Raatri Saathi program: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নতুন প্রকল্প “রাত্রি সাথি” চালু করার ঘোষণা করেছেন যা রাতের বেলায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এই প্রকল্পটি আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে চালু হবে বলে জানা গেছে। রাত্রি সাথি প্রকল্পের আওতায় রাতের বেলায় মহিলারা যাতে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হবে।এই প্রকল্পের অধীনে, রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর বিশেষ বাস পরিষেবা চালু থাকবে। এই বাসগুলিতে মহিলা চালক ও কন্ডাক্টর থাকবেন এবং প্রতিটি বাসে সিসিটিভি ক্যামেরা ও জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম লাগানো থাকবে। প্রাথমিকভাবে কলকাতা ও হাওড়ার প্রধান সড়কগুলিতে এই পরিষেবা চালু হবে, পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য জেলায় সম্প্রসারিত করা হবে।
Central Govt Scheme: লক্ষ্মীর ভান্ডার খুলছে কেন্দ্র! জেনে নিন কীভাবে পাবেন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমাদের রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। রাত্রি সাথি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করব যে কোনো মহিলাকেই অসুরক্ষিত বোধ করতে না হয়।”পরিবহন দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০টি বাস এই পরিষেবায় নিযুক্ত করা হবে। প্রতিটি বাসে দুইজন করে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি বাসে পুলিশের সাথে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থাও থাকবে।
রাজ্য সরকারের অনুমান অনুযায়ী, এই প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাস ক্রয়, চালক ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত খরচ অন্তর্ভুক্ত।নারী অধিকার কর্মী সুমিতা চক্রবর্তী বলেছেন, “এটি একটি স্বাগত উদ্যোগ। তবে এর সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করি এই প্রকল্প শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকবে না।”পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর রাজ্যে রাতের বেলায় মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০০০। রাত্রি সাথি প্রকল্প চালু হলে এই সংখ্যা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাতের আতঙ্ক: আপনার ভয়ের স্বপ্ন কি আসলে একটি গুরুতর রোগের লক্ষণ?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রকল্প সফল হলে শুধু মহিলাদের নিরাপত্তাই নয়, রাতের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। রাতের বেলায় কাজ করা মহিলাদের জন্য এটি বিশেষ সুবিধাজনক হবে।তবে কিছু সমালোচকের মতে, এই প্রকল্পের পরিবর্তে সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত। তাঁরা বলছেন, শুধু মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা না করে সকলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।যাই হোক, রাত্রি সাথি প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই প্রকল্প সফল হলে তা অন্য রাজ্যগুলির জন্যও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।