H-1B ভিসার ফি বাড়িয়ে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি, ভারতের জন্য শাপে বর?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকার জনপ্রিয় H-1B Visa কর্মসূচির বার্ষিক আবেদন ফি একলাফে প্রায় ২০ থেকে ৫০…

Avatar

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকার জনপ্রিয় H-1B Visa কর্মসূচির বার্ষিক আবেদন ফি একলাফে প্রায় ২০ থেকে ৫০ গুণ বাড়িয়ে এক লক্ষ মার্কিন ডলার করার একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তিনি, যা গত ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো মার্কিন কর্মীদের স্বার্থরক্ষা এবং ভিসা কর্মসূচির অপব্যবহার রোধ করা। তবে সমালোচকদের মতে, এই চরম সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রযুক্তি শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে ভারতের মতো দেশের জন্য ‘ব্রেন গেইন’ বা মেধা প্রত্যাবর্তনের সুযোগ তৈরি করে দেবে।

এই পদক্ষেপটি ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির একটি অন্যতম কঠোর প্রতিফলন, যার লক্ষ্য মার্কিন চাকরিতে আমেরিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ ফি নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ বেতন এবং দক্ষতার অধিকারী বিদেশি পেশাদাররাই আমেরিকায় কাজের সুযোগ পাবেন। যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি এবং মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট, যারা ভারতীয় প্রতিভার উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, তারা বড়সড় আর্থিক চাপের মুখে পড়বে, তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এর ফলে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি হাব, যেমন বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ এবং গুরুগ্রাম, আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

মুখ্য বিষয়গুলি এক নজরে

  • বিপুল ফি বৃদ্ধি: নতুন H-1B Visa আবেদনের জন্য ফি বর্তমান ২,০০০-৫,০০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১,০০,০০০ ডলার করা হয়েছে, যা ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে কার্যকর।
  • লক্ষ্য: ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এর লক্ষ্য সস্তা বিদেশি কর্মী দিয়ে মার্কিন কর্মীদের প্রতিস্থাপন বন্ধ করা এবং শুধুমাত্র উচ্চ-দক্ষতাসম্পন্ন পেশাদারদের আকর্ষণ করা।
  • প্রভাব: ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এবং মার্কিন টেক জায়ান্ট, যারা ভারতীয় কর্মীদের উপর নির্ভরশীল, তারা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হবে। তবে এটি ভারতে মেধা ফেরত আসার (ব্রেন গেইন) সম্ভাবনাও তৈরি করেছে।
  • সরকারি প্রতিক্রিয়া: ভারত সরকার এই পদক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মার্কিন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। অন্যদিকে ন্যাসকম (NASSCOM) এই সিদ্ধান্তের স্বল্প সময়সীমা এবং ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতার উপর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
  • ব্যতিক্রম: হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করেছে যে এই বর্ধিত ফি শুধুমাত্র নতুন আবেদনকারীদের জন্য; বর্তমান ভিসা ধারক বা ভিসার পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়।

 ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি

শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প “কিছু নির্দিষ্ট অ-অভিবাসী কর্মীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা” (Restriction on Entry of Certain Nonimmigrant Workers) শীর্ষক একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। এই ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে যে H-1B ভিসা কর্মসূচির ব্যাপক অপব্যবহার করে মার্কিন সংস্থাগুলি আমেরিকান কর্মীদের ছাঁটাই করে কম বেতনে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করছে, যা আমেরিকার জাতীয় সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক।

হোয়াইট হাউসের একটি ফ্যাক্ট শিটে দাবি করা হয়েছে যে কিছু বড় প্রযুক্তি সংস্থা হাজার হাজার মার্কিন কর্মীকে ছাঁটাই করার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক H-1B কর্মী নিয়োগ করেছে। প্রশাসনের যুক্তি, এই এক লক্ষ ডলারের ফি সংস্থাগুলিকে শুধুমাত্র সেইসব বিদেশি পেশাদারদের আনতে বাধ্য করবে যাদের দক্ষতা আমেরিকায় সত্যিই অমিল এবং যাদের জন্য সংস্থাগুলি উচ্চ মূল্য দিতে প্রস্তুত। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করতে চায় যে আমেরিকান স্নাতকরাই প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে এবং মার্কিন কর্মসংস্থানের বাজার সুরক্ষিত থাকবে।

সর্বশেষ তথ্য ও পরিসংখ্যান

H-1B ভিসা ভারতীয় পেশাদারদের জন্য আমেরিকায় কর্মজীবনের একটি প্রধান প্রবেশদ্বার। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (USCIS)-এর তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মোট অনুমোদিত H-1B ভিসার প্রায় ৭০-৭৫% ভারতীয়রা পেয়েছেন। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে ট্রাম্পের নতুন নীতি ভারতীয়দের উপর কতটা গভীর প্রভাব ফেলবে।

১. শীর্ষ নিয়োগকারী সংস্থা: ইউএসসিআইএস (USCIS)-এর জুন ২০২৫ পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অর্থবর্ষ ২০২৫-এ H-1B ভিসার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি কর্মী নিয়োগ করেছে অ্যামাজন (১০,০৪৪ জন)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতীয় সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস (৫,৫০৫ জন)। তালিকায় এর পরেই রয়েছে মাইক্রোসফট (৫,১৮৯), মেটা (৫,১২৩), এবং অ্যাপল (৪,২০২)-এর মতো সংস্থা। (সূত্র: The Hindu) এই সংস্থাগুলিকে এখন নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য বিপুল অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে।

২. ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির নির্ভরতা: যদিও ভারতীয় সংস্থাগুলি এখনও H-1B ভিসার উপর নির্ভরশীল, তবে গত কয়েক বছরে তারা এই নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়েছে। ন্যাসকমের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি আমেরিকায় স্থানীয়ভাবে নিয়োগ বাড়িয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এইচসিএলটেক (HCLTech)-এর মার্কিন কর্মীদের ৭৫% স্থানীয়। টিসিএস এবং ইনফোসিসও তাদের মার্কিন কেন্দ্রগুলিতে হাজার হাজার স্থানীয় কর্মী নিয়োগ করেছে। (সূত্র: Times of India)

৩. বেতনের উপর প্রভাব: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে H-1B ভিসায় কর্মরত ভারতীয় কর্মীদের গড় বার্ষিক বেতন প্রায় ১,০৬,৩৬০ ডলার (ন্যাসকম ও এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রিপোর্ট, ২০২১)। নতুন এক লক্ষ ডলারের ফি এই বেতনের প্রায় সমতুল্য, যা ছোট এবং মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য এক বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

সরকারি ও বিশেষজ্ঞ মহলের প্রতিক্রিয়া

এই সিদ্ধান্তের পরেই ভারত ও আমেরিকার বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।

ভারত সরকারের উদ্বেগ

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা মার্কিন H-1B ভিসা কর্মসূচিতে প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি দেখেছি। এই পদক্ষেপের সম্পূর্ণ প্রভাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মন্ত্রক আরও উল্লেখ করেছে যে এর “মানবিক পরিণতি” হতে পারে, কারণ অনেক পরিবার এর ফলে বিপর্যস্ত হবে এবং পেশাদারদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ব্যাহত হবে। (সূত্র: Times of India)

ন্যাসকমের সতর্কবার্তা

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ন্যাসকম (NASSCOM) এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। ন্যাসকমের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিবেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, “এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন প্রযুক্তি জগৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ক্ষেত্রে দ্রুত এগোচ্ছে। আমেরিকার উদ্ভাবনী নেতৃত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতিভার প্রয়োজন। এই সিদ্ধান্তটি কিছু সময়ের জন্য ব্যবস্থাকে ব্যাহত করবে, কারণ প্রস্তুতির জন্য কোনও সময়ই দেওয়া হয়নি।” (সূত্র: PTI News) ন্যাসকম আরও জানিয়েছে যে মাত্র একদিনের সময়সীমা ব্যবসা, পেশাদার এবং ছাত্রদের জন্য চরম অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

বিশেষজ্ঞদের ভিন্ন মত: ভারতের জন্য ‘লাভ’?

নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও অমিতাভ কান্তের মতো অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত ভারতের পক্ষেই যাবে। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১০০,০০০ ডলারের এইচ-১বি ভিসা ফি বৃদ্ধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবনে বাধা সৃষ্টি করবে। বিশ্বব্যাপী প্রতিভার দরজা বন্ধ করে দিয়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ল্যাব, পেটেন্ট, উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপের পরবর্তী ঢেউ বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, পুনে এবং গুরুগ্রামে ঠেলে দিচ্ছে।”

তার মতে, এর ফলে যে মেধাবী ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতেন, তারা अब দেশে থেকেই কাজ করতে উৎসাহিত হবেন। ইনফোসিসের প্রাক্তন সিএফও মোহনদাস পাইও একই সুরে বলেছেন যে এই পদক্ষেপ আমেরিকায় নতুন আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করবে, যার ফলে ভারতে প্রতিভার জোগান বাড়বে।

বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি:

“আমেরিকা এইচ-১বি ভিসার জন্য ফি বৃদ্ধি করে আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। … এটি ভবিষ্যতে আবেদনকারী যে কারও উপর প্রভাব ফেলতে পারে, নতুন আবেদন হ্রাস করতে পারে।” — মোহনদাস পাই, প্রাক্তন সিএফও, ইনফোসিস

সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব

এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবেন হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ও তরুণ পেশাদার, যারা আমেরিকায় কর্মজীবনের স্বপ্ন দেখেন। সিলিকন ভ্যালিতে চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন এখন অনেকের জন্যই অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। রাহুল (নাম পরিবর্তিত), বেঙ্গালুরুর এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, যিনি আগামী বছর H-1B ভিসার জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করছিলেন, তিনি বলেন, “এই খবরটি একটি বড় ধাক্কা। আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের কারও পক্ষে এত বিপুল পরিমাণ ফি বহন করা অসম্ভব। এখন আমাকে বিকল্প কর্মজীবনের পথ ভাবতে হবে, হয়তো ইউরোপ বা ভারতেই ভালো সুযোগ খুঁজতে হবে।”

ভবিষ্যৎ পথ ও উপসংহার

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ মার্কিন অভিবাসন নীতিতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। যদিও হোয়াইট হাউস পরে স্পষ্ট করেছে যে এটি শুধুমাত্র নতুন আবেদনকারীদের জন্য, তবুও এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সুদূরপ্রসারী।

কী দেখার বিষয়:

  • মার্কিন সংস্থাগুলির প্রতিক্রিয়া: অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফটের মতো সংস্থাগুলি, যারা H-1B ভিসার বৃহত্তম ব্যবহারকারী, তারা এই নীতির বিরুদ্ধে কীভাবে আইনি বা রাজনৈতিক লড়াই চালায়, তা দেখার বিষয়।
  • ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপ: ভারত সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভারতীয় পেশাদারদের জন্য কোনও সুরাহা বের করতে পারে কিনা, সেদিকে নজর থাকবে।
  • ভারতীয় ‘ব্রেন গেইন’: আগামী কয়েক বছরে সত্যিই ভারতে মেধা প্রত্যাবর্তন বা ‘ghar wapsi’ লক্ষ্য করা যায় কিনা, তা সময়ই বলবে।

উপসংহারে বলা যায়, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি আপাতদৃষ্টিতে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য একটি বড় আঘাত হলেও, এটি ভারতের জন্য একটি অপ্রত্যাশিত সুযোগও তৈরি করেছে। যদি ভারত সরকার এবং দেশের প্রযুক্তি সংস্থাগুলি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশে একটি শক্তিশালী উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারে, তবে আমেরিকার এই ‘আত্মঘাতী’ গোল ভারতের জন্য হয়ে উঠতে পারে।

 

About Author
Avatar

আমাদের স্টাফ রিপোর্টারগণ সর্বদা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে পারেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি আমাদের ওয়েবসাইটকে একটি বিশ্বস্ত তথ্যের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিংয়ে বিশ্বাসী, দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন তৈরিতে সক্ষম