Tax on Diwali Bonus in India: উৎসবের মরসুমে, বিশেষ করে দিওয়ালির সময়ে, চাকুরীজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি অপেক্ষা করে থাকেন বোনাসের জন্য। এই অতিরিক্ত অর্থ উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুণ করে তোলে, তবে আনন্দের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও এর সাথে জড়িত, আর তা হলো আয়কর। অনেকেই জানেন না যে দিওয়ালি বা অন্য যেকোনো বোনাস সম্পূর্ণভাবে করযোগ্য। ভারতের আয়কর আইন অনুসারে, বোনাসকে ‘বেতন’ (Salary)-এর অংশ হিসেবেই গণ্য করা হয় এবং আপনার আয়কর স্ল্যাব অনুযায়ী এর উপর কর ধার্য করা হয়। এই প্রবন্ধে আমরা দিওয়ালি বোনাসের উপর করের নিয়মাবলী, গণনা পদ্ধতি এবং কর সাশ্রয়ের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভারতের আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ধারা ১৭(১) অনুযায়ী, একজন কর্মচারী তার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে যা কিছু পান, তা সে বেতন, ভাতা, কমিশন বা বোনাস যাই হোক না কেন, তাকে ‘বেতন’ হিসেবেই ধরা হয়। তাই, আপনার কোম্পানি আপনাকে যে দিওয়ালি বোনাস দেয়, তা আপনার মোট বার্ষিক আয়ের সাথে যোগ হয় এবং সেই মোট আয়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে কর দিতে হয়। নিয়োগকর্তা এই বোনাস দেওয়ার সময় উৎস থেকে কর কর্তন (TDS) করতে বাধ্য থাকেন। সুতরাং, বোনাস পাওয়ার আনন্দ যেমন সত্যি, তেমনই এর উপর করের বোঝাও একটি বাস্তবতা। এই নিয়মগুলি জানা থাকলে আপনি আর্থিক পরিকল্পনা আরও ভালোভাবে করতে পারবেন এবং কর সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে পারবেন।
বোনাসের উপর আয়কর: নিয়মাবলী এবং আইনগত ভিত্তি
যখন কোনো কর্মচারী বোনাস পান, তখন সেটি তার জন্য একটি অতিরিক্ত আয়। ভারতীয় আয়কর ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো আয়ের উপর কর আরোপ করা, এবং বোনাসও এর ব্যতিক্রম নয়। দিওয়ালি বোনাসের উপর করের বিষয়টি বুঝতে হলে কিছু আইনি দিক এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যক।
আয়কর আইন, ১৯৬১ এবং বোনাসের সংজ্ঞা
ভারতের আয়কর আইন, ১৯৬১ হলো সেই মূল আইন যা দেশের সমস্ত আয়কর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। এই আইনের ধারা ১৫ বেতনের উপর কর আরোপের কথা বলে এবং ধারা ১৭(১) ‘বেতন’-এর সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। এই ধারা অনুযায়ী, ‘বেতন’-এর মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত:
- মূল বেতন (Basic Salary)
- মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance)
- যেকোনো ধরনের ভাতা (Allowances)
- ফি বা কমিশন
- আনুতোষিক (Gratuity)
- পারকুইজিট (Perquisites) বা অতিরিক্ত সুবিধা
- এবং অবশ্যই, যেকোনো ধরনের বোনাস।
যেহেতু আইন স্পষ্টভাবে বোনাসকে বেতনের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তাই এটি করযোগ্য আয়ের আওতায় পড়ে। এটি পারফরম্যান্স বোনাস, উৎসব বোনাস (যেমন দিওয়ালি বোনাস) বা জয়েনিং বোনাস যাই হোক না কেন, নিয়ম একই থাকে।
কখন বোনাসের উপর কর ধার্য হয়?
একটি সাধারণ প্রশ্ন হলো, বোনাস হাতে পাওয়ার পরেই কি কর দিতে হয়, নাকি ঘোষণার সময়েই কর ধার্য হয়? আয়কর নিয়ম অনুযায়ী, বোনাস যে আর্থিক বছরে ‘প্রাপ্য’ (due) বা ‘প্রাপ্ত’ (received) হয়, তার মধ্যে যেটি আগে ঘটবে, সেই আর্থিক বছরের আয়ের সাথে এটি যোগ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার কোম্পানি ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দিওয়ালি বোনাস ঘোষণা করে এবং আপনি তা নভেম্বর মাসে পান, তাহলে এটি অর্থবর্ষ ২০২৪-২৫ (যা ১লা এপ্রিল, ২০২৪ থেকে ৩১শে মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত বিস্তৃত)-এর আয় হিসেবে গণ্য হবে। এর মূল্যায়ন বর্ষ (Assessment Year) হবে ২০২৫-২৬। সুতরাং, আপনাকে এই আয়ের জন্য সেই আর্থিক বছরের প্রযোজ্য কর হার অনুযায়ী কর প্রদান করতে হবে।
নিয়োগকর্তার দায়িত্ব: উৎস থেকে কর কর্তন (TDS)
আয়কর আইনের ধারা ১৯২ অনুযায়ী, বেতন প্রদান করার সময় নিয়োগকর্তার দায়িত্ব হলো প্রযোজ্য হারে উৎস থেকে কর কর্তন বা TDS (Tax Deducted at Source) করা। যেহেতু বোনাস বেতনেরই একটি অংশ, তাই বোনাসের অর্থ প্রদান করার সময়ও নিয়োগকর্তা TDS কাটতে বাধ্য।
নিয়োগকর্তা আপনার মোট বার্ষিক আয় (বেতন + বোনাস) অনুমান করে এবং তার উপর আপনার নির্বাচিত কর ব্যবস্থা (নতুন বা পুরানো) অনুযায়ী মোট করের পরিমাণ গণনা করে। তারপর সেই মোট করকে বছরের বাকি মাসগুলিতে সমানভাবে ভাগ করে প্রতি মাসের বেতন থেকে TDS কেটে নেওয়া হয়। বোনাস পাওয়ার পরের মাসগুলিতে আপনার মাসিক TDS-এর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, কারণ আপনার মোট করযোগ্য আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কর্তন করা TDS-এর সম্পূর্ণ বিবরণ আপনি আপনার ফর্ম ১৬ (Form 16) এবং ফর্ম ২৬এএস (Form 26AS)-এ দেখতে পাবেন।
কীভাবে বোনাসের উপর কর গণনা করা হয়? একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ
বোনাসের উপর কর গণনা কোনো জটিল প্রক্রিয়া নয়। এটি আপনার মোট আয়ের সাথে যোগ হয়ে আপনার আয়কর স্ল্যাবের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। ভারতে বর্তমানে দুটি কর ব্যবস্থা চালু রয়েছে: পুরানো কর ব্যবস্থা (Old Tax Regime) এবং নতুন কর ব্যবস্থা (New Tax Regime)। করদাতারা তাদের সুবিধা অনুযায়ী যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। অর্থবর্ষ ২০২৪-২৫ (মূল্যায়ন বর্ষ ২০২৫-২৬)-এর জন্য উভয় ব্যবস্থার অধীনে করের হারগুলি জানা প্রয়োজন।
ধাপে ধাপে কর গণনা পদ্ধতি
- মোট আয় নির্ধারণ: প্রথমে আপনার বার্ষিক বেতন (সমস্ত ভাতা সহ) এবং প্রাপ্ত বোনাসের পরিমাণ যোগ করে মোট আয় গণনা করুন।
- ছাড় বাদ দিন: যদি আপনি পুরানো কর ব্যবস্থা বেছে নেন, তাহলে আপনি বিভিন্ন ছাড় যেমন স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (₹৫০,০০০), বাড়ি ভাড়া ভাতা (HRA), লিভ ট্র্যাভেল অ্যালাউন্স (LTA) ইত্যাদি বাদ দিতে পারবেন। নতুন কর ব্যবস্থায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া গেলেও অন্যান্য অনেক ছাড় পাওয়া যায় না।
- করযোগ্য আয় গণনা: মোট আয় থেকে প্রযোজ্য ছাড়গুলি বাদ দেওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাই হলো আপনার মোট করযোগ্য আয় (Gross Taxable Income)।
- বিনিয়োগের উপর ছাড়: এবার, যদি আপনি পুরানো ব্যবস্থায় থাকেন, তাহলে ধারা 80C, 80D, 80G ইত্যাদির অধীনে করা বিনিয়োগ এবং ব্যয়ের উপর ছাড় দাবি করতে পারেন। নতুন ব্যবস্থায় এই ছাড়গুলির বেশিরভাগই अनुपलब्ध।
- চূড়ান্ত করযোগ্য আয়: বিনিয়োগের উপর ছাড় বাদ দেওয়ার পর যা থাকবে, তার উপর আয়কর স্ল্যাব অনুযায়ী কর গণনা করা হবে।
- চূড়ান্ত কর দায়: গণনাকৃত করের উপর ৪% স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস (Health and Education Cess) যোগ করে চূড়ান্ত কর দায় নির্ধারণ করা হয়।
অর্থবর্ষ ২০২৪-২৫ এর জন্য আয়কর স্ল্যাব
সঠিক কর গণনার জন্য বর্তমান আয়কর স্ল্যাব সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি।
পুরানো কর ব্যবস্থা (Old Tax Regime)
এই ব্যবস্থাটি ৬০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য।
আয়কর স্ল্যাব | করের হার |
₹২,৫০,০০০ পর্যন্ত | কোনো কর নেই |
₹২,৫০,০০১ থেকে ₹৫,০০,০০০ | ৫% |
₹৫,০০,০০১ থেকে ₹১০,০০,০০০ | ২০% |
₹১০,০০,০০১ এর উপরে | ৩০% |
দ্রষ্টব্য: এই ব্যবস্থায়, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ধারা 87A-এর অধীনে ₹১২,৫০০ পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়।
নতুন কর ব্যবস্থা (New Tax Regime)
এটি এখন ডিফল্ট কর ব্যবস্থা। অর্থাৎ, আপনি যদি কোনো বিকল্প বেছে না নেন, তাহলে এই ব্যবস্থাটিই আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে।
আয়কর স্ল্যাব | করের হার |
₹৩,০০,০০০ পর্যন্ত | কোনো কর নেই |
₹৩,০০,০০১ থেকে ₹৬,০০,০০০ | ৫% |
₹৬,০০,০০১ থেকে ₹৯,০০,০০০ | ১০% |
₹৯,০০,০০১ থেকে ₹১২,০০,০০০ | ১৫% |
₹১২,০০,০০১ থেকে ₹১৫,০০,০০০ | ২০% |
₹১৫,০০,০০১ এর উপরে | ৩০% |
দ্রষ্টব্য: এই ব্যবস্থায়, ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ধারা 87A-এর অধীনে ₹২৫,০০০ পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়।
একটি উদাহরণের মাধ্যমে গণনা
ধরুন, আপনার বার্ষিক বেতন ₹১০,০০,০০০ এবং আপনি দিওয়ালিতে ₹১,০০,০০০ বোনাস পেয়েছেন। আপনার মোট আয় হলো ₹১১,০০,০০০। আপনি ধারা 80C-এর অধীনে ₹১,৫০,০০০ বিনিয়োগ করেছেন।
পুরানো কর ব্যবস্থা অনুযায়ী গণনা:
- মোট আয়: ₹১১,০০,০০০
- স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন: ₹৫০,০০০
- করযোগ্য আয় (ছাড়ের আগে): ₹১০,৫০,০০০
- ধারা 80C অনুযায়ী ছাড়: ₹১,৫০,০০০
- চূড়ান্ত করযোগ্য আয়: ₹৯,০০,০০০
কর গণনা:
- প্রথম ₹২,৫০,০০০: ₹০
- পরবর্তী ₹২,৫০,০০০ (৫%): ₹১২,৫০০
- বাকি ₹৪,০০,০০০ (২০%): ₹৮০,০০০
- মোট কর: ₹৯২,৫০০
- ৪% সেস: ₹৩,৭০০
- মোট প্রদেয় কর: ₹৯৬,২০০
নতুন কর ব্যবস্থা অনুযায়ী গণনা:
- মোট আয়: ₹১১,০০,০০০
- স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন: ₹৫০,০০০
- চূড়ান্ত করযোগ্য আয়: ₹১০,৫০,০০০ (এখানে 80C ছাড় পাওয়া যাবে না)
কর গণনা:
- প্রথম ₹৩,০০,০০০: ₹০
- ₹৩,০০,০০১ থেকে ₹৬,০০,০০০ (৫%): ₹১৫,০০০
- ₹৬,০০,০০১ থেকে ₹৯,০০,০০০ (১০%): ₹৩০,০০০
- ₹৯,০০,০০১ থেকে ₹১০,৫০,০০০ (১৫%): ₹২২,৫০০
- মোট কর: ₹৬৭,৫০০
- ৪% সেস: ₹২,৭০০
- মোট প্রদেয় কর: ₹৭০,২০০
এই উদাহরণ থেকে স্পষ্ট যে, আপনার বিনিয়োগ এবং আয়ের পরিমাণ অনুযায়ী কোন কর ব্যবস্থাটি বেশি সুবিধাজনক, তা পরিবর্তিত হতে পারে।
বোনাসের উপর কর বাঁচানোর স্মার্ট উপায়
যদিও বোনাসের উপর সরাসরি কর ছাড় পাওয়ার কোনো উপায় নেই, তবে আপনি আপনার সামগ্রিক করের বোঝা কমাতে কিছু স্মার্ট পদক্ষেপ নিতে পারেন। বোনাস থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত অর্থ সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করলে একদিকে যেমন আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে, তেমনই করের পরিমাণও কমবে। এই বিনিয়োগগুলি মূলত পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনেই প্রযোজ্য।
ধারা ৮০সি (Section 80C)-এর অধীনে বিনিয়োগ
এটি কর সাশ্রয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এই ধারার অধীনে আপনি প্রতি আর্থিক বছরে সর্বাধিক ₹১,৫০,০০০ পর্যন্ত বিনিয়োগ করে কর ছাড় পেতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় বিকল্প হলো:
- পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF): এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং সুরক্ষিত বিনিয়োগ প্রকল্প, যেখানে সুদের হার সরকার দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং প্রাপ্ত সুদও করমুক্ত।
- ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS): এটি একটি মিউচুয়াল ফান্ড যা মূলত শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে। এর লক-ইন পিরিয়ড মাত্র ৩ বছর, যা অন্যান্য কর-সাশ্রয়ী প্রকল্পের তুলনায় কম।
- জীবন বীমা প্রিমিয়াম (Life Insurance Premium): নিজের, স্ত্রীর বা সন্তানের জীবন বীমার জন্য প্রদত্ত প্রিমিয়াম 80C-এর অধীনে ছাড়যোগ্য।
- ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC): এটি একটি নির্দিষ্ট সুদের হারের সুরক্ষিত বিনিয়োগ।
- সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (SSY): কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি চমৎকার বিনিয়োগ প্রকল্প, যা কর ছাড়ের সুবিধাও দেয়।
- হোম লোনের মূল অর্থ পরিশোধ: আপনার হোম লোনের আসলের অংশটিও এই ধারার অধীনে ছাড়যোগ্য।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর-সাশ্রয়ী বিকল্প
- ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS) – ধারা ৮০সিসিডি(১বি): ধারা 80C-এর ₹১,৫০,০০০ সীমার বাইরেও আপনি NPS-এ অতিরিক্ত ₹৫০,০০০ বিনিয়োগ করে কর ছাড় পেতে পারেন। এটি আপনার অবসরের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্প।
- স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়াম – ধারা ৮০ডি (Section 80D): নিজের, পরিবার এবং والدينদের জন্য স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়াম প্রদান করে আপনি কর ছাড় পেতে পারেন। নিজের এবং পরিবারের জন্য ₹২৫,০০০ এবং যদি والدين প্রবীণ নাগরিক হন, তবে তাদের জন্য অতিরিক্ত ₹৫০,০০০ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়।
- শিক্ষা ঋণের সুদ – ধারা ৮০ই (Section 80E): উচ্চশিক্ষার জন্য নেওয়া শিক্ষা ঋণের সুদের উপর সম্পূর্ণ ছাড় পাওয়া যায়। এর কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই এবং এই সুবিধা ৮ বছর পর্যন্ত পাওয়া যায়।
- দান – ধারা ৮০জি (Section 80G): নির্দিষ্ট কিছু সংস্থায় দান করলে আপনি সেই দানের পরিমাণের উপর ৫০% বা ১০০% পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন।
বোনাস থেকে প্রাপ্ত অর্থ এই সমস্ত খাতে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার মোট করযোগ্য আয় কমাতে পারেন, যার ফলে আপনার চূড়ান্ত কর দায়ও হ্রাস পাবে।
দিওয়ালি বোনাস নিঃসন্দেহে উৎসবের মরসুমে একটি বড় আর্থিক স্বস্তি নিয়ে আসে। তবে এর সাথে জড়িত করের বিষয়টি অবহেলা করা উচিত নয়। আয়কর আইন অনুযায়ী, বোনাস সম্পূর্ণ করযোগ্য এবং এটি আপনার বার্ষিক আয়ের অংশ। আপনার করের বোঝা নির্ভর করবে আপনার মোট আয় এবং আপনি কোন কর ব্যবস্থা (নতুন বা পুরানো) বেছে নিচ্ছেন তার উপর। সঠিক পরিকল্পনা এবং সময়মতো কর-সাশ্রয়ী বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি আপনার করের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারেন। তাই, বোনাস পাওয়ার সাথে সাথে খরচের পরিকল্পনা করার পাশাপাশি কর ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এই বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য আপনি আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট-এ নজর রাখতে পারেন।