আজকাল প্রায় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। ঘুম আসতে দেরি হওয়া, ঘুম গভীর না হওয়া, বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া এসব এখন পরিচিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে আমাদের জীবন যাপনে পরিবর্তন মূলত দায়ী করা যেতে পারে ঘুম না আসার কারণ হিসেবে।
ঘুমের সমস্যার বিভিন্ন কারণ:-
(১) স্লিপ হাইজিন ঠিক না থাকার কারণে ঘুমের সমস্যা:- ঘুমের সঠিক নিয়ম ও পরিবেশ না মানা হলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন:- অনেক রাত জেগে মোবাইল বা ল্যাপটপ/কম্পিউটারের কাজ করা। এক্ষেত্রে মোবাইল বা ল্যাপটপ/কম্পিউটারের আলো চোখে এসে আমার ঘুম আসাকে বিলম্বিত করে তোলে।
(২) শারীরিক কসরত কম করা:- ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা এক্সারসাইজ করা না হলেও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। আজকাল ওয়ার্ক ফ্রম হোম শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সকলেই পরিচিত। যার ফলে আমাদের শারীরিক নড়াচড়া অনেকটাই কমে গিয়েছে।
(৩) ঘুমের সময়ে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুকূল না থাকা:- ঘুমের সময়ে শরীর খুব অপরিষ্কার থাকা , বিছানা কমফোর্টেবল না থাকা, কোনো আলো বা শব্দ আসা এসব কারণেও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।
(৪) মানসিক চাপের কারণে:- অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুঃশ্চিন্তার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এবং স্লিপ সাইকেল নষ্ট হয়।
ঘুমের সমস্যার প্রতিকার:-
সবার আগে বুঝতে হবে ঘুমের সমস্যাটা ঠিক কি কারণে হচ্ছে। সেইমতো পদক্ষেপ নিতে হবে। তবুও কিছু জিনিস মেনে চললে ঘুমের সমস্যা অনেকটাই কমে হতে পারে। যেমন:-
(১) নির্দিষ্ট স্লিপ হাইজিন মেনে চলা:- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা ঘুমের সমস্যা দূর করতে অনেকটা সাহায্য করে।
(২) নিয়মিত এক্সারসাইজ করা:- নিয়মিত এক্সারসাইজ এবং একটি হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চললে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। যার ফলে ঘুমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
(৩) খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা:- প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খাওয়া ঘুমের সমস্যা দূর করে। তৈলাক্ত খাবার না খাওয়া, রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়া এইসব মেনে চললে ঘুমের উন্নতি হয়।
এসব মেনেও যদি ঘুমের সমস্যা দূর না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।