দাম্পত্য জীবনকে বলা হয় জীবনের সবচেয়ে মধুর ও জটিল সম্পর্ক। হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা আর ছোট ছোট খুনসুটির মধ্য দিয়েই এই সম্পর্ক এগিয়ে চলে। তবে এই চলার পথে অনেক সময়ই ঝগড়া বা মতের অমিল দেখা দেয়। ছোটখাটো তর্কবিতর্ক সম্পর্ককে মজবুত করলেও, ঘন ঘন এবং তীব্র ঝগড়া সম্পর্কের দেয়ালে সৃষ্টি করতে পারে মারাত্মক ফাটল। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণা ও পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়েই দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া এবং তার ফলস্বরূপ বিবাহবিচ্ছেদের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। কিন্তু ঠিক কী কী কারণে স্বামী-স্ত্রীর (husband and wife) মধ্যে এই বিরোধের জন্ম হয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে এক বা দুটি নয়, বরং একাধিক মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কারণ জড়িত। ২০২২ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর তথ্য অনুসারে, দেশে বিবাহবিচ্ছেদের হার আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, যা প্রতি হাজারে ১.৪ জন। এই পরিসংখ্যানের পেছনে লুকিয়ে আছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের বহু না বলা কথা। আধুনিক জীবনযাত্রার চাপ, পরিবর্তিত সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং ব্যক্তিগত প্রত্যাশার সংঘাতই মূলত এই ঝগড়াগুলোকে তীব্র করে তুলছে। এই প্রতিবেদনে আমরা বৈশ্বিক গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার প্রধান ১২টি কারণ গভীরভাবে বিশ্লেষণ করব।
দাম্পত্য কলহের নেপথ্যে: যে ১২টি কারণ সবচেয়ে বেশি দায়ী (Behind Marital Conflict: The 12 Biggest Causes)
সম্পর্কের রসায়ন ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হলেও, ঝগড়ার কারণগুলোর মধ্যে বিশ্বব্যাপী অদ্ভুত এক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। মনোবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং সম্পর্কবিষয়ক পরামর্শকদের মতে, নিচের কারণগুলোই দাম্পত্য কলহের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।
১. যোগাযোগের অভাব এবং ভুল বোঝাবুঝি (Lack of Communication & Misunderstanding)
সম্পর্কের ভিত্তি হলো সুস্থ যোগাযোগ। যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খোলামেলা আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যায়, তখনই জন্ম নেয় ভুল বোঝাবুঝি। ২০২৪ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, প্রায় ৭৩% দম্পতির মধ্যে সমস্যার মূল কারণ হলো অকার্যকর যোগাযোগ (Marriage Problems and Resolution Strategies: A Case Study)। একজন হয়তো তার মনের কথা গুছিয়ে বলতে পারছেন না, অন্যজন তা নিজের মতো করে ভুল ব্যাখ্যা করছেন। এই ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি জমতে জমতে একটা সময় বড় ক্ষোভের জন্ম দেয়, যা ঝগড়ার রূপ নেয়।
২. অর্থনৈতিক সমস্যা ও আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব (Financial Problems & Lack of Transparency)
টাকা বা অর্থনীতি প্রায় প্রতিটি দাম্পত্য কলহের অন্যতম প্রধান অনুঘটক। কে কত খরচ করবে, সঞ্চয় কীভাবে হবে, বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত কে নেবে—এই বিষয়গুলো নিয়ে মতের অমিল হওয়া স্বাভাবিক। তবে সমস্যা জটিল হয় যখন একে অপরের থেকে আর্থিক বিষয় লুকানো হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৬০% দম্পতির মধ্যে অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে মারাত্মক বিরোধ হয়। বিবিএস-এর ২০২২ সালের জরিপেও অর্থনৈতিক সংকটকে বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন আর্থিক অভ্যাস (একজনের সঞ্চয়ী, অন্যজনের বিলাসী মনোভাব) এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
৩. অবিশ্বাস, সন্দেহ এবং পরকীয়া (Mistrust, Suspicion & Infidelity)
বিশ্বাস যেকোনো সম্পর্কের অক্সিজেন। এই বিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দিলে সম্পর্ক বিষাক্ত হতে শুরু করে। ছোটখাটো বিষয়ে সন্দেহ করা, সঙ্গীর ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা এবং অহেতুক প্রশ্ন করা—এই অভ্যাসগুলোই বড় ঝগড়ার পথ তৈরি করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিবাহবিচ্ছেদের একটি বড় কারণ হলো পরকীয়া বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র বিশ্বাস ভাঙে না, সঙ্গীর আত্মসম্মানেও তীব্র আঘাত হানে, যা থেকে সম্পর্ক আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে না।
৪. শারীরিক ও মানসিক ঘনিষ্ঠতার অভাব (Lack of Physical & Emotional Intimacy)
বিবাহিত জীবনে শারীরিক ও মানসিক ঘনিষ্ঠতা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কর্মব্যস্ততা, মানসিক চাপ বা দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভের কারণে দম্পতিদের মধ্যে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হয়। মানসিক ঘনিষ্ঠতার অভাবে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের কাছে আবেগ প্রকাশ করতে পারেন না, যার ফলে এক ধরনের একাকীত্ব তৈরি হয়। আবার শারীরিক সম্পর্কে অসন্তুষ্টি বা ভিন্ন চাহিদাও সম্পর্কের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি করে, যা পরবর্তীকালে ঝগড়ার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
৫. সন্তান লালন-পালন নিয়ে মতপার্থক্য (Differences in Parenting Styles)
সন্তান জন্মের পর স্বামী-স্ত্রীর জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। তবে এই সন্তানকে মানুষ করার পদ্ধতি নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়শই মতবিরোধ দেখা দেয়। একজন হয়তো কঠোর শাসনে বিশ্বাসী, অন্যজন চান বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সন্তানকে বড় করতে। সন্তানের পড়াশোনা, ভবিষ্যৎ, বা দৈনন্দিন অভ্যাস—যেকোনো বিষয় নিয়েই এই বিরোধ দেখা দিতে পারে। একটি গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ৪৫% দম্পতি সন্তান লালন-পালনের পদ্ধতি নিয়ে নিয়মিত বিতর্কে জড়ান, যা তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৬. পরিবারের অন্য সদস্যদের হস্তক্ষেপ (Interference from In-laws & Family)
বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে, বিয়ে শুধু দুজন মানুষের মধ্যে নয়, দুটি পরিবারের মধ্যে হয়। শ্বশুর-শাশুড়ি বা পরিবারের অন্য সদস্যদের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ অনেক সময়ই দম্পতিদের ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা তৈরি করে। সঙ্গীর বাবা-মাকে সম্মান করা এবং তাদের কথা শোনা এক জিনিস, কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের মতামতকে অতিরিক্ত প্রাধান্য দেওয়া অন্য জিনিস। এই ভারসাম্য রাখতে না পারলে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়।
৭. সংসারের কাজ ও দায়িত্ব বণ্টনে অসমতা (Unequal Distribution of Household Chores)
কে ঘরের কাজ করবে আর কে বাইরের—এই চিরাচরিত ধারণা এখন অনেকটাই বদলে গেছে। বিশেষ করে যেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত, সেখানে সংসারের দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করে নেওয়া জরুরি। কিন্তু বাস্তবে প্রায়শই দেখা যায়, নারীদের উপর ঘরের কাজের চাপ বেশি থাকে। এই অসম দায়িত্ব বণ্টন এক পক্ষের মনে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়। ভেরিওয়েল মাইন্ড (Verywell Mind)-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসারের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্টি বৈবাহিক জীবনে মানসিক চাপ বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ।
৮. সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার (Excessive Use of Social Media)
আধুনিক যুগে দাম্পত্য কলহের একটি নতুন সংযোজন হলো সোশ্যাল মিডিয়া। সঙ্গীকে সময় না দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে বুঁদ হয়ে থাকা, পুরনো বন্ধুদের সাথে অতিরিক্ত যোগাযোগ বা অন্যের ‘পারফেক্ট’ জীবন দেখে নিজের সম্পর্ককে তুলনা করা—এই বিষয়গুলো সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব বাড়াচ্ছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় কাটানোর সাথে বিবাহবিচ্ছেদের হারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সঙ্গীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি নিয়ে সন্দেহ করাও ঝগড়ার একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৯. ব্যক্তিগত অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় অমিল (Clash of Personal Habits & Lifestyles)
বিয়ের আগে সঙ্গীর অনেক অভ্যাসই হয়তো চোখে পড়ে না। কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করলে ছোটখাটো বিষয়, যেমন – অগোছালো থাকা, সময়মতো না ঘুমানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব বা বাজে খরচ করার প্রবণতা চোখে পড়তে শুরু করে। এই ব্যক্তিগত অভ্যাসগুলো নিয়ে প্রথমদিকে বিরক্তি তৈরি হলেও, একটা সময় তা বড় ধরনের ঝগড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
১০. একে অপরকে যথেষ্ট সময় না দেওয়া (Not Giving Enough Quality Time)
ব্যস্ত জীবনে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না। দিনের শেষে দুজনেই যখন ক্লান্ত থাকেন, তখন নিজেদের মধ্যে কথা বলার বা একসঙ্গে ভালো সময় কাটানোর সুযোগ কমে যায়। এই দূরত্বই ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে মানসিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করে। সম্পর্কের সজীবতা ধরে রাখতে একান্তে সময় কাটানো (Quality Time) খুব জরুরি, যার অভাবে সম্পর্কে একঘেয়েমি চলে আসে এবং ছোটখাটো বিষয়েও বিরক্তি তৈরি হয়।
১১. অবাস্তব প্রত্যাশা (Unrealistic Expectations)
অনেকেই সিনেমা বা গল্পের বইয়ের মতো ‘পারফেক্ট’ দাম্পত্য জীবনের স্বপ্ন দেখেন। তারা আশা করেন, তাদের সঙ্গী সবসময় তাদের মনের কথা বুঝবে, সব চাহিদা পূরণ করবে এবং কখনো কোনো ভুল করবে না। এই অবাস্তব প্রত্যাশা পূরণ না হলেই হতাশা তৈরি হয়। সম্পর্কবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, সঙ্গীর সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে বাস্তবতার জমিতে পা রাখা সুখী দাম্পত্যের অন্যতম চাবিকাঠি।
১২. সম্মান ও স্বীকৃতির অভাব (Lack of Respect & Appreciation)
যেকোনো সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মান অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গীর মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়া, সবার সামনে তাকে ছোট করা, তার কাজ বা অবদানের স্বীকৃতি না দেওয়া—এই বিষয়গুলো আত্মসম্মানে আঘাত করে। যখন একজন সঙ্গী অনুভব করেন যে তাকে অবহেলা করা হচ্ছে বা তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না, তখন তার মনে ক্ষোভ জমে। এই জমে থাকা ক্ষোভই পরবর্তীকালে বড় ধরনের বিবাদের জন্ম দেয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ Section)
প্রশ্ন ১: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া কি স্বাভাবিক?
উত্তর: হ্যাঁ, যেকোনো সুস্থ সম্পর্কেই মতের অমিল বা ছোটখাটো তর্কবিতর্ক হওয়াটা স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর। এর মাধ্যমে একে অপরের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা যায়। তবে ঝগড়া যদি ঘন ঘন হয়, হিংসাত্মক রূপ নেয় বা পারস্পরিক সম্মান নষ্ট করে, তবে তা অস্বাভাবিক এবং ক্ষতিকর।
প্রশ্ন ২: ঝগড়া এড়ানোর সেরা উপায় কী?
উত্তর: ঝগড়া পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব নয়, তবে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর সেরা উপায় হলো ‘খোলামেলা ও সম্মানজনক যোগাযোগ’। সমস্যা চেপে না রেখে শান্তভাবে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং নিজেরมุม থেকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করুন।
প্রশ্ন ৩: টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়া কীভাবে কমানো যায়?
উত্তর: আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখুন। দুজনে মিলে একটি মাসিক বাজেট তৈরি করুন। আয়, ব্যয় এবং সঞ্চয়ের বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। বড় কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই সঙ্গীর মতামত নিন।
প্রশ্ন ৪: দাম্পত্য কলহে পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা কী হওয়া উচিত?
উত্তর: পরিবারের সদস্যদের উচিত দম্পতিকে তাদের সমস্যা নিজেদের সমাধান করতে দেওয়া। তাদের ভূমিকা হবে সহায়ক, নিয়ন্ত্রকের নয়। স্বামী-স্ত্রীর উচিত নিজেদের ব্যক্তিগত সীমানা বজায় রাখা এবং বাইরের হস্তক্ষেপ যতটা সম্ভব কমানো।
প্রশ্ন ৫: কখন বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া উচিত?
উত্তর: যখন দেখবেন ঝগড়া নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, আপনারা একই বিষয় নিয়ে বারবার ঝগড়া করছেন, একে অপরের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছেন না বা সম্পর্কের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন, তখন দেরি না করে একজন বিশেষজ্ঞ ম্যারেজ কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া উচিত।
উপসংহার
স্বামী-স্ত্রীর (husband and wife) সম্পর্ক একটি গাছের মতো, যার নিয়মিত যত্ন প্রয়োজন। যোগাযোগ, বিশ্বাস, সম্মান এবং পারস্পরিক বোঝাপড়াই এই সম্পর্কের মূল ভিত্তি। ঝগড়া বা মতের অমিল জীবনেরই অংশ, কিন্তু তা যেন সম্পর্কের সৌন্দর্যকে নষ্ট না করে দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা দুজনেরই দায়িত্ব। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে একসঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করলে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিলে যেকোনো সম্পর্কই আরও সুন্দর ও মজবুত হয়ে উঠতে পারে। মনে রাখতে হবে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবন মানে ঝগড়াবিহীন জীবন নয়, বরং ঝগড়ার পরেও একসঙ্গে থাকার ইচ্ছাশক্তি।