নেপালে অশান্তি: কে এই সুশীলা কার্কি? প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নেতা

নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একটি নাম বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে - সুশীলা কার্কি। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কার্কিকে দেশের জেন জেড প্রতিবাদকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন। ৭৩ বছর বয়সী…

Avatar

 

নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একটি নাম বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে – সুশীলা কার্কি। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কার্কিকে দেশের জেন জেড প্রতিবাদকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন। ৭৩ বছর বয়সী এই নারী ইতিমধ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে। এখন তিনি আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।

নেপালে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া তীব্র প্রতিবাদের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর দেশটিতে একটি ক্রান্তিকাল তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদে এ পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নেপালি সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নিয়েছে এবং প্রতিবাদী তরুণদের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রতিবাদী যুবসমাজের একটি ভার্চুয়াল সভায় ৫ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন। এই সিদ্ধান্তে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহও সমর্থন জানিয়েছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল ব্যক্তিগতভাবে কার্কির বাসভবনে গিয়ে তাকে এই দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছেন। প্রাথমিকভাবে অনিচ্ছুক থাকলেও কার্কি শেষ পর্যন্ত এই দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন।

সুশীলা কার্কি ১৯৫২ সালের ৭ জুন বীরাটনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ছিল সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। কৃষক পরিবারে জন্ম নিলেও তার পরিবার মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে অগ্রগামী ছিল। ১৯৭২ সালে তিনি বীরাটনগরের মহেন্দ্র মোরাং ক্যাম্পাস থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি ভারতে যান এবং ১৯৭৫ সালে বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

বানারসে পড়াশোনার সময় তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে। সেখানে তিনি দুর্গা প্রসাদ সুবেদীর সাথে পরিচিত হন, যিনি তখন নেপালি কংগ্রেসের একজন জনপ্রিয় যুব নেতা ছিলেন। তাদের প্রেমের সম্পর্ক পরবর্তীতে বিয়েতে রূপ নেয়। কার্কি পরবর্তীতে সুবেদীকে তার “সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু এবং সংকটের সময় পথপ্রদর্শক” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

১৯৭৯ সালে কার্কি তার আইনি জীবন শুরু করেন। দীর্ঘ আইনি ক্যারিয়ারে তিনি ধীরে ধীরে উন্নতি করেন। ২০০৭ সালে তিনি সিনিয়র অ্যাডভোকেট হন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে তাকে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাড-হক বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১০ সালের নভেম্বরে তিনি স্থায়ী বিচারক হন।

২০১৬ সালের ১১ জুলাই ইতিহাস সৃষ্টি করে সুশীলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নিয়োগের সময় নেপালের তিনটি শীর্ষ পদ – রাষ্ট্রপতি, সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতি – তিনটিই নারীদের হাতে ছিল। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার দায়িত্বকাল ছিল ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত।

বিচারপতি হিসেবে কার্কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে নারীদের তাদের সন্তানদের নাগরিকত্ব প্রদানের অধিকার, যা আগে শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। তিনি একজন মন্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। তার এই কঠোর দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল।

কিন্তু ২০১৭ সালে কার্কির ক্যারিয়ারে একটি তিক্ত অধ্যায় যুক্ত হয়। তখনকার সরকার পুলিশ প্রধান হিসেবে জয় বাহাদুর চাঁদকে নিয়োগ দেয়, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়োগ বাতিল করে দিয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা নবরাজ সিলওয়ালকে পুলিশ প্রধান হিসেবে নিয়োগের আদেশ দেয়। এই সিদ্ধান্তের পর ক্ষমতাসীন জোটের দুই প্রধান দল – মাওবাদী কেন্দ্র এবং নেপালি কংগ্রেস – কার্কির বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করে।

২৪৯ জন সংসদ সদস্য কার্কির বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। তাকে পক্ষপাতদুষ্ট রায় দেওয়া এবং নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এর ফলে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে যান। কিন্তু পরবর্তীতে জনমতের চাপে এবং সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশের কারণে এই অভিশংসন প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়।

এই ঘটনার সময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট কার্কির পক্ষে বিবৃতি প্রদান করেছিল। তারা এই অভিশংসন প্রস্তাবকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষক লোক রাজ বরাল মন্তব্য করেছিলেন যে, কার্কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন, কিন্তু তার আক্রমণাত্মক মনোভাব রাজনীতিবিদদের বিরক্ত করেছিল।

বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে সুশীলা কার্কির নাম এগিয়ে আসার পেছনে রয়েছে তার নিরপেক্ষতা এবং দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি। প্রতিবাদী তরুণরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি গভীর অনাস্থা প্রকাশ করেছে এবং এমন একজন নেতা চেয়েছে যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি যুক্ত নন। যদিও কার্কির স্বামী নেপালি কংগ্রেসের যুব নেতা ছিলেন, কিন্তু কার্কি নিজে কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেননি।

নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনার পর কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্বের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সিগদেল মধ্যরাতে কার্কির বাড়িতে গিয়ে তাকে এই দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছেন। প্রাথমিকভাবে অনিচ্ছুক থাকলেও পরবর্তীতে তিনি এই দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন।

কাঠমান্ডুর জনপ্রিয় মেয়র বালেন্দ্র শাহ, যার নামও অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে আলোচনায় এসেছিল, তিনি কার্কির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। ফেসবুকে একটি পোস্টে শাহ লিখেছেন যে দেশের এমন একজন ব্যক্তির প্রয়োজন যিনি আইন ও শৃঙ্খলা সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে সুশীলা কার্কিই সঠিক পছন্দ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পেলে কার্কির প্রাথমিক কাজ হবে শান্তি পুনঃস্থাপন করা এবং ছয় থেকে বারো মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তিনি শুধুমাত্র একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করবেন এবং স্থিতিশীলতা ফিরে এলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

নেপালে এই রাজনৈতিক অস্থিরতার সূত্রপাত হয়েছিল সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে। সরকার ফেসবুক, এক্স এবং ইউটিউবের মতো প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া প ্ল্যাটফর্মগুলো নিষিদ্ধ করেছিল নতুন নিবন্ধন এবং তদারকি নীতির অসম্মতির কারণে। যদিও একদিন পরেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল, তবুও প্রতিবাদ অব্যাহত থেকেছে।

প্রতিবাদের অন্তর্নিহিত কারণ ছিল দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতার বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ। নেপালের তরুণরা চাকরির অভাবে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হচ্ছে, বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়ায় মূলত নির্মাণকাজে। এই পরিস্থিতি জনমনে গভীর হতাশা সৃষ্টি করেছে।

প্রতিবাদকারীরা সরকারি ভবনে আগুন লাগিয়েছে, সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝলনাথ খনালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকার প্রতিবাদকারীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এই সহিংসতার মুখে নেপালি সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক নেতারা স্থিতিশীলতার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র যুবসমাজের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও রক্তপাতের নিন্দা করেছেন।

বর্তমানে নেপালে একটি জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্তির পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগেই আছে। এই সময়ে নেপালে নয়টি বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু কোনো প্রধানমন্ত্রীই পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করতে পারেননি।

সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলে তা নেপালের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে তিনি হবেন নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তুলনা করা হচ্ছে, যিনি ছাত্র আন্দোলনের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

প্রতিবাদী তরুণদের প্রস্তাব অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হবে সংসদ ভেঙে দিয়ে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমা নির্ধারণ এবং সংসদীয় মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে চার বছরে কমানোর মতো সংস্কারের দাবিও তুলেছে।

আপাতত নেপালে একটি অস্থায়ী শান্তি বিরাজ করছে। কাঠমান্ডুতে সন্ধ্যা ৫টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি রয়েছে। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আবার চালু হয়েছে এবং এয়ার ইন্ডিয়া ও অন্যান্য এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। ভারত তার নাগরিকদের স্বদেশ ফেরানোর জন্য অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে।

সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল এবং সেনাপ্রধানের সাথে প্রতিবাদী প্রতিনিধিদের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নেপালের এই রাজনৈতিক সংকট দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। একদিকে ভারত ও চীনের মতো দুই বৃহৎ শক্তির মাঝে অবস্থিত এই দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, জেন জেড প্রজন্মের নেতৃত্বে এই আন্দোলন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও অনুপ্রেরণা হতে পারে।

সুশীলা কার্কির জীবনকাহিনী নেপালের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। একজন কৃষকের মেয়ে থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এবং এখন সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী – এই যাত্রাপথ অনুপ্রেরণাদায়ক। তার দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান এবং নিরপেক্ষতা তাকে বর্তমান সংকটের একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে তুলে ধরেছে।

নেপালের ভবিষ্যৎ এখন অনেকাংশেই নির্ভর করছে সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতার উপর। তিনি যদি দেশে শান্তি পুনঃস্থাপন করতে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে নেপালের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপিত হবে। কিন্তু এই পথ সহজ নয়। দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার মতো গভীর সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং কার্যকর বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

About Author
Avatar

আমাদের স্টাফ রিপোর্টারগণ সর্বদা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে পারেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি আমাদের ওয়েবসাইটকে একটি বিশ্বস্ত তথ্যের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিংয়ে বিশ্বাসী, দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন তৈরিতে সক্ষম