- রাশিয়া ও ইউক্রেন: ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত, এবং রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। এই দুই দেশই যুদ্ধের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে।
- ভারত ও পাকিস্তান: দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ, পারমাণবিক অস্ত্র, এবং সাম্প্রতিক কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা—সব মিলিয়ে এই উপমহাদেশ দ্রুতই বৈশ্বিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
- তাইওয়ান: চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু, চীনের আগ্রাসী মনোভাব এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি তাইওয়ানকে বড় যুদ্ধের মঞ্চে পরিণত করতে পারে।
- দক্ষিণ কোরিয়া: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা দক্ষিণ কোরিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
- ইসরায়েল: মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইরান-হামাস দ্বন্দ্ব এবং সামরিক ইতিহাস—সব মিলিয়ে ইসরায়েলও ঝুঁকির শীর্ষে।
- যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্ব রাজনীতির নেতৃত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে।
- অন্যান্য: যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন—বিশ্বশক্তির অংশীদার হিসেবে তারাও ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান: কেন ঝুঁকির তালিকায়?
ভারত ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, যাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। কাশ্মীর ইস্যু, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ও পাল্টা সামরিক প্রতিক্রিয়া, এবং আন্তর্জাতিক মিত্রতার জটিলতা এই অঞ্চলের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। ২০২৫ সালের সর্বশেষ ঘটনায়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের পর সবচেয়ে বড় সংঘাত। রাশিয়া ঐ অঞ্চলে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ নেই।
রাশিয়া ও ইউক্রেন: সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে কেন?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে, এবং পশ্চিমা বিশ্বের (বিশেষত ন্যাটো) সমর্থন পেয়েছে। রাশিয়া, বিশ্বশক্তি হিসেবে, যেকোনো বৈশ্বিক সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে। ইউক্রেনের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, ন্যাটো সম্প্রসারণ, ও সামরিক সংঘাত—সব মিলিয়ে এই দুই দেশ World War 3-এর সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিরাপদ দেশগুলোর বৈশিষ্ট্য
নিরাপদ দেশগুলো সাধারণত নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো বহন করে:
- ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা: দ্বীপ বা পার্বত্য অঞ্চল, যেখানে পোঁছানো কঠিন।
- রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা: সামরিক জোটে অংশ নেয় না, বৈশ্বিক সংঘাত এড়িয়ে চলে।
- প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা: পাহাড়, সমুদ্র, বা বরফে ঘেরা অঞ্চল।
- খাদ্য ও জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা: যুদ্ধের সময় টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট সম্পদ।
- ছোট জনসংখ্যা ও কৌশলগত গুরুত্ব কম: বড় শক্তিগুলোর লক্ষ্য হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিশ্বযুদ্ধ ৩: সম্ভাব্য জোট ও সংঘাতের চিত্র
বিশ্ব রাজনীতিতে এখন “পশ্চিমা জোট” (যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ) বনাম “পূর্বের শক্তি” (রাশিয়া, চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া) স্পষ্টভাবে গড়ে উঠছে। ইতিহাসবিদদের মতে, এই ধরনের জোট আগেও বিশ্বযুদ্ধের কারণ হয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী ২-৩ বছরে World War 3-এর সম্ভাবনা ২০-৩০% পর্যন্ত।
বিশ্বযুদ্ধ ৩-এর আশঙ্কা বাস্তব হলেও, নিরাপদ দেশগুলোর তালিকা ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর চিত্র আমাদের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করে। নিরাপদ দেশগুলো সাধারণত নিরপেক্ষ, বিচ্ছিন্ন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যদিকে, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারত, পাকিস্তান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলো উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।তবে, যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে। তাই ব্যক্তিগত ও জাতীয় প্রস্তুতি, বৈশ্বিক সংহতি এবং শান্তি রক্ষার প্রচেষ্টা—সবকিছুই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
- আইসল্যান্ড: গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে থাকা এই দেশটি ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন, সামরিক জোটে নেই, এবং কোনো বৈশ্বিক সংঘাতে জড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
- নিউজিল্যান্ড: নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি, দূরবর্তী অবস্থান এবং পাহাড়ি ভূপ্রকৃতি—সব মিলিয়ে যুদ্ধের ঝুঁকি কম।
- ভুটান: হিমালয়ের কোলে অবস্থিত, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি এবং কৌশলগতভাবে অপ্রয়োজনীয় হওয়ায় নিরাপদ।
- সুইজারল্যান্ড: শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে, রয়েছে শক্তিশালী পার্বত্য প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক শেল্টার।
- আর্জেন্টিনা ও চিলি: দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশগুলো খাদ্য উৎপাদন ও প্রাকৃতিক সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং সামরিকভাবে নিরপেক্ষ।
- তুভালু, গ্রিনল্যান্ড, ডোমিনিকা: ছোট, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ দেশগুলো যাদের কৌশলগত গুরুত্ব কম, তাই বড় শক্তিগুলোর লক্ষ্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
- ইন্দোনেশিয়া: ‘ফ্রি অ্যান্ড অ্যাক্টিভ’ পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক জোটে অংশ না নেওয়া এবং নিরপেক্ষ অবস্থান।
কোন দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে?
বিশ্ব রাজনীতির উত্তপ্ত অঞ্চল ও সামরিক শক্তিতে জড়িত দেশগুলোই মূলত ঝুঁকির শীর্ষে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের দেশগুলো World War 3-এর সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবে:
- রাশিয়া ও ইউক্রেন: ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত, এবং রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। এই দুই দেশই যুদ্ধের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে।
- ভারত ও পাকিস্তান: দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ, পারমাণবিক অস্ত্র, এবং সাম্প্রতিক কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা—সব মিলিয়ে এই উপমহাদেশ দ্রুতই বৈশ্বিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
- তাইওয়ান: চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু, চীনের আগ্রাসী মনোভাব এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি তাইওয়ানকে বড় যুদ্ধের মঞ্চে পরিণত করতে পারে।
- দক্ষিণ কোরিয়া: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা দক্ষিণ কোরিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
- ইসরায়েল: মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইরান-হামাস দ্বন্দ্ব এবং সামরিক ইতিহাস—সব মিলিয়ে ইসরায়েলও ঝুঁকির শীর্ষে।
- যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্ব রাজনীতির নেতৃত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে।
- অন্যান্য: যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন—বিশ্বশক্তির অংশীদার হিসেবে তারাও ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান: কেন ঝুঁকির তালিকায়?
ভারত ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, যাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। কাশ্মীর ইস্যু, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ও পাল্টা সামরিক প্রতিক্রিয়া, এবং আন্তর্জাতিক মিত্রতার জটিলতা এই অঞ্চলের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। ২০২৫ সালের সর্বশেষ ঘটনায়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের পর সবচেয়ে বড় সংঘাত। রাশিয়া ঐ অঞ্চলে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ নেই।
রাশিয়া ও ইউক্রেন: সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে কেন?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে, এবং পশ্চিমা বিশ্বের (বিশেষত ন্যাটো) সমর্থন পেয়েছে। রাশিয়া, বিশ্বশক্তি হিসেবে, যেকোনো বৈশ্বিক সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে। ইউক্রেনের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, ন্যাটো সম্প্রসারণ, ও সামরিক সংঘাত—সব মিলিয়ে এই দুই দেশ World War 3-এর সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিরাপদ দেশগুলোর বৈশিষ্ট্য
নিরাপদ দেশগুলো সাধারণত নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো বহন করে:
- ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা: দ্বীপ বা পার্বত্য অঞ্চল, যেখানে পোঁছানো কঠিন।
- রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা: সামরিক জোটে অংশ নেয় না, বৈশ্বিক সংঘাত এড়িয়ে চলে।
- প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা: পাহাড়, সমুদ্র, বা বরফে ঘেরা অঞ্চল।
- খাদ্য ও জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা: যুদ্ধের সময় টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট সম্পদ।
- ছোট জনসংখ্যা ও কৌশলগত গুরুত্ব কম: বড় শক্তিগুলোর লক্ষ্য হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিশ্বযুদ্ধ ৩: সম্ভাব্য জোট ও সংঘাতের চিত্র
বিশ্ব রাজনীতিতে এখন “পশ্চিমা জোট” (যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ) বনাম “পূর্বের শক্তি” (রাশিয়া, চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া) স্পষ্টভাবে গড়ে উঠছে। ইতিহাসবিদদের মতে, এই ধরনের জোট আগেও বিশ্বযুদ্ধের কারণ হয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী ২-৩ বছরে World War 3-এর সম্ভাবনা ২০-৩০% পর্যন্ত।
বিশ্বযুদ্ধ ৩-এর আশঙ্কা বাস্তব হলেও, নিরাপদ দেশগুলোর তালিকা ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর চিত্র আমাদের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করে। নিরাপদ দেশগুলো সাধারণত নিরপেক্ষ, বিচ্ছিন্ন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যদিকে, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারত, পাকিস্তান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলো উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।তবে, যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে। তাই ব্যক্তিগত ও জাতীয় প্রস্তুতি, বৈশ্বিক সংহতি এবং শান্তি রক্ষার প্রচেষ্টা—সবকিছুই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
World War 3 safest places: বিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনা ও সংঘাতের আবহে, “World War 3” শব্দটি যেন আরও বাস্তব হয়ে উঠছে। অনেকেই ভাবছেন, যদি সত্যিই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে কোন দেশগুলো সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে, আর কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে? আজকের এই ব্লগে আমরা বিশ্লেষণ করব—বিশ্বের কোন দেশগুলো নিরাপদ, কেন রাশিয়া ও ইউক্রেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, এবং ভারত-পাকিস্তান কেন উচ্চ ঝুঁকির তালিকায়।
কেন এই দেশগুলো সবচেয়ে নিরাপদ?
বিশ্বের কিছু দেশ রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা, ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা, প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা এবং সামরিক জোটে অংশ না নেওয়ার কারণে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। নিচে উল্লেখিত দেশগুলোকে বিশেষভাবে নিরাপদ মনে করা হয়:
- আইসল্যান্ড: গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে থাকা এই দেশটি ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন, সামরিক জোটে নেই, এবং কোনো বৈশ্বিক সংঘাতে জড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
- নিউজিল্যান্ড: নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি, দূরবর্তী অবস্থান এবং পাহাড়ি ভূপ্রকৃতি—সব মিলিয়ে যুদ্ধের ঝুঁকি কম।
- ভুটান: হিমালয়ের কোলে অবস্থিত, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি এবং কৌশলগতভাবে অপ্রয়োজনীয় হওয়ায় নিরাপদ।
- সুইজারল্যান্ড: শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে, রয়েছে শক্তিশালী পার্বত্য প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক শেল্টার।
- আর্জেন্টিনা ও চিলি: দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশগুলো খাদ্য উৎপাদন ও প্রাকৃতিক সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং সামরিকভাবে নিরপেক্ষ।
- তুভালু, গ্রিনল্যান্ড, ডোমিনিকা: ছোট, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ দেশগুলো যাদের কৌশলগত গুরুত্ব কম, তাই বড় শক্তিগুলোর লক্ষ্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
- ইন্দোনেশিয়া: ‘ফ্রি অ্যান্ড অ্যাক্টিভ’ পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক জোটে অংশ না নেওয়া এবং নিরপেক্ষ অবস্থান।
কোন দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে?
বিশ্ব রাজনীতির উত্তপ্ত অঞ্চল ও সামরিক শক্তিতে জড়িত দেশগুলোই মূলত ঝুঁকির শীর্ষে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের দেশগুলো World War 3-এর সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবে:
- রাশিয়া ও ইউক্রেন: ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত, এবং রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। এই দুই দেশই যুদ্ধের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে।
- ভারত ও পাকিস্তান: দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ, পারমাণবিক অস্ত্র, এবং সাম্প্রতিক কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা—সব মিলিয়ে এই উপমহাদেশ দ্রুতই বৈশ্বিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
- তাইওয়ান: চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু, চীনের আগ্রাসী মনোভাব এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি তাইওয়ানকে বড় যুদ্ধের মঞ্চে পরিণত করতে পারে।
- দক্ষিণ কোরিয়া: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা দক্ষিণ কোরিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
- ইসরায়েল: মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইরান-হামাস দ্বন্দ্ব এবং সামরিক ইতিহাস—সব মিলিয়ে ইসরায়েলও ঝুঁকির শীর্ষে।
- যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্ব রাজনীতির নেতৃত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে।
- অন্যান্য: যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন—বিশ্বশক্তির অংশীদার হিসেবে তারাও ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান: কেন ঝুঁকির তালিকায়?
ভারত ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, যাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। কাশ্মীর ইস্যু, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ও পাল্টা সামরিক প্রতিক্রিয়া, এবং আন্তর্জাতিক মিত্রতার জটিলতা এই অঞ্চলের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। ২০২৫ সালের সর্বশেষ ঘটনায়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের পর সবচেয়ে বড় সংঘাত। রাশিয়া ঐ অঞ্চলে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ নেই।
রাশিয়া ও ইউক্রেন: সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে কেন?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে, এবং পশ্চিমা বিশ্বের (বিশেষত ন্যাটো) সমর্থন পেয়েছে। রাশিয়া, বিশ্বশক্তি হিসেবে, যেকোনো বৈশ্বিক সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে। ইউক্রেনের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, ন্যাটো সম্প্রসারণ, ও সামরিক সংঘাত—সব মিলিয়ে এই দুই দেশ World War 3-এর সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিরাপদ দেশগুলোর বৈশিষ্ট্য
নিরাপদ দেশগুলো সাধারণত নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো বহন করে:
- ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা: দ্বীপ বা পার্বত্য অঞ্চল, যেখানে পোঁছানো কঠিন।
- রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা: সামরিক জোটে অংশ নেয় না, বৈশ্বিক সংঘাত এড়িয়ে চলে।
- প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা: পাহাড়, সমুদ্র, বা বরফে ঘেরা অঞ্চল।
- খাদ্য ও জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা: যুদ্ধের সময় টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট সম্পদ।
- ছোট জনসংখ্যা ও কৌশলগত গুরুত্ব কম: বড় শক্তিগুলোর লক্ষ্য হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিশ্বযুদ্ধ ৩: সম্ভাব্য জোট ও সংঘাতের চিত্র
বিশ্ব রাজনীতিতে এখন “পশ্চিমা জোট” (যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ) বনাম “পূর্বের শক্তি” (রাশিয়া, চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া) স্পষ্টভাবে গড়ে উঠছে। ইতিহাসবিদদের মতে, এই ধরনের জোট আগেও বিশ্বযুদ্ধের কারণ হয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী ২-৩ বছরে World War 3-এর সম্ভাবনা ২০-৩০% পর্যন্ত।
বিশ্বযুদ্ধ ৩-এর আশঙ্কা বাস্তব হলেও, নিরাপদ দেশগুলোর তালিকা ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর চিত্র আমাদের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করে। নিরাপদ দেশগুলো সাধারণত নিরপেক্ষ, বিচ্ছিন্ন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যদিকে, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারত, পাকিস্তান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলো উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।তবে, যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে। তাই ব্যক্তিগত ও জাতীয় প্রস্তুতি, বৈশ্বিক সংহতি এবং শান্তি রক্ষার প্রচেষ্টা—সবকিছুই সমান গুরুত্বপূর্ণ।