মুখের ভিতর সাদা ঘা (Mouth Ulcer): কারণ, প্রতিকার এবং প্রতিরোধের কার্যকরী উপায়

মুখের ভেতরের ঝিল্লিতে (mucous membrane) ছোট, বেদনাদায়ক ক্ষত বা ঘা প্রায় প্রত্যেকেরই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে হয়ে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে ‘অ্যাপথাস আলসার’ (Aphthous Ulcer) বলা হয়। যদিও এটি…

Avatar

 

মুখের ভেতরের ঝিল্লিতে (mucous membrane) ছোট, বেদনাদায়ক ক্ষত বা ঘা প্রায় প্রত্যেকেরই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে হয়ে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে ‘অ্যাপথাস আলসার’ (Aphthous Ulcer) বলা হয়। যদিও এটি সাধারণত ক্ষতিকর নয়, তবে এর কারণে খেতে, কথা বলতে বা দাঁত ব্রাশ করতে তীব্র অসুবিধা হতে পারে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৫% মানুষ বারবার এই সমস্যায় আক্রান্ত হন, যা রেকারেন্ট অ্যাপথাস স্টোমাটাইটিস (Recurrent Aphthous Stomatitis) নামে পরিচিত। এই আর্টিকেলে আমরা মুখের সাদা ঘা বা mouth ulcer treatment সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য, বিশেষজ্ঞের মতামত এবং ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মুখের সাদা ঘা কেন হয়?

মুখের ভেতরে ঘা হওয়ার কোনো একক নির্দিষ্ট কারণ নেই। বরং এটি বিভিন্ন কারণের সম্মিলিত ফল হিসেবে দেখা দেয়। সাধারণত, সাদা বা হলুদাভ এই ঘাগুলোর চারপাশে লাল বৃত্ত দেখা যায় এবং এগুলো জিহ্বা, গালের ভেতরের অংশ, ঠোঁট বা মাড়ির নরম অংশে হয়ে থাকে।

সাধারণ কারণসমূহ:

  • আঘাতজনিত (Traumatic Ulcers): অসাবধানতাবশত গালে বা জিহ্বায় কামড় লাগা, শক্ত টুথব্রাশের খোঁচা, ভাঙা দাঁতের ধারালো অংশ বা ত্রুটিপূর্ণ ডেন্টাল ব্রেসের (dental braces) কারণে ঘা হতে পারে।
  • খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত অ্যাসিডিক, মসলাদার বা নোনতা খাবার (যেমন – চিপস, লেবু, আনারস, টমেটো) মুখের ঘা তৈরি করতে পারে বা বিদ্যমান ঘায়ের অবস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে।
  • পুষ্টির অভাব: আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেট (ফলিক অ্যাসিড) এবং বিশেষ করে ভিটামিন বি১২-এর অভাব মুখের ঘা হওয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
  • মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: মানসিক চাপ এবং ঘুমের অভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, যা মুখের ঘা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • হরমোনের পরিবর্তন: অনেক মহিলার ক্ষেত্রে মাসিকের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মুখের ঘা হতে দেখা যায়।
  • জেনেটিক্স: পরিবারে কারও বারবার মুখের ঘা হওয়ার ইতিহাস থাকলে অন্যদেরও এই প্রবণতা দেখা যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৪০% রোগীর ক্ষেত্রেই এটি বংশগত।

অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা:

কিছু ক্ষেত্রে, বারবার মুখের ঘা হওয়া কোনো গভীর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন:

  • সিলিয়াক ডিজিজ (Celiac disease)
  • ক্রোনস ডিজিজ (Crohn’s disease)
  • আলসারেটিভ কোলাইটিস (Ulcerative colitis)
  • দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (যেমন – এইচআইভি/এইডস)
  • রিঅ্যাকটিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis)

সর্বশেষ আপডেট ও পরিসংখ্যান

যদিও বাংলাদেশে মুখের ঘা বা অ্যাপথাস আলসারের প্রকোপ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো জাতীয় সমীক্ষার হালনাগাদ তথ্য পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল গবেষণা থেকে ধারণা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, “Colchicine in the Treatment of Recurrent Oral Aphthous Ulcer” শিরোনামে বাংলাদেশে পরিচালিত একটি গবেষণায় বারবার মুখে ঘা হওয়া রোগীদের চিকিৎসার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে এটি একটি সাধারণ সমস্যা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মানুষ মুখ ও দাঁতের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। মুখের ঘা এই সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা একজন ব্যক্তির জীবনযাত্রার মানকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি खाने, কথা বলা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিভিন্ন ধরণের মুখের সাদা ঘা

মুখের সব সাদা ঘা এক রকম নয়। সঠিক mouth ulcer treatment শুরু করার আগে এদের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি।

  • অ্যাপথাস আলসার (Aphthous Ulcer/Canker Sores): এটি সবচেয়ে সাধারণ প্রকার। এগুলো ছোট, গোলাকার এবং সংক্রামক নয়। সাধারণত ৭-১৪ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়।
  • ওরাল থ্রাশ (Oral Thrush): এটি ক্যানডিডা অ্যালবিকানস (Candida albicans) নামক ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে হয়। এতে মুখের ভেতরে সাদা স্তর বা ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়, যা ঘষে তুললে নিচে লাল ক্ষত বেরিয়ে আসে।
  • লিউকোপ্লাকিয়া (Leukoplakia): এতে মুখের ভেতরে পুরু, সাদা বা ধূসর প্যাচ তৈরি হয় যা ঘষলেও ওঠে না। এটি সাধারণত ধূমপান বা তামাক সেবনের কারণে হয় এবং এর মধ্যে কিছু প্যাচ ক্যান্সারের পূর্বাবস্থা (precancerous) হতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
  • কোল্ড সোর (Cold Sores): এটি হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (HSV-1) দ্বারা সৃষ্ট এবং সাধারণত ঠোঁটের বাইরে বা আশেপাশে দেখা যায়। এটি অত্যন্ত সংক্রামক।
বৈশিষ্ট্য অ্যাপথাস আলসার (Canker Sore) ওরাল থ্রাশ (Oral Thrush) লিউকোপ্লাকিয়া (Leukoplakia)
অবস্থান গালের ভেতর, জিহ্বা, ঠোঁটের নরম অংশ মুখের যেকোনো জায়গায় হতে পারে মাড়ি, গালের ভেতর, জিহ্বার নিচে
চেহারা সাদা/হলুদ কেন্দ্র ও লাল সীমানা ক্রিম-সাদা স্তর বা ছোপ পুরু, সাদা/ধূসর প্যাচ
সংক্রামক? না সামান্য (বিশেষ ক্ষেত্রে) না
কারণ আঘাত, স্ট্রেস, পুষ্টির অভাব ছত্রাক (Candida albicans) তামাক, অ্যালকোহল, জ্বালা
সাধারণ চিকিৎসা টপিকাল জেল, ঘরোয়া প্রতিকার অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ঔষধ কারণ দূর করা, বায়োপসি

বিশেষজ্ঞের মতামত ও চিকিৎসা (Expert Opinions & Mouth Ulcer Treatment)

খ্যাতনামা দন্ত্য বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুখের ঘা নিয়ে অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকদের মতে, বেশিরভাগ ঘা ৭-১০ দিনের মধ্যে সেরে গেলেও, যদি কোনো ঘা তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় বা বারবার হতে থাকে, তবে অবশ্যই একজন বিডিএস ডিগ্রিধারী ডেন্টিস্ট বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি:

  1. টপিকাল অয়েন্টমেন্ট ও জেল: ব্যথা কমাতে এবং নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুত করতে চিকিৎসকরা সাধারণত ক্লোরহেক্সিডিন (chlorhexidine) যুক্ত মাউথওয়াশ বা অ্যানাস্থেটিক (যেমন – লিডোকেন) ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানযুক্ত জেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন। বাংলাদেশের বাজারে Bongel, Gelora, বা Miconazole যুক্ত ওরাল জেল বেশ পরিচিত।
  2. কর্টিকোস্টেরয়েড (Corticosteroids): যদি ঘা এর তীব্রতা অনেক বেশি হয়, তবে ট্রায়ামসিনোলোন (triamcinolone) এর মতো টপিকাল স্টেরয়েড বা গুরুতর ক্ষেত্রে খাওয়ার জন্য স্টেরয়েড ট্যাবলেট দেওয়া হতে পারে।
  3. লেজার থেরাপি: সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লো-লেভেল লেজার থেরাপি (Low-Level Laser Therapy) মুখের ঘায়ের ব্যথা তাৎক্ষণিকভাবে কমাতে এবং দ্রুত সারাতে অত্যন্ত কার্যকর।
  4. সাপ্লিমেন্টস: যদি পুষ্টির অভাব কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়, তবে চিকিৎসক ভিটামিন বি১২, আয়রন বা ফোলেট সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দেবেন।

ঘরোয়া প্রতিকার: সুবিধা ও অসুবিধা

প্রাথমিক পর্যায়ে বা হালকা ব্যথাযুক্ত ঘায়ের জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি বেশ কার্যকর হতে পারে।

কার্যকরী ঘরোয়া উপায়:

  • লবণ-পানির কুলকুচি: এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার কুলকুচি করলে এটি ঘা জীবাণুমুক্ত রাখতে ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • মধু: মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দিনে কয়েকবার সরাসরি ঘায়ের উপর খাঁটি মধু লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
  • নারকেল তেল: নারকেল তেলের অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণাবলী ঘা সারাতে সাহায্য করে।
  • বেকিং সোডা: বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘায়ের ওপর লাগানো যেতে পারে। এটি মুখের অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে ব্যথা কমায়।

সাবধানতা: যদিও এই প্রতিকারগুলো সাধারণত নিরাপদ, তবে কোনো উপাদান ব্যবহারে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি বাড়লে তা ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। ঘরোয়া প্রতিকারে উন্নতি না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

জীবনযাত্রার উপর প্রভাব ও প্রতিরোধের উপায়

বারবার মুখের ঘা হওয়া ব্যক্তির খাওয়া-দাওয়া, কথা বলা এবং সামাজিক মেলামেশার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি মানসিক অস্বস্তির কারণও হতে পারে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এর পুনরাবৃত্তি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

  • সুষম খাদ্য গ্রহণ: ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার, বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি, ফলমূল এবং দুগ্ধজাত পণ্য খাদ্যতালিকায় রাখুন।
  • সঠিক ওরাল হাইজিন: নরম ব্রিসলযুক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করুন এবং দাঁত ব্রাশ করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। সোডিয়াম লরিল সালফেট (Sodium Lauryl Sulfate – SLS) মুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারেন, কারণ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এই উপাদানটি মুখের ঘা বাড়াতে পারে।
  • মানসিক চাপ কমানো: যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা পছন্দের কোনো শখের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • ট্রিগার খাবার এড়িয়ে চলা: কোন খাবারগুলো খেলে আপনার ঘা হয়, তা লক্ষ্য করুন এবং সেগুলো এড়িয়ে চলুন।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও সুপারিশ

মুখের ঘা বা রেকারেন্ট অ্যাপথাস স্টোমাটাইটিসের প্রকৃত কারণ নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। ভবিষ্যৎ চিকিৎসা সম্ভবত জেনেটিক্স এবং ইমিউন সিস্টেমের উপর আরও বেশি আলোকপাত করবে, যা আরও নির্দিষ্ট এবং কার্যকরী চিকিৎসার পথ খুলে দেবে।

সুপারিশ করা হয় যে, মুখের স্বাস্থ্যকে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হোক। নিয়মিত ডেন্টাল চেক-আপ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মুখের ঘা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।

উপসংহার

মুখের ভিতর সাদা ঘা বা অ্যাপথাস আলসার একটি যন্ত্রণাদায়ক কিন্তু সাধারণত নিরীহ সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ চিকিৎসাতেই সেরে যায়। সঠিক mouth ulcer treatment নির্ভর করে ঘায়ের ধরন ও তার পেছনের কারণগুলোর উপর। তবে, ঘা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, আকারে বড় হতে থাকে বা বারবার ফিরে আসে, তবে কোনো গুরুতর রোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য। সচেতনতা এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে এই অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

সাধারণ জিজ্ঞাসাসমূহ (FAQs)

১. মুখের ঘা কি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে?

উত্তর: সাধারণত মুখের ঘা ক্যান্সার নয়। তবে যদি কোনো ঘা তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, ব্যথা না থাকে, এবং ক্রমশ আকারে বাড়তে থাকে, তবে এটি ওরাল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

২. মুখের ঘা কি ছোঁয়াচে?

উত্তর: সাধারণ অ্যাপথাস আলসার বা ক্যানকার সোর ছোঁয়াচে নয়। তবে হারপিস ভাইরাসজনিত কোল্ড সোর (যা সাধারণত ঠোঁটের বাইরে হয়) ছোঁয়াচে।

৩. মুখের ঘা সারাতে কতদিন সময় লাগে?

উত্তর: ছোট বা মাইনর অ্যাপথাস আলসার সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। বড় বা মেজর আলসার সারতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

৪. কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘা হয়?

উত্তর: প্রধানত ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬, ফোলেট (ফলিক অ্যাসিড), আয়রন এবং জিঙ্কের অভাবে মুখের ঘা হতে পারে।

৫. মুখের ঘা হলে কি কি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত?

উত্তর: মুখের ঘা হলে অতিরিক্ত গরম, ঝাল, মসলাদার, নোনতা এবং অ্যাসিডিক (যেমন – লেবু, কমলা, আনারস, টমেটো) খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া কর্কশ ও শক্ত খাবার (যেমন – টোস্ট, চিপস) ঘায়ের স্থানে আরও আঘাত করতে পারে।

About Author
Avatar

আমাদের স্টাফ রিপোর্টারগণ সর্বদা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে পারেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি আমাদের ওয়েবসাইটকে একটি বিশ্বস্ত তথ্যের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিংয়ে বিশ্বাসী, দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন তৈরিতে সক্ষম