PM Kisan Mandhan Yojana: ভারত সরকার কৃষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পেনশন প্রকল্প চালু করেছে যার নাম প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন যোজনা (PMKMY)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছোট ও প্রান্তিক কৃষকরা ৬০ বছর বয়সে পৌঁছালে প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। এর জন্য তাদের মাসে মাত্র ৫৫ টাকা করে জমা রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্পটি চালু করেন। এর লক্ষ্য হল দেশের প্রায় ৫ কোটি ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের বার্ধক্যে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা।এই প্রকল্পে যোগদানের জন্য কৃষকদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তাদের অবশ্যই ২ হেক্টর বা তার কম জমির মালিক হতে হবে। যোগ্য কৃষকরা স্বেচ্ছায় এই প্রকল্পে যোগদান করতে পারবেন।
PM Kisan: কৃষকদের আর্থিক সহায়তার হাতিয়ার
প্রকল্পের আওতায় কৃষক ও কেন্দ্রীয় সরকার সমান অংশে অর্থ জমা করবেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৮ বছর বয়সী একজন কৃষক মাসে ৫৫ টাকা জমা করলে সরকারও ৫৫ টাকা যোগ করবে, অর্থাৎ মোট ১১০ টাকা জমা হবে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মাসিক জমার পরিমাণও বাড়বে। ৪০ বছর বয়সী কৃষককে মাসে ২০০ টাকা জমা করতে হবে।
এই প্রকল্পে যোগদান করতে আগ্রহী কৃষকদের নিকটস্থ কমন সার্ভিস সেন্টারে (CSC) যেতে হবে। সেখানে তাদের আধার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। CSC-র কর্মীরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।রেজিস্ট্রেশনের সময় কৃষকদের প্রথম কিস্তির টাকা নগদে জমা দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(PMAY): সকলের জন্য আবাসনের স্বপ্ন
এরপর একটি অটো-ডেবিট ফর্ম পূরণ করতে হবে যাতে পরবর্তী কিস্তিগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া যায়। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে প্রত্যেক কৃষক একটি অনন্য কিষান পেনশন অ্যাকাউন্ট নম্বর (KPAN) পাবেন।এই প্রকল্পের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
এই প্রকল্পটি কৃষকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৮,২৯,৪৬৯ জন কৃষক এই প্রকল্পে নিবন্ধন করেছেন। তবে সরকার আশা করছে যে আগামী কয়েক বছরে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার কৃষকদের বার্ধক্যে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি তাদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
এটি দীর্ঘমেয়াদে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।তবে এই প্রকল্পের কিছু সমালোচনাও রয়েছে। অনেকে মনে করেন যে মাসিক ৩,০০০ টাকা পেনশন পর্যাপ্ত নয়। আবার কেউ কেউ বলছেন যে এই প্রকল্পে যোগদানের জন্য বয়সের উচ্চসীমা ৪০ বছর রাখা হয়েছে, যা বাড়ানো উচিত।
যাই হোক, সামগ্রিকভাবে এই প্রকল্পটি ভারতের কৃষি ক্ষেত্রের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এটি কৃষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।কৃষকরা যারা এই প্রকল্পে যোগদান করতে আগ্রহী, তারা নিকটস্থ কমন সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা https://pmkmy.gov.in ওয়েবসাইট ভিজিট করে আরও তথ্য পেতে পারেন। সরকার আশা করছে যে আগামী কয়েক বছরে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫ কোটি কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করবেন।