ভারতের অর্থনীতিতে সুখবর এসেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের খুচরা মুদ্রাস্ফীতি কমে ৩.৬১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৪.২৬ শতাংশ। এই হ্রাসের পেছনে সবজির দাম কমে যাওয়ার বড় ভূমিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি একটি স্বস্তির খবর, কারণ দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সরাসরি তাদের পকেটে প্রভাব ফেলে। এই পরিবর্তন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে, যা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।
গত মাসে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হারে এই উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটেছে মূলত খাদ্যপণ্যের দাম কমার কারণে। জানুয়ারিতে যেখানে মুদ্রাস্ফীতি ৪.২৬ শতাংশ ছিল, ফেব্রুয়ারিতে তা ০.৬৫ শতাংশ কমে ৩.৬১ শতাংশে নেমে এসেছে। সরকারি তথ্য থেকে জানা গেছে, সবজির দামে উল্লেখযোগ্য হ্রাস এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ। এছাড়া, অন্যান্য খাদ্যপণ্য যেমন শস্য, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের দামও স্থিতিশীল ছিল, যা মুদ্রাস্ফীতির হার কমাতে সাহায্য করেছে। ভারতের ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) এই তথ্য প্রকাশ করেছে, যা ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই পরিসংখ্যান সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার ইঙ্গিত দেয়।
এই ঘটনার পেছনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কাজ করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। উদাহরণস্বরূপ, টমেটো, আলু, পেঁয়াজের মতো প্রতিদিনের ব্যবহার্য সবজির দামে স্পষ্ট হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া, জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল থাকায় পরিবহন খরচ কমেছে, যা পরোক্ষভাবে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখেছে, যা অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে। গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চল উভয় ক্ষেত্রেই মুদ্রাস্ফীতির হারে হ্রাস দেখা গেছে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির চিহ্ন।
ভারতের খুচরা মুদ্রাস্ফীতি সাধারণত ভোক্তা মূল্য সূচকের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়, যেখানে খাদ্যপণ্যের দাম একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে মুদ্রাস্ফীতি ৫ শতাংশের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল, কিন্তু ২০২৫ সালের শুরু থেকে এটি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারির এই ৩.৬১ শতাংশ হার আরবিআই-এর ৪ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি, যা দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক সংকেত। তবে, অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন যে, আবহাওয়ার পরিবর্তন বা আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
এটি এমন যে বাজারে গিয়ে দেখা গেল আগের তুলনায় সবজির দাম কমে গেছে। যেমন, ধরা যাক, গত মাসে এক কেজি টমেটোর দাম ছিল ৫০ টাকা, এখন তা ৩৫-৪০ টাকায় নেমে এসেছে। এতে সাধারণ পরিবারের মাসিক খরচ কিছুটা হল