Shab-e-Barat night of forgiveness: ২০২৫ সালে শবে বরাত পালিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। এটি ইসলামিক ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত।
‘শবে বরাত’ শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে, যেখানে ‘শব’ মানে রাত এবং ‘বরাত’ মানে মুক্তি। এই রাতকে আরবি ভাষায় বলা হয় “লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান” অর্থাৎ শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত একটি রাত, যা ক্ষমা, রহমত এবং মুক্তির জন্য নিবেদিত।
১. ক্ষমার রাত: ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারীদের বাদে সবাইকে ক্ষমা করেন।
২. ভাগ্য নির্ধারণের রাত: অনেক হাদিসে উল্লেখ আছে যে, এই রাতে পরবর্তী বছরের জীবন-মৃত্যু ও রিজিক নির্ধারণ করা হয়। যদিও এ বিষয়ে কিছু মতবিরোধ রয়েছে।
৩. ইবাদতের গুরুত্ব: রাসুলুল্লাহ (সা.) এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি নফল নামাজ আদায় করতেন এবং পরদিন রোজা রাখতেন।
নামাজ ও কোরআন তিলাওয়াত: নফল নামাজ আদায় এবং কোরআন তিলাওয়াত করা উত্তম।
তওবা ও দোয়া: এই রাতে গুনাহ মাফ চাওয়া এবং আল্লাহর কাছে নিজের ও পরিবারের জন্য কল্যাণ কামনা করা উচিত।
কবর জিয়ারত: অনেকে এই রাতে কবরস্থানে গিয়ে মৃত আত্মীয়দের জন্য দোয়া করেন।
বিষয় | বিবরণ |
তারিখ | ১৩-১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ |
সময়কাল | সূর্যাস্ত থেকে পরবর্তী সূর্যাস্ত পর্যন্ত |
গুরুত্ব | ক্ষমা, ভাগ্য নির্ধারণ ও ইবাদতের রাত |
১. ঘরে বা মসজিদে ইবাদত করুন।
২. বিশেষ দোয়া ও জিকির করুন।
৩. গরিবদের মাঝে দান করুন এবং সৎ কাজ করুন।
স্মার্ট হোন, সুস্থ থাকুন: চোখকে বাঁচাতে মেনে চলুন ৫ টি কার্যকরী টিপস
শবে বরাত উপলক্ষে কোনো ধরনের বিদআত বা অতিরিক্ত আচার-অনুষ্ঠান পালন থেকে বিরত থাকা উচিত। শুধুমাত্র সহিহ হাদিস অনুযায়ী ইবাদতে মনোনিবেশ করাই উত্তম।
শবে বরাত মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত, যা আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দেয়।