Naihati Kali Puja 2024: নৈহাটির বিখ্যাত বড়মার পুজো এবার ১০১তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও এই পুজোয় লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের পুজোয় রয়েছে নানা নতুন আকর্ষণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক পুজোর বিস্তারিত সময়সূচি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।বড়মার পুজো শুরু হবে ৩১ অক্টোবর রাত ১১টায়। পুরোহিতরা সেই সময় থেকে পুজোয় বসবেন। মূল অঞ্জলি হবে রাত প্রায় ১টা নাগাদ। তবে এর আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে নানা আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান। ২৪ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে মানতের পুজো।
৩০ ও ৩১ অক্টোবর নেওয়া হবে ফলপ্রসাদ ও সন্দেশের পুজো।এবারের পুজোয় একটি বিশেষ আকর্ষণ হল কাঠামো পুজো। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে বড়মার উৎসব। কাঠামো পুজোর মাধ্যমে মূর্তি নির্মাণের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে মূর্তি সম্পূর্ণ রূপ নেবে।বড়মা মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভক্তদের সুবিধার্থে অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
দুর্গাপুজোর সপ্তমীতে কলকাতায় বৃষ্টির আশঙ্কা, আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারি!
যারা সশরীরে উপস্থিত হতে পারবেন না, তারা ঘরে বসেই পুজো দিতে পারবেন। এর জন্য মন্দিরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত নৈহাটির বড়মার দর্শনে আসেন। এবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ ভক্তদের নিরাপত্তা ও সুবিধার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ প্রশাসনও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।বড়মার পুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসবেও পরিণত হয়েছে। এই সময় নৈহাটি ও আশপাশের এলাকায় একটি উৎসবের মেজাজ দেখা যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও এই সময় ভালো ব্যবসা করতে পারেন।পুজোর পর ভোগ বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
হাজার হাজার ভক্ত এই প্রসাদ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রসাদ বিতরণের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরার নিয়ম কঠোরভাবে পালন করা হবে।এবারের পুজোয় আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ হল বিশেষ আলোকসজ্জা। মন্দির ও আশপাশের এলাকা নানা রঙের আলোয় সাজানো হবে। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।নৈহাটির বড়মার পুজো বাংলার অন্যতম প্রধান কালীপুজা হিসেবে পরিচিত। এই পুজোর ঐতিহ্য ও মাহাত্ম্য দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর এই পুজো আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ১০১তম বর্ষে পদার্পণ করায় এবারের পুজো আরও বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
কলকাতার সেরা ১০ বনেদি বাড়ির পুজো: ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মিলনমেলা
যারা এই পুজো দেখতে যাবেন, তাদের জন্য কিছু পরামর্শ:
১. সময়মতো পৌঁছানোর চেষ্টা করুন, কারণ ভিড় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
২. নিরাপত্তা কর্মীদের নির্দেশ মেনে চলুন।
৩. নিজের জিনিসপত্র সাবধানে রাখুন।
৪. পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সহযোগিতা করুন।
শেষ পর্যন্ত বলা যায়, নৈহাটির বড়মার পুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। ১০১তম বর্ষে এই পুজো আরও বেশি জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ভক্তদের উৎসাহ ও আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে, এবারের পুজো হবে অত্যন্ত সাফল্যমণ্ডিত।
মন্তব্য করুন