Text Neck Syndrome Symptoms: আপনি কি জানেন, আপনার মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে আপনার ঘাড়ে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে? হ্যাঁ, এটি সত্যি! বর্তমান প্রযুক্তির যুগে, আমরা অধিকাংশ সময় মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের সামনে কাটাই। এর ফলে একটি নতুন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার নাম “টেক্সট নেক সিনড্রোম”। এই প্রতিবেদনটি আপনাকে জানাবে কিভাবে এই সমস্যা তৈরি হয়, এর লক্ষণ, প্রতিকার এবং প্রতিরোধের উপায়।
টেক্সট নেক সিনড্রোম কী?
টেক্সট নেক সিনড্রোম হল একটি পুনরাবৃত্তিমূলক স্ট্রেস ইনজুরি যা মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ঘটে। যখন আমরা দীর্ঘ সময় ধরে মাথা নিচু করে স্ক্রিনের দিকে তাকাই, তখন আমাদের ঘাড়ের পেশীগুলির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে ঘাড়ে ব্যথা, পেশী স্ট্রেন, এবং অন্যান্য গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টেক্সট নেক সিনড্রোমের লক্ষণ
টেক্সট নেক সিনড্রোমের প্রধান লক্ষণগুলি হল:
- ঘাড়, উপরের পিঠ, এবং কাঁধে ব্যথা
- মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা এবং কাঁধ গোল হয়ে যাওয়া
- ঘাড়ের চলাচল কমে যাওয়া
- মাথাব্যথা
- ঘাড়ের সামনের দিকে ঝুঁকে থাকার সময় ব্যথা বেড়ে যাওয়া
এই লক্ষণগুলি সাধারণত মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহারের সময় বেশি দেখা যায়।
ভারতে টেক্সট নেক সিনড্রোমের প্রভাব
ভারতে টেক্সট নেক সিনড্রোমের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে ৪২.৫% মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে, কারণ তারা অধিকাংশ সময় মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের সামনে কাটায়।
টেক্সট নেক সিনড্রোমের কারণ
টেক্সট নেক সিনড্রোমের প্রধান কারণগুলি হল:
- মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘ সময় ধরে তাকিয়ে থাকা
- খারাপ অঙ্গবিন্যাস
- পর্যাপ্ত বিরতি না নেওয়া
- শারীরিক ব্যায়ামের অভাব
টেক্সট নেক সিনড্রোমের প্রতিকার
টেক্সট নেক সিনড্রোমের প্রতিকার করতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- ফোনের অবস্থান পরিবর্তন করুন: ফোনটি চোখের স্তরে রাখুন যাতে ঘাড় নিচু করতে না হয়।
- নিয়মিত বিরতি নিন: প্রতি ২০-৩০ মিনিট পর পর বিরতি নিন এবং ঘাড় ও পিঠের পেশীগুলি স্ট্রেচ করুন।
- সঠিক অঙ্গবিন্যাস বজায় রাখুন: সোজা হয়ে বসুন, কাঁধ পিছনে টেনে রাখুন এবং চিবুক ভেতরে টেনে রাখুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ঘাড় ও পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
টেক্সট নেক সিনড্রোম প্রতিরোধের উপায়
টেক্সট নেক সিনড্রোম প্রতিরোধ করতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- ফোনের ব্যবহার সীমিত করুন: ফোনের ব্যবহার কমিয়ে দিন এবং প্রয়োজনীয় কাজগুলি নির্দিষ্ট সময়ে করুন।
- সঠিক অঙ্গবিন্যাস বজায় রাখুন: সোজা হয়ে বসুন এবং ফোনটি চোখের স্তরে রাখুন।
- নিয়মিত বিরতি নিন: প্রতি ২০-৩০ মিনিট পর পর বিরতি নিন এবং ঘাড় ও পিঠের পেশীগুলি স্ট্রেচ করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ঘাড় ও পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
টেক্সট নেক সিনড্রোম থেকে আক্রান্ত ব্যক্তির কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন
১. ব্যথা উপশমের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা:
- নিয়মিত ঘাড়ের নড়াচড়া করা: ঘাড় ঘোরানো এবং পাশে বাঁকানো
- আইস/হিট প্যাক ব্যবহার করা
- ম্যাসাজ করা
-
২. শারীরিক চিকিৎসা:
- সফট টিস্যু মোবিলাইজেশন
- জয়েন্ট মোবিলাইজেশন
- টাইট মাসলগুলির অ্যাক্টিভ ও প্যাসিভ স্ট্রেচিং
- মাসল শক্তিশালীকরণ ব্যায়াম
- পোস্চার রি-ট্রেনিং
৩. ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং:
- চিন টাক এক্সারসাইজ
- স্ক্যাপুলার রিট্র্যাকশন
- নেক রোটেশন ও সাইড বেন্ডিং
- পেক্টোরালিস স্ট্রেচ
- আপার ট্র্যাপেজিয়াস স্ট্রেচ
৪. পোস্চার সংশোধন:
- ফোন বা ডিভাইস চোখের লেভেলে ধরা
- ঘন ঘন বিরতি নেওয়া
- সঠিক বসার ভঙ্গি অনুশীলন করা
৫. অতিরিক্ত চিকিৎসা (প্রয়োজনে):
- কাইনেসিও টেপিং
- প্রোগ্রেসিভ রেজিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ
- গ্লোবাল পোস্চারাল রি-এডুকেশন
৬. তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে:
- ব্যথানাশক ওষুধ
- ফ্যাসেট জয়েন্টে ইনজেকশন
- অ্যাকুপাংচার
৭. লাইফস্টাইল পরিবর্তন:
- মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার কমানো
- নিয়মিত ব্রেক নেওয়া
- এরগনোমিক অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহার করা
- চিকিৎসার পাশাপাশি সঠিক পোস্চার ও লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে টেক্সট নেক সিনড্রোম প্রতিরোধ ও নিরাময় করা সম্ভব। তবে দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র লক্ষণের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত.
টেক্সট নেক সিনড্রোম থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য ব্যায়াম
টেক্সট নেক সিনড্রোম থেকে মুক্তি পেতে এবং ঘাড়ের ব্যথা কমাতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। নিচে উল্লেখিত ব্যায়ামগুলি নিয়মিতভাবে করলে আপনি এই সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১. চিন টাক (Chin Tuck)
চিন টাক ব্যায়ামটি ঘাড়ের সামনের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং ঘাড়ের সঠিক অবস্থান বজায় রাখতে সহায়ক।
- সোজা হয়ে বসুন বা দাঁড়ান।
- আপনার চিবুককে ধীরে ধীরে ভেতরের দিকে টানুন, যেন আপনি ডাবল চিন তৈরি করছেন।
- ৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ১০-১৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন
২. ট্র্যাপ স্ট্রেচ (Trap Stretch)
এই ব্যায়ামটি ঘাড় ও কাঁধের পেশীগুলির টান কমাতে সাহায্য করে।
- সোজা হয়ে বসুন বা দাঁড়ান।
- আপনার বাম হাতটি আপনার থাইয়ের নিচে রাখুন।
- ডান হাতটি মাথার উপরে নিয়ে যান এবং ডান কানের দিকে টানুন।
- ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং প্রতিটি পাশে ৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন
৩. থোরাসিক এক্সটেনশন (Thoracic Extension)
এই ব্যায়ামটি উপরের পিঠের জয়েন্টগুলিকে মবিলাইজ করতে সাহায্য করে।
- একটি চেয়ারে বসুন এবং পা মাটিতে রাখুন।
- হাতগুলি মাথার পিছনে নিয়ে যান এবং আঙ্গুলগুলি একত্রিত করুন।
- ধীরে ধীরে সামনের দিকে ঝুঁকুন এবং পেটকে থাইয়ের দিকে নামান।
- মাথা উপরের দিকে তুলে ছাদের দিকে তাকান।
- ৫-১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
৪. প্রোন রিট্রাকশন (Prone Retraction)
এই ব্যায়ামটি ঘাড় ও পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- মাটিতে মুখ নিচু করে শুয়ে পড়ুন এবং হাতগুলি পাশে রাখুন।
- ঘাড় সোজা রাখুন এবং মাথা উপরের দিকে তুলুন।
- ২-৩ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
৫. প্রোন স্ক্যাপশন (Prone Scaption)
এই ব্যায়ামটি নিম্ন ট্র্যাপেজিয়াস পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- মাটিতে মুখ নিচু করে শুয়ে পড়ুন এবং হাতগুলি মাথার উপরে নিয়ে যান।
- ঘাড় সোজা রাখুন এবং মাথা, হাত ও হাঁটু উপরের দিকে তুলুন।
- ২-৩ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
৬. পেক্টোরালিস স্ট্রেচ (Pectoralis Stretch)
এই ব্যায়ামটি বুকের পেশীগুলিকে স্ট্রেচ করতে সাহায্য করে।
- একটি দরজার ফ্রেমে হাতটি কাঁধের উচ্চতায় রাখুন।
- ধীরে ধীরে সামনের দিকে ঝুঁকুন যতক্ষণ না বুকের পেশীতে টান অনুভব করেন।
- ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং প্রতিটি পাশে ৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
৭. যোগ ব্যায়াম (Yoga Poses)
যোগ ব্যায়ামগুলি ঘাড় ও পিঠের পেশীগুলিকে স্ট্রেচ করতে এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- ডাউনওয়ার্ড-ফেসিং ডগ (Downward-Facing Dog)
- ক্যাট-কাউ (Cat-Cow)
- কোবরা পোজ (Cobra Pose)
এই যোগ ব্যায়ামগুলি প্রতিদিন ১০ মিনিট করলে ঘাড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে
টেক্সট নেক সিনড্রোম থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত যোগাসনগুলি বিশেষভাবে উপকারী:
১. সালম্ব মৎস্যাসন (সাপোর্টেড ফিশ পোজ):
এটি টেক্সট নেকের বিপরীত অবস্থান। এই আসনটি ঘাড়, কাঁধ ও বুকের সামনের পেশীগুলিকে প্রসারিত করে এবং মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
২. সেতুবন্ধাসন (ব্রিজ পোজ):
এই আসনটি বুকের উপরের অংশ ও কাঁধের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে এবং প্রসারিত করে।
৩. উষ্ট্রাসন (ক্যামেল পোজ):
এটি বুকের পেশীগুলিকে প্রসারিত করে এবং কাঁধের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে।
৪. অধোমুখ শ্বানাসন (ডাউনওয়ার্ড ফেসিং ডগ):
এই আসনটি ঘাড় ও পিঠের উপরের অংশের পেশীগুলিকে প্রসারিত করে এবং মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত করে।
৫. ভুজঙ্গাসন (কোবরা পোজ):
এটি পিঠের উপরের অংশের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে এবং কাঁধের অবস্থান উন্নত করে।
৬. বালাসন (চাইল্ড পোজ):
এই আসনটি ঘাড় ও পিঠের পেশীগুলিকে আরাম দেয় এবং তনাব কমায়।
৭. মার্জারীয়াসন-বিতিলাসন (ক্যাট-কাউ পোজ):
এটি মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়ায় এবং ঘাড় ও পিঠের পেশীগুলিকে প্রসারিত করে।
এই আসনগুলি নিয়মিত অনুশীলন করলে টেক্সট নেক সিনড্রোমের লক্ষণগুলি কমতে পারে এবং ঘাড় ও পিঠের স্বাস্থ্য উন্নত হতে পারে। তবে কোনও যোগব্যায়াম শুরু করার আগে একজন যোগ্য প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
টেক্সট নেক সিনড্রোম থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য কোন বিশেষ খাদ্য পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত
টেক্সট নেক সিনড্রোম থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত খাদ্য পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে:১. প্রদাহরোধী খাবার গ্রহণ:
- সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রকলি, কেল ইত্যাদি খাওয়া
- বেরি জাতীয় ফল যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি খাওয়া
- মাছ যেমন সালমন, ম্যাকেরেল, টুনা ইত্যাদি খাওয়া যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ
- আদা ও হলুদ ব্যবহার করা
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ:
- বাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট ইত্যাদি খাওয়া
- গাঢ় রঙের ফল ও সবজি যেমন কমলা, গাজর, টমেটো ইত্যাদি খাওয়া
- গ্রীন টি পান করা
৩. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ:
- দুধ, দই, পনির ইত্যাদি খাওয়া
- ডিম খাওয়া
- সূর্যালোকে কিছুটা সময় কাটানো
৪. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা৫. প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চর্বিযুক্ত মাংস পরিহার করা৬. মধ্যপ্রাচ্য বা ডাশ (DASH) ডায়েট অনুসরণ করা যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করেএই খাদ্য পদ্ধতি অনুসরণের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনো গুরুতর সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
টেক্সট নেক সিনড্রোম থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য কোন বিশেষ ফল বা শাকসবজি খেতে হবে
টেক্সট নেক সিনড্রোম থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য কিছু বিশেষ ফল ও শাকসবজি খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এই ফল ও শাকসবজিগুলি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ঘাড়ের ব্যথা উপশম করতে সহায়ক। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য ফল ও শাকসবজির তালিকা দেওয়া হল:
ফল
১. ব্লুবেরি
ব্লুবেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি সহজেই পাওয়া যায় এবং স্ন্যাক্স হিসেবে বা স্মুদি তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।
২. স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৩. চেরি
চেরি বিশেষ করে টার্ট চেরি প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে কার্যকর।
৪. আভোকাডো
আভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
শাকসবজি
১. পালং শাক
পালং শাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
২. ব্রকলি
ব্রকলি ভিটামিন, নিউট্রিয়েন্ট এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমাতে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩. কেল
কেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন কে সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমাতে কার্যকর।
৪. আরুগুলা
আরুগুলা একটি সবুজ শাক যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।
India’s Startup Ecosystem: ৫টি সরকারি প্রকল্প যা স্টার্টআপকে অন্যমাত্রায় রূপান্তরিত করছে
অন্যান্য উপকারী খাবার
১. বাদাম
আখরোট, আমন্ড, ব্রাজিলিয়ান বাদাম এবং পেকান বাদাম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ঘাড়ের ব্যথা উপশম করতে সহায়ক।
২. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন সালমন মাছ, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
৩. অতিরিক্ত ভার্জিন অলিভ অয়েল
অতিরিক্ত ভার্জিন অলিভ অয়েল মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।এই ফল ও শাকসবজিগুলি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে টেক্সট নেক সিনড্রোম থেকে উপকৃত হওয়া সম্ভব। প্রদাহ কমাতে এবং ঘাড়ের ব্যথা উপশম করতে এই খাবারগুলি অত্যন্ত কার্যকর। তবে, যদি আপনার কোন গুরুতর সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।