পশ্চিমবঙ্গে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ায় ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ বা ৫.২ কোটি ভোটার ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে “আনম্যাচড” হয়েছেন, যাদের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) এর শুনানিতে ডাকা হতে পারে। ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার সময় ১২টি নির্দিষ্ট নথির মধ্যে যেকোনো একটি প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ পর্যন্ত ৯৯.৯৬ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় ৫৮ লক্ষ নামের বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) কী এবং কেন প্রয়োজন
স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন হলো ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পরিচালিত একটি সর্বাত্মক, দরজায় দরজায় গিয়ে ভোটার যাচাইকরণ এবং তালিকা আপডেট করার প্রক্রিয়া। এটি প্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০-এর ধারা ২১ এবং সংবিধানের ধারা ৩২৪-এর অধীনে পরিচালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গে ২০০২ সালের পর প্রথমবার এই ব্যাপক ভোটার তালিকা সংশোধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের আদেশ অনুযায়ী, ফেজ ২-তে পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে SIR পরিচালিত হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তিদের নাম, স্থানান্তরিত ভোটার এবং ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সরানো, নতুন যোগ্য ভোটার যুক্ত করা এবং বিদ্যমান তথ্য সংশোধন করা।
SIR প্রক্রিয়ার সময়সূচি এবং বর্তমান অবস্থা
নভেম্বর ৪, ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ৪, ২০২৫ পর্যন্ত বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) দরজায় দরজায় গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ ও সংগ্রহ করেছেন। ইলেকশন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৯১টি ফর্ম বিতরণ করা হয়েছে এবং ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮ হাজার ৯৫টি ফর্মের ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে, যা ৯৯.৯৬ শতাংশ।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ সমূহ
| পর্যায় | কার্যক্রম | শুরুর তারিখ | শেষ তারিখ |
|---|---|---|---|
| পর্যায় ১ | ঘরে ঘরে এনুমারেশন | ৪ নভেম্বর, ২০২৫ | ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ |
| পর্যায় ২ | খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ |
| পর্যায় ৩ | দাবি ও আপত্তির সময়কাল | ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৮ জানুয়ারি, ২০২৬ |
| পর্যায় ৪ | শুনানি ও যাচাইকরণ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬ |
| পর্যায় ৫ | চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ | ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ | ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ |
২০০২ সালের তালিকা: ম্যাচিং-ম্যাপিং প্রক্রিয়ার মূল ভিত্তি
SIR প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটারদের তুলনা করা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মাত্র ৩২ শতাংশ ভোটার (২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৭১ হাজার ১১৪ জন) ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে “ম্যাচড” হয়েছেন। বাকি ৬৮ শতাংশ বা ৫.২ কোটিরও বেশি ভোটার “আনম্যাচড” রয়েছেন।
এই বিশাল “আনম্যাচড” সংখ্যাটি ২৩ বছরের ব্যবধানের স্বাভাবিক পরিণতি। এর মধ্যে রয়েছে ১৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী নতুন প্রজন্মের ভোটার, কাজ বা বিয়ের জন্য স্থানান্তরিত লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং যাদের ব্যক্তিগত বা ঠিকানার বিবরণে বানান পরিবর্তন হয়েছে।
শুনানিতে কখন এবং কাকে ডাকা হয়
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যেসব ভোটারদের ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়নি, তাদের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) আনুষ্ঠানিক নোটিশ জারি করবেন। এই নোটিশে নির্দিষ্ট তারিখ, সময় এবং স্থানে শুনানিতে উপস্থিত হতে বলা হবে।
প্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০-এর ধারা ২২ অনুযায়ী, ERO কোনো নাম কাটার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে “যুক্তিসঙ্গত শোনার সুযোগ” দিতে বাধ্য। এই শুনানি একটি আধা-বিচারিক প্রক্রিয়া যেখানে “আনম্যাচড” ভোটারকে তাদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য নথি পেশ করতে হবে।
ভোটার তালিকা অনলাইন চেক: ঘরে বসেই জানুন আপনার নাম যাচাই করার সহজ উপায়
শুনানিতে ডাকা হতে পারে যাদের
-
যারা ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে ম্যাচ হয়নি
-
যাদের এনুমারেশন ফর্মে অসম্পূর্ণ বা সন্দেহজনক তথ্য রয়েছে
-
যাদের বিরুদ্ধে কেউ ফর্ম ৭-এ আপত্তি জানিয়েছে
-
নতুন যুক্ত হওয়া ভোটার (১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে যাদের)
-
ERO নিজে প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো ভোটারকে
SIR শুনানিতে প্রয়োজনীয় ১২টি নথি
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার সময় নিচের ১২টি “ইন্ডিকেটিভ ডকুমেন্ট”-এর মধ্যে যেকোনো একটি নথি দেখাতে হবে। এই নথিগুলি শুধুমাত্র পর্যায় ৪ (শুনানির পর্যায়) এ প্রয়োজন, এনুমারেশনের সময় BLO-কে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আধার কার্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা
নির্বাচন কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে আধার কার্ড শুধুমাত্র পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে। এটি নাগরিকত্ব, আবাস বা জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। এনুমারেশন ফর্মে আধার নম্বর দেওয়া ঐচ্ছিক, বাধ্যতামূলক নয়।
শুনানিতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি
শুনানিতে সফল হওয়ার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
সাথে নিয়ে যেতে হবে
-
BLO-র দেওয়া স্ট্যাম্পযুক্ত এনুমারেশন ফর্মের রসিদ
-
বর্তমান ভোটার আইডি কার্ড (EPIC)
-
১২টি নথির মধ্যে কমপক্ষে একটির মূল কপি
-
প্রয়োজনে অতিরিক্ত সহায়ক নথি (ইউটিলিটি বিল, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি)
-
২০০২ সালের তালিকার প্রিন্টআউট (যদি পাওয়া যায়)
নথিপত্রের সম্পূর্ণ তালিকা.
| নথি নম্বর | নথির বিবরণ | প্রয়োজনীয়তা |
|---|---|---|
| ১ | জন্ম সনদপত্র (সক্ষম কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত) | জন্ম তারিখ ও স্থান প্রমাণের জন্য |
| ২ | বৈধ ভারতীয় পাসপোর্ট | পরিচয় ও নাগরিকত্ব প্রমাণ |
| ৩ | মাধ্যমিক বা উচ্চতর শিক্ষাগত সার্টিফিকেট (স্বীকৃত বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়) | জন্ম তারিখ ও পরিচয় |
| ৪ | কেন্দ্রীয়/রাজ্য সরকার/PSU কর্মী/পেনশনভোগীর পরিচয়পত্র | চাকরি প্রমাণ ও পরিচয় |
| ৫ | ১ জুলাই, ১৯৮৭-এর আগে ব্যাঙ্ক/পোস্ট অফিস/LIC/স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া কোনো নথি | দীর্ঘকালীন বসবাসের প্রমাণ |
| ৬ | স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট (PRC) রাজ্য কর্তৃপক্ষ থেকে | আবাসিক প্রমাণ |
| ৭ | বনাধিকার সার্টিফিকেট (Forest Rights Certificate) | আদিবাসী/বনবাসীদের জন্য |
| ৮ | OBC/SC/ST বা অন্যান্য জাতি সার্টিফিকেট | সক্ষম কর্তৃপক্ষ থেকে |
| ৯ | জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (NRC) – যেখানে আছে | শুধুমাত্র আসাম |
| ১০ | পরিবার রেজিস্টার (রাজ্য/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত) | পারিবারিক রেকর্ড |
| ১১ | সরকার থেকে জমি/বাড়ি বরাদ্দের সার্টিফিকেট | সম্পত্তির প্রমাণ |
| ১২ | আধার কার্ড (ফেজ ২-তে যুক্ত) | শুধুমাত্র পরিচয়ের প্রমা |
শুনানিতে যা করবেন
-
নির্ধারিত সময়ের অন্তত ৩০ মিনিট আগে পৌঁছান
-
সমস্ত নথির মূল কপি এবং ফটোকপি সাথে রাখুন
-
শান্ত ও ভদ্রভাবে ERO-র সামনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করুন
-
যদি বাংলায় অস্বচ্ছন্দ হন, দোভাষী/সাহায্যকারী সাথে নিয়ে যান
-
শুনানির প্রতিটি পর্যায়ের লিখিত নোট রাখুন
যদি নথি না থাকে
এটি SIR-এর সবচেয়ে বিতর্কিত দিক। অনেক সাধারণ নাগরিক, বিশেষত প্রান্তিক সম্প্রদায়, মহিলা এবং দরিদ্রদের কাছে এই ১২টি নথি নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে:
-
তবুও শুনানিতে অবশ্যই উপস্থিত হতে হবে
-
ভোটার রেজিস্ট্রেশন নিয়ম, ১৯৬০-এর নিয়ম ৯ অনুযায়ী, ERO অন্যান্য তদন্ত করতে পারেন
-
পারিবারিক সদস্যদের সাক্ষ্য, প্রতিবেশীদের সাক্ষ্যপত্র ইত্যাদি জমা দিতে পারেন
-
যদি প্রত্যাখ্যাত হন, তাহলে অবিলম্বে আপিল করতে হবে
জাল নথি পেশ করলে কঠোর শাস্তি
নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট সতর্কতা জারি করেছে যে যদি কেউ SIR প্রক্রিয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে জাল নথি পেশ করেন বা মিথ্যা তথ্য দেন, তাহলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এর ধারা ৩৩৭ অনুযায়ী কঠোর শাস্তি হতে পারে।
শাস্তির বিবরণ
-
সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড
-
জরিমানা (পরিমাণ আদালত নির্ধারণ করবেন)
-
ভোটার তালিকা থেকে স্থায়ী বাদ
-
ভবিষ্যতে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্যতা
এছাড়াও, যদি কেউ একাধিক স্থানে নিজের নাম নথিভুক্ত করার চেষ্টা করেন, সেটিও অপরাধ এবং সব জায়গা থেকে নাম বাতিল হতে পারে।
আপিল প্রক্রিয়া: প্রত্যাখ্যাত হলে কী করবেন
যদি ERO আপনার নাম কেটে দেন বা শুনানিতে আপত্তি জানান, তাহলে আইনসম্মত দুই-স্তরের আপিল প্রক্রিয়া রয়েছে:
প্রথম আপিল: জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/DEO-র কাছে
-
কর্তৃপক্ষ: সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (DM) বা জেলা নির্বাচন আধিকারিক (DEO)
-
সময়সীমা: ERO-র সিদ্ধান্তের ১৫ দিনের মধ্যে আপিল জমা দিতে হবে
-
পদ্ধতি: লিখিত আবেদনপত্রের মাধ্যমে
-
আইনি ভিত্তি: ভোটার রেজিস্ট্রেশন নিয়ম, ১৯৬০-এর নিয়ম ২৩
দ্বিতীয় আপিল: মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে
-
কর্তৃপক্ষ: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO)
-
কখন: DM/DEO-র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে
-
এটি চূড়ান্ত প্রশাসনিক আপিল
বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা: হাইকোর্টে রিট পিটিশন
যদি প্রশাসনিক আপিল ব্যর্থ হয় বা মারাত্মক ন্যায়বিচারের লঙ্ঘন ঘটে, তাহলে সংবিধানের ধারা ২২৬-এর অধীনে কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা যেতে পারে। উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র:
-
ERO কোনো নোটিশ না দিয়ে নাম কেটে দিলে
-
শুনানির “যুক্তিসঙ্গত সুযোগ” না দিলে
-
সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছাচারী বা বৈষম্যমূলক হলে
বর্তমান পরিসংখ্যান: SIR-এর প্রভাব
ইলেকশন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণে উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে:
মূল পরিসংখ্যান (ডিসেম্বর ২০২৫)
-
মোট ফর্ম বিতরণ: ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৯১টি
-
ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন: ৯৯.৯৬ শতাংশ
-
বাদ পড়ার সম্ভাবনা: প্রায় ৫৮ লক্ষ ভোটার
-
মৃত ভোটার শনাক্ত: ২৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন
-
খুঁজে পাওয়া যায়নি: ১২ লক্ষ ১ হাজার ৪৬২ জন
-
আনম্যাচড ভোটার: ৬৮ শতাংশ (প্রায় ৫.২ কোটি)
এই পরিসংখ্যান দেখায় যে বিপুল সংখ্যক ভোটার শুনানির প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি।
ফের তারিখ! সুপ্রিম কোর্টে পিছোল ডিএ মামলার শুনানি, রাজ্যের আইনজীবীদের ব্যস্ততায় দীর্ঘতর অপেক্ষা
ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহার করুন
নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু ডিজিটাল সুবিধা চালু করেছে যা SIR প্রক্রিয়ায় সাহায্য করবে:
ECINET অ্যাপ
-
নির্বাচন কমিশনের নতুন সর্বসমেত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন
-
অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া যায়
-
আপনার BLO-র সাথে যোগাযোগ করা যায়
-
ফর্মের অবস্থা ট্র্যাক করা যায়
-
২০০২ সালের তালিকা দেখা যায়
অফিসিয়াল পোর্টালসমূহ
-
ECI ভোটার পোর্টাল: https://voters.eci.gov.in
-
CEO পশ্চিমবঙ্গ: https://ceowestbengal.wb.gov.in
-
হেল্পলাইন নম্বর: 1950
এই পোর্টালগুলির মাধ্যমে আপনি ২০০২ সালের তালিকা চেক করতে পারবেন, ফর্ম জমা দিতে পারবেন এবং আপনার স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
আপনার ভোটাধিকার রক্ষা করুন
স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন একটি জটিল এবং ব্যাপক প্রক্রিয়া যা পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি ভোটারকে প্রভাবিত করছে। ৬৮ শতাংশ “আনম্যাচড” ভোটার যারা সম্ভাব্য শুনানির মুখোমুখি হতে পারেন, তাদের জন্য ১২টি নির্দিষ্ট নথি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান এবং প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। মনে রাখবেন, আপনার ভোটাধিকার একটি মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার এবং তা রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার। খসড়া ভোটার তালিকা ৯ ডিসেম্বর প্রকাশের পর অবশ্যই যাচাই করুন, যদি নোটিশ পান তাহলে শুনানিতে উপস্থিত হন এবং প্রয়োজনে আইনি পরামর্শ নিন। জাল নথি কখনোই পেশ করবেন না কারণ তাতে ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিলে আপনার নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নিরাপদভাবে থাকবে এবং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আপনি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।











