Telangana Transgender Traffic Police: তেলেঙ্গানা সরকার একটি অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা বিশ্বের প্রথম উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ রেভন্ত রেড্ডি ঘোষণা করেছেন যে তারা ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়োগ করবেন। এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র ভারতেই নয়, বিশ্বব্যাপী একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি হায়দরাবাদের উন্নয়ন, গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (GHMC) এলাকার রাস্তা এবং শহরের ফুটপাথ রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা সভায় এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। তিনি শহরের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করার একটি উদ্ভাবনী সমাধান প্রস্তাব করেন।
Police Job Requirements: পুলিশের চাকরিতে নিয়োগের পথে বাধা, জানুন কোন
বর্তমানে হোম গার্ডরা ট্র্যাফিক পুলিশ বিভাগকে এই কাজে সহায়তা করে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন যে একই ধরনের ক্ষমতায় ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়কে এই সুযোগ দেওয়া হোক। এই উদ্যোগের সমর্থনে, তিনি এই স্বেচ্ছাসেবকদের একটি ভাতা প্রদানের প্রস্তাবও দিয়েছেন।
কর্মকর্তাদের এই ভূমিকার জন্য ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের আগ্রহী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে তাদের নতুন দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত করতে কয়েক দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী এই ভূমিকায় কাজ করা ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ পোশাকের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা তাদের অন্তর্ভুক্তিকে শহরের অফিসিয়াল কাঠামোর মধ্যে সম্মানজনক ও সমন্বিত করবে।
এই উদ্যোগটি একই সাথে একাধিক সামাজিক সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে উদ্ভাবনী শাসনব্যবস্থার একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের বড় শহরগুলির মধ্যে হায়দরাবাদে ট্র্যাফিক সমস্যা কম বলে জানা যায়।
সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, এটি হবে ভারতের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার-নির্দিষ্ট সরকারি নিয়োগ ও সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচি। এটি সৃজনশীল ও পার্শ্বীয় চিন্তাভাবনার সেরা উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা একই সাথে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে – ট্রান্সজেন্ডারদের কর্মসংস্থান প্রদান এবং একই সময়ে ট্র্যাফিক বিভাগকে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা।
আগ্রহী ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পর, সরকার তাদের ট্র্যাফিক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। পরবর্তীতে, তাদের সেবা হায়দরাবাদ ট্র্যাফিক পুলিশকে সমর্থন করার জন্য ব্যবহার করা হবে। নিয়োগ ও কর্মসংস্থানের শর্তাবলী নিয়ে কাজ চলছে।
সরকার ট্রান্সজেন্ডার ট্র্যাফিক স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য একটি অনন্য পোশাকের ব্যবস্থা করার কথাও বিবেচনা করছে, যা ট্র্যাফিক পুলিশের পোশাক থেকে আলাদা হবে। এগুলির একটি অনন্য ডিজাইন থাকবে, যার মডেল নিয়ে কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতি অনুসারে, ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় ট্রান্সজেন্ডারদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটি তাদের একটি মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক জীবন প্রদান করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।
এই উদ্যোগটি দুটি প্রধান সামাজিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে – প্রান্তিক ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান এবং শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ।
ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও নিয়োগ করার পর, তাদের হায়দরাবাদ ট্র্যাফিক পুলিশকে সহায়তা করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সরকার “তিনি/তিনি” এবং “তাকে/তাকে” ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ডিজাইনের পোশাক তৈরি করছে।
এছাড়াও, নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের সমতা ও সম্মান নিশ্চিত করতে বেতন ও সুবিধাসহ কর্মসংস্থানের শর্তাবলী চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণের পর, ট্রান্সজেন্ডার বাহিনীকে হায়দরাবাদে মোতায়েন করা হবে। সরকারের মতে, এই পদক্ষেপটি শুধুমাত্র ভারতেই নয়, বিশ্বব্যাপী একটি প্রথম, যা প্রান্তিক ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান এবং শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ – এই দুটি প্রধান সামাজিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য রাখে।
মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি শুক্রবার শহরের ট্র্যাফিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন এবং কর্মকর্তাদের ট্র্যাফিক জ্যাম কমানোর পরিকল্পনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “হোম গার্ডদের মতো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখুন।” কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের বড় পাঁচটি শহরের মধ্যে হায়দরাবাদে ট্র্যাফিক জ্যাম ও সমস্যা সবচেয়ে কম এবং এই পদক্ষেপ ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নতি আনতে সাহায্য করব।
এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে প্রথম। এটি দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা – ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান এবং শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ – একসাথে সমাধান করার চেষ্টা করছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে এটি সৃজনশীল ও পার্শ্বীয় চিন্তাভাবনার সেরা উদাহরণ। আগ্রহী ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পর, সরকার তাদের ট্র্যাফিক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।