Manoshi Das
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০২ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

ফরিদপুরের ১০ টি দর্শনীয় স্থান, কিভাবে যাবেন? বিস্তারিত গাইড

Top places to visit in Faridpur: ফরিদপুর! নামটা শুনলেই কেমন যেন একটা শান্তির পরশ বুলিয়ে যায় মনে। পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এই জেলা ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সবুজ প্রকৃতির এক অপূর্ব মিশ্রণ। আপনি যদি শহরের কোলাহল থেকে একটু মুক্তি খুঁজে প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চান, তাহলে ফরিদপুর হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য। এখানকার ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির, নদীর পাড়, আর সবুজে ঘেরা গ্রামগুলো আপনার মন জয় করতে বাধ্য। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা ফরিদপুরের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করব এবং সেই সাথে জানাবো কিভাবে আপনি সহজেই সেখানে পৌঁছাতে পারবেন।

ফরিদপুরের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান

ফরিদপুরে দেখার মতো অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। নিচে ফরিদপুরের সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. চরভদ্রাসন: পদ্মার কোলে এক শান্তির ঠিকানা

ফরিদপুর শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চরভদ্রাসন যেন প্রকৃতির এক নীরব ক্যানভাস। পদ্মার বিস্তৃত জলরাশি, দিগন্তজোড়া সবুজ মাঠ, আর পাখির কলকাকলি—সব মিলিয়ে চরভদ্রাসন ভ্রমণ যেন এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এখানে এসে আপনি নৌকায় ঘুরতে পারেন, পদ্মার তাজা বাতাস গায়ে মেখে মন ভরে উপভোগ করতে পারেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।

রাজপুত রাজকুমার যিনি গড়েছিলেন ৩০০ বছর আগে ভারতের সর্বোত্তম পরিকল্পিত শহর

কি দেখবেন চরভদ্রাসনে?

  • পদ্মা নদীর পাড়: নির্মল বাতাস আর ঢেউয়ের গর্জন শুনতে কার না ভালো লাগে? এখানে এসে সূর্যাস্ত দেখলে মনে হবে যেন শিল্পী নিজের হাতে আকাশটা রাঙিয়ে দিয়েছেন।
  • সবুজ মাঠ: দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠ যেন সবুজের চাদর বিছিয়ে রেখেছে। এখানে হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির মাঝে।
  • নৌকা ভ্রমণ: নৌকা ভাড়া করে পদ্মায় ঘুরে বেড়ানো এখানকার প্রধান আকর্ষণ। মাঝনদীতে গিয়ে প্রকৃতির নীরবতা উপভোগ করা সত্যিই অসাধারণ।

কিভাবে যাবেন?

ফরিদপুর শহর থেকে চরভদ্রাসনের সরাসরি বাস পাওয়া যায়। এছাড়া, আপনি চাইলে মাহেন্দ্র বা লোকাল বাসেও যেতে পারেন।

২. মথুরাপুর দেউল: ইতিহাসের সাক্ষী

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে অবস্থিত মথুরাপুর দেউল একটি ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। এটি মূলত একটি বৌদ্ধ স্তূপ যা কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। ইতিহাসপ্রেমী বা স্থাপত্য ভালোবাসেন এমন যে কারো জন্য এটি একটি অসাধারণ গন্তব্য।

এই দেউলের বিশেষত্ব কী?

  • ঐতিহাসিক স্থাপত্য: প্রায় কয়েকশ বছর আগের স্থাপত্যশৈলী দেখলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
  • ঐতিহ্য: এটি ফরিদপুরের প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
  • নিরিবিলি পরিবেশ: শহরের কোলাহল থেকে দূরে, শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর জন্য এটি চমৎকার একটি জায়গা।

যাওয়ার উপায়

ফরিদপুর শহর থেকে মথুরাপুরের সরাসরি বাস বা অটো পাওয়া যায়। মধুখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল ট্রান্সপোর্ট নিয়েও যাওয়া যেতে পারে।

৩. শাহজালাল শাহ (র.) এর মাজার: আধ্যাত্মিক শান্তি

ফরিদপুর শহরের অদূরে অবস্থিত শাহজালাল শাহ (র.) এর মাজার ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ এখানে জিয়ারত করতে আসেন এবং মনের শান্তি খুঁজে পান।

এখানে কী পাবেন?

  • পবিত্র মাজার: এটি একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান, যেখানে জিয়ারত করলে মনের শান্তি মেলে।
  • শান্ত পরিবেশ: মাজারের চারপাশের পরিবেশ খুবই শান্ত ও স্নিগ্ধ, যা মনকে শান্তি এনে দেয়।
  • ঐতিহাসিক তাৎপর্য: এই মাজারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক।

কিভাবে যাবেন?

ফরিদপুর শহর থেকে অটো বা লোকাল বাসে করে সহজেই শাহজালাল শাহ (র.) এর মাজারে পৌঁছানো যায়।

৪. আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল: আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র

আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ফরিদপুরের অন্যতম পরিচিত স্থান। এটি একটি বিশাল দরবার শরীফ, যা আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন এবং বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এখানে বিশাল জনসমাগম হয়।

আটরশির বিশেষত্ব

  • বিশাল দরবার শরীফ: এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ দরবার শরীফ।
  • ধর্মীয় উৎসব: এখানে সারা বছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান লেগেই থাকে।
  • শান্তিপূর্ণ পরিবেশ: দরবারের পরিবেশ খুবই শান্ত ও স্নিগ্ধ।

যাওয়ার উপায়

ফরিদপুর শহর থেকে আটরশির সরাসরি বাস পাওয়া যায়। আপনি চাইলে প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাস ভাড়া করেও যেতে পারেন।

৫. পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের বাড়ী: স্মৃতির আঙিনা

ফরিদপুর শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোবিন্দপুর গ্রামে পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের পৈতৃক ভিটা অবস্থিত। এই বাড়িটি এখন একটি জাদুঘর, যেখানে কবির ব্যবহৃত জিনিসপত্র, তার লেখা বই, এবং তার জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত আছে।

এখানে যা দেখবেন:

  • জসীম উদ্দীনের স্মৃতি: কবির ব্যবহৃত জিনিসপত্র, তার নিজের হাতে লেখা পান্ডুলিপি, এবং তার জীবনের নানান মুহূর্তের ছবি এখানে দেখতে পাবেন।
  • গ্রামীণ পরিবেশ: শান্ত ও স্নিগ্ধ গ্রামীণ পরিবেশে কবির স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি যেন এক অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়।
  • জাদুঘর: এখানে কবির জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি ছোট জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।

কিভাবে যাবেন?

ফরিদপুর শহর থেকে প্রথমে রাজবাড়ী রোড ধরে গোবিন্দপুর যেতে হবে। সেখানে থেকে অটো বা রিকশা নিয়ে পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের বাড়ি যাওয়া যায়।

৬. টেপাখোলা জামে মসজিদ: স্থাপত্যের এক নিদর্শন

ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা নামক স্থানে অবস্থিত এই জামে মসজিদটি স্থাপত্যের এক চমৎকার নিদর্শন। এর নির্মাণশৈলী মুঘল স্থাপত্যের দ্বারা প্রভাবিত, যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।

মসজিদের বিশেষত্ব

  • মুঘল স্থাপত্য: মসজিদের নকশা ও কারুকার্য মুঘল স্থাপত্যের কথা মনে করিয়ে দেয়।
  • ঐতিহাসিক তাৎপর্য: এটি ফরিদপুরের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ।
  • শান্ত পরিবেশ: মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করলে এক শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশ অনুভব করা যায়।

যাওয়ার উপায়

ফরিদপুর শহরের টেপাখোলাতে অবস্থিত হওয়ায় এখানে সহজেই পৌঁছানো যায়। আপনি লোকাল বাস, অটো বা রিকশা ব্যবহার করতে পারেন।

৭. সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ: ঐতিহ্যের ধারক

ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি ফরিদপুরের ইতিহাসেরও অংশ। পুরনো দিনের স্থাপত্য আর সবুজ চত্বর মিলিয়ে এই কলেজটি আজও তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

এখানে যা দেখবেন

  • ঐতিহ্যবাহী ভবন: কলেজের পুরনো ভবনগুলো দেখলে মনে হবে যেন ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে।
  • সবুজ চত্বর: কলেজের সবুজ চত্বর ছাত্রছাত্রীদের মিলনস্থল, যেখানে তারা আড্ডা দেয়, গান গায়, এবং নিজেদের মতো করে সময় কাটায়।
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: এখানে প্রায়ই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, যা কলেজের পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

কিভাবে যাবেন?

ফরিদপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এখানে পৌঁছানো খুবই সহজ। আপনি লোকাল বাস, অটো বা রিকশা ব্যবহার করতে পারেন।

৮. অম্বিকাপুর পুরাতন জমিদার বাড়ি: জমিদারদের স্মৃতি

ফরিদপুর শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অম্বিকাপুরে অবস্থিত পুরাতন জমিদার বাড়িটি এক সময়ের প্রতাপশালী জমিদারদের স্মৃতিচিহ্ন বহন করছে। যদিও এখন এর অনেকটা অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে, তবুও এর ধ্বংসাবশেষ দেখলে বোঝা যায় যে এটি এক সময় কত জমকালো ছিল।

এখানে যা দেখবেন:

  • জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ: পুরনো জমিদার বাড়ির ভাঙা দেয়াল, স্তম্ভ, এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ দেখলে সেই সময়ের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
  • ঐতিহাসিক স্থাপত্য: এখানকার স্থাপত্যশৈলী পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
  • গ্রাম্য পরিবেশ: শান্ত ও স্নিগ্ধ গ্রাম্য পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটানো মনকে শান্তি এনে দেয়।

যাওয়ার উপায়

ফরিদপুর শহর থেকে অম্বিকাপুরের সরাসরি বাস পাওয়া যায়। এছাড়া, আপনি চাইলে অটো বা লোকাল বাসেও যেতে পারেন।

৯. জগদ্বন্ধু মহাপ্রকাশ মঠ: আধ্যাত্মিকতার আরেক ঠিকানা

ফরিদপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক স্থান হলো জগদ্বন্ধু মহাপ্রকাশ মঠ। এখানে প্রতি বছর অসংখ্য ভক্ত ও দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি শান্তি ও মানবতার বার্তাও দেয়।

এখানে যা পাবেন

  • ধ্যান ও প্রার্থনা: এখানে এসে আপনি ধ্যান ও প্রার্থনা করতে পারেন, যা আপনার মনকে শান্তি এনে দেবে।
  • ধর্মীয় আলোচনা: এখানে নিয়মিত ধর্মীয় আলোচনা ও কীর্তন হয়, যেখানে আপনি অংশ নিতে পারেন।
  • শান্তিপূর্ণ পরিবেশ: মঠের পরিবেশ খুবই শান্ত ও স্নিগ্ধ, যা মনকে শান্তি এনে দেয়।

কিভাবে যাবেন?

ফরিদপুর শহর থেকে অটো বা লোকাল বাসে করে সহজেই জগদ্বন্ধু মহাপ্রকাশ মঠে পৌঁছানো যায়।

১০. বাইতুল আমান জামে মসজিদ (ফরিদপুর): আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়া

ফরিদপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত বাইতুল আমান জামে মসজিদটি আধুনিক স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। এর সুন্দর নকশা এবং বিশাল আকার সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

মসজিদের বিশেষত্ব

  • আধুনিক স্থাপত্য: মসজিদের নির্মাণশৈলী আধুনিক স্থাপত্যের এক দারুণ উদাহরণ।
  • বিশাল আকার: এটি ফরিদপুরের অন্যতম বড় মসজিদ।
  • সুন্দর কারুকার্য: মসজিদের ভেতরে ও বাইরের কারুকার্য অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয়।

যাওয়ার উপায়

ফরিদপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত হওয়ায় এখানে পৌঁছানো খুবই সহজ। আপনি লোকাল বাস, অটো বা রিকশা ব্যবহার করতে পারেন।

ফরিদপুর ভ্রমণ: কিছু দরকারী তথ্য

ফরিদপুর ভ্রমণের আগে কিছু জরুরি তথ্য জেনে রাখা ভালো। এতে আপনার ভ্রমণ আরও সহজ ও আনন্দদায়ক হবে।

যাতায়াত

ফরিদপুরে আসার জন্য বাস এবং ট্রেন দুটোই বেশ সহজলভ্য। ঢাকার গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নিয়মিত ফরিদপুরের বাস ছাড়ে। এছাড়া, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনেও ফরিদপুর আসা যায়।

থাকা

ফরিদপুরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে। শহরের ভেতরে এবং আশেপাশে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী ভালো থাকার জায়গা খুঁজে নিতে পারেন।

খাওয়া দাওয়া

ফরিদপুরের খাবারের মধ্যে এখানকার মিষ্টি বেশ বিখ্যাত। এছাড়া, পদ্মার ইলিশ এবং অন্যান্য স্থানীয় খাবারও চেখে দেখতে পারেন। শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে আপনি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক খাবার পাবেন।

কিছু অতিরিক্ত টিপস

  • ভ্রমণের আগে অবশ্যই হোটেলের রুম বুক করে নিন, বিশেষ করে ছুটির দিনে।
  • সাথে হালকা গরম কাপড় রাখুন, কারণ নদীর ধারে আবহাওয়া একটু ঠান্ডা থাকতে পারে।
  • স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন।
  • যেকোনো প্রয়োজনে স্থানীয়দের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না।

ফরিদপুর নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

এখানে ফরিদপুর নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা আপনার ভ্রমণকে আরও সহজ করে তুলবে।

ফরিদপুরের বিখ্যাত খাবার কি?

ফরিদপুরের বিখ্যাত খাবার হলো এখানকার মিষ্টি এবং পদ্মার ইলিশ। মিষ্টির মধ্যে রসমলাই, রসগোল্লা, এবং সন্দেশ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, পদ্মার ইলিশ ভাজা, ইলিশের দোপেঁয়াজা, এবং ইলিশের অন্যান্য পদগুলোও বেশ জনপ্রিয়।

ফরিদপুর ভ্রমণের সেরা সময় কখন?

ফরিদপুর ভ্রমণের সেরা সময় হলো শীতকাল। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আবহাওয়া বেশ মনোরম থাকে, যা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। এই সময় পদ্মার পাড়ে ঘুরতে এবং অন্যান্য দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের জন্য খুবই আরামদায়ক।

ফরিদপুরে কি দেখার মত আর কিছু আছে?

উপরে দেওয়া স্থানগুলো ছাড়াও ফরিদপুরে আরও অনেক ঐতিহাসিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান রয়েছে। আপনি চাইলে স্থানীয়দের কাছ থেকে আরও কিছু নতুন জায়গার সন্ধান নিতে পারেন।

ফরিদপুর শহর কেমন?

ফরিদপুর শহর বেশ পরিপাটি এবং শান্তিপূর্ণ। এখানে আধুনিক সব সুবিধা বিদ্যমান, তবে শহরের মধ্যে একটি শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশ বজায় থাকে। শহরের মানুষজনও বেশ আন্তরিক এবং অতিথিপরায়ণ।

টাকি: কলকাতার কাছে একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র

ফরিদপুরের ইতিহাস কি?

ফরিদপুরের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। এই অঞ্চলটি প্রাচীনকালে বিভিন্ন রাজার অধীনে ছিল। মুঘল আমলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসনামলে ফরিদপুর একটি জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

ফরিদপুর শুধু একটি জেলা নয়, এটি ইতিহাস, ঐতিহ্য আর প্রকৃতির এক অপূর্ব মিলনস্থল। এখানকার প্রতিটি স্থান তার নিজস্ব সৌন্দর্য ও গল্প নিয়ে অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। তাই আর দেরি না করে, বেরিয়ে পড়ুন ফরিদপুরের পথে এবং আবিষ্কার করুন এই অঞ্চলের অপার সৌন্দর্য। আর হ্যাঁ, আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনার প্রতিটি মন্তব্য আমাদের কাছে মূল্যবান। শুভ হোক আপনার ফরিদপুর ভ্রমণ!

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে ধর্ষণের ঊর্ধ্বগতি: রাজপথে প্রতিবাদের ঝড় ছাত্রদের

ভারতে ইন্টারনেট বিপ্লবের নতুন দিগন্ত: স্টারলিঙ্কের সঙ্গে এয়ারটেলের ঐতিহাসিক চুক্তি

অস্ত্র আমদানির দৌড়ে শীর্ষে ইউক্রেন, ভারতের স্থান দ্বিতীয়: বিশ্বে কী বার্তা?

মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে নজর! বঙ্গের সব আসনে লড়তে প্রস্তুত আইএমআইএম

হোলির রঙে ব্যাঙ্ক বন্ধ: আগামীকাল থেকে টানা ৪ দিন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাঙ্ক ছুটি, তালিকা দেখে নিন

কেকেআরের প্রস্তুতি শুরু: কলকাতায় নাইটদের ক্যাপ্টেন-কোচের সঙ্গে প্রকাশিত হল প্র্যাক্টিস সূচি

শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে ‘ক্রিমিনাল’ পোস্টার: সিপিএম নেতার থানায় তলব!

কলকাতার Zakaria Street-এর মাস্ট ভিজিট ফুড স্টল: একটি খাদ্যপ্রেমীর স্বর্গভূমি

অলক্ষ্যে ঋত্বিক: ঋত্বিক ঘটকের জীবনালেখ্য নিয়ে আসছে বাঙালির প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র

আইপিএল-এ তামাকের বিজ্ঞাপন বন্ধ! স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কড়া নির্দেশ জারি!

১০

দেওয়ালের কোন দিকে কোন রঙ শুভ? বাস্তুশাস্ত্রের চোখে একটি গভীর দৃষ্টিপাত

১১

ডিএলএফ-এমআরএফ-আমূল-পেটিএম: সংক্ষিপ্ত নামেই ভারত বিখ্যাত, এবার জেনে নিন এই ব্র্যান্ডগুলোর পুরো নাম!

১২

সেক্সসমনিয়া: ঘুমের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক বিরল রহস্য

১৩

ভীষণ ক্ষতিকর Non-Stick প্যানে রান্না করছেন না তো? জেনে নিন সেরা বিকল্পগুলো

১৪

কাক ডাকার ফলাফল: ইসলাম ও হিন্দু শাস্ত্রে কী বলা আছে?

১৫

দিনে ৮ ঘণ্টা AC চালালে মাসে কত ‘Electric Bill’ আসবে? সহজ হিসেবে নিশ্চিন্তে থাকুন

১৬

প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কি বুদ্ধিমানের কাজ? একটি গভীর বিশ্লেষণ

১৭

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের জাদু: কীভাবে ভারত হয়ে উঠল অপ্রতিরোধ্য?

১৮

বাংলার প্রথম এসি লোকাল ট্রেন শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর রুটে, ভাড়া কত জানেন?

১৯

ভারতে রাজ্যভিত্তিক হীরার মজুদ: কোন রাজ্য হীরা উৎপাদনে সেরা?

২০
close