Redmi 12 specifications overview: Redmi 12 স্মার্টফোনটি বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার দারুণ ফিচার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে। এই ফোনটি বাংলাদেশে ১৬,৪৯৯ টাকা থেকে শুরু হয়েছে, যা অনেক মধ্যবিত্ত গ্রাহকের জন্য আকর্ষণীয় অপশন হয়ে উঠেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন, সুবিধা-অসুবিধা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
Redmi 12 বাংলাদেশে তিনটি ভিন্ন ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে:
এই দামে Redmi 12 বর্তমানে বাংলাদেশের বাজেট স্মার্টফোন সেগমেন্টে একটি আকর্ষণীয় অপশন হয়ে উঠেছে।
Redmi Note 13 Pro: দুর্দান্ত ফিচার-সমৃদ্ধ মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন, কিন্তু দাম কি যুক্তিযুক্ত?
Redmi 12 এ রয়েছে একটি বিশাল ৬.৭৯ ইঞ্চি IPS LCD ডিসপ্লে, যার রেজোলিউশন ১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল। ৯০Hz রিফ্রেশ রেট এবং ৫৫০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এর ফলে স্ক্রিনটি অত্যন্ত স্মুথ এবং উজ্জ্বল।
ফোনটিতে রয়েছে MediaTek Helio G88 চিপসেট, যা ১২nm প্রসেসে তৈরি। এটি ২টি Cortex-A75 কোর (২.০ GHz) এবং ৬টি Cortex-A55 কোর (১.৮ GHz) নিয়ে গঠিত। GPU হিসেবে রয়েছে Mali-G52 MC2।
Redmi 12 এর পিছনে রয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ:
সামনে রয়েছে ৮MP সেলফি ক্যামেরা।
ফোনটিতে রয়েছে ৫০০০mAh ব্যাটারি, যা ১৮W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে।
১. আকর্ষণীয় ডিজাইন: Redmi 12 এর গ্লাস ব্যাক প্যানেল এবং স্লিম প্রোফাইল এটিকে প্রিমিয়াম লুক দেয়। ৮.১৭mm পুরুত্ব এবং ১৯৮.৫ গ্রাম ওজন নিয়ে এটি হাতে ধরতে বেশ আরামদায়ক।
৭. এক্সপ্যান্ডেবল স্টোরেজ: ১TB পর্যন্ত মাইক্রোSD কার্ড সাপোর্ট করে।
১. পুরনো প্রসেসর: MediaTek Helio G88 চিপসেট ২০২১ সালের, যা হেভি গেমিং বা মাল্টিটাস্কিংয়ে কিছুটা ধীর হতে পারে।২. ধীর চার্জিং: ১৮W ফাস্ট চার্জিং অন্যান্য প্রতিযোগী ফোনের তুলনায় ধীর।৩. লো-লাইট ক্যামেরা পারফরম্যান্স: কম আলোতে ছবির মান কিছুটা খারাপ হয়।৪. ব্লোটওয়্যার: MIUI তে কিছু অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ থাকে যা ডিলিট করা যায় না।৫. সিঙ্গেল স্পিকার: স্টিরিও স্পিকার না থাকায় অডিও অভিজ্ঞতা তেমন ভালো নয়।
Redmi 13C: বাজেট ফোনের নতুন রাজা? বাংলাদেশে দাম ও বিস্তারিত রিভিউ
Redmi 12 এর মূল প্রতিযোগী হল Samsung Galaxy A14 5G এবং Realme C55। আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে Redmi 12 এদের সাথে তুলনা করে:
Redmi 12 একটি ভালো বাজেট স্মার্টফোন যা তার দামের তুলনায় অনেক ফিচার অফার করে। বড় ডিসপ্লে, ভালো ক্যামেরা সেটআপ এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ এর মূল আকর্ষণ। তবে পুরনো প্রসেসর এবং ধীর চার্জিং স্পিড কিছুটা হতাশ করতে পারে।যদি আপনি একটি সাশ্রয়ী মূল্যের ফোন খুঁজছেন যা দৈনন্দিন কাজের জন্য যথেষ্ট, তাহলে Redmi 12 একটি ভালো অপশন হতে পারে। কিন্তু যদি আপনি হেভি গেমিং বা মাল্টিটাস্কিং করেন, তাহলে আরও শক্তিশালী প্রসেসর সহ অন্য ফোন বেছে নেওয়া ভালো।সামগ্রিকভাবে, Redmi 12 বাংলাদেশের বাজেট স্মার্টফোন বাজারে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর ফিচার এবং দাম বিবেচনা করে অনেক গ্রাহকই এটিকে আকর্ষণীয় মনে করবেন।
মন্তব্য করুন