প্রস্রাবে পাস সেল (Pus Cells): কখন এটি বিপদের সংকেত? স্বাভাবিক মাত্রা ও প্রতিরোধের উপায়

High Pus Cells in Urine Causes: আপনার কি কখনো ইউরিন টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়ে Pus Cells (পাস সেল) শব্দটি দেখে চিন্তা হয়েছে? প্রস্রাবে পাস সেলের উপস্থিতি অনেককেই উদ্বিগ্ন করে তোলে।…

Debolina Roy

 

High Pus Cells in Urine Causes: আপনার কি কখনো ইউরিন টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়ে Pus Cells (পাস সেল) শব্দটি দেখে চিন্তা হয়েছে? প্রস্রাবে পাস সেলের উপস্থিতি অনেককেই উদ্বিগ্ন করে তোলে। এটি আসলে কী, এর স্বাভাবিক মাত্রা কত, কেনই বা এটি বেড়ে যায় এবং কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি—এই সমস্ত বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন।

সাধারণত, প্রস্রাবে পাস সেলের উপস্থিতি শরীরের কোনো সংক্রমণ বা প্রদাহের (inflammation) বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে এর পরিমাণ যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়, তখন এটি মূত্রনালীর সংক্রমণ (Urinary Tract Infection – UTI) বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। চলুন, এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পাস সেল (Pus Cells) আসলে কী?

পাস সেল (Pus Cells) হলো মৃত শ্বেত রক্তকণিকা (White Blood Cells), বিশেষ করে নিউট্রোফিল (neutrophils)। যখন শরীরে কোনো সংক্রমণ, যেমন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ হয়, তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শ্বেত রক্তকণিকাকে পাঠায়। এই লড়াইয়ে যে শ্বেত রক্তকণিকাগুলো মারা যায়, তাই পাস সেল বা পুঁজ কোষ হিসেবে পরিচিত।

প্রস্রাবের মাধ্যমে যখন এই মৃত কোষগুলো বেরিয়ে আসে, তখন ইউরিন টেস্টে এদের উপস্থিতি ধরা পড়ে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, প্রস্রাবে অতিরিক্ত পাস সেলের উপস্থিতিকে পাইইউরিয়া (Pyuria) বলা হয়।

প্রস্রাবে পাস সেলের স্বাভাবিক মাত্রা কত? (Normal Range of Pus Cells)

একজন সুস্থ মানুষের প্রস্রাবে খুব অল্প পরিমাণে পাস সেল থাকতে পারে। মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করার সময় প্রতি উচ্চ ক্ষমতার ক্ষেত্রে (per High Power Field বা HPF) পাস সেলের সংখ্যা গণনা করা হয়।

সাধারণত, প্রস্রাবে পাস সেলের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ০-৫ সেল/HPF। তবে লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থাভেদে এই মাত্রার কিছুটা তারতম্য হতে পারে।

ব্যক্তির ধরণ স্বাভাবিক মাত্রা (Normal Range)
পুরুষ ০-৫ সেল/HPF
নারী ০-৫ সেল/HPF (কিছু ক্ষেত্রে ৭-৮ পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা হয়)
গর্ভবতী নারী সামান্য বেশি থাকতে পারে
শিশু ০-৫ সেল/HPF

যদি আপনার ইউরিন রিপোর্টে পাস সেলের পরিমাণ ৮-১০ সেল/HPF বা তার বেশি দেখায়, তবে এটি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।

কেন প্রস্রাবে Pus Cells এর পরিমাণ বেড়ে যায়?

প্রস্রাবে পাস সেলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো মূত্রনালীর সংক্রমণ বা UTI। আসুন প্রধান কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

১. মূত্রনালীর সংক্রমণ (Urinary Tract Infection – UTI)

এটিই পাস সেল বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। যখন ব্যাকটেরিয়া (সাধারণত E. coli) মূত্রনালী দিয়ে প্রবেশ করে মূত্রথলি (bladder) বা কিডনিতে সংক্রমণ ঘটায়, তখন ശരീর এর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে এবং ফলস্বরূপ প্রস্রাবে পাস সেলের পরিমাণ বেড়ে যায়। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক (Cleveland Clinic) অনুসারে, বেশিরভাগ পাইইউরিয়ার ক্ষেত্রেই ইউটিআই দায়ী।

২. কিডনির সংক্রমণ (Pyelonephritis)

যদি মূত্রথলির সংক্রমণ কিডনি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে পাইলোনেফ্রাইটিস বলা হয়। এটি একটি গুরুতর অবস্থা এবং এর ফলে প্রস্রাবে উচ্চ মাত্রায় পাস সেল দেখা যায়। এর সাথে জ্বর, কাঁপুনি এবং পিঠের নিচের দিকে ব্যথাও থাকতে পারে।

৩. যৌনবাহিত রোগ (Sexually Transmitted Infections – STIs)

কিছু যৌনরোগ যেমন ক্ল্যামাইডিয়া (Chlamydia) এবং গনোরিয়া (Gonorrhea) মূত্রনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যার কারণে প্রস্রাবে পাস সেলের সংখ্যা বাড়তে পারে।

৪. প্রোস্টেটাইটিস (Prostatitis)

পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ বা সংক্রমণের কারণেও প্রস্রাবে পাস সেল আসতে পারে।

৫. কিডনিতে পাথর (Kidney Stones)

কিডনি বা মূত্রনালীতে পাথর থাকলে তা ঘর্ষণ ও প্রদাহ সৃষ্টি করে। এর ফলেও প্রস্রাবে পাস সেলের উপস্থিতি বাড়তে পারে।

৬. ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস (Interstitial Cystitis)

এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অবস্থা যেখানে মূত্রথলিতে প্রদাহ এবং ব্যথা হয়, কিন্তু কোনো সংক্রমণ থাকে না। এক্ষেত্রেও প্রস্রাবে পাস সেল দেখা যেতে পারে।

৭. অন্যান্য কারণ

এছাড়াও কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যক্ষ্মা (Tuberculosis), বা কোনো অটোইমিউন রোগের কারণেও প্রস্রাবে পাস সেলের পরিমাণ বাড়তে পারে।

কীভাবে বুঝবেন প্রস্রাবে Pus Cells বেড়ে গিয়েছে? (লক্ষণসমূহ)

অনেক সময় কোনো লক্ষণ ছাড়াই প্রস্রাবে পাস সেলের মাত্রা বেশি থাকতে পারে, যা রুটিন চেকআপে ধরা পড়ে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়, যা সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়:

  • প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা: এটি ইউটিআই-এর একটি প্রধান লক্ষণ।
  • ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ: বারবার প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভব করা, কিন্তু পরিমাণে খুব অল্প হওয়া।
  • তলপেটে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা: মূত্রথলির সংক্রমণের কারণে তলপেটে অস্বস্তি হতে পারে।
  • ঘোলাটে বা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব: পাস সেল এবং ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণে প্রস্রাব ঘোলাটে দেখায় এবং তীব্র দুর্গন্ধ হতে পারে।
  • প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া (Haematuria): কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রঙ লালচে বা গোলাপি হতে পারে।
  • জ্বর এবং কাঁপুনি: সংক্রমণ কিডনি পর্যন্ত ছড়িয়ে গেলে জ্বর, কাঁপুনি এবং পিঠের দিকে ব্যথা হতে পারে।

কখন দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

যদি আপনার প্রস্রাবের উপসর্গের সাথে তীব্র জ্বর (১০১°F বা তার বেশি), পিঠে বা কোমরের পাশে তীব্র ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হয়, তাহলে একদম দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। Mayo Clinic-এর মতে, এগুলি কিডনি সংক্রমণের মতো গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা (Diagnosis and Treatment)

প্রস্রাবে পাস সেলের কারণ সঠিকভাবে নির্ণয় করার জন্য চিকিৎসক কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দেন।

রোগ নির্ণয়

১. ইউরিন রুটিন পরীক্ষা (Urine Routine Examination – R/E): এটি একটি প্রাথমিক পরীক্ষা, যেখানে মাইক্রোস্কোপের নিচে প্রস্রাবে পাস সেল, লোহিত রক্তকণিকা (RBC), ব্যাকটেরিয়া এবং ক্রিস্টালের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়।

২. ইউরিন কালচার (Urine Culture): যদি ইউরিন R/E-তে সংক্রমণ ধরা পড়ে, তবে কোন নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমণ হয়েছে তা জানতে এই পরীক্ষা করা হয়। এর মাধ্যমে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক বেছে নিতে সুবিধা হয়।

৩. আল্ট্রাসাউন্ড (Ultrasound): যদি কিডনিতে পাথর বা মূত্রনালীতে অন্য কোনো সমস্যা সন্দেহ করা হয়, তবে পেটের আল্ট্রাসাউন্ড করার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

চিকিৎসা

প্রস্রাবে পাস সেলের চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে এর মূল কারণের উপর নির্ভর করে।

  • অ্যান্টিবায়োটিক: যদি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের (যেমন UTI) কারণে পাস সেল বেড়ে যায়, তবে চিকিৎসক নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেবেন। সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা অত্যন্ত জরুরি, এমনকি যদি লক্ষণগুলো দ্রুত চলেও যায়।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে (২-৩ লিটার) পানি পান করলে তা মূত্রনালীর ব্যাকটেরিয়াকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণ দ্রুত সারে।
  • অন্যান্য রোগের চিকিৎসা: যদি কিডনিতে পাথর, প্রোস্টেটাইটিস বা অন্য কোনো কারণে পাস সেল বাড়ে, তবে সেই নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসা করতে হবে।

প্রতিরোধ ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি

কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং প্রস্রাবে পাস সেল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন: এটি প্রস্রাবকে পাতলা রাখে এবং ব্যাকটেরিয়াকে বের করে দেয়।
  • ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে, শৌচকর্মের পর যৌনাঙ্গ সামনে থেকে পেছনের দিকে পরিষ্কার করার অভ্যাস করা উচিত, যাতে মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে প্রবেশ করতে না পারে।
  • প্রস্রাব আটকে না রাখা: প্রস্রাবের বেগ আসলে তা আটকে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে ত্যাগ করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লেবু, কমলা, এবং অন্যান্য টক ফল প্রস্রাবকে অম্লীয় রাখে, যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে বাধা দেয়।

সাধারণ জিজ্ঞাস্য (FAQ)

১. প্রস্রাবে ১০-১২ টি পাস সেল থাকা কি স্বাভাবিক?

না, প্রস্রাবে ১০-১২ টি বা তার বেশি পাস সেলের উপস্থিতি স্বাভাবিক নয়। এটি সাধারণত মূত্রনালীর সংক্রমণ বা অন্য কোনো প্রদাহের লক্ষণ। এমন রিপোর্ট পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

২. পাস সেল কমাতে কী খাওয়া উচিত?

পাস সেল কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো খাবার নেই। তবে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা সবচেয়ে জরুরি। এছাড়াও, ক্র্যানবেরি জুস ইউটিআই প্রতিরোধে সহায়ক বলে মনে করা হয়, যদিও এর কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চলমান। ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এগুলো মূত্রথলিতে অস্বস্তি বাড়াতে পারে।

৩. Pus cells এবং ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য কী?

ব্যাকটেরিয়া হলো জীবাণু যা সংক্রমণ ঘটায় (কারণ)। অন্যদিকে, পাস সেল হলো সেই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মারা যাওয়া শরীরের নিজস্ব সৈনিক (শ্বেত রক্তকণিকা)। প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সংক্রমণ নির্দেশ করে, আর পাস সেলের উপস্থিতি সেই সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিক্রিয়া নির্দেশ করে।

৪. গর্ভাবস্থায় পাস সেল থাকা কি বিপজ্জনক?

গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ইউটিআই-এর ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে। তাই প্রস্রাবে পাস সেলের পরিমাণ বেশি হলে তা গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। কারণ, চিকিৎসা না করালে এটি মা ও শিশু উভয়ের জন্যই জটিলতা তৈরি করতে পারে।

৫. কোনো লক্ষণ ছাড়াই কি প্রস্রাবে পাস সেল থাকতে পারে?

হ্যাঁ, পারে। এই অবস্থাকে অ্যাসিম্পটোম্যাটিক পাইইউরিয়া (asymptomatic pyuria) বলা হয়। অনেক সময় অন্য কোনো কারণে ইউরিন টেস্ট করালে এটি ধরা পড়ে। এক্ষেত্রেও চিকিৎসক অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে পারেন।

প্রস্রাবে Pus Cells-এর উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক যা শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা, বিশেষ করে সংক্রমণকে নির্দেশ করে। রিপোর্টে এর মাত্রা ০-৫ সেল/HPF থাকলে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু এর চেয়ে বেশি হলেই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সঠিক সময়ে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য এবং গুরুতর জটিলতা এড়ানো সম্ভব। তাই নিজের শরীরের প্রতি সচেতন থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।

About Author
Debolina Roy

দেবলীনা রায় একজন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক, যিনি স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে পাঠকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত। ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করা দেবলীনা তার লেখায় চিকিৎসা বিষয়ক জটিল তথ্যগুলি সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেন, যা সাধারণ পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য এবং উপকারী। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে তার গভীর জ্ঞান এবং প্রাঞ্জল লেখনী পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেবলীনা রায়ের লক্ষ্য হল সঠিক ও তথ্যনির্ভর স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করা এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।