Spiritual benefits of feeding animals: জীবদয়া একটি মহৎ গুণ। প্রাণীদের খাবার খাওয়ানো শুধু দয়া নয়, জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এটি একটি শক্তিশালী প্রতিকারও বটে। হিন্দু পৌরাণিক বিশ্বাস এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে বিভিন্ন প্রাণীকে খাবার দেওয়ার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই সরল কাজটি করলে আমরা নানা শুভ ফল পেয়ে থাকি। ঘরের পোষা হোক বা বাইরের, যে কোনও পশু-পাখিকেই খাবার খাওয়ানো ভাল। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে পশু-পাখিকে খাবার খাওয়ালে নানা ভাল ফল প্রাপ্তি হয়। চলুন জেনে নেই কোন প্রাণীকে খাওয়ালে কী ফল পাওয়া যায়।
গরুকে খাওয়ানোর আধ্যাত্মিক উপকারিতা
হিন্দু ধর্মে গোরুকে মাতৃরূপে পূজা করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গেও এই প্রাণীর বিশেষ যোগ রয়েছে। জ্যোতিষমতে গোরুকে নিয়মিত খাওয়ালে ম্যাজিকের মতো বদলে যায় ভাগ্য।
গরুর ভোজনে যে উপকার মিলে:
গরুকে খাবার খাওয়ালে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। অবোলা এই প্রাণীকে খাবার খাওয়ালে যে কোনও কাজের ভাল ফল পাওয়া যায়।
নিয়মিত গোরুকে খেতে দিলে গ্রহদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কোনও নির্দিষ্ট গ্রহ নয়, গরুকে খাওয়ানোর ফলে ভাগ্যের যাবতীয় দোষ কাটতে পারে।পারম্পরিক বিশ্বাস অনুসারে, গরু খাওয়ানো আধ্যাত্মিক ও জ্যোতিষীয় উপকারিতা আনে, সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে, স্বাস্থ্য উন্নত করে।ভক্তিভরে গোরুকে খাবার ও জল খাওয়ানোর মতো পুণ্যের কাজ আর হয় না বলেও দাবি করেন অনেকেই।জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে, গরু বৃহস্পতি গ্রহের সাথে সম্পর্কিত, যা প্রজ্ঞা, প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক। গরুকে খাওয়ানো বৃহস্পতির শক্তি বাড়ায়, যা আর্থিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি আনে।
কুকুরকে খাওয়ানোর অজানা ফলাফল
অনেকেই রাস্তার কুকুরকে কিছু খেতে দেওয়ার অভ্যাস রাখেন। এমনিতেই এটা একটি ভালো অভ্যাস, কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে এর বিশেষ উপকারিতাও রয়েছে।
কুকুরকে খাওয়ানোর উপকারিতা:
আমরা অনেকেই কুকুরকে খাবার খাইয়ে থাকি। কালো কুকুর হোক বা অন্য কোনও রঙের, যে কোনও কুকুরকে খাবার খাওয়ালেই ভাল ফল পাওয়া যায়। এর ফলে শত্রু নাশ হয়, অর্থাৎ শত্রুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষমতে এমনটা করলেই তুষ্ট হবেন শনিদেব। একইসঙ্গে কাটবে রাহু-কেতুর দোষ। শনিবার কালো কুকুরকে খেতে দেওয়া বিশেষ ফলদায়ক। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, কুকুরকে খাবার খাওয়ালে সুখ শান্তি সমৃদ্ধি আসে, দুঃখ কষ্ট দূর হয়। শনিদেবের প্রভাব এবং নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়।
কুকুরকে খাওয়ানোর উপযুক্ত খাবার:
কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য বেশি কিছু নয়, সামান্য রুটি কিংবা বিস্কুটই যথেষ্ট। তবে কুকুরকে মানুষের কিছু খাবারও দেওয়া যেতে পারে, তবে সেগুলো নিরাপদে হওয়া চাই:
- গাজর – ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গাজর, মানুষের তো বটেই কুকুরের জন্যেও সমান উপকারী। তাদের ত্বক, লোম এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
- বিন্স – ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন কে এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ সবুজ, টাটকা বিন্স কুকুরদের খাবারে থাকা আবশ্যিক। তবে নুন বা অন্য কোনও মশলা ছাড়া, কাঁচা অথবা সেদ্ধ দু’ভাবেই খাওয়ানো যেতে পারে।
- তরমুজ – গরম কালে কুকুরদের সবচেয়ে পছন্দের খাবার হল তরমুজ। এই ফলটি তাদের শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে।
- ভাত – প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ভাত দেওয়া যায় পোষ্যদের। বিশেষত যদি পেটের কোনো সমস্যা থাকে, তখন রুটির বদলে ভাতই খাওয়াতে বলেন পশু চিকিৎসকরা।
পায়রাকে খাওয়ানোর জ্যোতিষীয় ফলাফল
প্রচলিত বিশ্বাস, পায়রাকে খাওয়ানো খুবই শুভ। জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে যদি পায়রা আপনার ঘরে প্রবেশ করে তার অর্থ হল আপনার জীবনে কিছু সুখবর আসতে চলেছে।
পায়রা খাওয়ানোর উপকারিতা:
পায়রাকে খাবার খাওয়ানো খুব শুভ বলে মানা হয়। অনেকেই বাড়িতে পায়রা পোষেন। পায়রাকে খাবার খাওয়ানোর ফলে জীবনের বাড়তি ঝামেলা কেটে গিয়ে মানসিক শান্তি বৃদ্ধি পায়। জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে পায়রাদের খাওয়ানো উচিত। এটা বিশ্বাস করা হয়, যে পায়রাদের খাওয়ায়, সে ঈশ্বরের সেবা করে।ঘরের ভিতরে শান্তি ও সুখ বজায় রাখতে পায়রাকে খাওয়াতে হবে।যার ঘরে পায়রা খাওয়ার জন্য আসে, তার সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়।ঘরের ভিতরে পায়রাকে দানা খাওয়ালে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ইতিবাচক শক্তির সঞ্চালন বাড়ায়।
পায়রা খাওয়ানোর সতর্কতা:
জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শক পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা জানান, পায়রা খাওয়ানোর সময়ে কিছু ভুল হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তির কুণ্ডলীতে বুধ এবং রাহুর যোগ রয়েছে, তার ছাদে পায়রার জন্য খাবার রাখা উচিত নয়। রাহু বাড়ির ছাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়।পায়রাকে দানাশস্য খাওয়ানো বুধ গ্রহের প্রতিকার হিসাবে বিবেচিত হয়। পায়রাকে ছাদে না খাওয়ানোর আরেকটি কারণ হল দানা খাওয়ার সময় পায়রা ছাদ নোংরা করে। যার কারণে ছাদ অর্থাৎ রাহু দূষিত হয় এবং যে ব্যক্তি ছাদে দানা ছিটিয়েছে, তার ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
মাছকে খাওয়ানোর আর্থিক উপকারিতা
অ্যাকোরিয়ামে মাছ রাখার শখ অনেকেরই রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মাছ খাওয়ানোর বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।
মাছ খাওয়ানোর লাভ:
মাছকে খাবার খাওয়ালে প্রচুর অর্থ প্রাপ্তি হয়।জ্যোতিষমতে নিয়মিত মাছকে খেতে দিলে অর্থভাগ্য শুভ হয়। এমনকি কোথাও ঋণ থাকলে তাও দ্রুত শোধ হতে পারে এই অভ্যাসের জেরে।চেষ্টা করুন সকাল বিকাল দু-বেলা মাছকে খেতে দেওয়ার। অ্যাকোরিয়াম না থাকলে কোনও জলাশয় বা পুকুরেও মাছের জন্য কিছু খাবার ফেলতে পারেন। এতেও একই ফল মিলবে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে মাছ খাওয়ানো একটি শক্তিশালী প্রতিকার ব্যবস্থা হিসাবে দেখা হয় যা সুকর্ম, আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি ও গ্রহীয় শান্তির উপকারিতা একত্রিত করে।
মাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
মাছ খাওয়ানোর জ্যোতিষীয় উপকারিতা ছাড়াও মাছ খাওয়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে:
মাছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ডি’ পাওয়া যায়। এছাড়াও মাছে চর্বি, খনিজ তেল, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস পাওয়া যায়।নিয়মিত মাছ খেলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, চোখের অসুখ, হাত-পা ব্যথা, শরীরের দুর্বলতা ইত্যাদি রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। প্রতিদিন একশ গ্রাম করে তাজা মাছ খেলে পাঁচ থেকে ছয় পয়েন্ট উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।
মাছের তেলে থাকা ডকসা হেক্সোনিক অ্যাসিড এবং এলকোসা পেন্টাএনোইক অ্যাসিড মগজের বিকাশ ঘটায়। মাছ রক্ত বাড়ায়। স্মৃতিশক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে এবং রেটিনার কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে সার্বিক ভাবে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
কাককে খাওয়ানোর পৌরাণিক উপকারিতা
অনেক বাড়িতেই সকালবেলা কাককে খেতে দেওয়ার চল রয়েছে। এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ।
কাককে খাওয়ানোর ফলাফল:
কাককে খাবার খাওয়ালে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হিন্দু ধর্মের পিতৃপক্ষ বা শ্রাদ্ধের সময় কাককে খাওয়ানোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। কাকের কার্কশ্য ডাক সত্ত্বেও, এই পাখি যমের দূত হিসেবে পরিচিত, তাই একে খাওয়ানো পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ।
অন্যান্য প্রাণীদের খাওয়ানোর উপকারিতা
উপরের প্রাণীগুলি ছাড়াও আরও কিছু প্রাণীকে খাবার খাওয়ানোর জ্যোতিষীয় উপকারিতা রয়েছে:
বাঁদরকে খাওয়ানোর উপকারিতা:
বাঁদরকে খাবার খাওয়ালে যে কোনও দুর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাঁদরকে খাবার খাওয়ানোর সুযোগ হয়তো সে ভাবে হয়ে ওঠে না। তা-হলেও যদি কখনও বাঁদর দেখতে পাওয়া যায়, সাবধানতা মেনে তাকে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
হাতিকে খাওয়ানোর উপকারিতা:
হাতিকে খাবার খাওয়ালে ঐশ্বর্য প্রাপ্তি হয় বলে মনে করা হয়। যদিও হাতিকে খাবার খাওয়ানো সহজ ব্যাপার নয়, তা-ও কখনও সুযোগ হলে খাওয়াতে পারেন।
পিঁপড়েকে খাওয়ানোর উপকারিতা:
পিঁপড়েকে খাবার খাওয়ালে রাহুদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চেষ্টা করুন তাদের জন্য রোজ খাবারের সামান্য টুকরো মাটিতে ফেলে রাখার। পিঁপড়ে ধরলে তা সরিয়ে দেবেন না। পিঁপড়ে যদি নিয়মিত আপনার দেওয়া খাবার খায়, তাহলে রাহুর দোষ থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই। একইসঙ্গে যে কোনও ইচ্ছাপূরণেও কাজে আসতে পারে এই অভ্যাস।
কচ্ছপকে খাওয়ানোর উপকারিতা:
কচ্ছপকে খাবার খাওয়ালে প্রচুর ধনসম্পত্তি লাভ হয় বলে মনে করা হয়।
বিড়ালকে খাওয়ানোর উপকারিতা:
অনেকের বাড়িতে পোষ্য হিসেবে বিড়াল দেখা যায়। কিংবা পোষ না মানালেও রাস্তার বিড়ালকে নিয়মিত খেতে দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। জ্যোতিষমতে এমনটা করলে শত্রুনাশ হয়। যে কোনও কাজে বাধার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এই অভ্যাস। বিশেষত কেউ যদি বিড়ালকে নিয়মিত দুশ খাওয়ান তাহলে অবশ্যই ফল মেলে।
বিড়ালকে দেবী ষষ্ঠীর বাহন মনে করা হয়। তাই বিড়ালের যত্ন নিলে তুষ্ট হন দেবীও। যার ফলে সুস্থ থাকে বাড়ির সন্তান।
পশু-পাখি খাওয়ানোর সাধারণ উপকারিতা
পশুপাখি খাওয়ানো শুধু জ্যোতিষীয় লাভ নয়, এর বিভিন্ন পারিবেশিক ও সামাজিক উপকারিতাও রয়েছে: খাবার অপচয় কমাতে সাহায্য করে। খাবারের টুকরো প্রাণীদের খাওয়ানো হলে তা পরিবেশের উপকারে আসে।কৃষকরা শতাব্দী ধরে প্রাণীদের খাবারের টুকরো খাইয়ে আসছেন। খাবারের টুকরো প্রাণীদের পুষ্টি দেয়, যা পরে মানুষকে পুষ্টি দেয়, খাবারের অপচয়কে মানব খাদ্য সরবরাহ চেইনের মধ্যেই রাখে।খাবারের টুকরো প্রাণীদের খাওয়ালে পারম্পরিক প্রাণীর খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এবং সেই খাদ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত পরিবেশগত প্রভাব কমায়।প্রাণীদের খাদ্য দিলে তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বৃদ্ধি পায়।
খাদ্য দ্বারা প্রাণীদের রোগ প্রতিরোধ ও ইমিউন সাপোর্ট হয়। খাদ্যে অ্যাডিটিভস ও সাপ্লিমেন্ট যোগ করা হলে তা প্রাণীদের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে, রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরক্ষা বাড়ায় এবং রোগের ঝুঁকি কমায়।
পশু-পাখি খাওয়ানোর সময় সতর্কতা
পশু-পাখিদের খাওয়ানোর সময় কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:
উপযুক্ত খাবার দিন: প্রতিটি প্রাণীর জন্য উপযুক্ত খাবার বেছে নিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কুকুরকে নুন, তেল বা ঘি এবং মশলা ছাড়া খাবার দেওয়া উচিত।
পরিমিত পরিমাণে খাওয়ান: অতিরিক্ত খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন, যা প্রাণীর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
নিয়মিত খাওয়ান: এক্ষেত্রে নিয়মিত খাওয়ানো ভালো ফল দেয়, বিশেষ করে মাছ এবং পায়রার ক্ষেত্রে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: প্রাণীদের খাবার দেওয়ার পর পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন, বিশেষত ছাদে পায়রাদের খাওয়ানোর সময়।
সঠিক স্থান বেছে নিন: জ্যোতিষীয় বিধিনিষেধ মেনে সঠিক স্থানে প্রাণীদের খাওয়ান, যেমন পায়রাদের ছাদে নয়, বরং বাড়ির অন্য কোথাও খাওয়ানো উচিত।
প্রাণীদের খাবার খাওয়ানো একটি মহৎ কাজ। এর ফলে শুধু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে উপকার পাওয়া যায় এমন নয়, এর মাধ্যমে আমরা করুণা ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই। গরু, কুকুর, পায়রা, মাছ, কাক, এবং অন্যান্য প্রাণীদের খাওয়ানোর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি এবং সৌভাগ্য আকর্ষণ করতে পারি।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে যেমন উপকারিতা পাওয়া যায়, তেমনি এই অভ্যাসের ফলে আমাদের মনও ভালো থাকবে, ওই প্রাণীটিও ভালো থাকবে। তাই চেষ্টা করুন বাড়ির আশেপাশে থাকা এইসব অবলা প্রাণীদের কিছু না কিছু খাওয়ানোর। এতে ফল মিলুক না মিলুক, অবলা প্রাণীকে খাওয়ালে ক্ষতি অন্তত হবে না। বরং সেই অভুক্তের আশীর্বাদই মিলবে।এমন এক সমাজ গড়ে তুলুন যেখানে আমরা শুধু নিজেদের নয়,আমাদের আশপাশের সমস্ত প্রাণীর যত্ন নেব। এই ছোট অবদান একদিকে যেমন প্রাণীদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করে, অন্যদিকে আমাদের জীবনকেও ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।