Most Ignored Cancer Symptoms Women Men: প্রতিদিন আমরা যে শারীরিক পরিবর্তনগুলি অনুভব করি, তার মধ্যে কিছু হয়তো ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু অনেক সময় আমরা সেগুলিকে গুরুত্ব দিই না। ফলে রোগ নির্ণয়ে দেরি হয় এবং চিকিৎসা জটিল হয়ে ওঠে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ২০টি লক্ষণ যা পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
খাওয়া-দাওয়া ও ব্যায়ামের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই যদি হঠাৎ করে ওজন কমতে থাকে, তা হতে পারে পাকস্থলী, ফুসফুস বা পঞ্চাশের ক্যান্সারের লক্ষণ।
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি যা ঘুমালেও কাটে না, তা লিউকেমিয়া বা লিম্ফোমার লক্ষণ হতে পারে।
বারবার জ্বর হওয়া বা ঘন ঘন সংক্রমণ হওয়া লিউকেমিয়ার লক্ষণ হতে পারে।
তিল বা জন্মচিহ্নের আকার, রঙ বা আকৃতির পরিবর্তন ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে জ্বালা বা রক্ত আসা প্রোস্টেট বা মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
মল বা প্রস্রাবে রক্ত আসা, নাক দিয়ে রক্তপাত হওয়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া গলা বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা হাঁপানি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
স্তনে গাঁট, বোঁটায় পরিবর্তন বা নিঃসরণ স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
ঘন ঘন মাথাব্যথা যা ওষুধে সারে না, তা মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী পেটব্যথা বা পেটফাঁপা অবস্থা ওভারি বা পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
অব্যাখ্যাত হাড়ে ব্যথা হাড়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
রজঃস্রাব বন্ধ হওয়ার পরেও রক্তপাত হওয়া জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
চোখে অব্যাখ্যাত ব্যথা চোখের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
হাত-পা বা অন্যান্য অঙ্গে অস্বাভাবিক ফোলাভাব লিম্ফোমার লক্ষণ হতে পারে।
গলায় বা ঘাড়ে অস্বাভাবিক গাঁট থাইরয়েড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
মুখে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত যা সারে না, তা মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
অণ্ডকোষে ফোলাভাব বা ব্যথা অণ্ডকোষের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী বুকে ব্যথা ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১৪.৫ লক্ষ নতুন ক্যান্সার রোগী ধরা পড়ে। এর মধ্যে পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মুখের ক্যান্সার, যা মোট ক্যান্সার রোগীর ১৬% এর বেশি। মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, যা মোট মহিলা ক্যান্সার রোগীর ১৪% এর বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে অধিকাংশ ক্যান্সারই সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। তাই নিজের শরীরের প্রতি সজাগ থাকুন, কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, সতর্কতাই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আপনার প্রথম প্রতিরক্ষা।
কোন ক্যান্সার সিম্পটমগুলি সবচেয়ে সাধারণত ভুলে যাওয়া যায়
ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ যা প্রায়ই নীরবভাবে শরীরে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি এতটাই সাধারণ যে আমরা সেগুলি উপেক্ষা করি বা অন্য কোনো কম গুরুতর সমস্যার সাথে মিশিয়ে ফেলি। এখানে কিছু সাধারণত ভুলে যাওয়া ক্যান্সারের লক্ষণগুলি তুলে ধরা হলো, যা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
অনেক সময় ওজন হ্রাসকে আমরা ডায়েট বা ব্যায়ামের ফলাফল বলে মনে করি। কিন্তু যদি কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে ওজন কমতে থাকে, তা হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। বিশেষ করে পাকস্থলী, ফুসফুস বা প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি সাধারণ।
ক্লান্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি সাধারণ অংশ। তবে যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও ক্লান্তি না কাটে, তা হতে পারে লিউকেমিয়া বা লিম্ফোমার লক্ষণ।
মল বা প্রস্রাবে রক্ত আসা, নাক দিয়ে রক্তপাত হওয়া বা মাসিকের সময় অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে কোলন, প্রোস্টেট বা জরায়ুর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি সাধারণ।
তিল বা জন্মচিহ্নের আকার, রঙ বা আকৃতির পরিবর্তন ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে মেলানোমা ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা শ্বাসকষ্ট ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি কাশি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে এবং কোনো ওষুধে সারে না, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া গলা বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এটি ফুসফুস বা পাকস্থলীর ক্যান্সারেরও লক্ষণ হতে পারে।
মাথাব্যথা যা সাধারণ ওষুধে সারে না এবং দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে, তা মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণ হতে পার।
দীর্ঘস্থায়ী পেটব্যথা বা পেটফাঁপা অবস্থা ওভারি বা পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি এটি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শরীরের যেকোনো স্থানে অস্বাভাবিক গাঁট বা ফোলাভাব লিম্ফোমা বা অন্যান্য ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং কোনো ওষুধে সারে না।
বারবার জ্বর হওয়া বা ঘন ঘন সংক্রমণ হওয়া লিউকেমিয়া বা লিম্ফোমার লক্ষণ হতে পারে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতার ফলাফল হতে পারে।
মুখে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত যা সারে না, তা মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি সাধারণ।
স্তনে গাঁট, বোঁটায় পরিবর্তন বা নিঃসরণ স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এটি পুরুষদের ক্ষেত্রেও হতে পারে, যদিও মহিলাদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।
ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে জ্বালা বা রক্ত আসা প্রোস্টেট বা মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এটি পুরুষদের মধ্যে সাধারণত বেশি দেখা যায়।
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি এটি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চোখে অব্যাখ্যাত ব্যথা চোখের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং কোনো ওষুধে সারে না।
অণ্ডকোষে ফোলাভাব বা ব্যথা অণ্ডকোষের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এটি পুরুষদের মধ্যে সাধারণত বেশি দেখা যায়।
গলায় বা ঘাড়ে অস্বাভাবিক গাঁট থাইরয়েড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এটি মহিলাদের মধ্যে সাধারণত বেশি দেখা যায়।
শরীরে র্যাশ বা ত্বকের পরিবর্তন লিউকেমিয়া বা অন্যান্য রক্তের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এটি সাধারণত ত্বকের নিচে ছোট রক্তনালীর ফেটে যাওয়ার কারণে হয়।
অব্যাখ্যাত হাড়ে ব্যথা হাড়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এটি সাধারণত হাড়ের দুর্বলতার কারণে হয়।
রজঃস্রাব বন্ধ হওয়ার পরেও রক্তপাত হওয়া জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এটি মহিলাদের মধ্যে সাধারণত বেশি দেখা যায়।
ক্যান্সারের লক্ষণগুলি নিয়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলা অনেক সময় ভীতিকর এবং বিভ্রান্তিকর হতে পারে। তবে, সঠিকভাবে যোগাযোগ করা এবং আপনার লক্ষণগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো যা আপনাকে চিকিৎসকের সাথে ক্যান্সারের লক্ষণগুলি নিয়ে আলোচনা করতে সাহায্য করবে।
আপনার শরীরে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে তা চিকিৎসককে জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি যদি এটি তেমন গুরুতর না মনে হয় বা আপনি লজ্জা পান, তবুও চিকিৎসকের সাথে শেয়ার করুন। চিকিৎসকরা পেশাদার এবং বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ নিয়ে কাজ করেন, তাই তারা আপনার সমস্যাগুলি বুঝতে পারবেন এবং সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।
আপনার সমস্ত লক্ষণগুলি চিকিৎসককে জানানো উচিত। কোনো লক্ষণকে বয়সের কারণে বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার অংশ বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়। যদি কিছু আপনাকে বিরক্ত করে, তাহলে তা চিকিৎসককে জানানো উচিত। বিশেষ করে যদি আপনি অনলাইন বা ফোনে চিকিৎসকের সাথে কথা বলছেন, তাহলে যতটা সম্ভব বিস্তারিত তথ্য দিন।
আপনার লক্ষণগুলি বর্ণনা করার জন্য প্রস্তুতি নিন। কতদিন ধরে এই লক্ষণগুলি আছে, কীভাবে এটি শুরু হয়েছে এবং কী করলে এটি ভালো বা খারাপ হয়, তা লিখে রাখুন। এছাড়াও, আপনি যে ওষুধগুলি নিচ্ছেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন, যাতে চিকিৎসককে জানাতে পারেন। একটি কলম এবং কাগজ রাখুন, যাতে আপনি আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নোট নিতে পারেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলি লিখে রাখতে পারেন।
আপনার চিকিৎসকের সাথে দেখা করার আগে আপনার প্রশ্নগুলি লিখে রাখুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি প্রথমে লিখুন, যাতে আপনি কিছু ভুলে না যান। আপনার প্রশ্নগুলি সংক্ষিপ্ত এবং নির্দিষ্ট রাখার চেষ্টা করুন, কারণ চিকিৎসকের সময় সীমিত হতে পারে।
আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্টে একজন বন্ধু বা পরিবারের সদস্যকে সাথে নিয়ে যান। তারা আপনার জন্য নোট নিতে পারে এবং এমন কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে যা আপনি ভুলে গেছেন। এছাড়াও, তারা আপনার লক্ষণগুলি বা চিকিৎসার বিবরণ মনে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
চিকিৎসকের উত্তরগুলি লিখে রাখুন। এটি আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ, নির্দেশনা এবং তথ্য মনে রাখতে সাহায্য করবে। যদি আপনি নিজে লিখতে না পারেন, তাহলে আপনার সাথে আসা ব্যক্তিকে এটি করতে বলুন। একটি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে নোট নেওয়াও একটি ভালো উপায় হতে পারে।
যদি আপনার চিকিৎসক অনুমতি দেন, তাহলে আপনার সাক্ষাৎকারটি রেকর্ড করুন। এটি আপনাকে তথ্যগুলি পুনরায় শুনতে এবং পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে সাহায্য করবে।
যদি আপনি চিকিৎসকের কথা বুঝতে সমস্যা করেন, তাহলে “আমি বুঝতে পারছি না” বলুন। এটি “আপনি অস্পষ্ট বলছেন” বলার চেয়ে বেশি কার্যকর হবে। যদি কিছু অস্পষ্ট হয়, তাহলে চিকিৎসকের কথা পুনরাবৃত্তি করে বলুন, যেমন “তাহলে আপনি বলতে চাইছেন যে…” বা “তাহলে আমি মনে করি আপনি বলছেন যে…”।
যদি আপনি কিছু জানেন না বা বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে নির্দিষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন করুন। যদি আপনি এখনও বিভ্রান্ত হন বা প্রশ্নের উত্তর বুঝতে না পারেন, তাহলে চিকিৎসক বা নার্সকে জিজ্ঞাসা করুন যে তারা অন্য সময়ে এটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে পারেন কিনা।
যদি আপনি ভিজ্যুয়াল এইডস দিয়ে ভালোভাবে বুঝতে পারেন, তাহলে চিকিৎসককে আপনার রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার বিষয়ে তথ্য লিখে দিতে বলুন। এক্স-রে বা স্লাইডগুলি দেখতে চাইতে পারেন।
মন্তব্য করুন