Indians in Russian forces statistics 2025: ভারত সরকার সম্প্রতি জানিয়েছে যে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীতে বর্তমানে মাত্র ১৯ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। এই তথ্য লোকসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং প্রকাশ করেছেন। এই ঘোষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে গত কয়েক মাসে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভারতীয়দের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিককে ছাড়াই করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতীয়দের সংখ্যা কমেছে:
সময়কাল | রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে ভারতীয়দের সংখ্যা |
---|---|
২০২৪ সালের জুলাই | ৯১ জন |
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর | ৫০ জন |
২০২৪ সালের অক্টোবর | ২০ জন |
২০২৪ সালের ডিসেম্বর | ১৯ জন |
ভারত সরকার এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রেখে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে এই বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনা করেছেন।
“রাশিয়ান মেয়েদের প্রতি ভারতীয় পুরুষদের আকর্ষণের রহস্য উন্মোচন”
এই ঘটনার পিছনে একটি জটিল পটভূমি রয়েছে। অনেক ভারতীয় নাগরিক প্রতারণার শিকার হয়ে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
প্রতারণার ধরন:
এই ঘটনার ফলে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ৯ জন ভারতীয় ইউক্রেন যুদ্ধের সম্মুখ সারিতে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও অনেকে আহত হয়েছেন এবং মানসিক আঘাত পেয়েছেন।
রাশিয়া সরকার এই বিষয়ে সহযোগিতামূলক মনোভাব দেখিয়েছে:
ভারত সরকার অবশিষ্ট ১৯ জন ভারতীয় নাগরিককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও, এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সেজন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া হচ্ছে:
BRICS সম্মেলন: পাঁচ দেশের জোট কি সত্যিই বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন শক্তি হয়ে উঠবে?
রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে ভারতীয় নাগরিকদের সংখ্যা কমে মাত্র ১৯ জনে দাঁড়ানো একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। তবে যতক্ষণ না সকল ভারতীয় নাগরিক নিরাপদে দেশে ফিরে আসছেন, ততক্ষণ ভারত সরকার তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সরকার ও নাগরিক উভয় পক্ষকেই সচেতন থাকতে হবে। বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন