উৎসবের আলোয় যখন শহর সেজে ওঠে, কালীপুজো এবং দীপাবলির আনন্দ যখন সকলের মনে, তখন আমাদের বাড়ির সবচেয়ে আদরের সদস্য, অর্থাৎ পোষ্যদের জন্য এই সময়টা প্রায়শই আতঙ্কের হয়ে দাঁড়ায়। বাজির কান ফাটানো শব্দ, তীব্র আলো আর বারুদের গন্ধ তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর উৎসবের এই সময়টাতে বহু পোষ্য ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা PETA India-এর মতে, কুকুর, বিড়াল এবং অন্যান্য প্রাণীদের শ্রবণশক্তি মানুষের চেয়ে বহুগুণ বেশি সংবেদনশীল, যা বাজির শব্দকে তাদের কাছে অসহনীয় করে তোলে। তাই, একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো এই কঠিন সময়ে তাদের পাশে থাকা এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এই প্রতিবেদনে আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে এমন কিছু কার্যকরী উপায় নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাকে কালীপুজোর রাতে আপনার পোষ্যকে শান্ত ও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।
কেন পোষ্যরা বাজির শব্দে এত ভয় পায়? একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
আমরা বাজির শব্দকে উৎসবের অঙ্গ হিসেবে দেখলেও, আমাদের পোষ্যদের কাছে তা আকস্মিক এবং ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতা। এর পেছনে কিছু নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে।
অত্যন্ত সংবেদনশীল শ্রবণশক্তি
মানুষের কানের শ্রবণক্ষমতার একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে, সাধারণত ২০ হার্ৎজ থেকে ২০,০০০ হার্ৎজ (20 kHz) পর্যন্ত। কিন্তু কুকুরদের শ্রবণক্ষমতা প্রায় ৬৭ হার্ৎজ থেকে ৪৫,০০০ হার্ৎজ (45 kHz) এবং বিড়ালদের ক্ষেত্রে তা ৪৮ হার্ৎজ থেকে ৮৫,০০০ হার্ৎজ (85 kHz) পর্যন্ত বিস্তৃত। আমেরিকান কেনেল ক্লাব (American Kennel Club)-এর একটি গবেষণা অনুযায়ী, কুকুররা আমাদের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি দূর থেকে শব্দ শুনতে পায়। তাই যে বাজি আমাদের কাছে loud বা জোরালো, সেটি তাদের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং কান ফাটানো মনে হয়। এই তীব্র শব্দ তাদের কানে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে এবং মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়।
অপ্রত্যাশিত শব্দ এবং অনিশ্চয়তা
বাজির শব্দ হঠাৎ এবং অনিয়মিতভাবে হয়। এই অপ্রত্যাশিত বিকট আওয়াজ পোষ্যদের মধ্যে তীব্র ‘ফাইট-অর-ফ্লাইট’ (fight-or-flight) প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। তাদের মস্তিষ্ক এই শব্দকে আসন্ন বিপদ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং শরীর থেকে অ্যাড্রেনালিন (adrenaline) ও কর্টিসোল (cortisol)-এর মতো স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে। যেহেতু তারা এই শব্দের উৎস বা কারণ বুঝতে পারে না, তাই তাদের ভয় এবং উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়।
সহজাত প্রবৃত্তি
বন্য পরিবেশে, আকস্মিক জোরালো শব্দ (predator) বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ইঙ্গিত দেয়। পোষ্যদের মধ্যে এই সহজাত প্রবৃত্তি এখনও বিদ্যমান। তাই বাজির শব্দ শুনলে তারা নিজেদের অনিরাপদ মনে করে এবং পালানোর বা লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে। এটি তাদের আত্মরক্ষার একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।
আপনার পোষ্য কি ভয়ে আছে? এই লক্ষণগুলি চিনে নিন
অনেক সময় আমরা পোষ্যদের ভয় বা উদ্বেগের লক্ষণগুলি সঠিকভাবে বুঝতে পারি না। কালীপুজোর সময় যদি আপনার পোষ্যের মধ্যে নিচের লক্ষণগুলির কোনোটি প্রকাশ পায়, তাহলে বুঝতে হবে সে প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে আছে।
লক্ষণ (Symptoms) | কুকুরের ক্ষেত্রে (In Dogs) | বিড়ালের ক্ষেত্রে (In Cats) |
আচরণের পরিবর্তন | অবিরাম ঘেউ ঘেউ করা, গোঙানো বা কাঁদা। | ক্রমাগত মিউ মিউ করা বা অস্বাভাবিক শব্দ করা। |
লুকানোর চেষ্টা | খাটের নিচে, আলমারির পেছনে বা অন্ধকার কোণে লুকিয়ে থাকা। | পর্দার আড়ালে, আসবাবপত্রের নিচে বা যেকোনো দুর্গম জায়গায় লুকিয়ে পড়া। |
শারীরিক প্রতিক্রিয়া | অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁপা, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া (panting), লালা ঝরা। | শরীর নিচু করে গুটিসুটি মেরে থাকা, কান পেছনের দিকে ভাঁজ করা। |
অস্থিরতা | ছটফট করা, এক জায়গায় স্থির থাকতে না পারা, ঘরময় দৌড়াদৌড়ি করা। | স্থির হয়ে বসে থাকা বা পালানোর চেষ্টা করা। |
ক্ষুধামান্দ্য | খাবার বা জল খেতে অস্বীকার করা। | খাবার ও জলের প্রতি অনীহা। |
অন্যান্য লক্ষণ | বাড়ির ভেতরেই মল-মূত্র ত্যাগ করা, মালিকের গা ঘেঁষে থাকা, পালানোর চেষ্টা করা। | নিজেকে অতিরিক্ত চাটা বা আঁচড়ানো, আগ্রাসী হয়ে ওঠা। |
কালীপুজোর রাতে পোষ্যকে সুরক্ষিত ও শান্ত রাখার কার্যকরী উপায়
আপনার পোষ্যকে এই কঠিন সময় পার করতে সাহায্য করার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নিচে কিছু বিশেষজ্ঞ-অনুমোদিত উপায় আলোচনা করা হলো।
১. একটি নিরাপদ আশ্রয় বা ‘সেফ ডেন’ তৈরি করুন
পোষ্যরা ভয় পেলে একটি নিরাপদ ও অন্ধকার জায়গা খোঁজে। কালীপুজোর কয়েক দিন আগে থেকেই আপনার বাড়ির সবচেয়ে শান্ত ঘরটিকে তার জন্য একটি ‘সেফ ডেন’ (safe den) হিসেবে তৈরি করুন।
- স্থান নির্বাচন: এমন একটি ঘর বেছে নিন যেখানে বাইরের আওয়াজ এবং আলো সবচেয়ে কম আসে। বেডরুম বা স্টোররুম ভালো বিকল্প হতে পারে।
- আরামদায়ক পরিবেশ: সেই ঘরে পোষ্যের প্রিয় বিছানা, কম্বল, এবং কিছু প্রিয় খেলনা রাখুন। আপনার ব্যবহৃত কোনো পুরনো পোশাক (যেমন টি-শার্ট) রেখে দিতে পারেন, কারণ আপনার শরীরের গন্ধ তাকে মানসিক শান্তিতে থাকতে সাহায্য করবে।
- শব্দরোধী ব্যবস্থা: ঘরের দরজা-জানলা ভালোভাবে বন্ধ করে দিন। ভারী পর্দা ব্যবহার করুন যা শব্দ এবং আলো দুটোই আটকাতে সাহায্য করবে। জানলার কাচে মোটা কার্ডবোর্ড লাগিয়েও শব্দ কমানো যেতে পারে।
- প্রবেশাধিকার: নিশ্চিত করুন যেন পোষ্যটি যেকোনো সময় সেই ঘরে অবাধে যাতায়াত করতে পারে। তাকে জোর করে সেখানে রাখবেন না, তাকে নিজের ইচ্ছামতো ওই আশ্রয় ব্যবহার করতে দিন।
২. শব্দের মোকাবিলা করুন অন্য শব্দ দিয়ে (Sound Masking)
বাইরের বাজির শব্দকে পুরোপুরি আটকানো সম্ভব না হলেও, ঘরের ভেতরের শব্দ দিয়ে সেই আওয়াজকে অনেকটাই চাপা দেওয়া যায়। একে সাউন্ড মাস্কিং বা হোয়াইট নয়েজ থেরাপি বলা হয়।
- শান্তিদায়ক সঙ্গীত: ইউটিউব বা স্পটিফাই-এর মতো প্ল্যাটফর্মে পোষ্যদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা ‘কאלমিং মিউজিক’ (calming music) বা রিলাক্সিং মেলোডি পাওয়া যায়। এই ধরনের সঙ্গীত তাদের স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
- হোয়াইট নয়েজ: ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার বা কোনো হোয়াইট নয়েজ মেশিন চালিয়ে রাখতে পারেন। এই একটানা শব্দ বাইরের আকস্মিক আওয়াজকে অনেকটাই ঢেকে দেয়।
- টেলিভিশন: টেলিভিশন চালিয়ে কোনো হালকা অনুষ্ঠান বা সিনেমা চালিয়ে রাখলেও তা বাইরের শব্দ থেকে পোষ্যের মনোযোগ সরাতে সাহায্য করে। তবে খুব হিংসাত্মক বা কোলাহলপূর্ণ অনুষ্ঠান চালাবেন না।
৩. নিজের আচরণ শান্ত ও স্বাভাবিক রাখুন
পোষ্যরা তাদের মালিকের মানসিক অবস্থা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে। আপনি যদি চিন্তিত বা অস্থির থাকেন, আপনার পোষ্যও সেই উদ্বেগ অনুভব করবে এবং আরও বেশি ভয় পাবে।
- স্বাভাবিক থাকুন: পোষ্যের সামনে শান্ত ও স্বাভাবিক আচরণ করুন। তার সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বলুন, খেলা করুন।
- অতিরিক্ত সহানুভূতি এড়িয়ে চলুন: পোষ্য ভয় পেলে তাকে জড়িয়ে ধরে অতিরিক্ত আদর বা সহানুভূতি দেখাতে যাবেন না। এতে তার মনে হতে পারে যে ভয় পাওয়াটা একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া এবং তার ভয় আরও বেড়ে যেতে পারে। পরিবর্তে, শান্তভাবে তার পাশে বসে তাকে ভরসা দিন।
৪. শারীরিক ও মানসিক সুরক্ষা নিশ্চিত করুন
উৎসবের সময় পোষ্যদের নিরাপত্তার জন্য কিছু অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
- বাড়ির ভেতরে রাখুন: কালীপুজোর সন্ধ্যায় এবং রাতে পোষ্যকে কোনোমতেই বাড়ির বাইরে বেরোবেন না, এমনকি হাঁটার জন্যও নয়। ভয়ে তারা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড় দিতে পারে এবং হারিয়ে যেতে পারে বা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
- দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন: বাড়ির সমস্ত দরজা, জানলা, এবং পোষ্যদের বাইরে যাওয়ার অন্যান্য পথ (যেমন ক্যাট ফ্ল্যাপ) সুরক্ষিতভাবে বন্ধ রাখুন।
- আইডি ট্যাগ ও মাইক্রোচিপ: নিশ্চিত করুন যে আপনার পোষ্যের কলার-এ একটি আপ-টু-ডেট আইডি ট্যাগ লাগানো আছে, যেখানে আপনার নাম ও ফোন নম্বর লেখা থাকবে। যদি সম্ভব হয়, একটি মাইক্রোচিপ লাগিয়ে নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ। Humane Society International পোষ্যদের সুরক্ষার জন্য মাইক্রোচিপিং-এর ওপর বিশেষভাবে জোর দেয়।
- খাবার ও জল: দিনের বেলাতেই তাকে তার প্রধান খাবার খাইয়ে দিন। বাজির শব্দ শুরু হলে অনেক পোষ্য খেতে চায় না। তবে তার কাছে সব সময় পরিষ্কার পানীয় জল রাখুন।
৫. মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন (Distraction Techniques)
পোষ্যের মনোযোগ বাজির শব্দ থেকে সরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া একটি অত্যন্ত কার্যকরী কৌশল।
- নতুন খেলনা: একটি নতুন বা আকর্ষণীয় খেলনা (যেমন পাজল টয় বা চিউ টয়) দিয়ে তাকে খেলতে দিন। এটি তার মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখবে এবং সে বাইরের শব্দ নিয়ে ভাবার সময় পাবে না।
- ইন্ডোর গেম: তার সাথে বাড়ির ভেতরেই হালকা কিছু খেলাধুলা করুন, যেমন ‘ফেচ’ বা ‘হাইড অ্যান্ড সিক’।
- ট্রিটস: ছোট ছোট ট্রিটস বা তার প্রিয় খাবার দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। এটি তার মনে একটি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করতে সাহায্য করবে।
৬. আরামদায়ক পোশাক ও স্পর্শ (Calming Wraps and Touch)
কিছু নির্দিষ্ট পোশাক ও কৌশল পোষ্যদের উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
- অ্যাংজাইটি র্যাপ (Anxiety Wrap): বাজারে ‘থান্ডারশার্ট’ (Thundershirt) বা এই জাতীয় অ্যাংজাইটি র্যাপ পাওয়া যায়। এই পোশাকটি পোষ্যের শরীরের নির্দিষ্ট কিছু প্রেসার পয়েন্টে হালকা চাপ সৃষ্টি করে, যা তাদের শান্ত হতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা শিশুদের কাঁথায় জড়িয়ে রাখার মতো কাজ করে।
- হালকা ম্যাসাজ: আপনি যদি প্রশিক্ষিত হন, তবে হালকা ম্যাসাজ বা TTouch-এর মতো কৌশল ব্যবহার করে তাকে শান্ত করতে পারেন।
৭. পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন (Veterinary Consultation)
যদি আপনার পোষ্যের উদ্বেগ বা ভয় অত্যন্ত (severe) হয় এবং উপরের কোনো উপায়েই কাজ না হয়, তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- হার্বাল সাপ্লিমেন্টস: পশুচিকিৎসক কিছু প্রাকৃতিক বা হার্বাল সাপ্লিমেন্টস (যেমন ভ্যালেরিয়ান রুট বাคาโมมายล์) ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন যা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
- ফেরোমন ডিফিউজার (Pheromone Diffusers): বাজারে কুকুরের জন্য Adaptil এবং বিড়ালের জন্য Feliway-এর মতো সিন্থেটিক ফেরোমন ডিফিউজার পাওয়া যায়। এইগুলি বাতাসে এমন এক ধরনের গন্ধ ছড়ায় যা পোষ্যদের শান্ত এবং সুরক্ষিত বোধ করতে সাহায্য করে।
- ওষুধ: খুব চরম পরিস্থিতিতে, পশুচিকিৎসক উদ্বেগরোধী (anti-anxiety) ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। বিশেষ দ্রষ্টব্য: কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজের পোষ্যকে কোনো ধরনের ঘুমের বা মানুষের ব্যবহারের ওষুধ দেবেন না। এটি তাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এমনকি প্রাণঘাতীও হতে পারে।
আইন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা
ভারতে শব্দবাজি নিয়ে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। পরিবেশ (সুরক্ষা) আইন, ১৯৮৬ অনুযায়ী, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং আদালত চত্বরের ১০০ মিটারের মধ্যে ‘সাইলেন্স জোন’ হিসেবে ঘোষিত এবং সেখানে বাজি ফাটানো দণ্ডনীয় অপরাধ। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জোরালো শব্দ সৃষ্টিকারী বাজি ফাটানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত এই নিয়মগুলি মেনে চলা এবং অন্যদেরও সচেতন করা। আমাদের আনন্দ যেন নিরীহ প্রাণীদের কষ্টের কারণ না হয়, সেই দিকটা খেয়াল রাখা আমাদের সকলের সামাজিক দায়িত্ব।
কালীপুজো বা দীপাবলি ভালোবাসার এবং আলোর উৎসব। এই আনন্দ তখনই সার্থক হবে যখন আমরা আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে, এমনকি অবোলা পোষ্যদেরও, এই আনন্দে সামিল করতে পারব। একটু বাড়তি যত্ন, সতর্কতা এবং ভালোবাসা দিয়ে আমরা সহজেই আমাদের পোষ্যদের এই কঠিন সময় পার করতে সাহায্য করতে পারি। আগে থেকে পরিকল্পনা করুন, তাদের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করুন এবং সবচেয়ে বড় কথা, তাদের পাশে থাকুন। আপনার উপস্থিতিই তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা। আসুন, এই উৎসবকে আমরা সকলের জন্য, বিশেষ করে আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুদের জন্য, আনন্দময় ও সুরক্ষিত করে তুলি।