Portugal travel cost from Bangladesh: পর্তুগাল ভ্রমণে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশীদের গড়ে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। তবে এই খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন – ভ্রমণের সময়কাল, থাকার ব্যবস্থা, খাবার খরচ, ভিসা ফি ইত্যাদি।পর্তুগাল ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশীদের প্রথমেই Schengen ভিসা লাগবে। এর জন্য ৮০ ইউরো বা প্রায় ৯,৫০০ টাকা ফি দিতে হয়।
এছাড়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড় করতেও কিছু খরচ হয়।ঢাকা থেকে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে যাওয়ার বিমান ভাড়া সাধারণত ৭০,০০০-৮০,০০০ টাকার মধ্যে পড়ে। তবে অফ-সিজনে এই ভাড়া কিছুটা কম হতে পারে।পর্তুগালে থাকার খরচ প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ ইউরো বা ৪,৭০০-৬,০০০ টাকা হতে পারে। এর মধ্যে হোটেল ভাড়া, খাবার খরচ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। তবে বাজেট হোটেলে থাকলে এই খরচ কমানো যায়।দৈনিক খাবার ও যাতায়াত খরচ প্রায় ২০-৩০ ইউরো বা ২,৪০০-৩,৬০০ টাকা ধরা যেতে পারে। তবে নিজে রান্না করলে এই খরচ অনেকটাই কমানো সম্ভব।পর্তুগালের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে টিকেট কিনতে হয়। এর জন্য দৈনিক ১০-১৫ ইউরো বা ১,২০০-১,৮০০ টাকা বাজেট রাখা যেতে পারে।
জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪: প্রক্রিয়াকরণের সময় ৯ মাস থেকে কমিয়ে মাত্র ২ সপ্তাহ করা
সুতরাং ৭ দিনের একটি ট্যুরের জন্য মোটামুটি হিসাব:
- ভিসা ফি: ৯,৫০০ টাকা
- বিমান ভাড়া: ৭৫,০০০ টাকা
- থাকা খরচ: ৩৫,০০০ টাকা
- খাবার ও যাতায়াত: ২১,০০০ টাকা
- দর্শনীয় স্থান: ১০,৫০০ টাকা
মোট: প্রায় ১,৫১,০০০ টাকাএছাড়া শপিং, সুভেনির কেনা ইত্যাদির জন্য আরও ৫০,০০০-১,০০,০০০ টাকা বাড়তি লাগতে পারে। তাই সব মিলিয়ে ৭ দিনের পর্তুগাল ট্যুরের জন্য ২-৩ লাখ টাকা বাজেট করা যেতে পারে।তবে এই খরচ কমানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন – অফ সিজনে ভ্রমণ করা, বাজেট হোটেলে থাকা, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি। এতে করে মোট খরচ ১.৫-২ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব।পর্তুগাল ভ্রমণের আগে অবশ্যই ভালোভাবে বাজেট প্ল্যান করে নিতে হবে। এছাড়া ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত খরচ এড়াতে সতর্ক থাকতে হবে। তাহলে বাজেটের মধ্যে থেকে পর্তুগালের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক স্থাপত্য উপভোগ করা সম্ভব হবে।পর্তুগাল ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশীদের Schengen ভিসা লাগবে। এর জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে:
- পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
- ভিসা আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- হোটেল বুকিং
- ফ্লাইট টিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স
- স্পনসরশিপ লেটার (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ভিসা প্রসেসিং সময় সাধারণত ১৫ দিন। তবে জটিল ক্ষেত্রে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই ভ্রমণের কমপক্ষে ২ মাস আগে ভিসার জন্য আবেদন করা উচিত।পর্তুগালে প্রবেশের সময় কমপক্ষে ৭৫ ইউরো বা প্রায় ৯,০০০ টাকা নগদ থাকতে হবে। এছাড়া দৈনিক খরচের জন্য ৪০ ইউরো বা প্রায় ৪,৭০০ টাকার প্রমাণ দেখাতে হবে।পর্তুগালে পৌঁছানোর পর Immigration এ পাসপোর্ট, ভিসা, হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকেট ইত্যাদি দেখাতে হবে। এছাড়া ট্রাভেল প্ল্যান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হতে পারে।পর্তুগালে থাকাকালীন সময়ে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখা উচিত:
- পাসপোর্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের ফটোকপি সাথে রাখা
- হোটেলের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংরক্ষণ করা
- বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ নম্বর রাখা
- স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলা
- অপরিচিতদের সাথে সতর্কতা অবলম্বন করা
িশ্বের এই দেশগুলিতে অতি কম খরচে ভ্রমণে যেতে পারবেন আপনারা, জানুন বিস্তারিত
পর্তুগালের প্রধান আকর্ষণীয় স্থানগুলো হলো:
- লিসবন: রাজধানী শহর, ঐতিহাসিক স্থাপত্য
- পোর্তো: পুরাতন শহর, ওয়াইন সেলার
- আলগার্ভে: সমুদ্র সৈকত
- সিনত্রা: রাজপ্রাসাদ ও দুর্গ
- ফাতিমা: ধর্মীয় তীর্থস্থান
- কোইম্ব্রা: প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় শহর
এসব স্থান ঘুরতে গিয়ে অবশ্যই স্থানীয় খাবার যেমন – Bacalhau, Pastéis de Nata ইত্যাদি খেয়ে দেখতে হবে। এছাড়া পর্তুগালের বিখ্যাত Port Wine অবশ্যই টেস্ট করে দেখা উচিত।পর্তুগাল ভ্রমণের সেরা সময় হলো মার্চ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস। এসময় আবহাওয়া অনেক ভালো থাকে এবং পর্যটকের ভিড়ও তুলনামূলক কম থাকে।সামগ্রিকভাবে, পর্তুগাল ভ্রমণ বাংলাদেশীদের জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হতে পারে। যদিও খরচ কিছুটা বেশি, তবে সঠিক পরিকল্পনা ও বাজেট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এই ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তোলা সম্ভব। পর্তুগালের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিঃসন্দেহে আপনাকে মুগ্ধ করবে।