শ্রী রাধারানীর প্রণাম মন্ত্র: এই পবিত্র মন্ত্র জপে মিলবে ভগবান কৃষ্ণের কৃপা এবং জীবনে আসবে অসীম আশীর্বাদ!

শ্রীমতী রাধারানীর প্রণাম মন্ত্র গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র মন্ত্র যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়তমা শক্তি শ্রীমতী রাধারানীর প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণতি জানানোর জন্য জপ করা হয়। এই সংস্কৃত শ্লোকটি…

Srijita Chattopadhay

 

শ্রীমতী রাধারানীর প্রণাম মন্ত্র গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র মন্ত্র যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়তমা শক্তি শ্রীমতী রাধারানীর প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণতি জানানোর জন্য জপ করা হয়। এই সংস্কৃত শ্লোকটি ইসকন এবং অন্যান্য বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে প্রতিদিন উচ্চারণ করা হয়। মন্ত্রটি হল: “তপ্ত-কাঞ্চন-গৌরাঙ্গী রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী। বৃষভানু-সুতে দেবী প্রণমামি হরি-প্রিয়ে॥” এই মন্ত্রের মাধ্যমে ভক্তরা শ্রীরাধার চরণকমলে আত্মসমর্পণ করেন এবং তাঁর কৃপা লাভের আশা করেন।

শ্রী রাধারানীর প্রণাম মন্ত্রের সম্পূর্ণ রূপ

শ্রীমতী রাধারানীর প্রণাম মন্ত্রটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি দ্বিপদী শ্লোক। এই মন্ত্রটি ব্রহ্ম-মাধব-গৌড়ীয় বৈষ্ণব ভক্তদের দ্বারা নিয়মিত জপ করা হয়। মন্ত্রটির তিনটি লিপি নিচে দেওয়া হলো:

বাংলা লিপি:
তপ্ত-কাঞ্চন-গৌরাঙ্গী রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী।
বৃষভানু-সুতে দেবী প্রণমামি হরি-প্রিয়ে॥

দেবনাগরী লিপি:
तपत-कांचन-गौराङ्गी राधे वृन्दावनेश्वरी।
वृषभानु-सुते देवि प्रणमामि हरि-प्रिये॥

রোমান লিপি (IAST):
tapta-kāñcana-gaurāṅgī rādhe vṛndāvaneśvarī
vṛṣabhānu-sute devi praṇamāmi hari-priye

মন্ত্রের বাংলা অনুবাদ এবং অর্থ

এই পবিত্র প্রণাম মন্ত্রের বাংলা অনুবাদ হল: “হে শ্রীমতী রাধারানী, যাঁর দেহের কান্তি গলিত স্বর্ণের মতো উজ্জ্বল এবং যিনি বৃন্দাবনের পরমেশ্বরী, যিনি মহারাজ বৃষভানুর প্রিয় কন্যা এবং ভগবান শ্রীহরির পরম প্রিয়া, আমি আপনার শ্রীচরণে আমার সবিনয় প্রণাম নিবেদন করি।” ইসকনের আধিকারিক তথ্য অনুসারে, এই মন্ত্র শ্রীরাধারানীর চারটি প্রধান গুণের প্রশংসা করে: তাঁর দিব্য দেহের সৌন্দর্য, তাঁর বৃন্দাবনের রানী হিসেবে অবস্থান, তাঁর পিতা বৃষভানু মহারাজের সাথে সম্পর্ক এবং শ্রীকৃষ্ণের সাথে তাঁর অতুলনীয় প্রেমের বন্ধন।

শ্রীমতী রাধারানী কে এবং তাঁর মহিমা

শ্রীমতী রাধারানী হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি এবং পরম প্রেমময়ী। গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনে, রাধারানীকে সকল ভক্তির উৎস এবং কৃষ্ণপ্রেমের সর্বোচ্চ প্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রাধারানীকে ঈশ্বরের শক্তি ও সৃজনশীল ক্ষমতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তিনি শ্রীকৃষ্ণের সাথে অভিন্ন, যেমন সূর্যালোক সূর্যের সাথে অভিন্ন। গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যে শ্রীরাধাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে মানা হয় কারণ তাঁর প্রেম এমনকি শ্রীকৃষ্ণের প্রেমকেও অতিক্রম করে।

গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনে রাধারানীর স্থান

শ্রীল প্রভুপাদের উপস্থাপনা অনুসারে, শ্রীমতী রাধারানী হলেন বৃন্দাবনের সকল কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু। বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ হলেন শ্রীরাধারানীর উপকরণ এবং এই কারণেই বৃন্দাবনের সকল বাসিন্দা এখনও “জয় রাধে” উচ্চারণ করেন। The Gaudiya Treasures of Bengal-এর ২০২২ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, শ্রীরাধারানী শুধুমাত্র একজন ভক্ত নন বরং তিনি সকলের ভক্তির উৎস। যার মধ্যে ভক্তি আছে, সেই ভক্তি শ্রীমতী রাধারানী থেকেই আসে। রাধারানীর শ্রীকৃষ্ণের প্রতি বিরহ এতই গভীর ছিল যে এটি এমনকি শ্রীকৃষ্ণকেও বিস্মিত করেছিল, যিনি এমন প্রেমের প্রতিদান দিতে নিজেকে অক্ষম মনে করেছিলেন এবং তাই নিজেকে চিরকালের জন্য তাঁর ঋণী মনে করতেন।

শ্রী রাধারানীর প্রণাম মন্ত্র: দিনে মাত্র কয়েক মিনিট জপেই পেয়ে যান ভক্তি, শান্তি ও করুণার অফুরন্ত আশীর্বাদ!

শ্রী রাধারানীর প্রণাম মন্ত্র জপের সঠিক নিয়ম

রাধারানীর প্রণাম মন্ত্র জপ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা উচিত যা মন্ত্রের প্রভাব বৃদ্ধি করে।

মন্ত্র জপের সময় এবং পদ্ধতি

প্রাতঃকালে স্নান করে শুচি-শুদ্ধ হয়ে মন্ত্র জপ করা সবচেয়ে উত্তম। শ্রীরাধারানীর মূর্তি বা ছবির সামনে বসে মন্ত্র উচ্চারণ করা যেতে পারে। মন্ত্র জপের সময় মনঃসংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মন্ত্রের প্রতিটি শব্দের অর্থ মনে রেখে জপ করা উচিত। ইসকন কুরুক্ষেত্রের ২০২৫ সালের নির্দেশনা অনুসারে, রাধারানীর পূজায় ১৬টি উপচার অর্পণ করা হয়: গন্ধ (চন্দন), পুষ্প (তাজা ফুল), ধূপ, দীপ এবং নৈবেদ্য। মন্ত্র জপের সময় তুলসী মালা ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সম্ভব হলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক বার মন্ত্র জপ করা উচিত।

রাধাষ্টমী এবং বিশেষ উৎসব দিবস

রাধাষ্টমী হল শ্রীমতী রাধারানীর আবির্ভাব তিথি যা ভাদ্র মাসের শুক্লা অষ্টমীতে পালিত হয়। গুপ্ত বৃন্দাবন ধামের তথ্য অনুযায়ী, রাধাষ্টমী ২০২৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে পালিত হবে। এই দিনটিতে ভক্তরা বিশেষভাবে রাধারানীর পূজা করেন, তাঁর নামে কীর্তন গান এবং প্রার্থনা করেন। এই দিনে উপবাস থাকা এবং মধ্যরাতে রাধারানীর আবির্ভাবের সময় বিশেষ আরতি করা হয়। রাধাষ্টমীর দিন রাধারানীর প্রণাম মন্ত্র জপ করলে বিশেষ ফল লাভ হয় বলে শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে।

শ্রী রাধারানীর নাম জপের অসাধারণ উপকারিতা

শ্রীরাধারানীর প্রণাম মন্ত্র এবং নাম জপের অসংখ্য আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উপকারিতা রয়েছে। শ্রী মন্দিরের ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, রাধারানীর মন্ত্র জপ করলে মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করে এবং ধন-সম্পদ আনে।

উপকারিতা বিবরণ প্রভাব
আধ্যাত্মিক উন্নতি কৃষ্ণভক্তি এবং প্রেম বৃদ্ধি পায় হৃদয়ে শুদ্ধ ভক্তির উদয় হয়
মানসিক শান্তি জাগতিক চিন্তা এবং উদ্বেগ দূর হয় মনে প্রশান্তি এবং স্থিরতা আসে
বাধা নিবারণ জীবনের সকল প্রকার বাধা-বিপত্তি দূর হয় সফলতার পথ সুগম হয়
পাপ মুক্তি জন্ম-জন্মান্তরের পাপ নাশ হয় জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি
ইচ্ছা পূরণ মনের সৎ ইচ্ছা পূর্ণ হয় জীবনে সমৃদ্ধি ও সুখ আসে

শাস্ত্রীয় প্রমাণ এবং মাহাত্ম্য

News18 হিন্দির ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাধানাম জপের ১২টি প্রধান উপকারিতা রয়েছে: যোগমায়া শক্তি ভক্তকে ভগবানের সঙ্গে মিলিয়ে দেন, ভক্তের জীবন সরল ও সুখময় হয়, ভগবানের প্রতি প্রেম এবং ভক্তিতে উন্নতি হয়, মন্দ চিন্তা ও আসুরী প্রবৃত্তি নষ্ট হয়, ভক্ত চরম সুখ প্রাপ্ত করে এবং সাংসারিক সুখের প্রতি আসক্তি নষ্ট হয়। সনাতন জ্ঞান ওয়েবসাইটের ২০২৫ সালের গবেষণা অনুযায়ী, “রাধা-রাধা” জপ করলেই ভবরোগ মিটে যায় এবং কোটি জন্মের আপদ-বিপদ দূর হয়। এমনকি শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে শ্রীকৃষ্ণের একশত নাম জপ এবং একবার রাধানাম জপ সমান ফল প্রদান করে।

রাধারানীর অন্যান্য মন্ত্র এবং স্তোত্র

প্রণাম মন্ত্র ছাড়াও শ্রীরাধারানীর আরও বেশ কিছু মন্ত্র এবং স্তোত্র রয়েছে যা ভক্তরা নিয়মিত পাঠ করেন।

রাধা চালিসা এবং অন্যান্য স্তোত্র

রাধা চালিসা হল ৪০টি দোহা বা পদ্যের সমন্বয়ে রচিত একটি স্তোত্র যা শ্রীরাধারানীর মহিমা কীর্তন করে। Yantra Chants-এর ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, রাধা চালিসা পাঠ করলে শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধারানী উভয়ের প্রতি নিঃশর্ত ভক্তি বিকশিত হয় এবং মাধুর্য রসের বিকাশ ঘটে। যারা শ্রদ্ধা সহকারে রাধা চালিসা পাঠ করেন তারা আধ্যাত্মিক আনন্দ অনুভব করেন। এছাড়াও রয়েছে “শ্রী রাধা স্তবরাজ”, “রাধা-কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্র” এবং ব্রহ্মার রচিত ২৮টি রাধানাম যা পাঠ করলে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জয়তাং সুরতৌ পঙ্গোর মন্ত্র

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র হল “জয়তাং সুরতৌ পঙ্গোর্‌” যা রাধা-মদনমোহনের মহিমা কীর্তন করে। সংস্কৃত মন্ত্রটি হল: “जयतां सुरतौ पङ्गोः मम मन्द-मतेर् गतिः। मत्-सर्वस्व-पदाम्भोजौ राधा-मदन-मोहनौ॥” যার অর্থ হল: সর্বকৃপাময় রাধা এবং মদনমোহনের জয়ধ্বনি হোক! আমি খঞ্জ এবং মূর্খ, তবুও তাঁরাই আমার পথপ্রদর্শক এবং তাঁদের পদকমল আমার সর্বস্ব। IDoBhakti-এর তথ্য অনুসারে, এই মন্ত্র ইসকনে নিয়মিত জপ করা হয় এবং এটি ভক্তের আত্মনিবেদনের প্রকাশ।

রাধারানীর প্রণাম মন্ত্র এবং আধুনিক জীবন

আধুনিক জীবনের চাপ, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অশান্তির মধ্যে শ্রীরাধারানীর প্রণাম মন্ত্র একটি আধ্যাত্মিক আশ্রয় প্রদান করে। Vraj Vrindavan-এর ২০২০ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী, রাধারানী এবং কৃষ্ণের প্রতি আদর্শ প্রার্থনা হল নাম-রুচি বিকাশ করা এবং ক্রমাগত নামের প্রতি মনোনিবেশ করা। আধুনিক যুগে ডিজিটাল মাধ্যমে মন্ত্র শোনা এবং জপ করা সহজ হয়ে গেছে। অনেক ভক্ত ইউটিউব, স্পটিফাই এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে রাধারানীর মন্ত্র শুনেন এবং নিয়মিত অনুশীলন করেন।

ইসকন গুরু প্রণাম মন্ত্র: মন্ত্রের গভীর তাৎপর্য ও সঠিক অনুশীলন

মন্ত্র জপের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ

যদিও মন্ত্র জপ মূলত একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন, তবে আধুনিক গবেষণা দেখিয়েছে যে মন্ত্র উচ্চারণ মানসিক স্বাস্থ্য, একাগ্রতা এবং মানসিক শান্তিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত মন্ত্র জপ মস্তিষ্কের বিটা তরঙ্গ হ্রাস করে এবং আলফা ও থিটা তরঙ্গ বৃদ্ধি করে, যা গভীর ধ্যান এবং শিথিলতার অবস্থা সৃষ্টি করে। কণ্ঠস্বরে মন্ত্র উচ্চারণ শরীরে কম্পন সৃষ্টি করে যা শরীরের শক্তি কেন্দ্রগুলিকে সক্রিয় করে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে।

মন্ত্র জপে সচেতনতা এবং সতর্কতা

শ্রীরাধারানীর প্রণাম মন্ত্র জপ করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। মন্ত্র জপ শুধুমাত্র যান্ত্রিক উচ্চারণ নয় বরং এটি হৃদয়ের গভীর থেকে ভক্তিভাবে করা উচিত। শ্রীল প্রভুপাদের নির্দেশনা অনুসারে, শ্রীমতী রাধারানী এবং তাঁর লীলা অত্যন্ত পবিত্র এবং কেউ যেন এটিকে সাধারণ জাগতিক প্রেম হিসেবে ভুল না করেন। রাধারানীর প্রতি প্রণাম এবং ভক্তি প্রকাশ করার সময় সর্বদা শ্রদ্ধা এবং বিনয় বজায় রাখা উচিত। মন্ত্র জপের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং ভগবৎ প্রেম অর্জন, কোনও জাগতিক লাভের আশা নয়।

শনি দেবের প্রণাম মন্ত্র: জেনে নিন কীভাবে বড়ঠাকুরকে খুশি করবেন

মন্ত্রের সঠিক উচ্চারণ এবং শেখার উপায়

মন্ত্রের সঠিক উচ্চারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মন্ত্রের শক্তি এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। নবীন ভক্তরা অভিজ্ঞ ভক্ত বা গুরুর কাছ থেকে মন্ত্রের সঠিক উচ্চারণ শিখতে পারেন। ISKCON Desire Tree, Simple Vedas এবং অন্যান্য বৈষ্ণব সংস্থাগুলি অনলাইন সংস্কৃত উচ্চারণ শিক্ষার ভিডিও এবং অডিও প্রদান করে। সংস্কৃত বর্ণমালা এবং উচ্চারণের নিয়ম শিখলে মন্ত্র জপ আরও সহজ এবং কার্যকর হয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে অনুশীলন করলে মন্ত্র উচ্চারণে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।

শ্রীমতী রাধারানীর প্রণাম মন্ত্র “তপ্ত-কাঞ্চন-গৌরাঙ্গী রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী” হল গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যের একটি অমূল্য আধ্যাত্মিক সম্পদ যা ভক্তদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপা লাভের পথ দেখায়। এই পবিত্র মন্ত্র নিয়মিত শ্রদ্ধা ও ভক্তিসহকারে জপ করলে জীবনে আসে মানসিক শান্তি, আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং ভগবৎ প্রেমের অনুভূতি। শাস্ত্র এবং মহাজনদের মতে, রাধারানীর কৃপা ছাড়া শ্রীকৃষ্ণের কৃপা লাভ করা অসম্ভব, তাই প্রতিটি বৈষ্ণব ভক্তের জীবনে এই প্রণাম মন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা সত্যিকারের ভক্তি এবং প্রেমের সাথে এই মন্ত্র জপ করেন, তারা অবশ্যই শ্রীরাধা-কৃষ্ণের দিব্য আশীর্বাদ লাভ করবেন এবং জীবনের চরম লক্ষ্য অর্থাৎ ভগবৎ প্রেম অর্জনে সফল হবেন। তাই আজই শুরু করুন এই পবিত্র মন্ত্র জপ এবং আপনার জীবনকে আধ্যাত্মিক আলোতে উদ্ভাসিত করুন।

About Author
Srijita Chattopadhay

সৃজিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক। তিনি একজন প্রতিশ্রুতিশীল লেখক এবং সাংবাদিক, যিনি তার লেখা দ্বারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি তুলে ধরতে সদা উদ্যমী। সৃজিতার লেখার ধারা মূলত সাহিত্য, সমাজ এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন দিককে ঘিরে আবর্তিত হয়, যেখানে তিনি তার গভীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও বিশ্লেষণী দক্ষতার পরিচয় দেন। তাঁর নিবন্ধ ও প্রতিবেদনগুলি পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, যা তার বস্তুনিষ্ঠতা ও সংবেদনশীলতার পরিচয় বহন করে। সৃজিতা তার কর্মজীবনে ক্রমাগত নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে বদ্ধপরিকর, যা তাকে বাংলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন