Redmi Note 14 Pro+ vs Motorola Edge 50 Pro camera comparison: রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এবং মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো – দুটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন যা বর্তমানে বাজারে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এই দুটি ফোনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল তাদের ক্যামেরা সিস্টেম। আসুন দেখে নেই কোন ফোনটি ক্যামেরা পারফরম্যান্সে এগিয়ে রয়েছে।
প্রথমেই আসুন দুটি ফোনের ক্যামেরা স্পেসিফিকেশন দেখে নেই:
বৈশিষ্ট্য | Redmi Note 14 Pro+ | Motorola Edge 50 Pro |
---|---|---|
মেইন ক্যামেরা | ৫০MP, f/1.৪ | ৫০MP, f/1.৪ |
আল্ট্রা-ওয়াইড | ৮MP, f/২.২ | ১৩MP, f/২.২ |
টেলিফোটো | ৫০MP, ২.৫x অপটিক্যাল জুম | ১০MP, ৩x অপটিক্যাল জুম |
সেলফি ক্যামেরা | ২০MP | ৫০MP |
রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এবং মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো উভয় ফোনেই ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা রয়েছে। তবে রেডমি ফোনটিতে OmniVision Light Hunter 800 সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে মোটোরোলা ফোনে ব্যবহৃত সেন্সরের নাম জানা যায়নি।দিনের আলোয় দুটি ফোনই চমৎকার ছবি তুলতে সক্ষম। রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এর ছবিগুলোতে রঙের সম্পৃক্ততা একটু বেশি দেখা যায়, যা কিছু ব্যবহারকারীর কাছে আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। অন্যদিকে, মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো অপেক্ষাকৃত প্রাকৃতিক রঙ ক্যাপচার করে।ডায়নামিক রেঞ্জের ক্ষেত্রে মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো একটু এগিয়ে আছে। এটি উজ্জ্বল এবং অন্ধকার অংশগুলোর মধ্যে ভালো ব্যালেন্স বজায় রাখতে পারে। রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এর ক্ষেত্রে কখনও কখনও হাইলাইট ব্লো-আউট হয়ে যায়।
Realme 13 Pro Plus: দুর্দান্ত ক্যামেরা আর শক্তিশালী পারফরম্যান্সের সমন্বয়
আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরার ক্ষেত্রে মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছে। এর ১৩ মেগাপিক্সেল সেন্সর রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এর ৮ মেগাপিক্সেল সেন্সরের তুলনায় অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য ক্যাপচার করতে পারে।মোটোরোলা ফোনের আল্ট্রা-ওয়াইড ছবিগুলোতে কিনারার বিকৃতি কম দেখা যায় এবং রঙের সামঞ্জস্যতাও ভালো। রেডমি ফোনের ক্ষেত্রে আল্ট্রা-ওয়াইড ছবিগুলোতে মেইন ক্যামেরার তুলনায় রঙের পার্থক্য বেশি লক্ষণীয়।
টেলিফোটো ক্যামেরার ক্ষেত্রে দুটি ফোনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এ ৫০ মেগাপিক্সেল সেন্সর রয়েছে যা ২.৫x অপটিক্যাল জুম অফার করে। অন্যদিকে মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো তে ১০ মেগাপিক্সেল সেন্সর রয়েছে কিন্তু এটি ৩x অপটিক্যাল জুম অফার করে।রেডমি ফোনের টেলিফোটো ক্যামেরা উচ্চ রেজোলিউশনের কারণে বেশি বিস্তারিত তথ্য ক্যাপচার করতে পারে। কিন্তু মোটোরোলা ফোনের বেশি জুম ক্ষমতা দূরের বস্তুগুলোকে আরও কাছে আনতে সাহায্য করে।পোর্ট্রেট মোডে দুটি ফোনই ভালো পারফর্ম করে। তবে মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো এর এজ ডিটেকশন একটু বেশি নির্ভুল বলে মনে হয়।
সেলফি ক্যামেরার ক্ষেত্রে মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছে। এর ৫০ মেগাপিক্সেল সেন্সর রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এর ২০ মেগাপিক্সেল সেন্সরের তুলনায় অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য ক্যাপচার করতে পারে।মোটোরোলা ফোনের সেলফি ছবিগুলোতে ত্বকের টোন অনেক বেশি প্রাকৃতিক দেখায় এবং বিস্তারিত তথ্যও বেশি থাকে। রেডমি ফোনের সেলফি ছবিগুলোতে কিছুটা ওভার-প্রসেসিং দেখা যায় যা ত্বকের টেক্সচার কমিয়ে দেয়।
কম আলোতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে দুটি ফোনই মোটামুটি ভালো পারফর্ম করে। তবে রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এর নাইট মোড একটু বেশি উজ্জ্বল ছবি তোলে, যদিও এতে কিছুটা নয়েজ দেখা যায়।মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো এর নাইট মোড ছবিগুলো অপেক্ষাকৃত কম উজ্জ্বল কিন্তু বেশি প্রাকৃতিক দেখায়। এটি শ্যাডো ডিটেইল বেশি সংরক্ষণ করতে পারে।
ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে দুটি ফোনই ৪K@৩০fps পর্যন্ত রেকর্ড করতে পারে। তবে মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো এর স্টেবিলাইজেশন সিস্টেম একটু বেশি কার্যকর বলে মনে হয়।রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এর ৪K ভিডিওগুলোতে OIS কাজ না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যার ফলে ভিডিওগুলো কিছুটা কম্পমান দেখায়। মোটোরোলা ফোনের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়নি।
রেডমি টার্বো ৪ প্রো: শক্তিশালী প্রসেসর ও বিশাল ব্যাটারি সহ আসছে নতুন স্মার্টফোন
সামগ্রিকভাবে বিচার করলে, মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো ক্যামেরা পারফরম্যান্সে একটু এগিয়ে আছে বলে মনে হয়। এর আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা, সেলফি ক্যামেরা এবং ভিডিও স্টেবিলাইজেশন সিস্টেম রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এর তুলনায় বেশি ভালো।তবে রেডমি নোট ১৪ প্রো প্লাস এর মেইন ক্যামেরা এবং টেলিফোটো ক্যামেরাও খুব ভালো পারফর্ম করে। বিশেষ করে যারা বেশি সম্পৃক্ত রঙের ছবি পছন্দ করেন তাদের কাছে এটি আকর্ষণীয় হতে পারে।অবশেষে, দুটি ফোনই তাদের মূল্যের তুলনায় চমৎকার ক্যামেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করবে কোন ফোনটি তার জন্য উপযুক্ত হবে।