TMC party members reaction to R.G. Kar incident: কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একজন মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের মধ্যে নীরবতা দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে চলমান আন্দোলনের মুখে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূল সমর্থকরা পর্যন্ত সবাই চুপচাপ। এর ফলে দলের মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
গত ৯ আগস্ট রাতে আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে একজন ২৫ বছর বয়সী মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই এই নৃশংস ঘটনার বিচার দাবি করে রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “সব দলের জনপ্রতিনিধিদের আরও বিনয়ী ও সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন। আমি @AITCofficial-এর সবাইকে অনুরোধ করছি চিকিৎসক সমাজ বা নাগরিক সমাজের কারও সম্পর্কে কুৎসা রটাবেন না। প্রতিবাদ ও নিজেকে প্রকাশ করার অধিকার সবার আছে – এটাই পশ্চিমবঙ্গকে অন্য বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে আলাদা করে। আমরা বুলডোজার মডেল ও দমন-পীড়নের রাজনীতির বিরুদ্ধে আন্তরিকভাবে লড়াই করেছি। এখন এই ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। বাংলাকে এই লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়ের দ্বারা একটি সময়সীমাবদ্ধ ধর্ষণ-বিরোধী আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত থামতে নেই।”
কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিবৃতি সত্ত্বেও তৃণমূলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এই বিষয়ে নীরব রয়েছেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এর ফলে দলের মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৌমেন মিত্র বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা এই ঘটনা নিয়ে নীরব থাকার কারণে দলের মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে। দলের অনেক কর্মী এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হতে চাইলেও শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে তারা চুপ থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে দলের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।”
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে। বিজেপি নেতা সুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা এই ঘটনা নিয়ে নীরব থাকার কারণে তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রমাণিত হচ্ছে। তারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ নয়।”
এই ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন। এর ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নামে একটি নতুন গঠিত ছাত্র সংগঠন আজ নবান্ন অভিযান করার ডাক দিয়েছে। তারা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বরিষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, “দলের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন যে এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হওয়া উচিত। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সবাই চুপ থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে দলের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।”
এই ঘটনার পর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের বিরুদ্ধে মোট ৩৫,৮৮৪টি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ছিল ১,১৪৯টি।
বছর | মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা | ধর্ষণের সংখ্যা |
---|---|---|
2020 | 36,439 | 1,013 |
2021 | 35,884 | 1,123 |
2022 | 35,884 | 1,149 |
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের নীরবতা দলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা বলছেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব না হওয়ার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের ফলাফল প্রভাবিত হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা এই ঘটনা নিয়ে নীরব থাকার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের ফলাফল প্রভাবিত হতে পারে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উচিত এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।”
অন্যদিকে, এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। সিবিআই ইতিমধ্যে আর জি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। তাকে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রধান আসামি সঞ্জয় রায়কে পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। এই টেস্টের ফলাফল এখনও জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই টেস্টের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এর মাধ্যমে জানা যাবে এটি গণধর্ষণের ঘটনা নাকি একজনের কাজ।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “আমরা চাই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।
আমরা চাই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। আমাদের দল এই বিষয়ে সরকারের পাশে আছে।”
কিন্তু কুণাল ঘোষের এই বক্তব্য সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এই বিষয়ে নীরব রয়েছেন। এর ফলে দলের মধ্যে ভাঙন আরও প্রকট হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, নাগরিক সমাজ এবং বিরোধী দলগুলি প্রতিদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। তারা দাবি করছে যে এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডাক্তারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরিন্দম পাল বলেছেন, “আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এই ঘটনার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসকরা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন। এর ফলে রোগীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রায় ৪০% কমেছে। জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩০%। এর ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিভাগ | রোগী সংখ্যা কমেছে |
---|---|
ভর্তি | ৪০% |
জরুরি | ৩০% |
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বিকল্প ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অতিরিক্ত রোগী দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করছি শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
কিন্তু বিরোধীরা মনে করছেন, রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “রাজ্য সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।”
এদিকে, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার পর রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এছাড়া নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
মমতার ‘ভুল’-এর মালা: R.G Kar কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ৭টি বিতর্কিত মন্তব্য
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যেসব হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল, সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া হাসপাতালগুলিতে মহিলা নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
রাজ্য সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে যা হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে। এই কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
এই ঘটনার পর রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলগুলি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারকে আক্রমণ করছে। তারা অভিযোগ করছে যে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে।
বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। মহিলারা নিরাপদ নয়। এই সরকারের পতন অনিবার্য।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।”
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।”
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। রাজভবন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনার প্রভাব রাজ্যের অর্থনীতিতেও পড়তে শুরু করেছে। বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। রাজ্যের শিল্প মহল থেকে জানা গেছে, কয়েকটি বড় বিনিয়োগ প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে।
বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট নন্দন নীলেকনি বলেছেন, “এই ধরনের ঘটনা রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।”
সামগ্রিকভাবে, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার পর রাজ্যের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের নীরবতা দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করেছে। এর ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের ফলাফল প্রভাবিত হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের নীরবতা দলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর ফলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।”
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তবেই রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।