তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারী বিজয়ীর সংখ্যা বাড়ছে, যা একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।মেরি কুরি ছিলেন প্রথম নারী যিনি ১৯০৩ সালে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি পদার্থবিজ্ঞানে এই সম্মান অর্জন করেন। এরপর থেকে নারীরা ধীরে ধীরে নোবেল পুরস্কার জিততে শুরু করেন। তবে পুরুষদের তুলনায় তাদের সংখ্যা এখনো অনেক কম। মেরি কুরি একমাত্র নারী যিনি দুইবার নোবেল পুরস্কার জিতেছেন – ১৯০৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে এবং ১৯১১ সালে রসায়নে।
২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা: কারা পেলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মান?
বিভিন্ন বিভাগে নারী বিজয়ীদের সংখ্যা নিম্নরূপ:
- পদার্থবিজ্ঞান: ৪ জন (১.৮%)
- রসায়ন: ৭ জন (৩.৭%)
- চিকিৎসাবিজ্ঞান: ১৩ জন (৫.৪%)
- শান্তি: ১৯ জন (১৩.১%)
- সাহিত্য: ১৬ জন (১৩.৬%)
- অর্থনীতি: ৩ জন (৩.২%)
এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে, বিজ্ঞান বিষয়ক শাখাগুলোতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব সবচেয়ে কম। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নারী বিজয়ীর সংখ্যা ৫% এর নিচে। অন্যদিকে শান্তি ও সাহিত্য বিভাগে নারীদের অবদান তুলনামূলকভাবে বেশি।২০২৩ সাল নারী নোবেল বিজয়ীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ বছর ৪ জন নারী নোবেল পুরস্কার জিতেছেন, যা একটি রেকর্ড।
এদের মধ্যে রয়েছেন:
- ক্লডিয়া গোল্ডিন (অর্থনীতি)
- নারগেস মোহাম্মদি (শান্তি)
- অ্যান ল’হুইলিয়ের (পদার্থবিজ্ঞান)
- কাতালিন কারিকো (চিকিৎসাবিজ্ঞান)
এই চারজন নারীর মধ্যে তিনজন বিজ্ঞান বিষয়ক শাখায় পুরস্কার জিতেছেন, যা একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বিশেষ করে ক্লডিয়া গোল্ডিন একমাত্র নারী যিনি একাই অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন।নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে নারীদের অবদান উল্লেখযোগ্য।
নোবেল পুরস্কার বঞ্চিত ৫টি যুগান্তকারী আবিষ্কার: বিজ্ঞানের ইতিহাসে অবহেলিত মাইলফলক
- মেরি কুরি (পদার্থবিজ্ঞান ১৯০৩, রসায়ন ১৯১১)
- মাদার তেরেসা (শান্তি ১৯৭৯)
- অং সান সু চি (শান্তি ১৯৯১)
- মালালা ইউসুফজাই (শান্তি ২০১৪)
- ডোরিস লেসিং (সাহিত্য ২০০৭)
এই নারীরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।নোবেল কমিটি নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সচেষ্ট। ২০১৮ সালে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস এর প্রধান মনোনয়নকারী সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করেছিলেন যেন তারা নারী ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থীদের উপেক্ষা না করেন। এর ফলে গত কয়েক বছরে নারী বিজয়ীর সংখ্যা বেড়েছে।তবে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।