বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর ভ্রমণ হবে সিনেমায় দেখা সেই স্বপ্নের লোকেশনে! রইল সেরা ১০টি স্পটের ঠিকানা

সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর সেই সিনেমার সুন্দর লোকেশনগুলো দেখে বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেননি, এমনটাও প্রায় অসম্ভব। 'দিল চাহতা হ্যায়' দেখে গোয়ার…

Manoshi Das

 

সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর সেই সিনেমার সুন্দর লোকেশনগুলো দেখে বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেননি, এমনটাও প্রায় অসম্ভব। ‘দিল চাহতা হ্যায়’ দেখে গোয়ার জন্য মন কেমন করা হোক বা ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ দেখে মানালির পাহাড়ে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে—বন্ধুত্বের সঙ্গে ভ্রমণের একটা অদ্ভুত সিনেম্যাটিক যোগাযোগ রয়েছে। কেমন হয় যদি সিনেমার পর্দায় দেখা সেই আইকনিক স্পটগুলোতেই এ বছর বন্ধুদের সঙ্গে একটা লম্বা সফরে বেরিয়ে পড়া যায়?

এই প্রতিবেদনে আমরা সিনেমার এমন ১০টি বিখ্যাত শুটিং স্পটের কথা বলব, যা বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণের জন্য একেবারে আদর্শ। শুধু সিনেমার স্মৃতিচারণই নয়, প্রতিটি জায়গাতেই রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার, মজা আর অফুরন্ত আড্ডার সুযোগ। তাই ব্যাগ গোছানোর আগে দেখে নিন আপনার পরবর্তী ‘ফ্রেন্ডস ট্রিপ’-এর গন্তব্য কোনটি হতে পারে।

১. চাপোরা ফোর্ট, গোয়া (দিল চাহতা হ্যায়)

বন্ধুত্ব নিয়ে বলিউডের অন্যতম সেরা ছবি ‘দিল চাহতা হ্যায়’-এর কথা উঠলেই যে দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তা হলো আকাশ, আমির আর সাইফের চাপোরা ফোর্টের দেওয়ালে বসে সমুদ্র দেখা। সেই দৃশ্য দেখার পর থেকেই গোয়া ভারতীয় তরুণদের কাছে বন্ধুত্বের সমার্থক হয়ে উঠেছে।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? গোয়ার প্রাণবন্ত এবং মুক্ত পরিবেশ বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটানোর জন্য সেরা। চাপোরা ফোর্ট থেকে সূর্যাস্ত দেখার পাশাপাশি উত্তর গোয়ার ভাইব্র্যান্ট নাইটলাইফ, বিচ পার্টি এবং ওয়াটার স্পোর্টস—সবই উপভোগ করা যায়।

  • কী কী করবেন:
    • চাপোরা ফোর্টে বসে ‘দিল চাহতা হ্যায়’ পোজ দিয়ে ছবি তুলুন।
    • আঞ্জুনা, বাগা এবং ক্যালাঙ্গুট বিচে স্কুবা ডাইভিং, প্যারাসেলিং-এর মতো ওয়াটার স্পোর্টস উপভোগ করুন।
    • স্কুটি ভাড়া করে পুরো গোয়া চষে বেড়ান।
    • রাতের বেলা শ্যাকগুলিতে লাইভ মিউজিক এবং সি-ফুডের স্বাদ নিন।
  • যাওয়ার সেরা সময়: অক্টোবর থেকে মার্চ।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ৩-৪ দিনের জন্য): ₹৮,০০০ – ₹১৫,০০০ (থাকা, খাওয়া এবং ঘোরাঘুরি সহ)।
  • উচ্চ-কর্তৃপক্ষ লিঙ্ক: গোয়া পর্যটন

২. প্যাংগং লেক, লাদাখ (থ্রি ইডিয়টস)

‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমার শেষ দৃশ্যে করিনা কাপুরের হলুদ স্কুটার চালিয়ে আসা এবং আমির খানের সঙ্গে পুনর্মিলনের দৃশ্যটি মনে আছে? সেই অবিশ্বাস্য সুন্দর জায়গাটি হলো লাদাখের প্যাংগং সো লেক। এরপর থেকেই বাইকার এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী বন্ধুদের কাছে লাদাখ ভ্রমণ একটা স্বপ্ন।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? লাদাখের রুক্ষ সৌন্দর্য, উঁচু পাহাড়ি রাস্তা এবং শান্ত পরিবেশ বন্ধুদের সঙ্গে রোড ট্রিপের জন্য অসাধারণ। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা হতে পারে।

  • কী কী করবেন:
    • প্যাংগং লেকের ধারে ক্যাম্পিং করুন এবং তারাভরা আকাশ দেখুন।
    • খারদুংলা পাস, যা বিশ্বের অন্যতম উচ্চতম মোটরযোগ্য রাস্তা, সেখানে বাইক রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিন।
    • নুব্রা ভ্যালিতে দুই কুঁজওয়ালা উটের পিঠে চড়ুন।
    • ম্যাগনেটিক হিলের বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুন।
  • যাওয়ার সেরা সময়: জুন থেকে সেপ্টেম্বর।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ৭-৮ দিনের জন্য): ₹২০,০০০ – ₹৩৫,০০০ (বিমানে গেলে খরচ বাড়বে)।
  • উচ্চ-কর্তৃপক্ষ লিঙ্ক: লাদাখ পর্যটন

৩. মানালি এবং রোটাং পাস, হিমাচল প্রদেশ (ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি)

‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিটি শুধু বন্ধুত্বের গল্পই বলেনি, পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসাও জাগিয়ে তুলেছে। বানি, নয়না, অদিতি আর অ্যাভির মানালির ট্রেকিং, মজা-মাস্তি দেখে অনেক বন্ধুত্বের গ্যাংই মানালি যাওয়ার প্ল্যান করেছে।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? মানালির বরফ ঢাকা পাহাড়, পাইন গাছের জঙ্গল এবং অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুযোগ এটিকে বন্ধুদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য করে তুলেছে।

  • কী কী করবেন:
    • সোলাং ভ্যালিতে প্যারাগ্লাইডিং, জর্বিং এবং স্কিইং করুন।
    • রোটাং পাসে বরফের মধ্যে খেলাধুলা করুন।
    • সিনেমার মতো হিডিম্বা মন্দিরে যান এবং ছবি তুলুন।
    • ওল্ড মানালির ক্যাফেগুলিতে বসে আড্ডা দিন আর স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিন।
  • যাওয়ার সেরা সময়: মে থেকে জুন (গ্রীষ্মকালীন) এবং ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি (বরফ পড়ার জন্য)।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ৪-৫ দিনের জন্য): ₹১০,০০০ – ₹১৮,০০০।
  • উচ্চ-কর্তৃপক্ষ লিঙ্ক: হিমাচল প্রদেশ পর্যটন

৪. উদয়পুর, রাজস্থান (ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি, রাম-লীলা)

‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-তে অদিতি-র জমকালো বিয়ের শুটিং হয়েছিল উদয়পুরের রয়্যাল প্যালেসে। লেক এবং প্রাসাদের এই শহর ‘সিটি অফ লেকস’ নামেও পরিচিত। এছাড়াও ‘রাম-লীলা’-র মতো অনেক সিনেমার শুটিং এখানে হয়েছে।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? রাজকীয় পরিবেশ, সুন্দর স্থাপত্য এবং শান্ত হ্রদ—সব মিলিয়ে উদয়পুর বন্ধুদের সঙ্গে একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে একদিকে যেমন ইতিহাসের ছোঁয়া পাওয়া যায়, তেমনই রয়েছে আধুনিক শহরের সব সুযোগ-সুবিধা।

  • কী কী করবেন:
    • লেক Pichola-তে বোটিং করুন এবং সিটি প্যালেসের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।
    • ফতেহ সাগর লেকের ধারে বসে সূর্যাস্ত দেখুন।
    • সজ্জনগড় ফোর্ট বা মনসুন প্যালেস থেকে পুরো শহরের প্যানোরামিক ভিউ দেখুন।
    • উদয়পুরের স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা করুন।
  • যাওয়ার সেরা সময়: সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ৩-৪ দিনের জন্য): ₹৭,০০০ – ₹১৪,০০০।
  • উচ্চ-কর্তৃপক্ষ লিঙ্ক: রাজস্থান পর্যটন

৫. দার্জিলিং (বারফি!)

বাঙালিদের কাছে দার্জিলিং নতুন কোনো জায়গা না হলেও, অনুরাগ বসুর ‘বারফি!’ সিনেমাটি শৈলশহরের সৌন্দর্যকে এক নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরেছে। ছবির প্রতিটি ফ্রেমে দার্জিলিংয়ের কুয়াশা মাখা রাস্তা, টয় ট্রেন আর ব্রিটিশ স্থাপত্য জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? বন্ধুদের সঙ্গে টয় ট্রেনে ঝিকঝিক করে পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া, ম্যালের রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে তাকিয়ে গরম কফিতে চুমুক দেওয়া—এর চেয়ে ভালো ফ্রেন্ডস ট্রিপ আর কী হতে পারে!

  • কী কী করবেন:
    • দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েতে (টয় ট্রেন) চড়ুন।
    • টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখুন।
    • গ্লেনারিজ বা কেভেন্টার্স-এর মতো আইকনিক ক্যাফেতে ইংলিশ ব্রেকফাস্ট সারুন।
    • ম্যাল রোডে বসে আড্ডা দিন।
  • যাওয়ার সেরা সময়: মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ৩-৪ দিনের জন্য): ₹৬,০০০ – ₹১২,০০০।
  • উচ্চ-কর্তৃপক্ষ লিঙ্ক: পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন

৬. মুন্নার, কেরালা (চেন্নাই এক্সপ্রেস, লাইফ অফ পাই)

শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোনের ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবির বেশ কিছু সুন্দর দৃশ্যের শুটিং হয়েছিল কেরালার মুন্নারের চা বাগানে। এছাড়াও অস্কারজয়ী ছবি ‘লাইফ অফ পাই’-এর কিছু অংশের শুটিংও এখানে হয়।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? সবুজ চা বাগান, মেঘে ঢাকা পাহাড় আর মনোরম আবহাওয়া—মুন্নার বন্ধুদের সঙ্গে শান্ত এবং রিল্যাক্সিং একটি ছুটি কাটানোর জন্য উপযুক্ত।

  • কী কী করবেন:
    • চা বাগানগুলির মধ্যে দিয়ে হেঁটে বেড়ান এবং টি মিউজিয়াম ঘুরে দেখুন।
    • এরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্কে বিলুপ্তপ্রায় নীলগিরি থার দেখুন।
    • আথিরাপল্লী জলপ্রপাত, যা ‘বাহুবলী’ জলপ্রপাত নামেও পরিচিত, সেখানে যেতে পারেন।
    • টপ স্টেশনে গিয়ে মেঘের সমুদ্রে ভেসে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিন।
  • যাওয়ার সেরা সময়: সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ৩-৪ দিনের জন্য): ₹৯,০০০ – ₹১৬,০০০।
  • উচ্চ-কর্তৃপক্ষ লিঙ্ক: কেরালা পর্যটন

৭. কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ (পিকু, কাহানি)

নিজের শহর কলকাতাও কিন্তু সিনেমার পর্দায় বারবার নায়ক হয়ে উঠেছে। ‘পিকু’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চন, দীপিকা পাড়ুকোন এবং ইরফান খানের কলকাতার রাস্তায় সাইকেল চালানো বা ‘কাহানি’-তে বিদ্যা বালানের দুর্গা পুজোর আবহে দৌড়ে বেড়ানো—এই শহরকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? বন্ধুদের সঙ্গে উত্তর কলকাতার অলিগলিতে হেঁটে পুরনো বাড়ির স্থাপত্য দেখা, ট্রামে চড়া আর স্ট্রিট ফুডের স্বাদ নেওয়া—কলকাতার এই নস্টালজিয়া অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।

  • কী কী করবেন:
    • হাওড়া ব্রিজ এবং শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড়ে ‘পিকু’-র স্মৃতিচারণ করুন।
    • কুমোরটুলিতে ‘কাহানি’-র মতো দুর্গা প্রতিমা তৈরি দেখুন।
    • ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এবং প্রিন্সেপ ঘাটে আড্ডা দিন।
    • কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া এবং ইন্ডিয়ান কফি হাউসে সময় কাটান।
  • যাওয়ার সেরা সময়: অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ২-৩ দিনের জন্য): ₹৩,০০০ – ₹৭,০০০।

৮. জয়সলমের, রাজস্থান (বজরঙ্গি ভাইজান)

‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিতে সলমন খান এবং ছোট্ট মুন্নির পাকিস্তান যাওয়ার যাত্রাপথের বেশ কিছু দৃশ্য শুট করা হয়েছিল রাজস্থানের গোল্ডেন সিটি জয়সলমেরে। এখানকার সোনালি বালির মরুভূমি এবং প্রাচীন কেল্লা অনেক ছবির পটভূমি হয়েছে।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? মরুভূমির বুকে ক্যাম্পিং, জিপ সাফারি এবং রাজস্থানি লোক সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণের জন্য দারুণ।

  • কী কী করবেন:
    • জয়সলমের ফোর্ট বা সোনার কেল্লা ঘুরে দেখুন।
    • স্যাম স্যান্ড ডিউনস-এ ডেজার্ট সাফারির অভিজ্ঞতা নিন।
    • রাতে মরুভূমির মধ্যে কালচারাল প্রোগ্রাম এবং ক্যাম্পফায়ারের মজা নিন।
    • গাদিসার লেকে বোটিং করুন।
  • যাওয়ার সেরা সময়: অক্টোবর থেকে মার্চ।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ৩-৪ দিনের জন্য): ₹৮,০০০ – ₹১৫,০০০।

৯. স্পিতি ভ্যালি, হিমাচল প্রদেশ (হাইওয়ে)

ইমতিয়াজ আলির ‘হাইওয়ে’ ছবিতে আলিয়া ভাটের চরিত্রের আত্ম-আবিষ্কারের যাত্রাপথ ছিল স্পিতি ভ্যালির রুক্ষ এবং নির্জন রাস্তা। এই জায়গাটি প্রচলিত পর্যটন কেন্দ্রগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন এবং শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির আসল রূপ দেখতে চান, তাদের জন্য স্পিতি ভ্যালি সেরা।

  • কী কী করবেন:
    • বিশ্বের উচ্চতম পোস্ট অফিসে (হিক্কিম) গিয়ে বন্ধুদের চিঠি পাঠান।
    • কি মনাস্ট্রি এবং তাবো মনাস্ট্রির মতো প্রাচীন বৌদ্ধ মঠ ঘুরে দেখুন।
    • চন্দ্রতাল লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।
    • দুর্গম রাস্তায় বাইক বা গাড়ি চালানোর রোমাঞ্চ অনুভব করুন।
  • যাওয়ার সেরা সময়: জুন থেকে অক্টোবর।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ৮-১০ দিনের জন্য): ₹২৫,০০০ – ₹৪০,০০০।

১০. অমৃতসর, পাঞ্জাব (রং দে বাসন্তী)

‘রং দে বাসন্তী’-র মতো কাল্ট সিনেমার একটি বড় অংশের শুটিং হয়েছিল অমৃতসরে। গোল্ডেন টেম্পলের শান্ত পরিবেশ থেকে শুরু করে সরষের ক্ষেতে বন্ধুদের मस्ती—এই ছবি অমৃতসরকে নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

কেন যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে? ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, দেশের ইতিহাস এবং পাঞ্জাবের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি—এই তিনের মেলবন্ধন অমৃতসরকে বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণের জন্য একটি অর্থপূর্ণ গন্তব্য করে তোলে।

  • কী কী করবেন:
    • স্বর্ণ মন্দিরের পবিত্রতা এবং লঙ্গরের স্বাদ গ্রহণ করুন।
    • জালিয়ানওয়ালাবাগে ইতিহাসের সেই কালো দিনকে স্মরণ করুন।
    • ওয়াঘা বর্ডারে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের রিট্রিট সেরিমনি দেখুন।
    • স্থানীয় ধাবায় অমৃতসরী কুলচা এবং লস্যির স্বাদ নিন।
  • যাওয়ার সেরা সময়: অক্টোবর থেকে মার্চ।
  • আনুমানিক খরচ (জনপ্রতি ২-৩ দিনের জন্য): ₹৫,০০০ – ₹১০,০০০।
  • উচ্চ-কর্তৃপক্ষ লিঙ্ক: পাঞ্জাব পর্যটন

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

প্রশ্ন: বন্ধুদের সঙ্গে কম বাজেটে ভ্রমণের জন্য কোন কোন সিনেমার লোকেশন ভালো? উত্তর: কম বাজেটে ভ্রমণের জন্য দার্জিলিং, কলকাতা এবং অমৃতসর খুব ভালো বিকল্প। এই শহরগুলিতে থাকা-খাওয়ার খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং স্থানীয় পরিবহণ ব্যবস্থা বেশ উন্নত।

প্রশ্ন: অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী বন্ধুদের জন্য কোন জায়গাগুলি সেরা? উত্তর: অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য লাদাখ, স্পিতি ভ্যালি এবং মানালি সেরা গন্তব্য। এখানে ট্রেকিং, বাইকিং, প্যারাগ্লাইডিং এবং রিভার রাফটিং-এর মতো অনেক সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন: এই জায়গাগুলিতে যাওয়ার সেরা সময় কখন? উত্তর: সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে (লাদাখ, মানালি, স্পিতি, দার্জিলিং) গ্রীষ্মকালে (মার্চ থেকে জুন) এবং শরৎকালে (সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) যাওয়া সবচেয়ে ভালো। অন্যদিকে রাজস্থান এবং গোয়ার মতো জায়গায় শীতকাল (অক্টোবর থেকে মার্চ) ভ্রমণের জন্য আদর্শ।

প্রশ্ন: একা মেয়েদের গ্রুপ হিসেবে এই জায়গাগুলি কি নিরাপদ? উত্তর: তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ পর্যটন কেন্দ্রই সুরক্ষিত, বিশেষ করে মুন্নার, উদয়পুর এবং দার্জিলিং। তবে যেকোনো জায়গায় ভ্রমণের সময় 기본적인 সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যেমন রাতে একা না ঘোরা এবং স্থানীয়দের সঙ্গে নম্র ব্যবহার করা।

About Author
Manoshi Das

মানসী দাস একজন মার্কেটিং এর ছাত্রী এবং আমাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি। তিনি তাঁর অধ্যয়ন ও কর্মজীবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজার ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন। একজন উদীয়মান লেখিকা হিসেবে, মানসী বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা, স্থানীয় বাজারের প্রবণতা এবং ব্র্যান্ডিং কৌশল নিয়ে লিখে থাকেন। তাঁর লেখনীতে বাংলাদেশের যুব সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়।