Top 10 largest deserts in the world: পৃথিবীর বুকে বিস্তৃত বিশাল মরুভূমিগুলি কেবল বালুকাময় এলাকাই নয়, বরং এগুলি জীববৈচিত্র্যের অনন্য আবাসস্থল এবং ভূগোলিক বিস্ময়ের প্রতীক। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক এই মরুভূমিগুলি দেখতে যান, তবে অনেকেই জানেন না যে পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূমি মরুভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত। চলুন আজ জেনে নেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি মরুভূমি সম্পর্কে, যেগুলি তাদের বিশালতা, অবস্থান এবং বৈশিষ্ট্যে এতটাই বিস্ময়কর যে আপনার চিন্তাকে নতুন দিকে নিয়ে যাবে।
মরুভূমি কী এবং কীভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়
মরুভূমি হল এমন জায়গা যেখানে বৃষ্টিপাত অত্যন্ত কম হয় – সাধারণত বছরে ২৫০ মিলিমিটারের (৯.৮ ইঞ্চি) কম। তবে শুধু বৃষ্টিপাতের পরিমাণই নয়, মরুভূমি শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বাষ্পীভবনের হারও বিবেচনা করা হয়। বিজ্ঞানীরা মরুভূমিগুলিকে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবদ্ধ করেন:
উষ্ণ মরুভূমি: গ্রীষ্মে উচ্চ তাপমাত্রা (৪০°C+), খুব কম বৃষ্টিপাত, এবং দিন-রাতের তাপমাত্রার বিশাল পার্থক্য।
শীতল মরুভূমি: মাঝারি অক্ষাংশে অবস্থিত, শীতকালে অত্যন্ত ঠাণ্ডা, বায়ুর শুষ্কতার কারণে কম বৃষ্টিপাত।
মেরু মরুভূমি: অত্যন্ত ঠাণ্ডা অঞ্চল, তুষার এবং বরফে আচ্ছাদিত, তবে খুব কম বৃষ্টিপাতের কারণে এগুলিও মরুভূমি হিসেবে বিবেচিত।
উপকূলীয় মরুভূমি: সমুদ্রের কাছাকাছি অবস্থিত, শীতল তাপমাত্রা এবং কুয়াশা থাকতে পারে, কিন্তু বৃষ্টিপাত খুব কম।
আশ্চর্যজনকভাবে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মরুভূমি কোনো শুষ্ক বালুময় ভূমি নয়, বরং তা বরফাচ্ছাদিত অঞ্চল! চলুন জেনে নেই বিশ্বের ১০টি বৃহত্তম মরুভূমি সম্পর্কে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি মরুভূমি
১. অ্যান্টার্কটিক মরুভূমি
অবস্থান: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ
আয়তন: ১৪,২০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার (৫,৪৮২,৬৫১ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: মেরু বরফ এবং তুন্দ্রা
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মরুভূমি হিসেবে অ্যান্টার্কটিক মরুভূমি প্রথম স্থান অধিকার করে আছে। এটি বরফ এবং তুষারে আচ্ছাদিত একটি বিশাল অঞ্চল যা দক্ষিণ মেরুর চারপাশে অবস্থিত। অনেকে আশ্চর্য হতে পারেন যে এটি একটি মরুভূমি! কিন্তু বাস্তবতা হল, অ্যান্টার্কটিকায় বার্ষিক বৃষ্টিপাত মাত্র ৫০ মিলিমিটার (২ ইঞ্চি), যা বিশ্বের অনেক শুষ্ক এলাকার তুলনায়ও কম।
এই মরুভূমিতে উদ্ভিদের মধ্যে শৈবাল এবং লাইকেন ছাড়া খুব কমই বেঁচে থাকতে পারে। এর অত্যন্ত শীতল তাপমাত্রা এবং প্রচণ্ড বাতাস এই অঞ্চলকে পৃথিবীর অন্যতম কঠিন বাসযোগ্য স্থান বানিয়েছে।
২. আর্কটিক মরুভূমি
অবস্থান: পূর্ব ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, উত্তর এশিয়া, উত্তর ইউরোপ
আয়তন: ১৩,৯০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার (৫,৩৬৬,৮২০ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: মেরু বরফ এবং তুন্দ্রা
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মরুভূমি আর্কটিক মরুভূমি, যা কানাডা, ফিনল্যান্ড, গ্রীনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, এবং রাশিয়ার উত্তর অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এটিও অ্যান্টার্কটিক মরুভূমির মতো বরফে আচ্ছাদিত এবং অত্যন্ত শীতল। এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত খুব কম এবং শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের বহু নিচে নেমে যায়।
আর্কটিক মরুভূমি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বোঝার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই অঞ্চল গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে সবচেয়ে দ্রুত পরিবর্তন অনুভব করছে।
৩. সাহারা মরুভূমি
অবস্থান: উত্তর আফ্রিকা (আলজেরিয়া, চাদ, মিশর, লিবিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, নাইজার, সুদান, তিউনিসিয়া এবং পশ্চিম সাহারা)
আয়তন: ৯,২০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার (৩,৫৫২,১৪০ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: উপক্রান্তীয় (উষ্ণ মরুভূমি)
সাহারা মরুভূমি বিশ্বের সবচেয়ে বড় উষ্ণ মরুভূমি এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় বৃহত্তম মরুভূমি। এটি আটলান্টিক মহাসাগর থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা জুড়ে বিস্তৃত। এর আয়তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সমান!
সাহারা মরুভূমিতে তাপমাত্রা ১৩৬°F (৫৮°C) পর্যন্ত উঠতে পারে, যা পৃথিবীতে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রাগুলির মধ্যে একটি। দিনের বেলা তাপমাত্রা ১২২°F (৫০°C) এর উপরে উঠতে পারে, আবার রাতে প্রায় হিমাঙ্কের কাছাকাছি নেমে আসতে পারে। এই চরম পরিবর্তন এখানকার জীবজন্তু ও উদ্ভিদের জন্য বিশেষ অভিযোজনের প্রয়োজন করে।
সাহারার ভূমিরূপে বিশাল বালি, পাথুরে মালভূমি, কাঁকর সমতল, শুষ্ক উপত্যকা (ওয়াদি), এবং লবণাক্ত সমতলভূমি রয়েছে। নীল নদ একমাত্র স্থায়ী নদী যা এই মরুভূমি অতিক্রম করে।
৪. গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান মরুভূমি
অবস্থান: অস্ট্রেলিয়া
আয়তন: ২,৭০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার (১,০৪২,৪৭৬ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: উপক্রান্তীয়
গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান মরুভূমি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মরুভূমি, যা অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ অংশের বেশিরভাগ জুড়ে বিস্তৃত। এটি বেশ কয়েকটি ছোট মরুভূমির সমন্বয়ে গঠিত, যেমন গ্রেট ভিক্টোরিয়া মরুভূমি এবং গ্রেট স্যান্ডি মরুভূমি।
এই মরুভূমিতে চরম তাপমাত্রার ওঠানামা দেখা যায় এবং এর অনন্য উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে যেগুলি শুষ্ক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এর অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পরিবেশগত গুরুত্বের জন্য অস্ট্রেলিয়ান মরুভূমির বেশ কিছু অংশ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত।
৫. আরব মরুভূমি
অবস্থান: পশ্চিম এশিয়া (ইরাক, জর্দান, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন)
আয়তন: ২,৩৩০,০০০ বর্গ কিলোমিটার (৮৯৯,৬১৮ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: উপক্রান্তীয়
আরব মরুভূমি এশিয়ার সবচেয়ে বড় মরুভূমি এবং বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম। এটি প্রায় সম্পূর্ণ আরব উপদ্বীপ জুড়ে বিস্তৃত, ইয়েমেন থেকে পারস্য উপসাগর এবং ওমান থেকে জর্দান ও ইরাক পর্যন্ত।
এর কেন্দ্রে রয়েছে আর-রুব আল-খালি (The Empty Quarter বা শূন্য চতুর্থাংশ), যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম একটানা বালিময় অঞ্চল। এটি সাহারা মরুভূমির একটি বিস্তৃত অংশ হিসাবেও দেখা হয়।
আরব মরুভূমিতে গ্যাজেল, ওরিক্স, বালি বিড়াল, এবং কাঁটাযুক্ত লেজওয়ালা টিকটিকির মতো মরু-অভিযোজিত প্রাণী বাস করে, যারা এই চরম পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ অভিযোজন বিকশিত করেছে।
৬. গোবি মরুভূমি
অবস্থান: পূর্ব এশিয়া (চীন ও মঙ্গোলিয়া)
আয়তন: ১,২৯৫,০০০ বর্গ কিলোমিটার (৫০০,০০২ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: শীতল শীতকালীন মরুভূমি
গোবি মরুভূমি, বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম মরুভূমি, চীন ও মঙ্গোলিয়ার অংশ জুড়ে বিস্তৃত। উষ্ণ মরুভূমির বিপরীতে, গোবি এর শীতল, শুষ্ক অবস্থা এবং উল্লেখযোগ্য তাপমাত্রার পরিবর্তনের জন্য পরিচিত।
এটি প্রধানত পাথুরে অঞ্চল এবং বিরল উদ্ভিদ নিয়ে গঠিত। ডাইনোসরের ফসিল সহ ভূতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য গোবি মরুভূমি বিখ্যাত। এখানে ক্রমবর্ধমান মরুকরণ এবং বালি ঝড়ের কারণে পরিবেশগত সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
৭. কালাহারি মরুভূমি
অবস্থান: দক্ষিণ আফ্রিকা (বতসোয়ানা, নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা)
আয়তন: ৯০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার (৩৪৭,৪৯২ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: উপক্রান্তীয়
কালাহারি মরুভূমি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম মরুভূমি, যা দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটি দেশ জুড়ে বিস্তৃত। এটি লাল বালুর জন্য বিখ্যাত এবং এর একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল যে এটি পুরোপুরি শুষ্ক নয় – এর কিছু অংশে মৌসুমি বৃষ্টি হয়, যা এটিকে আধা-মরুভূমি বানায়।
এখানে সান জনগোষ্ঠী হাজার হাজার বছর ধরে বাস করছে, যারা এই চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য অসাধারণ জ্ঞান বিকশিত করেছে। কালাহারি বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রাণীর আবাসস্থল, যার মধ্যে রয়েছে ম্যারকাট, জেমসবক, এবং কালাহারি সিংহ।
বিশ্বের সবচেয়ে মানব শূন্য দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিতে আজই চলুন
৮. প্যাটাগোনিয়ান মরুভূমি
অবস্থান: দক্ষিণ আমেরিকা (আর্জেন্টিনা এবং চিলি)
আয়তন: ৬৭৩,০০০ বর্গ কিলোমিটার (২৫৯,৮৪৭ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: শীতল শীতকালীন মরুভূমি
প্যাটাগোনিয়ান মরুভূমি বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম মরুভূমি, যা আর্জেন্টিনা ও চিলির মধ্যে অবস্থিত। এটি দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ অংশে এন্ডিজ পর্বতমালার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এর শীতল জলবায়ু এবং শক্তিশালী বাতাস এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পরিবেশের একটি বানিয়েছে।
প্যাটাগোনিয়ান মরুভূমি এর বিশাল, খোলা ল্যান্ডস্কেপ এবং আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এটি বিভিন্ন প্রাণী যেমন গুয়ানাকো (লামার একটি আত্মীয়), পাটাগোনিয়ান মারা (একটি বড় খরগোশের মতো প্রাণী), এবং পুমার আবাসস্থল।
৯. সিরিয়ান মরুভূমি
অবস্থান: পশ্চিম এশিয়া (ইরাক, জর্দান, সৌদি আরব, সিরিয়া)
আয়তন: ৫০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার (১৯৩,০৫১ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: উপক্রান্তীয়
সিরিয়ান মরুভূমি বিশ্বের নবম বৃহত্তম মরুভূমি, যা মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশ জুড়ে বিস্তৃত। এটি আরব মরুভূমির উত্তর-পূর্বাংশের একটি বিস্তৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই মরুভূমি প্রাচীন কাল থেকেই মানুষের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে বেদুইন যাযাবর গোষ্ঠীদের জন্য। এটি বিভিন্ন সভ্যতা এবং ব্যবসায়িক রুটের সংযোগকারী হিসেবে কাজ করেছে।
১০. গ্রেট বেসিন মরুভূমি
অবস্থান: উত্তর আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা, ইউটাহ, ক্যালিফোর্নিয়া, আইডাহো)
আয়তন: ৪৯২,০৯৮ বর্গ কিলোমিটার (১৯০,০০০ বর্গ মাইল)
প্রকৃতি: শীতল শীতকালীন মরুভূমি
গ্রেট বেসিন মরুভূমি বিশ্বের দশম বৃহত্তম মরুভূমি, যা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এটি রকি পর্বতমালা ও সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ নিকাশী বেসিন।
এটি নিজস্ব অনন্য ভূগোল নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে রয়েছে সমান্তরাল পর্বতশ্রেণী এবং উপত্যকা। গ্রেট সল্ট লেক যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় লবণাক্ত হ্রদ, এই মরুভূমির অন্তর্গত একটি উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য।
মরুভূমি সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত গুরুত্ব
মরুভূমিগুলি পৃথিবীর পারিস্থিতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই শুষ্ক পরিবেশে বাস করা জীবজন্তু এবং উদ্ভিদগুলি আশ্চর্যজনক অভিযোজন বিকশিত করেছে যা জৈব বৈচিত্র্যের জন্য অমূল্য।
আধুনিক সময়ে, মরুভূমিগুলি সৌর শক্তি উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে। কম মেঘাচ্ছন্নতার কারণে, মরুভূমিগুলি সৌর শক্তি উৎপাদনের জন্য আদর্শ স্থান। উদাহরণস্বরূপ, সাহারা মরুভূমি বিশ্বে সর্বোচ্চ সৌর শক্তি উৎপাদন সম্ভাবনা রাখে, এবং এর মাত্র ১০% ব্যবহার করে বিশ্বের সমস্ত বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব বলে গবেষকরা মনে করেন।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন, মানবীয় হস্তক্ষেপ, এবং অতিরিক্ত চারণের কারণে অনেক মরুভূমি হুমকির মুখে রয়েছে। আরব মরুভূমিতে, বেশ কিছু প্রজাতি যেমন ডোরাকাটা হায়েনা, শিয়াল এবং মধু ব্যাজার এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি মরুভূমি শুধু ভৌগোলিক বিস্ময়ই নয়, বরং এগুলি জীবন যে কত অবিশ্বাস্য অভিযোজন করতে পারে তার প্রমাণও। অ্যান্টার্কটিক মরুভূমির বরফাচ্ছাদিত বিস্তার থেকে শুরু করে সাহারার জ্বলন্ত বালি এবং গোবির শীতল বিস্তৃতি পর্যন্ত, এই মরুভূমিগুলি আমাদের গ্রহের বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির গল্প বলে।এই মরুভূমিগুলি আমাদের পরিবেশগত চিন্তাভাবনার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত – তাদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার আমাদের গ্লোবাল ইকোসিস্টেমের জন্য অপরিহার্য। এই অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদগুলি রক্ষা করার জন্য আমাদের সচেতন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, যাতে আগামী প্রজন্মও এদের বিস্ময় উপভোগ করতে পারে।