সৌদি আরব ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এই পরিকল্পনায় ১১টি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ, ৫টি হোস্ট শহর এবং দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিশদ বিবরণ রয়েছে। ফিফা সম্প্রতি সৌদি আরবের আনুষ্ঠানিক বিড বুক প্রকাশ করেছে, যেখানে প্রস্তাবিত ৫টি হোস্ট শহর হিসেবে রিয়াদ, জেদ্দা, আল খোবার, আবহা এবং নিওম-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সৌদি আরবের ক্রীড়ামন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন তুরকি বিন ফয়সাল আল সাউদ বলেছেন, “আমরা একসাথে কাজ করছি সৌদি আরবের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য – যেমনটি আমাদের আনুষ্ঠানিক বিড বুকে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনাগুলি আমাদের সমৃদ্ধ ফুটবল ঐতিহ্য এবং খেলার প্রতি গভীর আবেগকে একত্রিত করবে এবং নিশ্চিত করবে যে সৌদি আরব একটি দেশে ৪৮টি দলের টুর্নামেন্ট আয়োজনকারী প্রথম দেশ হিসেবে সফল হবে।”
স্টেডিয়াম পরিকল্পনা:
সৌদি আরবের বিড বুকে মোট ১৫টি স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং ৪টি বিদ্যমান স্টেডিয়ামের সংস্কার অন্তর্ভুক্ত। এই স্টেডিয়ামগুলি ৫টি বিভিন্ন হোস্ট শহরে অবস্থিত হবে। স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে রয়েছে:
রিয়াদে:
- কিং সালমান ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম (৯২,৭৬০ আসন ক্ষমতা, ২০২৯ সালে সম্পন্ন হবে)।
- কিং ফাহাদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম (৭০,২০০ আসন, ২০২৬ সালের মধ্যে সংস্কার করা হবে)।
- প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান স্টেডিয়াম (৪৬,৯৭৯ আসন, ২০২৯ সালে সম্পন্ন হবে)।
- নিউ মুরাব্বা স্টেডিয়াম (৪৬,০১০ আসন, ২০৩২ সালে সম্পন্ন হবে)।
- রোশন স্টেডিয়াম (৪৬,০০০ আসন, ২০৩২ সালে সম্পন্ন হবে)।
- প্রিন্স ফয়সাল বিন ফাহাদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম (৪৬,৮৬৫ আসন, ২০২৭ সালে সম্পন্ন হবে)।
- সাউথ রিয়াদ স্টেডিয়াম (৪৭,০৬০ আসন, ২০৩২ সালে সম্পন্ন হবে)।
- কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়াম (৪৬,৩১৯ আসন, ২০৩২ সালের মধ্যে সংস্কার করা হবে)।
জেদ্দায়:
- কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম (৫৮,৪৩২ আসন, ২০৩২ সালের মধ্যে সংস্কার করা হবে)।
- কিদিয়া কোস্ট স্টেডিয়াম (৪৬,০৯৬ আসন, ২০৩২ সালে সম্পন্ন হবে)।
- জেদ্দা সেন্ট্রাল ডেভেলপমেন্ট স্টেডিয়াম (৪৫,৭৯৪ আসন, ২০২৭ সালে সম্পন্ন হবে)।
- কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটি স্টেডিয়াম (৪৫,৭০০ আসন, ২০৩২ সালে সম্পন্ন হবে)।
আল খোবারে:
- আরামকো স্টেডিয়াম (৪৬,০৯৬ আসন, ২০২৬ সালে সম্পন্ন হবে)।
আবহায়:
- কিং খালিদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়াম (৪৫,৪২৮ আসন, ২০৩২ সালের মধ্যে সংস্কার করা হবে)।
নিওমে:
- নিওম স্টেডিয়াম (৪৬,০১০ আসন, ২০৩২ সালে সম্পন্ন হবে)।
এই স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল নিওম স্টেডিয়াম, যা মাটি থেকে ৩৫০ মিটার উপরে নির্মিত হবে। এটি “দ্য লাইন” নামক একটি প্রস্তাবিত ১০৬ মাইল দীর্ঘ লিনিয়ার শহরে অবস্থিত হবে, যেখানে দুটি সমান্তরাল আকাশচুম্বী ভবন হাঁটার পথ দিয়ে সংযুক্ত থাকবে এবং মরুভূমি ও পর্বতমালা জুড়ে বিস্তৃত থাকবে।
পরিকাঠামোগত উন্নয়ন
সৌদি আরবের বিড বুকে শুধুমাত্র স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনাই নয়, বরং দেশের সামগ্রিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের একটি বিস্তৃত রূপরেখাও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
হোটেল ও আবাসন: বিড বুকে উল্লেখ করা হয়েছে যে হাজার হাজার অতিরিক্ত হোটেল রুমের প্রয়োজন হবে।
বিমানবন্দর ও যোগাযোগ ব্যবস্থা: সৌদি আরব দাবি করেছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশব্যাপী বিমানবন্দরের ধারণক্ষমতা ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি হবে। প্রস্তাবিত ৫টি হোস্ট শহরের প্রতিটিতে আধুনিক বিমানবন্দর থাকবে যা ২৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক গন্তব্যের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: বিড-এ মোট ১৩৪টি প্রশিক্ষণ স্থানের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬১টি বিদ্যমান সুবিধা এবং ৭৩টি নতুন নির্মিত স্থান রয়েছে।
পরিবেশগত ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিশ্রুতি
সৌদি আরবের বিড বুকে পরিবেশগত স্থায়িত্ব ও মানবাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিড বুকের ১৫ পৃষ্ঠা জুড়ে স্থায়িত্ব ও মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলি আলোচনা করা হয়েছে। নিওম স্টেডিয়াম সম্পর্কে দাবি করা হয়েছে যে এটি “সম্পূর্ণভাবে নবায়নযোগ্য শক্তিতে চালিত হবে, যা প্রধানত বায়ু ও সৌর উৎস থেকে উৎপন্ন হবে”। তবে, মানবাধিকার সংগঠনগুলি সৌদি আরবের মানবাধিকার রেকর্ড এবং বিরোধীদের ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়াও, LGBTQ+ অধিকার সৌদি সরকার কর্তৃক স্বীকৃত নয়।
সম্ভাব্য প্রভাব
২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন সৌদি আরবের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে। এটি দেশের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “যদি স্পোর্টস ওয়াশিং আমাদের জিডিপি বৃদ্ধি করে, তাহলে আমরা স্পোর্টস ওয়াশিং চালিয়ে যাব। আমি পরোয়া করি না। আমার কাছে স্পোর্টস থেকে ১% জিডিপি বৃদ্ধি আছে, এবং আমি আরও ১.৫% চাই, আপনি এটাকে যা খুশি বলতে পারেন, কিন্তু আমরা সেই শতাংশ পাব।”
তবে, এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ কাজ ও বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। ক্রাউন প্রিন্সের ২০৩০ ভিশনের অংশ হিসেবে অনেক প্রকল্পের স্পষ্ট সময়সীমা রয়েছে, কিন্তু এই বিশাল পরিকল্পনাগুলি সময়মত সম্পন্ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
আর্থিক বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রভাব
সৌদি আরবের ২০৩৪ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পরিকল্পনায় বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদিও সরকার এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করেনি, তবে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে এই প্রকল্পগুলির জন্য কয়েক শত বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে।সৌদি অর্থনীতিবিদ আহমেদ আল-খতীব বলেছেন, “বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সৌদি অর্থনীতিতে একটি বড় চাঙ্গাভাব নিয়ে আসবে। এটি শুধু নির্মাণ খাতেই নয়, পর্যটন, হোটেল ব্যবস্থাপনা, পরিবহন এবং অন্যান্য সেবা খাতেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।”তবে, কিছু অর্থনীতিবিদ সতর্ক করে দিয়েছেন যে এত বড় পরিমাণ বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নাও হতে পারে। তারা যুক্তি দিয়েছেন যে এই বিনিয়োগের একটি বড় অংশ যদি দেশের মানব সম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয় করা হয়, তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদে দেশের জন্য আরও বেশি ফলপ্রসূ হতে পারে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
২০৩৪ বিশ্বকাপের জন্য সৌদি আরবের বিড নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে মনে করছেন যে এটি সৌদি আরবের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, যা দেশটিকে আরও উন্মুক্ত ও আধুনিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে।ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্টিনো বলেছেন, “সৌদি আরবের বিড অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে তারা ফুটবল ও ক্রীড়া উন্নয়নে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।”অন্যদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে সৌদি আরব তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড ঢাকতে চেষ্টা করছে। আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা আশা করি ফিফা সৌদি আরবের বিডকে গুরুত্ব দেওয়ার আগে দেশটির মানবাধিকার রেকর্ড বিবেচনা করবে।”
পরিবেশগত প্রভাব
সৌদি আরব দাবি করেছে যে ২০৩৪ বিশ্বকাপের জন্য তারা পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পদ্ধতি অবলম্বন করবে। তবে, পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এত বড় ধরনের নির্মাণ কাজ ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।গ্রীনপিস মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক আহমেদ আল-সালেহ বলেছেন, “যদিও সৌদি আরব নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তবুও এত বড় মাত্রার নির্মাণ কাজ ও নতুন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশা করি সৌদি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।”
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব
২০৩৪ বিশ্বকাপ সৌদি সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি দেশটিকে আরও উন্মুক্ত ও আধুনিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করতে পারে, যা ইতিমধ্যেই ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ২০৩০ ভিশনের অংশ।সৌদি সমাজবিজ্ঞানী ড. ফাতিমা আল-রাশিদ বলেছেন, “বিশ্বকাপ আয়োজন সৌদি যুবকদের জন্য একটি বড় সুযোগ। এটি তাদের বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে মেলামেশা করার সুযোগ দেবে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করবে।”তবে, কিছু সমালোচক মনে করেন যে এই পরিবর্তন সৌদি সমাজের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের সাথে সংঘর্ষের সৃষ্টি করতে পারে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে দ্রুত আধুনিকায়ন ও পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব সৌদি সমাজের কিছু অংশে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
চ্যালেঞ্জ ও সমাধান
সৌদি আরবের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে ২০৩৪ বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজন করার ক্ষেত্রে:
- জলবায়ু: গ্রীষ্মকালে অত্যধিক তাপমাত্রা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সহ সব স্টেডিয়ামে এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থা করবে।
- পরিবহন: বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হোস্ট শহরগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। সরকার হাই-স্পিড রেল নেটওয়ার্ক ও নতুন এয়ারপোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
- আবাসন: লাখ লাখ দর্শক ও পর্যটকের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার নতুন হোটেল নির্মাণ ও বিদ্যমান আবাসন ব্যবস্থা উন্নত করার পরিকল্পনা করছে।
- সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা: আন্তর্জাতিক দর্শকদের সাংস্কৃতিক প্রত্যাশা মেটানোর পাশাপাশি স্থানীয় রীতিনীতি ও মূল্যবোধ বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সরকার এ বিষয়ে সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করছে।
২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য সৌদি আরবের মহাপরিকল্পনা অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী ও ব্যাপক। এটি শুধু একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের চেয়ে অনেক বেশি – এটি দেশটির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিকাঠামোগত রূপান্তরের একটি মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে।তবে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সময়মত প্রকল্প সম্পন্ন করা, পরিবেশগত প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকায়ন করা – এসব বিষয়গুলি সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে।
যাই হোক, ২০৩৪ বিশ্বকাপ সৌদি আরবের জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। এটি দেশটিকে বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে উপস্থাপন করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে। সফলভাবে এই আয়োজন করতে পারলে তা শুধু সৌদি আরবের জন্যই নয়, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।তবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই প্রক্রিয়াটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তারা আশা করছে যে এই বিশ্বকাপের মাধ্যমে।