স্টাফ রিপোর্টার
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:০০ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

স্বাধীনতা সংগ্রামী ডাক্তারের হাতে জন্ম নিল ভারতের প্রথম সার্বজনীন গণেশোৎসব

Story Behind Oldest Ganeshotsav in India

Story Behind Oldest Ganeshotsav in India: ১৮৯২ সালে পুণের একজন রাজকীয় চিকিৎসক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রীমন্ত ভাউসাহেব রাঙ্গারি ভারতের প্রথম সার্বজনীন গণেশোৎসবের সূচনা করেন। তিনি একটি অনন্য গণেশ মূর্তি স্থাপন করেন যা ব্রিটিশদের কাছে ভারতের ঐক্যের একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করে।
গণেশ চতুর্থী উৎসব আজ যেভাবে পালিত হয় তার পিছনে রয়েছে একটি অসাধারণ ইতিহাস। ১৮৯২ সালে পুণের বাসিন্দা কৃষ্ণাজিপন্ত খাসগিওয়ালে মারাঠা শাসিত গোয়ালিয়র ভ্রমণে যান। সেখানে তিনি ঐতিহ্যবাহী সার্বজনীন উৎসব দেখতে পান এবং পুণেতে ফিরে এসে তার বন্ধু শ্রীমন্ত ভাউসাহেব রাঙ্গারি ও বালাসাহেব নাতুকে এ বিষয়ে অবহিত করেন।শ্রীমন্ত ভাউসাহেব রাঙ্গারি ছিলেন একজন বিখ্যাত রাজকীয় চিকিৎসক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি এই উৎসবের মধ্যে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার সম্ভাবনা দেখতে পান। তাই তিনি পুণের শালুকার বোল এলাকায় অবস্থিত তাঁর নিজের বাড়িতে প্রথম সার্বজনীন গণেশ মূর্তি স্থাপন করেন।
এই মূর্তিটি ছিল অনন্য। এতে দেখানো হয়েছিল গণেশ একটি অসুরকে বধ করছেন। কাঠ ও ভুসি দিয়ে তৈরি এই মূর্তিতে গণেশের চিরাচরিত শান্ত ও স্থির ভাবমূর্তির পরিবর্তে দেখানো হয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য লড়াইরত ভারতের প্রতীক।এই উদ্যোগ দ্রুত জাতীয় পর্যায়ে নজর কাড়ে যখন স্বাধীনতা সংগ্রামী লোকমান্য তিলক ১৮৯৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কেশরী পত্রিকায় একটি প্রবন্ধে রাঙ্গারির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিলক এমনকি ১৮৯৪ সালে জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পত্রিকার অফিসেও একটি গণেশ মূর্তি স্থাপন করেন।রাঙ্গারি ও তিলকের প্রচেষ্টায় গণেশোৎসব ক্রমে একটি জাতীয় উৎসবে পরিণত হয় যেখানে সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে বুদ্ধিজীবী আলোচনা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, লোকনৃত্য, নাটক, কবিতা পাঠ ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের জাতীয় পরিচয় উদযাপন করতে থাকেন।

শ্রীমন্ত ভাউসাহেব রাঙ্গারি গণপতি ট্রাস্ট আজও সেই ১২৯ বছর পুরনো মূর্তিরই পূজা করে আসছে। এটি ভারতের সবচেয়ে পুরনো সার্বজনীন গণেশোৎসব হিসেবে পরিচিত।রাঙ্গারির বাড়িটিও ছিল একটি দুর্গের মতো। এতে ছিল অস্ত্র লুকানোর জন্য গোপন কক্ষ এবং নদীর তীরে পৌঁছানোর জন্য একটি গোপন পলায়ন পথ। জরুরি অবস্থায় তিনটি প্রধান দরজা একসঙ্গে বন্ধ করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় লক ব্যবস্থাও ছিল। এভাবে এই বাড়িটি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে একটি ছদ্মবেশী দুর্গ হিসেবে কাজ করত।গণেশ চতুর্থী উৎসব বর্তমানে শুধু মহারাষ্ট্রেই নয়, সারা ভারত জুড়ে পালিত হয়। এমনকি বিদেশেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

গণেশ ঠাকুরের মূর্তি কোন দিকে রাখলে আসবে সৌভাগ্য?

মহারাষ্ট্রের বাইরে অন্যান্য রাজ্যে এবং বিদেশে বসবাসকারী মহারাষ্ট্রীয়রা এই ঐতিহ্য নিয়ে গেছেন।গণেশ চতুর্থীর এই বিশ্বব্যাপী বিস্তারের পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে:

১. অভিবাসন:

মহারাষ্ট্রীয়দের অন্যান্য রাজ্যে ও বিদেশে অভিবাসন এই উৎসবকে ছড়িয়ে দিয়েছে।

২. সাংস্কৃতিক তাৎপর্য:

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলিতে গণেশের পূজা দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত, যা এই উৎসবকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।

৩. গণেশের সার্বজনীন আবেদন:

বাধা অপসারণকারী দেবতা হিসেবে গণেশের ভূমিকা একটি সার্বজনীন ধারণা, যা বিভিন্ন সংস্কৃতিতে সহজেই গৃহীত হয়েছে।

৪. চলচ্চিত্র ও সোশ্যাল মিডিয়া:

এগুলি গণেশ চতুর্থীর জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করেছে।

৫. জুয়েলারদের ভূমিকা:

মহারাষ্ট্রের জুয়েলাররা যারা দিল্লি ও ভারতের অন্যান্য অংশে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, তারা গণেশোৎসবকে একটি অখিল ভারতীয় ঘটনায় পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

৬. শাহির বা ঐতিহ্যবাহী লোকগায়কদের প্রভাব:

মহারাষ্ট্রের প্রতিভাবান শাহিররা তাদের ভক্তিমূলক গানের মাধ্যমে গণেশোৎসবকে জন্মস্থানের বাইরে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করেছেন।
গণেশ চতুর্থী উৎসবের এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও বিশ্বব্যাপী বিস্তার বেশ কিছু প্রভাব ফেলেছে:

১. সাংস্কৃতিক ঐক্য:

এই উৎসব বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্রিত করে সাংস্কৃতিক ঐক্য বৃদ্ধি করছে।

২. অর্থনৈতিক প্রভাব:

উৎসব উপলক্ষে মূর্তি নির্মাণ, সাজসজ্জা, খাবার ইত্যাদি শিল্পের বিকাশ ঘটছে।

৩. পরিবেশগত উদ্বেগ:

প্লাস্টিক ও রাসায়নিক রঙ দিয়ে তৈরি মূর্তি বিসর্জনের ফলে পরিবেশ দূষণের উদ্বেগ বাড়ছে। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশবান্ধব মূর্তি ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়ছে।

৪. সামাজিক সংহতি:

উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যা সামাজিক সংহতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৫. পর্যটন শিল্পের বিকাশ:

বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে এই সময়ে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
গণেশ চতুর্থী উৎসবের এই ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ দেখিয়ে দেয় কীভাবে একটি ধর্মীয় উৎসব জাতীয় ঐক্য ও স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি শক্তিশালী মাধ্যমে পরিণত হতে পারে। শ্রীমন্ত ভাউসাহেব রাঙ্গারির দূরদর্শী পদক্ষেপ ও লোকমান্য তিলকের সমর্থন এই উৎসবকে একটি জাতীয় প্রতীকে পরিণত করেছিল যা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।আজ এই উৎসব শুধু ধর্মীয় তাৎপর্যই বহন করে না, এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, জাতীয় ঐক্য ও সামাজিক সংহতির একটি প্রতীক হিসেবেও কাজ করে। বিশ্বব্যাপী এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে এর মূল বার্তা – ঐক্য ও সংহতি – সার্বজনীন আবেদন রাখে।তবে এই উৎসবের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে সাথে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দিয়েছে।
তবে এই উৎসবের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে সাথে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দিয়েছে। পরিবেশ দূষণ, অতিরিক্ত ভিড় ও শব্দ দূষণ, এবং কখনও কখনও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার মতো সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গণেশ চতুর্থী উৎসব তার মূল ভাবনা – ঐক্য ও সংহতি – ধরে রেখেছে।
শ্রীমন্ত ভাউসাহেব রাঙ্গারির জীবন ও কর্ম নিয়ে আরও কিছু তথ্য উল্লেখ করা যায়:

১. চিকিৎসা সেবা:

রাঙ্গারি শুধু একজন রাজকীয় চিকিৎসকই ছিলেন না, তিনি সাধারণ মানুষের জন্যও চিকিৎসা সেবা প্রদান করতেন। তিনি বিশেষ করে গরিব ও অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করতেন।

২. সামাজিক সংস্কার:

তিনি সমাজের নানা কুপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। বিধবা বিবাহ, বাল্যবিবাহ নিরোধ, অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।

৩. শিক্ষা প্রসার:

রাঙ্গারি শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতেন। তিনি নিজের বাড়িতে একটি পাঠশালা চালু করেছিলেন যেখানে গরিব ছাত্রছাত্রীরা বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারত।

৪. স্বদেশী আন্দোলন:

তিনি স্বদেশী আন্দোলনের একজন সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। তিনি মানুষকে বিদেশী পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করতেন।

৫. সাহিত্য চর্চা:

রাঙ্গারি একজন সাহিত্য প্রেমীও ছিলেন। তিনি নিয়মিত কবিতা লিখতেন এবং সাহিত্য সভার আয়োজন করতেন।

৬. গোপন বৈঠক:

তাঁর বাড়িতে প্রায়ই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গোপন বৈঠক হত। এসব বৈঠকে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হত।

৭. অর্থ সাহায্য:

তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে গোপনে অর্থ সাহায্য করতেন। এছাড়া তিনি অনেক গরিব ছাত্রের পড়াশোনার খরচও বহন করতেন।

৮. সংবাদপত্রের সাথে সম্পর্ক:

রাঙ্গারি লোকমান্য তিলকের ‘কেশরী’ পত্রিকার একজন নিয়মিত লেখক ছিলেন। তিনি এই পত্রিকায় সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতেন।

৯. আয়ুর্বেদ চর্চা:

পাশ্চাত্য চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি তিনি আয়ুর্বেদ চিকিৎসাতেও দক্ষ ছিলেন। তিনি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি ও ব্যবহার করতেন।

১০. সাংস্কৃতিক উত্থান:

গণেশোৎসব ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা তাদের প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ পেতেন।

রাঙ্গারির এই বহুমুখী অবদান তাঁকে শুধু একজন চিকিৎসক বা স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে নয়, একজন সমাজ সংস্কারক ও সাংস্কৃতিক পুরুষ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছিল।গণেশ চতুর্থী উৎসবের ক্রমবিকাশের সাথে সাথে এর পালন পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে:

১. পরিবেশ সচেতনতা:

প্লাস্টিক ও রাসায়নিক রঙ দিয়ে তৈরি মূর্তির পরিবর্তে এখন অনেকেই মাটি বা অন্যান্য জৈব পদার্থ দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব মূর্তি ব্যবহার করছেন।

২. সামাজিক দায়বদ্ধতা:

অনেক গণেশ পূজা কমিটি এখন রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ক্যাম্প, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি সামাজিক কর্মকাণ্ড আয়োজন করে।

৩. প্রযুক্তির ব্যবহার:

অনলাইন দর্শন, লাইভ স্ট্রিমিং, ভার্চুয়াল আরতি ইত্যাদির মাধ্যমে দূরবর্তী ভক্তরাও এখন উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারছেন।

৪. শিল্প ও সংস্কৃতির প্রচার:

গণেশ প্যান্ডেলগুলিতে এখন প্রায়ই স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়।

৫. শিক্ষামূলক কার্যক্রম:

অনেক জায়গায় এখন গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক কার্যক্রম আয়োজন করা হয়।

৬. নারী সশক্তিকরণ:

মহিলাদের নেতৃত্বে পরিচালিত গণেশ পূজা কমিটির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

৭. ডিজিটাল প্রচার:

সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন উৎসবের ব্যাপক প্রচার হচ্ছে।

৮. থিম-ভিত্তিক উদযাপন:

অনেক জায়গায় এখন বিভিন্ন সামাজিক বা ঐতিহাসিক থিম ভিত্তিক গণেশ প্যান্ডেল সাজানো হয়।

৯. আন্তর্জাতিক সংযোগ:

বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা এখন তাদের স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে মিলে গণেশোৎসব পালন করছেন, যা সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করছে।

১০. গবেষণা ও অধ্যয়ন:

গণেশ চতুর্থী উৎসব এখন বিভিন্ন সামাজিক ও ঐতিহাসিক গবেষণার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।

মা আসছেন! জানেন দূর্গা পূজা আর কত দিন বাকি? জেনে নিন এখনই!

শ্রীমন্ত ভাউসাহেব রাঙ্গারির দূরদর্শী পদক্ষেপ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত গণেশ চতুর্থী উৎসবের এই ক্রমবিকাশ প্রমাণ করে যে কীভাবে একটি ধর্মীয় উৎসব সময়ের সাথে সাথে সামাজিক পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।গণেশ চতুর্থী উৎসব এখন শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের একটি প্রতিফলন। এই উৎসব দেশপ্রেম, সামাজিক সচেতনতা, পরিবেশ সংরক্ষণ, শিল্প ও সংস্কৃতির প্রচার, এবং সর্বোপরি সামাজিক সংহতির বার্তা বহন করে।
শ্রীমন্ত ভাউসাহেব রাঙ্গারির স্বপ্ন ছিল এমন একটি উৎসব যা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে একত্রিত করবে। আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। গণেশ চতুর্থী উৎসব এখন শুধু হিন্দুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে সব ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করে।এই উৎসবের মাধ্যমে রাঙ্গারি যে বীজ রোপণ করেছিলেন, তা আজ একটি মহীরুহে পরিণত হয়েছে। এই মহীরুহের ছায়ায় আজ কোটি কোটি মানুষ একত্রিত হয়ে উদযাপন করে তাদের ঐক্য, সংহতি ও জাতীয়তাবোধ। এভাবে গণেশ চতুর্থী উৎসব ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনীতির মাঠ থেকে ওটিটি পর্দায়: সিপিএম নেত্রী দীপ্সিতা ধর এখন ‘জিদ্দি গার্লস’-এর বিদ্রোহী চরিত্রে!

ভারতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ৩.৬১ শতাংশে নেমেছে: সবজির দাম কমায় জনগণের স্বস্তি

রেশন কার্ডে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার প্রস্তাব: কেন্দ্রের পথে রাজ্যের সমর্থন!

আইপিএলের ছক্কার রাজা কে? টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দেখে নিন শীর্ষ দশের তালিকা

মাহমুদউল্লাহর ক্রিকেট যাত্রার ইতি: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিদায়ের ঘোষণা

অষ্টম বেতন কমিশন: সরকারি কর্মচারীদের জন্য সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা, হতাশার ছায়া!

ভারতের মাটিতে গোয়েন্দা বিশ্বের মহাজমায়েত: দোভালের নেতৃত্বে দিল্লিতে বৈঠক!

রবিবার থেকে চার জেলায় তাপপ্রবাহের দাপট, কবে মিলবে স্বস্তি

বিশ্ব মঞ্চে ভারতের শিক্ষার জয়যাত্রা: বাংলার প্রতিষ্ঠান কোথায় দাঁড়িয়ে?

ফেসবুক পোস্ট লুকান: নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে রাখার কৌশল!

১০

চন্দননগরে ফরাসি শাসনমুক্তির ৭৫ বছর: হেরিটেজ রিসার্চ সেন্টারের যাত্রা শুরু

১১

জিমেইলে ই-মেইল শিডিউল: গোপন ট্রিকটি জেনে নিন!

১২

৫০ টি দোলের শুভেচ্ছা, প্রিয়জনের সাথে উৎসব আরো রঙিন হোক

১৩

স্মার্টফোন থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরাবেন যেভাবে

১৪

ওভার থিংকিং ধরা পরে যে সাতটি আচরণে

১৫

ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে ধর্ষণের ঊর্ধ্বগতি: রাজপথে প্রতিবাদের ঝড় ছাত্রদের

১৬

ভারতে ইন্টারনেট বিপ্লবের নতুন দিগন্ত: স্টারলিঙ্কের সঙ্গে এয়ারটেলের ঐতিহাসিক চুক্তি

১৭

অস্ত্র আমদানির দৌড়ে শীর্ষে ইউক্রেন, ভারতের স্থান দ্বিতীয়: বিশ্বে কী বার্তা?

১৮

মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে নজর! বঙ্গের সব আসনে লড়তে প্রস্তুত আইএমআইএম

১৯

হোলির রঙে ব্যাঙ্ক বন্ধ: আগামীকাল থেকে টানা ৪ দিন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাঙ্ক ছুটি, তালিকা দেখে নিন

২০
close