও তাঁদের জন্য এক ভয়াবহ বাস্তবতা।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও আবাসন

এঁরা সাধারণত শহরের অস্বাস্থ্যকর বস্তি বা নির্মাণস্থলের কাছাকাছি অস্থায়ী শিবিরে বসবাস করেন, যেখানে পানীয় জল, শৌচাগার এবং পরিচ্ছন্নতার شدید অভাব থাকে। এর ফলে তাঁরা জলবাহিত রোগ এবং অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধিতে সহজেই আক্রান্ত হন।

শোষণ ও আইনি সুরক্ষার অভাব

প্রায়শই এঁরা মধ্যস্বত্বভোগী বা ঠিকাদারদের দ্বারা শোষিত হন। সময়মতো মজুরি না পাওয়া, নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করানো এবং ন্যূনতম মজুরির থেকেও কম টাকা দেওয়া এক সাধারণ ঘটনা। আইনি জ্ঞানের অভাবে তাঁরা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে পারেন না।

আইনি কাঠামো এবং নতুন শ্রম কোড

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ভারতে আইনি কাঠামো থাকলেও তার প্রয়োগ অত্যন্ত দুর্বল।

  • দ্য ইন্টার-স্টেট মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কমেন অ্যাক্ট, ১৯৭৯: এই আইনটি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিবন্ধন, সমান মজুরি, যাতায়াতের খরচ, উপযুক্ত আবাসন এবং চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে, ঠিকাদাররা খুব কমই শ্রমিকদের নিবন্ধন করাতেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নজরদারির অভাবে এটি প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছিল।
  • অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস (OSH) কোড, ২০২০: সাম্প্রতিক শ্রম সংস্কারের অংশ হিসেবে, সরকার ১৯৭৯ সালের আইনসহ ১৩টি পুরনো শ্রম আইনকে একত্রিত করে এই নতুন কোডটি তৈরি করেছে। এতে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি জাতীয় ডেটাবেস তৈরি, বছরে একবার বাড়ি যাওয়ার জন্য যাতায়াত ভাতা প্রদান এবং হেল্পলাইন স্থাপনের মতো ইতিবাচক দিক রয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে, এই কোডটি শুধুমাত্র সেইসব ঠিকাদারদের উপর প্রযোজ্য হবে যাদের অধীনে ১০ বা তার বেশি শ্রমিক কাজ করেন, ফলে একটি বিশাল সংখ্যক শ্রমিক এর আওতার বাইরে থেকে যাবেন।

অর্থনীতি ও সমাজে প্রভাব

অর্থনৈতিক অবদান

Migrant workers-দের অবদান অনস্বীকার্য।

  1. শহুরে অর্থনীতির চালিকাশক্তি: নির্মাণ শিল্প থেকে শুরু করে উৎপাদন এবং পরিষেবা ক্ষেত্র – এই শ্রমিকদের ছাড়া কার্যত অচল। সস্তা শ্রমের যোগান দিয়ে তাঁরা শহরের বিকাশের গতিকে ত্বরান্বিত করেন।
  2. গ্রামীণ অর্থনীতির Lifeline: শহর থেকে গ্রামে পাঠানো টাকা বা রেমিটেন্স গ্রামীণ পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান উৎস।

অভিবাসনের সামাজিক মূল্য

তবে এর একটি সামাজিক মূল্যও রয়েছে। অভিবাসনের কারণে বহু পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গ্রামে থেকে যাওয়া মহিলা, শিশু এবং বৃদ্ধরা মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। শিশুরা বাবা-মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়, যা তাদের পড়াশোনা এবং মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে, শহরে আসা শ্রমিকরা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্বের শিকার হন।

ভবিষ্যতের পথ: সুপারিশ ও সমাধান

পরিযায়ী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে একটি বহুমাত্রিক এবং সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

  • নীতির সঠিক বাস্তবায়ন: নীতি আয়োগের (NITI Aayog) খসড়া নীতিকে আইনে পরিণত করে তার দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। রাজ্যগুলির মধ্যে একটি শক্তিশালী সমন্বয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
  • প্রযুক্তির ব্যবহার: প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শ্রমিকদের জন্য একটি সার্বজনীন পরিচয়পত্র তৈরি করা যেতে পারে, যা সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ফিনটেক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সহজে এবং কম খরচে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
  • মাইগ্রেশন রিসোর্স সেন্টার (MRC) স্থাপন: বিভিন্ন শহরে Migration Resource Centres স্থাপন করা প্রয়োজন, যেখান থেকে শ্রমিকরা আইনি পরামর্শ, সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
  • সুলভ আবাসন: সরকারের Affordable Rental Housing Complexes (ARHCs) প্রকল্পের মতো উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • স্থানীয় স্তরে কর্মসংস্থান: শুধুমাত্র শহরের উপর নির্ভরতা কমাতে ‘MGNREGA’-এর মতো প্রকল্পগুলোকে আরও শক্তিশালী করে গ্রামীণ স্তরে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।

পরিযায়ী শ্রমিকরা ভারতের উন্নয়নের এক নীরব অংশীদার। তাঁরা দয়া বা করুণার পাত্র নন, বরং অধিকার ও মর্যাদার দাবিদার। কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের শিখিয়েছে যে, এই অদৃশ্য শক্তিকে উপেক্ষা করার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। এখন সময় এসেছে ত্রাণ-ভিত্তিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে একটি অধিকার-ভিত্তিক, দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খোঁজার। Migrant workers-দের জন্য একটি সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, আইনি সুরক্ষা এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারলেই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এবং এক উন্নত ভারত গড়ার স্বপ্ন সার্থক হবে।

 

About Author
Chanchal Sen

চঞ্চল সেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। তিনি একজন অভিজ্ঞ লেখক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক, যিনি পলিটিক্স নিয়ে লেখালিখিতে পারদর্শী। চঞ্চলের লেখায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের গভীর বিশ্লেষণ এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর সঠিক উপস্থাপন পাঠকদের মুগ্ধ করে। তার নিবন্ধ এবং মতামতমূলক লেখা বস্তুনিষ্ঠতা ও বিশ্লেষণধর্মিতার কারণে পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। চঞ্চল সেনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং গভীর গবেষণা তাকে রাজনৈতিক সাংবাদিকতার জগতে একটি স্বতন্ত্র স্থান প্রদান করেছে। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে পাঠকদের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং সমাজে পরিবর্তন আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন।