potentially-safe-countries-third-world-war: বিশ্বের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, অনেকেই জানতে চাইছেন, কোন দেশগুলি নিরাপদ থাকতে পারে যদি এমন একটি সংকট সৃষ্টি হয়। এই লেখায় আমরা আলোচনা করব এমন কিছু দেশ সম্পর্কে, যেখানে নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা বেশি।
বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত মানুষদের জন্য কিছু দেশকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আইসল্যান্ড এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশ যেমন চিলি ও আর্জেন্টিনা। এই দেশগুলির ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা তাদেরকে সম্ভাব্য সংঘাত থেকে দূরে রাখে।
৩৬ বছর পর ভারতে টেস্ট জয়ের ইতিহাস গড়ল নিউজিল্যান্ড, ৮ উইকেটে হারল ভারত
নিরাপদ দেশের তালিকা
বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিম্নলিখিত দেশগুলি নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা বেশি:
- নিউজিল্যান্ড: ভূগোলগত বিচ্ছিন্নতা এবং শান্তিপূর্ণ ইতিহাস নিউজিল্যান্ডকে একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলেছে। এটি খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর এবং এর পরিবেশও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সহায়ক।
- অস্ট্রেলিয়া: যদিও এটি পশ্চিমা সামরিক জোটের অংশ, তবে এর ভূগোলগত বিচ্ছিন্নতা এবং শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটিকে নিরাপদ রাখে।
- আইসল্যান্ড: রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা এবং ভূগোলগত বিচ্ছিন্নতা আইসল্যান্ডকে যুদ্ধকালীন সময়ে নিরাপদ রাখবে। এটি নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্বনির্ভর।
- চিলি: দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বারা সুরক্ষিত এবং এর কৃষি উৎপাদন ক্ষমতা উচ্চ।
- আর্জেন্টিনা: এটি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার বাইরে রয়েছে এবং কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য পরিচিত।
- অ্যান্টার্কটিকা: যদিও এখানে বসবাস করা কঠিন, তবে এটি আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে সুরক্ষিত।
ঘটনার পূর্ণ বিবরণ
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সংঘাতের পরিস্থিতি ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব—এসবই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধ শুরু হলে যে দেশগুলো সবচেয়ে কম আক্রান্ত হবে সেগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া অন্যতম।
নিরাপত্তার কারণ
এই দেশগুলোর নিরাপত্তার মূল কারণগুলো হলো:
- ভূগোলগত বিচ্ছিন্নতা: নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সমুদ্র দ্বারা ঘেরা, যা আক্রমণকারীদের জন্য প্রবেশ করা কঠিন করে তোলে।
- রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা: সুইজারল্যান্ড ও আইসল্যান্ডের মতো দেশগুলি দীর্ঘকাল ধরে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে, যা তাদেরকে সংঘাত থেকে দূরে রাখে।
- স্বনির্ভরতা: খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর থাকা দেশের সংখ্যা কম, কিন্তু নিউজিল্যান্ড ও চিলি এ ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
প্রাসঙ্গিক পরিসংখ্যান
বিশ্ব শান্তি সূচক অনুযায়ী আইসল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। ২০২৩ সালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডও শীর্ষ দশে রয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে সামাজিক অস্থিরতার হার তুলনামূলকভাবে কম, যা তাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে কিছু দেশ যেমন নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আইসল্যান্ড এবং চিলি নিরাপদ আশ্রয় হতে পারে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি unpredictable হওয়ায় সবসময় প্রস্তুত থাকা উচিত। এই ধরনের সংকট মোকাবেলায় পূর্ব পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।এখন প্রশ্ন হলো—আপনি কি প্রস্তুত?